পেশাদার ফটোগ্রাফার আজিম খান রনি। জন্ম ঢাকায়। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে ওঠা বগুড়ায়।
২০১১ সালে ঢাকা কলেজে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন। এর আগে অনার্স ফার্স্ট ইয়ার থেকেই করেন চাকরি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ভিডিওগ্রাফার হিসেবে।
পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে রনির যাত্রা ২০১৭ সালে। এরপর মাত্র ৫ বছরে ফটোগ্রাফিতে শুধু আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডই জিতেছেন ৫ শতাধিক। এর বেশিরভাগই প্রাইজমানি।
৬০ মাসের যাত্রার বিভিন্ন মুহূর্ত নিউজবাংলার সঙ্গে শেয়ার করেছেন নামী এ ফটোগ্রাফার।
কীভাবে ফটোগ্রাফিতে
ফটোগ্রাফি কখনোই আমার শখ ছিল না। আমি যেহেতু মিডিয়া জব করি ২০০৫ সাল থেকে, ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে, একজন ক্যামেরাপারসন হিসেবে, আমার কাছে মনে হয় হতো যে, ফটোগ্রাফির চেয়ে ক্যামেরাটাই ভালো, যেহেতু অনেক বেশি অপশন।
বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টে গেলে ফটোগ্রাফার দেখতাম। আমার কখনো মনে হয়নি আমি ফটোজার্নালিস্ট বা ফটোগ্রাফার হব বা মনে হয় নাই ফটোগ্রাফার হব; ফটোগ্রাফি করব, কিন্তু বিভিন্ন সময় জায়গায় ঘুরতে যেতাম তখন একটা ডিএসএলআর মিস করতাম। মনে হতো একটা ডিএসএলআর থাকলে নিজের ছবিগুলো ভালো করে তুলতে পারতাম। সেই থেকে ভাবা, ভাবতে ভাবতে…একটা ডিএসএলআর কিনতে যে বাজেট লাগে তা আমার ছিল না। পরে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আমার জন্মদিনে একটা ক্যামেরা কিনি। এটা মনে রাখার জন্য এই দিনে কেনা।
ওই সময় ডিএসএলআর মানে আমার কাছে অনেক কিছু। আমার কলিগদের দেখেছি ডিএসএলআর দিয়ে ছবি-টবি তুলছে, ফেসবুকে দিচ্ছে।
ক্যামেরা কেনা
ক্যামেরা কেনার পিছনে একটা গল্প আছে, আমার এক কলিগ আছে। তাকে আমি অনেক দিন বলছি, ভাই আমি একটা ক্যামেরা কিনব। আমাকে একটু হেল্প করেন, কী ক্যামেরা কিনব। সে আমাকে খুব নেগলেট করে বলেছিল তুমি ক্যামেরা কিনে কী করবে? সবার সামনে ভরা রুমে। খুব নেগলেট করে বলেছে। এটা আমার খুব ইগোতে লাগছে। আমি খুব জেদি টাইপের একটা ছেলে। একটা মানুষের জেদ যে তাকে কোন জায়গায় নিয়ে আসতে পারে তার একটা উদাহরণ আমি।
পরে আমি নেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে আমার পছন্দ মতো ১ লাখ টাকা দামের ক্যানন সেভেনটি ডি, সাথে লেন্সসহ একটা ক্যামেরা কিনলাম। এরপর ছবি-টবি তুলতাম।
শুরুতে আমার ন্যাচার ভালো লাগতো, পোকা-মাকড়, এগুলো ভালো লাগত। প্রকৃতির ছবি তুলতাম। বোটানিক্যাল গার্ডেনে চলে যেতাম। যেকোনো ন্যাচারের ছবি তুলতাম। আমার ফুলের ছবি তুলতে ভালো লাগত, ফুলের ছবি তুলতাম। পরে একটা ম্যাক্রো লেন্স কিনলাম। যেন আরও ক্লোজ আর ডিটেইল ছবিতে পাই। এই ছবিগুলো তোলা শুরু করলাম। ছবিগুলো তুলে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে সাবমিট করতাম। তখন অনেকগুলো জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ছিল। সবাই অনেক ভালো ভালো প্রশংসা করত; ক্রিটিক করত। অনেকে আবার নেগেটিভ কমেন্ট করত যে, এই ছবি আমি তুলি নাই, অন্য কারো ছবি। এত ভালো হয়ে যেত দুই-একটা ছবি। এটা খুব নেগেটিভলি নিত তারা। বলত র ফাইল পাঠাও। এমন অনেক নেগেটিভ মন্তব্য করত। নতুন ফটোগ্রাফার এসে এই ছবি তোলার কথা না। তখন আমার ভিতরে আরও একটা জেদ কাজ করল। আমি একবার পাবলিকলি বলছিলাম, ১০ বছর ধরে মিডিয়াতে চাকরি করি, সিনে ফটোগ্রাফির ওপরে। আমার এর ওপর পড়াশোনাও আছে, একসময় ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞাপন তৈরি করব। কখনো ফটোগ্রাফি করবো, ফটোগ্রাফার হব এই চিন্তা ছিল না।
জেদ থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস
তখন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, আমি ১০ বছর ধরে ক্যামেরার পেছনে কাজ করি। আমি যদি ১০ বছর ধরে ফটোগ্রাফি করতাম তাহলে আমি ওয়ার্ল্ডের মধ্যে বেস্ট ফটোগ্রাফার হতাম। তখন আবেগ থেকে এই কথাটা বলেছিলাম। এটা নিয়ে অনেকে খুব হাসাহাসি করেছে, কিন্তু আমার এখনও ১০ বছর হয়নি ফটোগ্রাফিতে। আমি ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ওয়ান অব দ্য বেস্ট ফটোগ্রাফার হয়েছি কি না বলতে পারবো না, কিন্তু বলতে পারি বাংলাদেশের মধ্যে আমি ওয়ান অব দ্য বেস্ট ফটোগ্রাফার। কারণ আমার ইন্টারন্যাশনালি যত অ্যাওয়ার্ড, যত প্রাইস পেয়েছি, এটা কম ফটোগ্রাফারেরই আছে বাংলাদেশে। আমার বেশিরভাগ অ্যাওয়ার্ডই ছিল মানিটরি প্রাইজ। মানে প্রাইজমানি। ওখান থেকে আমার যাত্রা শুরু।
ন্যাচার থেকে ফেস্টিভ্যাল ফটোগ্রাফিতে
ধীরে ধীরে ডিভাইস আপডেট করলাম। পরে দেখলাম যে না, ন্যাচার ফটোগ্রাফি করে আসলে তেমন কিছু করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন কনটেস্টে এসব ছবি দিলে ওদের ওয়ার্ল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি এত ভালো ছবি যে, আমরা ফাইট দিয়ে পারছি না। মানে আমার ছবি হচ্ছে না ন্যাচারে।
পরে দেখলাম পরিচিত অনেক ফটোগ্রাফাররা বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে ছবি তোলে। পরে আমি আস্তে আস্তে ওদিকে সুইচ করলাম। বিভিন্ন ইভেন্টে যাই ফেস্টিভ্যালের ছবি তুলি এবং সেগুলো বিভিন্ন কনটেস্টে দেয়া শুরু করলাম। দেখলাম খুব দ্রুতই অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছি। তখনও আমি ফটোগ্রাফির অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু লাকিলি বেশ ভালো ভালো কয়েকটা অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যাওয়াতে কনফিডেন্সটা বেড়ে গেল। তখন আমার মনে হলো সিরিয়ালি কিছু করতে হবে।
ফটোগ্রাফি এখন প্যাশন
যে ফটোগ্রাফি কখনোই আমার শখ ছিল না, সে ফটোগ্রাফিই এখন আমার প্যাশন। অনেকটা জেদ নিয়ে ফটোগ্রাফিটা করি আমি। এর জন্য অনেক সেক্রিফাইস করেছি আমি। চাকরি করে, পরিবার সামলিয়ে, দিন-রাত এর পেছনে আমি সময় দিয়েছি। প্রচুর পড়াশোনা করেছি। অনেক মানুষের ছবি দেখেছি। কী ধরণের ছবি তুললে আমি ইন্টারন্যাশনালি বিট দিতে পারব। ওয়ার্ল্ডের ভালো ভালো ফটোগ্রাফার তাদের সঙ্গে ফাইট দিয়ে একটা পুরস্কার আনা অনেক কঠিন একটা বিষয়। সেখানে বাংলাদেশ থেকে একটি ছেলে তার ছবি নিয়ে পার্টিসিপেট করে অ্যাওয়ার্ড আনা অনেক কঠিন। কারণ তাদের ছবি তোলার অনেক স্কোপ থাকে, সুযোগ-সুবিধা থাকে, অনেক দামি দামি ডিভাইস সেটআপ ব্যবহার করে। সেখানে আমাদের এই লিমিটেশনের মধ্যেও আমরা ইন্টারন্যাশনালি ভালো করতেছি। এটা অনেক বড় একটা বিষয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছবি জমা
প্রথম ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইন্টারন্যাশনাল একটা কনটেস্টে ছবি জমা দিই। সেটা ছিল চায়না-বাংলাদেশ একটা ইন্টারন্যাশনাল কনটেস্ট ছিল। ওটার রেজাল্ট ২০১৭ সালে দিয়েছিল। সেখানে আমি ফার্স্ট প্রাইজ ও থার্ড প্রাইজ পাই। সেখানে আমি পাঁচটি ছবি সাবমিট করেছিলাম। তখন একদম নতুন ফটোগ্রাফিতে। এ অ্যাওয়ার্ড ছিল আমার অনেক বড় প্রেরণা।
পুরস্কার
আসলে প্রত্যেকটা অ্যাওয়ার্ডের পর সেসব একটা এক্সেল শিটে লিখে রেখেছিলাম। সেই হিসাবে কয়েক দিন আগে তাকিয়ে দেখলাম, ৫ শতাধিক অ্যাওয়ার্ড পার হলো। আমি শুরু থেকেই যেসব কনটেস্টে অংশ নিতাম, অ্যাওয়ার্ড পেতাম, সেসব আমার ফেসবুকে সেভ করে রাখতাম। এর কারণ হলো নতুনরা যাতে অনুপ্রাণিত হয়। শুরুর দিকে আমি যাদের বলতাম, ভাই কীভাবে ছবি সাবমিট করব, কীভাবে অংশ নিব, তাদের কাছে ওভাবে সাপোর্ট পাইনি। অনেক সিনিয়রদের ভেতর দেখতাম কেমন গোঁড়ামি টাইপ একটা ভাব। নতুনদের কোনো অর্জন বা অ্যাওয়ার্ড পেলেও তারা ইন্সপায়ার তো করে না; বরং নেগেটিভলি এক্সপোজ করে। সেখান থেকে আমারও মনে হয়, আমিও তো নতুন, কিন্তু আর যারা ফটোগ্রাফিতে আসবে, তারা যেন উৎসাহিত হয়। এ কারণে সব কিছু ফেসবুকে দেই।
ফটোগ্রাফি করতে করতে অনেকে হতাশ হয়ে যায়। আমরা একসঙ্গে যারা ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলাম, তারা অনেকেই হারিয়ে গেছে। তার একটা কারণ হলো তারা এখান থেকে রিটার্ন পায়নি। ফটোগ্রাফির এক্সপেন্স যদি বহন করার সক্ষমতা না আসে, কতদিন কন্টিনিউ করা যায়।
ফটোগ্রাফি থেকে উপার্জন
দেখেন এভাবে বলা ঠিক কি না, তবে বলি ফটোগ্রাফি হলো হীরার খনি। এখানে অফুরন্ত হীরা আছে, আপনি যদি প্রপারলি জানেন হীরাটা কত নিচে গেলে তুলতে পারবেন, তাহলে ওই হীরাগুলো তুলে আনতে পারবেন। সেই একেকটি হীরা অনেক মূল্যবান। ফটোগ্রাফি করে যে একটা সাধারণ মানুষ কোথায় যেতে পারে কেউ চাইলে আমার কাছ থেকে সেই গল্প শুনতে পারে।
আমি দেখতাম এই শহরে লক্ষ লক্ষ ফ্ল্যাট, আমার একটা নাই। এই শহরে লক্ষ লক্ষ গাড়ি; আমার একটা পারসোনাল গাড়ি নাই। আমি যে চাকরি করি, তা দিয়ে এই শহরে একটা ফ্ল্যাট, একটা গাড়ি, কত বছর যে লাগত, আমি জানি না, কিন্তু আমি মাত্র দুই বছরের ফটোগ্রাফির প্রাইজমানি দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আমার এক মাসের ইনকাম দিয়ে আমি গাড়ি কিনতে পারি। সেটাও হয়েছে আমার। তো একজন ফটোগ্রাফার ফটোগ্রাফি করে কী পরিমাণ ইনকাম করতে পারে, সেটা অনেকেরই ধারণার বাইরে। এখানে তো মাল্টিপল ইনকাম। শুধু যে কনটেস্টের প্রাইজ মানি, তা নয়। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিন, পত্রিকা, বিভিন্ন জায়গায় পাবলিশ হবে সেখান থেকে আর্ন হবে। আমি অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিই। এখন বিভিন্ন কনটেস্টে জাজিংও করি। আসলে একজন ফটোগ্রাফারের অনেক দিক থেকে সুযোগ থাকে।
নতুনদের উদ্দেশে বার্তা
নতুন যারা ফটোগ্রাফি করবেন তাদের উদ্দেশে বলব, কেন ফটোগ্রাফি করবেন, সেটা আগে ডিসাইড করেন। কেউ যদি ভাবেন শখেই করব, কেউ যদি ভাবেন শুধু শখ না, এখান থেকে রিটার্ন নিব, তাহলে তাকে অন্যভাবে ফটোগ্রাফি করতে হবে। তাকে ইনভেস্ট করতে হবে। এই ইনভেস্ট নট অনলি মানি, এখানে প্রচুর শ্রম দিতে হবে, সময় দিতে হবে, লেগে থাকতে হবে এবং ট্রাই করতে হবে এনিহাউ এখান থেকে ভালো কিছু করব।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও সামান্দা ইউনিয়নে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ভোলা বেইস ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ২৭৪ পিছ ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদককারবারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদর উপজেলার সামান্দা ইউনিয়নে সামান্দা গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের ২৭৪ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ১২ হাজার ৮ শত ৪৫ টাকা সহ মাদক ব্যাবসায়ী আব্বাস (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আসামীকে জব্দকৃত সকল আলামত সহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড। উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং চোরাচালান রোধে অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে কোষ্টগার্ড কতৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং দ্রুত লাশ দাফনের পরামর্শ দেন।
নিহত আখি খাতুন উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব কবিরাজ পাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখিকে প্রথমে থানার মোড় এলাকার ‘আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’-এ নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর জটিল অবস্থা বুঝে উন্নত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আলসেফা হাসপাতালের পরামর্শ উপেক্ষা করে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় তাকে সেখানে নেওয়া হয়।
নিহতের মা ও খালা জানান, তারাগুনিয়ার আবুলের ক্লিনিকে (তারাগুনিয়া ক্লিনিক) নেওয়ার পর কয়েকজন চিকিৎসক আখিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। সিজার শেষ করে বেডে আনার পর থেকেই রোগীর অবস্থা অস্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসকরা একপর্যায়ে তার পেটে চাপাচাপি করে, পরে অবস্থার অবনতি দেখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা আখিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার আরও বলেন, ক্লিনিকেই আঁখি মারা গিয়েছে কিন্তু ক্লিনিক মালিক দায়ভার এড়াতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড এর নাটক করে।
পরে মৃতদেহ আবার ক্লিনিকে ফেরত আনা হয় এবং মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ও ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেন এবং রাত ৮ টার সময় দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে ওই দিন ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক হোসেন বলেন, "আমাকে ক্লিনিক থেকে রোগী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, রোগী মারা গেছে। এরপর তারা জোরাজুরি করে ইসিজি করেন ও সদর হাসপাতাল থেকেই ডেট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার ক্লিনিকে ফিরিয়ে আনা হয়।"
সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, ক্লিনিক মালিকের ছেলে এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয় ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ফোন করে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি স্বীকার করেন, “রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ক্লিনিকে ঘটেছে।”
অন্যদিকে, আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’ থেকে রোগী কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবিষয় ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক সুজন হোসেন জানান, “রোগীর শারীরিক সমস্যা বুঝতে পেরে আমরা উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিই। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের পরামর্শ না নিয়ে অন্য ক্লিনিকে চলে যান।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সিজারের ৬ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত খাবার খাওয়া নিষেধ থাকলেও রোগী খাবার খেয়ে সেটা ডক্টরের কাছে গোপন রাখে যার ফলে সিজার পরবর্তী সমস্যা হয় ও রোগী মারা যায়।
অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকে চামড়ায় দেরিতে লবণ দিয়েছেন। এতে করে চামড়া নষ্ট হওয়ায় এবং মান কমে যাওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আজ সোমবার সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চামড়ার দর কমে যাওয়া নিয়ে আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আদিলুর জানান, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া এসেছে শিল্পনগরীতে। ঢাকায় আছে সাড়ে ৭ লাখ পিস।
চলতি বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনোভাবেই যাতে চামড়া না পঁচে বা দাম পড়ে না যায় তাই সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনভিজ্ঞতার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে, যদিও এর পরিমাণ কম। যাদের চামড়া নষ্ট হয়েছে এবং মান কমে গেছে তারা দাম কম পেয়েছেন।’
তিনি দাবি করেন, ‘চামড়ায় লবণ দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। অনেকেই দেরিতে লবণ দিয়েছেন, যার প্রভাব চামড়ার মানে পড়েছে। ফলে দামও কমেছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সরকারের তৎপরতার কারণে এ বছর খুব অল্পসংখ্যক চামড়াই নষ্ট হয়েছে।’
এ ছাড়া, গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে চলতি বছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।
গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’
গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’
পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।
অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। রাত তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন বলে বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গত ৯ জুন সোমবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর অভিযানে শিবপুর থানাধীন কারারচর এলাকার এপেইস ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে একটি প্রাইভেটকার আটক করে এবং এর ভিতর থেকে ৯ হাজার ৭শত ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি মোবাইল সেট ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো: মানিক মিয়া (৪৮) পিতা: মো: আব্দুল বারিক সাং-চাউরা, থানা-বিজয়নগর-জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার জুয়েল রানা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধৃত: আসামী মানিক মিয়া জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট সরবরাহ করে আসছিলো। এব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দেশের ৬ অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ ফেনী ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রচন্ড গরম। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টা এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। ফলে দেশজুড়ে গরমের অনুভূতি আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এমন অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওইদিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
মন্তব্য