উজানের বই আলোচনায় কোরিয়ার ‘এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন মাজেদা মুজিব। বাংলা ভাষায় অনূদিত ‘কোরিয়ার গল্প’ বইয়ের আলোচনা লিখে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান লিটারেচার ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউট তাকে পুরস্কারটি দিয়েছে। প্রাইজ মানি হিসেবে তিনি পাচ্ছেন পাঁচ লাখ কোরিয়ান ওন।
তরুণ লেখক মাজেদা মুজিব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রবীন্দ্রসাহিত্যে নিম্নবর্গের মুসলমান ও অন্যান্য লেখা’।
বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশে কোরিয়ান সাহিত্যের অনুবাদ নিয়ে একযোগে আয়োজন করা হয় বই আলোচনা প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশেও লিটারেচার ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউট অফ কোরিয়ার সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রকাশনা সংস্থা ‘উজান’।
প্রতিযোগিতায় ৯ দেশের শীর্ষস্থান অর্জনকারী তিনজন করে মোট ২৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে মাজেদা মুজিবকে বাছাই করা হয় ‘এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য। দেশগুলো হচ্ছে আজারবাইজান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, জাপান, রাশিয়া, স্পেন ও তাইওয়ান।
এর আগে একই বইয়ের আলোচনার জন্য ‘উজান বই আলোচনা প্রতিযোগিতা ২০২১’ এ তৃতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি। গত নভেম্বরে এই প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা উজান। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পান সরোজ মোস্তফা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ইলিয়াস বাবর।
কোরিয়ার সাহিত্যের একশ বছরের গল্প নিয়ে অনুবাদ সংকলন ‘কোরিয়ার গল্প’ বইটি প্রকাশ করেছে উজান প্রকাশন। মোট চারজনের অনুবাদে এই গল্প সংকলন সম্পাদনা করেছেন কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ।
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের পাঁচ নম্বর এভিনিউর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রাণ হারানো মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (১৩) শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ কিশোর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে গত ২৪ নভেম্বর গ্যাস বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে আবদুল খলিল, রুমা আক্তার ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। আজ সকালের দিকে আবদুল্লাহ নামে আরেক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
তিনি জানান, আর দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে স্বপ্নার শরীরের ১৪ শতাংশ ও একই পরিবারের আবদুল খলিলের ছেলে ইসমাইলের শরীরে ২০ শতাংশ দগ্ধ। এদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে সিলিন্ডারে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন দগ্ধ হন।
তাদের মধ্যে শাহজাহান মিয়া নামের একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তার শরীরের ছয় শতাংশ দগ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মাধবী (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি (ওএসইসি) সার্ভিসে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সালাউদ্দিন নামের যুবক মাধবী ও শ্রেষ্ঠাকে ঢামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে মাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। তার শিশুটিকে ওএসইসিতে ভর্তি করা হয়।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ভেতর এক নারী অসুস্থ অবস্থায় ও তার শিশু মায়ের পাশে বসে কাঁদছিল। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। শিশুটি চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার হাকরইল গ্রামে ক্ষেতের পাশ খেকে কামরুল ইসলাম (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কামরুল নাচোল উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের প্রয়াত হোসেন আলীর ছেলে।
তিনি নাচোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
পুুলিশ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে কামরুল ইসলামের ধানক্ষেতের পাশে একটি নালা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে।
ওসি আরও জানান, তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন বলেও স্বজনরা জানিয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ দুই জেলে।
উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে শুক্রবার ভোররাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালির চলের প্রয়াত আবদুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. জুয়েল (২৭)। সম্পর্কে তারা মামা ও ভাগ্নে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে স্থানীয় রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসাতে যায়। শুক্রবার ভোরে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। ওই সময় ২০ জন জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও চারজন তা পারেননি।
পরে স্থানীয় জেলেরা নৌকার ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন। দেলোয়ার ও ইরান নামে দুই জেলে এখনও নিখোঁজ।
এ ঘটনায় প্রাণ হারানো জেলেদের গ্রামের বাড়িতে মাতম চলছে।
নলচিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। প্রাণ হারানো জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দুই চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের চকৈ মোড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল গফুর।
ওসি জানান, নিহত চারজনের মধ্যে বাস ও ট্রাকের চালক এবং দুই বাসযাত্রী রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
তিনি জানান, আহত যাত্রীদের প্রথমে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি গফুর আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একটি বাসের সঙ্গে ধানবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
বাংলাদেশ নিয়ে ভারত কোনো ষড়যন্ত্র করলে বিষদাঁত ভেঙে দিতে প্রস্তুত আছেন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের লেকপাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করে থাকেন, তাহলে এ দেশের মানুষ সেই বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করছে। শত শত মায়ের বুক খালি করা খুনি হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে।
‘ভারত বন্ধু রাষ্ট্র বললেও এখনও তারা বন্ধুর কোনো পরিচয়ই দিতে পারে নাই।’
দেশবাসীর উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান বলেন, ‘সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। আমাদের দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ যারা করেছে তাদের দলের বড় নেতারা কর্মীদের ফেলে টুন টুনা টুন টুন হয়ে গেছে।
‘এমন নেতাদের পেছনে নেমে বারবার জীবনকে ধ্বংস করবেন না। এদের মাধ্যমে আমাদের দেশে বারবার অশান্তি তৈরি করবে আর আমরা একটা গোলাম রাষ্ট্র হিসেবে বসবাস করব, এটা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার জন্য এ দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। গত ৫ আগস্টও আপনারা দেখেছেন। এ দেশ আমার ও আমাদের।
‘এ দেশ রক্ষার জন্য যদি প্রয়োজন হয়, রক্ত দেব, জান দেব। দেশ রক্ষার জন্য রাজপথে নামব, এতে কোনো সন্দেহ নাই।’
আরও পড়ুন:পঞ্চগড় সদর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮/৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় শুক্রবার ভোরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
প্রাণ হারানো আনোয়ারের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে যান। ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে গুলি চালায় বিএসএফ। ওই সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। তার মরদেহও নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত আনা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।
‘ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরু জব্দ করে বিজিবি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য