বিদেশ ঘুরে শিমু আসছে বাংলাদেশে। ১১ মার্চ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমাটির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন, বিদেশে ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি দেশে এসেছেন তিনি এবং কাজ করছেন সিনেমার মুক্তি নিয়ে।
সম্প্রতি তিনি শিমু এবং তার নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। আলাপে সিনেমা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলছেন তিনি।
মার্চে শিমু সিনেমা মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেক সময় লেগে গেল।
সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছিল ২০১৯ সালে, টরেন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। তারপরে অনেক দিন হয়ে গেল। এ বছরের জানুয়ারিতে মুক্তি দিতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু কোভিডের কারণে আবার পেছাল। এখন আর পেছাতে চাচ্ছি না।
৮ মার্চ নারী দিবস, ওই দিন সিনেমাটি এ দেশে প্রিমিয়ার করব আমরা। আর ১১ মার্চ শুক্রবার মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
সিনেমাটির নাম আগে মেড ইন বাংলাদেশ ছিল, এখন সিনেমাটির নাম শিমু। কেন?
বাংলাদেশে আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন শিমু নামে পারমিশন ও কাগজপত্র করা হয়েছিল। পরে যখন সিনেমাটি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনে যায়, তখন নামটা চেঞ্জ হয়ে যায়। তারপর যখন আবার বাংলাদেশের রিলিজ করতে আসলাম, তখন মনে করলাম শিমু নামটা দেশের দর্শকদের জন্য বেশি কানেকটিভ হবে। তাই আগের নামটাই রাখা হলো। তাছাড়া নামটা চেঞ্জ করতে চাইলে আমাদের এখানে অনেক পেপার ওয়ার্ক করতে হতো। এসব কারণেই শিমু নাম রাখা হয়েছে।
সিনেমাটি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও দেখানোর কথা ছিল, কিন্তু পরে তা আর হলো না।
এটা দুর্ভাগ্যজনক। সেন্সর বোর্ড থেকে আমাদের কিছু কারেকশন দেয়া হয়েছিল। আমাদের ল্যাব যেহেতু ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে, কারেকশনগুলো করে ওইখান থেকে ডিসিপি করে পাঠানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমরা ফেস্টিভ্যালের ডেডলাইন অনুযায়ী ওটা করতে পারিনি।
সেন্সর বোর্ড যে কারেকশন দিয়েছে, সেগুলো নিয়ে আপনাদের কোনো আসুবিধা আছে কি?
আমরা তো আসলে সেন্সর বোর্ডকে মেনেই কাজ করি। আমাদেরকে যে কারেকশন দিয়েছে সেন্সর বোর্ড, সেগুলো আমরা ঠিক করেছি। আমরা চাই সিনেমাটা থিয়েটারে আসুক। আর খুব বড় কোনো কারেকশন তারা দেয়নি। গল্পের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না সে কারেকশনে। ওকে, ঠিক আছে।
দর্শকদের কাছে শিমুকে কীভাবে ব্যাখ্যা করতে চান?
শিমু একটা স্পিরিট, যে কিনা সব সময় ফাইট করছে ফর ডিগনিটি ফর জাস্টিস এবং ও এত বড় বড় কিছু ফোর্সের বিরুদ্ধেও ফাইট করে যেটা ওর থেকে অনেক বড়, কিন্তু তাও শিমু কখনোই নিরাশ হয় না। সিনেমাটা দেখলে বুঝবেন যে, যতক্ষণ না পর্যন্ত সফল হচ্ছে ততক্ষণ ও চেষ্টা করেই যাচ্ছে।
শিমু বাংলাদেশের শ্রমজীবী নারীদের একজন প্রতিনিধি। কারণ আমাদের দেশ যে আজকে অর্থনীতিতে এত ভালো করছে, সমৃদ্ধ হচ্ছে, এর পেছনে আমাদের নারী শ্রমিকদের ভূমিকা কোনোভাবেই ইগনোর করতে পারি না।
আপনি তো নিজে শ্রমজীবী নারী নন। তাদের গল্প বলতে গিয়ে আপনার কী কী করতে হলো।
আমি শ্রমজীবী নারী না। আমার ফ্যাক্টরিতে কখনও কাজ করতে হয়নি। যে কারণে সিনেমাটি বানানোর সময় আমার অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। গবেষণায় একটা পর্যায়ে গিয়ে আমি শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করি এবং তাদের কথা শুনতে থাকি। ওই রকমই একটা সময়ে ডালিয়া আক্তার নামে একজন নারী শ্রমিক ও নেত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন ওকে বলি যে আপনি কি আমার সঙ্গে এই কাজটি করবেন? ও তখন রাজি হয়।
তখন আমরা স্ক্রিপটিং শুরু করি। আমাদের অভিনয়শিল্পীদের সেলাই মেশিন শেখানো, কথা বলা শেখানো হয়। এমনকি শিমু যখন ডেনমার্ক, ফ্রান্সে মুক্তি পেয়েছে, তখন ডালিয়া আমার সঙ্গে ছিল, প্রেসের সঙ্গে কথা বলেছে।
আমি শুধু গল্পটা বলছি কিন্তু এটা তার (ডালিয়া) গল্প এবং সে আমার সঙ্গেই আছে এবং এ দেশে মুক্তির সময়ও থাকবে আশা করি।
সিনেমাটি তো একটি শ্রেণির বলে ধারণা করছি। বিদেশের দর্শকরা কি গল্পের সঙ্গে রিলেট করতে পেরেছে?
আমি বলব যে রিলেট করতে পেরেছে। আমার মনে আছে, যখন নিউ ইয়র্কে স্ক্রিনিং হলো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, তখন একজন নারী প্রদর্শনী শেষে উঠে দাঁড়িয়ে বলল যে আমি শিমুর দ্বারা ইন্সপায়ার্ড। উনি ওনার নিজের স্ট্রাগলটাকে শিমুর মধ্যে দেখতে পেলেন। তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান নারী ও পেশায় শিক্ষক।
এরপর যখন ফ্রান্সে মুক্তি পেল সিনেমাটি, তখন সেখানে শ্রমিকদের স্ট্রাইক চলছিল। শ্রমিকরা দলবেঁধে সিনেমাটি দেখেছে এবং শিমুর মাধ্যমে ইন্সপায়ার্ড হয়েছে।
আমার মনে হয় শ্রমজীবী নারী না হয়েও এ গল্পের সঙ্গে রিলেট করতে পারবে নারীরা। শিমু তার ব্যক্তিগত জীবনে যেসব বিষয় ফেস করে তার স্বামীর কাছ থেকে সেটা শ্রেণি নির্বিশেষে মেয়েরা ফেস করে।
তাই আমি মনে করি নানাভাবে গল্পটি রিলেট করা সম্ভব হবে।
সিনেমাটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। সিনেমাটি ভালোই ইনকাম করল মনে হচ্ছে।
ইনকাম তো ডিস্ট্রিবিউটর করে। আমাদের সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড সেল এজেন্ট এবং ফ্রেঞ্জ ডিস্ট্রিবিউটর হলো পিরামিড ইন্টারন্যাশনাল। আমরা আসলে সিনেমাটি প্রি-সেল করেছিলাম। স্ক্রিপ্ট লেভেলে পিরামিড আমাদের থেকে একটা রাইটস নিয়ে নিয়েছিল। আমরা একটা ছোট অংশ পাই, তবে মূল ব্যবসাটা ডিস্ট্রিবিউটররাই করে।
আমি মনে করি তারা ভালো ব্যবসা করেছে। তারা সিনেমাটা সাউথ আমেরিকা, নর্থ আমেরিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মুক্তি দিয়েছে এবং তারা এখনও বিভিন্ন জায়গায় সিনেমাটি দেখাচ্ছে।
দেশের কোথায় কোথায় শিমু মুক্তি পেতে পারে। কোথায় মুক্তি পেলে এবং কারা দেখতে আসলে আপনি খুশি হবেন।
প্রথমে আমরা ঢাকার থিয়েটারগুলোতে শুরু করছি। ঢাকা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন সাভার-আশুলিয়ায় চেষ্টা করছি। সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি কিছু ইনডিভিজুয়াল থিয়েটারের দিতে চাই, কারণ আমি খুব খুশি হব যদি নারী শ্রমিকরা সিনেমাটা দেখতে আসেন।
এ ছাড়াও ইয়াং অডিয়েন্সকে টার্গেট করে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন চলছে।
তরুণরা যদি সিনেমাটি দেখে, তাহলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোনো বার্তা কি তারা পাবে?
শিমু যে চরিত্রটা, ওর বয়স মাত্র ২৩ বছর। সে একজন শ্রমিক, সে একজন ওয়াইফ, সে একজন নেতাও হচ্ছে মাত্র ২৩ বছর বয়সে।
২৩ বছর বয়সী একজন মিডল ক্লাস মেয়ে বা উচ্চবিত্ত কোনো মেয়ে যদি সিনেমাটা দেখে, তাহলে তারা বুঝতে পারবে শিমু চরিত্রটির জীবনটা কত ডিফরেন্ট। ওরা রিয়েলাইজ করতে পারবে তার বয়সী একটি শ্রমজীবী নারীর কত কী করতে হয়।
আপনার নতুন সিনেমা নিয়ে জানতে চাই।
নতুন সিনেমা দুইটা। শিমু যখন ফ্রান্সে মুক্তি দেয়া হয়েছিল, তখন সবাই বলছিল এর সিক্যুয়াল হবে কি না? শিমুর কি হয়?
যার জীবন থেকে গল্প নিয়ে শিমু সিনেমাটা করা যে এখন প্রবাসী নারী শ্রমিক। তাকে ফলো করে আমি আমার নতুন কাজটি গোছাচ্ছি। আমি প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিয়ে সিনেমা করতে চাই। সেটা এখন গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের নারী শ্রমিকরা লেবানন, সৌদি আরব, জর্ডানে কাজ করে। সেখানে তাদের জীবন কেমন, সেটা তুলে আনতে চাই।
দ্বিতীয়টা একটু এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। হরর-সুপারন্যাচারাল-থ্রিলার সিনেমা। এটার নাম দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। এটা বার্লিনাল কো-প্রোডাকশনে গিয়েছিল। সেখানে চার-পাঁচ দিন ধরে মিটিং হয়েছে। যেখানে ডিস্ট্রিবিউটর-প্রডিউসার-ফাইন্যান্সারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি সব ঠিক থাকলে আগামী বছর এই সময়ে শুট করতে পারব।
হরর-সুপারন্যাচারল-থ্রিলার কাজ করছেন!
মনে হচ্ছিল ক্রিয়েটিভ সেলফের জন্য একটা অন্য কিছু করে আসা দরকার। যেটাতে আমি রিফ্রেস ফিল করব। এ জন্য দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইট গল্পটা লিখতে লিখতে হরর-সুপারন্যাচারাল-থ্রিলার ঘরানার দিকে চলে গেছে।
বার্লিনালে যে মিটিং হয়েছে সেখানে খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছি। যেমন, ফ্রান্সের চারটা ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে, প্রত্যেকেই খুব আগ্রহী। আমরা সুইডেন থেকে ভালো রেসপন্স পেয়েছি। ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, এমনকি ইতালি থেকেও আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি।
মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু।
যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু।
ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
#KGFChapter2 ZOOMS past ₹700 cr milestone mark.
— Manobala Vijayabalan (@ManobalaV) April 21, 2022
২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি।
পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।
চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।
২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।
চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।
শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।
সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।
কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।
তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।
জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।
সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।
অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।
এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।
এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।
সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।
তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’
তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।
আরও পড়ুন:২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।
সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।
শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।
আরও পড়ুন:বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।
কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।
বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।
‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’
সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।
এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।
সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’
শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মন্তব্য