× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Hasan Azizul represents the age of advanced thought
google_news print-icon

হাসান আজিজুল ‘উন্নত চিন্তার যুগের প্রতিনিধি’

হাসান-আজিজুল-উন্নত-চিন্তার-যুগের-প্রতিনিধি
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

রাজশাহীতে নিজ বাসায় ১৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের। তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কেউ কেউ আবার বলছেন, হাসান আজিজুল বাংলা সাহিত্যে ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদি যুগের সর্বশেষ সাহিত্যিক। এ নিয়ে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির, সৈয়দ শামসুল হক এবং সবশেষ হাসান আজিজুল হকের বিদায়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে কি না। এই শূন্যতাকে কীভাবে দেখছেন?’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘নাহ ক্ল্যাসিক যুগ বলা যাবে না। এটা তিনি (হাসান আজিজুল হক) কখনো বলেনও নাই। এগুলো আমরা মনগড়া কিছু শ্রেণীকরণ করে ফেলি। এটা তো ঠিক না। যেটা উনি করতেন সেটা জীবনঘনিষ্ঠ, জীবননিষ্ঠ সাহিত্যের চর্চা করতেন এবং যে সমস্ত মানুষ, যাদেরকে আমরা নিচুতলার বলি, তাদেরকে তাদের সম্পর্কে তার গভীর একটা মমত্ববোধ ছিল।

‘এ দেশের সংস্কৃতি, এ দেশের ভাষা, এ দেশের ইতিহাস, যদিও তিনি জন্মগতভাবে পশ্চিমবঙ্গের, তার ভাষার ভেতরে সেই টান রয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশকে তিনি অসম্ভব ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি তার একটা ভালোবাসা ছিল এবং তার সাহিত্যে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, কিন্তু সাহিত্যে তিনি কোনো শ্রেণিবিভাগ করেননি। কারণ যে মুহূর্তে আমি বলছি ক্ল্যাসিক, তখন একটা মনগড়া শ্রেণি আমি গড়ে ফেলছি। তার সঙ্গে শ্রেণি, শিক্ষা এসবই জড়িত হয়ে যায়। এগুলো তিনি কখনো আমলে নিতেন না।’

হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে অন্য লেখকদের রচনাশৈলীর পার্থক্য তুলে ধরে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যেটা বলতে পারি যে, শহীদুল জহির একদমই আলাদা সাহিত্য লিখতেন। তারা প্রত্যেকে আলাদা লিখতেন। আবদুল মান্নান সৈয়দ আলাদা লিখতেন। তাকেও মনে করা উচিত আমাদের। হাসান আজিজুল হক যেটা লিখতেন সেটা হচ্ছে, তিনি ইতিহাসকে নিয়ে খুব ভাবতেন, বিশেষ করে দেশ বিভাগের পর যে গভীর কিছু বিষাদ মানুষকে স্পর্শ করেছিল, যেটাকে আমরা বলি ট্র্যাজেডি, বিচ্ছিন্নতা, মানুষে মানুষে হানাহানি, মানে এক ধরনের সমাজের দুষ্টু ক্ষতটা বেরিয়ে এসেছিল। যেটা পরে আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি আরও বেশি উসকে দিয়েছিল।

‘এ বিষয়গুলো তাকে খুব পীড়িত করত। তো তিনি খোলা মনে লিখতেন, মানুষের নৈতিক-নান্দনিক অবস্থা পরিবর্তনের তাগিদ দিতেন। ব্যক্তির মূল্য, তা তিনি তার লেখালেখিতে তুলে ধরতেন। আর ইতিহাসের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলে মানুষ যেন ইতিহাস থেকে একটা শিক্ষা নেয়। আর সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের পুনরুজ্জীবনের জন্য মানুষকে সঞ্জীবিত রাখার জন্য একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, সক্রিয়তার ক্ষেত্র। সেটা যেন কখনো অপসংস্কৃতি হয়ে না দাঁড়ায়, সেই বিষয়গুলো উনি অনেক যত্ন নিয়ে লিখতেন। সে জন্য তার মতো লেখক খুব প্রয়োজন। এ জন্য যে সমাজটা খুবই জটিল হচ্ছে।’

হাসান আজিজুল হকের চিন্তা টিকিয়ে রাখতে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের কিছু করণীয় আছে বলে মনে করেন সৈয়দ মনজুরুল।

তিনি বলেন, ‘হানাহানি বাড়ছে, মতবাদ উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে আর সংস্কৃতির ক্ষেত্রটা ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো যদি আমরা হতে দিই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, সেটা আর দেখানো হবে না। তাকে কোনো বিশেষ শ্রেণিতে না রেখে আমরা বলি তিনি মানুষের জন্য লিখতেন। খুব উন্নত জীবনের আশা করতেন মানুষের। উন্নত জীবন মানে বৈষয়িক দৃষ্টিতে না, উন্নত জীবন মানে সাংস্কৃতিক এবং চিন্তাচেতনাগত, সেটা তিনি চাইতেন।

‘এটা যদি আমরা করতে দিই, হতে দিই, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখি, সংস্কৃতি থেকে প্রেরণা নিই এবং নিম্নবর্গীয় বলে যারা অবহেলিত, তাদের জীবনের দিকে দৃষ্টি দিই, সাহিত্যকে জীবনের অংশ করে ফেলি, বই পড়ার চর্চাটা বাড়াই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। এগুলোই তিনি বলতেন। এগুলো ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সে অর্থে তিনি সেই যুগের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন উন্নত চিন্তার, পরিশ্রমের, সহমর্মিতার, সহনশীলতার। এটাই ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে।’

আনিসুল হক

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘৫০-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা একই সঙ্গে এর জনক ও সন্তান। যেমন: কবি শামসুর রাহমান। উনি বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আবার বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের ফলে পূর্ববঙ্গে যে নতুন একটা আধুনিকতা তৈরি হলো সেটার সন্তানও কিন্তু। তারা সেই সুফলটা ভোগও করলেন। ৫২ সাল তৈরিও করেছেন এরা, এর মধ্য দিয়ে যে একটা লেখকশ্রেণি তৈরি হলো, এরা হলেন তারা।

‘সেই ব্যাচটা পুরোটা চলে গেছে। সেটা ধরেন সৈয়দ শামসুল হকই বলেন, শহীদ কাদরী, শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ ওই একটা ব্যাচ যেটা ৫২ সালের ফসল যারা ছিলেন, তারা চলে গেছেন। পরের ব্যাচ হচ্ছে ষাটের দশক। হাসান আজিজুল হক অনেক সিনিয়র, উনি পঞ্চাশের দশকেরই।’

তিনি বলেন, ‘ষাটের দশকের হচ্ছেন নির্মলেন্দু গুণ। এটা হচ্ছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে ছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। শহীদুল জহির আরও অনেক পরে। শহীদুল জহির মোটামুটি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় নতুন সাহিত্যিক হয় নাই বললেই চলে, সেখানে আমাদের একজন পাওয়া গিয়েছিল, সেটা হচ্ছে শহীদুল জহির।

‘কাজেই তিনজন তিন জেনারেশন একচুয়ালি। কাজেই আপনি যে মিলটা পাচ্ছেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হকের, তাদের সঙ্গে ছিলেন শওকত আলী। তারা লেখক শিবির… বাংলাদেশে যারা বামপন্থি কথাসাহিত্যিক ছিলেন, সেই ঘরানার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হক। সে জন্য এই নাম দুটো একসঙ্গে উচ্চারণ করা হয়। যাই হোক, আমাদের যুগাবসানটা… আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বেশ আগেই মারা গেছেন, খুব অল্প বয়সে মারা গেছেন। তার অল্প বয়সে মারা যাওয়াটা গ্রেট লস। কারণ উনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় একটা উপন্যাসের কাজ শুরু করেছিলেন। ওটা তিনি শেষ করতে পারলেন না, সেটা গ্রেট লস।

‘শহীদুল জহিরও খুবই অল্প বয়সে মারা গেছেন এবং বাংলাদেশে উত্তরাধুনিক যেটা একটু জাদুবাস্তবতা মেলানো লেখা, নতুন ধারার প্রবর্তন করতে আরম্ভ করেছিল, ওটাও একটা গ্রেট লস। যেকোনো চলে যাওয়াও লস, কিন্তু এদের মধ্যে আমার মনে হয় হাসান আজিজুল হক আবার খুব শিল্প। ওনার মধ্যে শিল্পিতা ছিল, উনি যদিও বামপন্থি, যদিও লেখক শিবির, কিন্তু ওনার লেখার মধ্যে সৌন্দর্য এবং মানুষের কথা…ফর্মুলার লেখক না। আমার মনে হয় যে, আমাদের বড় প্রধান লেখক ছিলেন। সবাই শেষ হয়ে গেলেন। আনিসুজ্জামান স্যার মারা গেলেন। এখন আমি চোখের সামনে দেখি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। অল্প কজন বেঁচে আছেন।’

লেখকদের প্রয়াণ নিয়ে আনিসুল বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

‘ফলে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে তাই। ওই আগের জমানার আরেকজন আছেন, সেটা সেলিনা আপা, সেলিনা হোসেন। ভাষা আন্দোলনের জনক এবং সন্তান যারা ছিলেন, যারা আমাদের সাহিত্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন, তারা সবাই চলে গেলেন।’

শাহীন আখতার

কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতার বলেন, ‘লেখকের মৃত্যু মানে মুছে যাওয়া নয়। তার সৃষ্টিকর্ম পেছনে রয়ে যায়, পরবর্তী লেখকের জন্য পাঠকের জন্য। সে অর্থে শূন্যতা তৈরি হয়, তা বলা যাবে না, তবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির অসময়ে চলে গেছেন। অপার সম্ভাবনাময়, অতুলনীয় দুজন সাহিত্যিক। আরও অসংখ্য ভালো লেখা আমরা তাদের কাছ থেকে পেতে পারতাম। তাদের প্রস্থান সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি।

‘শ্রদ্ধেয় হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ শামসুল হক যথেষ্ট সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। হাসান স্যারের ছোটগল্পগুলো তো ম্যাজিক মনে হয়। এমন গল্প কমই লেখা হয়েছে। সৈয়দ হক তো সব্যসাচী, সর্বত্রগামী। যে বয়সের মৃত্যুই হোক, তা বেদনার, কষ্টের। সে শূন্যতা আরেকজন এসে ভরতে পারবে না। আমি মনে করি, লেখকের লেখা পড়াই তার প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশের উপায়। সাড়ম্বরে শোক প্রকাশের চেয়ে বই পড়াটা আমি নিশ্চিত যে, প্রয়াত লেখকেরা তা চাইতেন।’

শাহনাজ মুন্নী

লেখক শাহনাজ মুন্নী বলেন, ‘আমরা তো হারাবই, কেউ তো সারা জীবন থাকবে না। এটা গ্রহণ করতেই হবে। সব সময় একটা যুগ শেষ হয়; আরেকটা যুগ আসে। সেটা সাহিত্য কেন, সব ক্ষেত্রেই সত্য। ওনারা যখন শুরু করেছিলেন সেই পঞ্চাশ-চল্লিশের দশকে, তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ওনারা বাংলা সাহিত্যকে, বাংলা ভাষাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। এখন নতুন প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম সেই দায়িত্ব নেবে।

‘তাদের যে ক্ষমতা, তাদের যে নিষ্ঠা, তাদের যে সাধনা, সেটা দিয়ে সেই জায়গাটা নিতে হবে। এখন ভাবতে পারি যে, যে মানের সাহিত্যকর্ম তারা করে গেছেন…তারা তো আসলে ক্ল্যাসিক যুগের লোক ছিলেন, একেবারেই ধ্রুপদি যুগের। সেই মানের সাহিত্যচর্চা আমরা করছি কি না বা আমাদের যারা আছেন বেঁচে, তারা সেই জায়গাটা দখল করতে পারবে কি না বা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে কি না, সে রকম একটা প্রশ্ন হতে পারে।’

পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘আমি বলব যে, তারপরের প্রজন্মের যারা আছেন, তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং ওই রিলে রেসের মতো একজনের হাত থেকে মশালটা আরেকজনের হাতে যাচ্ছে। এখন কে কতখানি অন্ধকার দূর করতে পারছেন, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

‘কারণ যে সময়ে ওনারা লিখেছেন সেই সময় তো আর নাই, অনেক পালটে গেছে। এখন মানুষের জীবনে যোগাযোগ বেড়েছে, মানুষের বিনোদনের হাজারটা মাধ্যম বেড়েছে, যেগুলো আগের দিনে ছিল না। তার মধ্যে সাহিত্য টিকে আছে তার মতো করে।’

এ প্রজন্মের প্রবণতা নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘এখন হয়তো কাগজের বই ছেড়ে মানুষ ডিজিটাল বুক পড়ার দিকে যাচ্ছে। তারপর মানুষের জীবন অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে। তারা লম্বা উপন্যাস পড়ে কি না, তারা কাগজের বই পড়ে কি না, এ রকম অনেক প্রশ্ন আসছে। আসলে আমি যেটা করি যে, মানবজীবনটাই এ রকম। মানবসভ্যতাটাই এ রকম। এক অবস্থা থেকে আমরা আরেক অবস্থার দিকে যাচ্ছি।’

সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে এ লেখক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। আমরা সমাজের একটা র‍্যাডিক্যাল পরিবর্তন, একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যেও সাহিত্য আছে। সাহিত্য একটা চিরন্তন জিনিস।

‘সেটি থাকবে, যুগ পরম্পরাই থাকবে এবং যারা এর মধ্যে ভালো লিখবেন, তারা টিকবেন। যারা সাধনা করে যাবেন, তারা হয়তো পূর্বসূরিদের পথ ধরে এগিয়ে যাবেন এবং এটি চলমান থাকবে।’

আরও পড়ুন:
হাসান আজিজুলের শেষ উপন্যাস ‘তরলাবালা’ আসছে বইমেলায়
হাসান আজিজুল হকের দীক্ষা
হাসান আজিজুল হক যে কারণে সমাহিত গ্রন্থাগারের সামনে
স্যার রোদে গেলেন
জাতিসত্তার মহিরুহ হাসান আজিজুল হক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Panchagarh fog in the summer

গ্রীষ্মের খরতাপেও পঞ্চগড়ে কুয়াশা!

গ্রীষ্মের খরতাপেও পঞ্চগড়ে কুয়াশা!

গত ১ সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ড তাপদাহের ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা মানুষ। তবে দিনের অংশে গরম হলেও রাতে পড়ছে ভারি কুয়াশা।
আজ মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ জেলাজুড়ে নেমে আসে ঘন কুয়াশা। সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা দেখা যায়।
এতে রীতিমতো অবাক হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার ভাবরঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা মোমিনুল ইসলাম সবজি বিক্রি করতে এসেছেন পঞ্চগড় বাজারে। তিনি বলেন, গৃীস্মকালে এমন কুয়াশা তিনি কখনো দেখেননি। এমন আবহাওয়া থাকলে এ সময়ের অর্থকরী ফসলের ক্ষতি হতে পারে। কায়েত পাড়া গ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। বাদাম শুকানোর জন্যে এই আবহাওয়া ভালো। কিন্ত তীব্র গরমে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দিন ও রাতে কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে গেছে, ভাবতেও পারিনি এমন কিছু দেখতে পাবো।
পঞ্চগড় সরকারী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, নদ নদীতে পানি নেই অপরিকল্পিতভাবে সমতল ভূমি কেটে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, কেটে ফেলা হচ্ছে

গাছপালা। ফলে প্রকৃতিতে বিপর্যয় নেমে আসছে। এদিকে গরমের পাশাপাশি প্রায় সকাল ৮টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। এমন আবহাওয়া জীবনে কখনো দেখিনি। অবাক হয়ে গেছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মূলত আকাশে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে গেছে। যার কারণে বাতাসে সেগুলো জমে গিয়ে কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। একে ধূলিকণা প্রভাবিত কুয়াশা বলা যায়। এটি সাধারণ কুয়াশা নয়, বরং পরিবেশ দূষণ ও আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থার কারণে সৃষ্টি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গতকাল সোমবার (৯ জুন) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান দাবদাহের মধ্যে আগামী ১৪ জুন থেকে পঞ্চগড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

মন্তব্য

বিনোদন
Gheere bus 3 people killed in a collision with a motorcycle

ঘিওরে বাস- মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে  ১ জন নিহত

ঘিওরে বাস- মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে  ১ জন নিহত

মানিকগঞ্জের আরিচা-দৌলতপুর- টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘিওরে ফ্লাইওভার ব্রিজে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল আরোহী সিরাজুল ইসলাম শেখ ( ২৫ ) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত সিরাজুল ইসলাম শেখ দৌলতপুর উপজেলার চর গোবিন্দপুর গ্রামের মো. ঠান্ডু শেখের ছেলে।

রবিবার (৮ জুন) দুপুর ১ টার দিকে ঘিওর উপজেলার চরবাইলজুরী পঞ্চরাস্তায় ফ্লাইওভার ব্রিজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থেকে ছেড়ে আসা স্বাধীনতা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বরংগাইল থেকে আসা একটি রানার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী সিরাজুল ইসলাম শেখ মারা যান।

খবর পেয়ে ঘিওর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ।।

মন্তব্য

বিনোদন
Narayanganj battery chasit Atorixa and Microbes clash killed 2

নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারী চা‌লিত অ‌টোরিক্সা ও মাই‌ক্রোবা‌সের মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ : নিহত ২

নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারী চা‌লিত অ‌টোরিক্সা ও মাই‌ক্রোবা‌সের মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ : নিহত ২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ব্যাটারী চা‌লিত অ‌টোরিক্সা ও মাই‌ক্রোবা‌সের মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হ‌য়ে‌ছে।

সোমবার রা‌তে উপ‌জেলার তারা‌বো এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘ‌টে। নিহতরা হলেন, তারা‌বো সুলতানবাগ এলাকার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সাবেক রূপগঞ্জ প্র‌তি‌নি‌ধি মরহুম আবুল হাসান আসিফের ছেলে শাহ‌রিয়ার হাসান আকাশ (২৯) ও অ‌টো‌রিক্সা চালক অজ্ঞাত (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রা‌তে তারা‌বো বিশ্ব‌রোড এলাকা থে‌কে অ‌টো‌রিক্সা যোগে তারা‌বো সুলতানবাগ এলাকার বা‌ড়ি‌তে ফির‌ছি‌লেন শাহ‌রিয়ার হাসান আকাশ (২৯) ও তার বন্ধু সায়মন (২৯), তা‌মিম সরকার (২৯)। প‌থিম‌ধ্যে সাই‌ফিং ফ্যাক্টরীর সাম‌নে এক‌টি হাই‌য়েস মাই‌ক্রোবা‌সের সা‌থে অ‌টো‌রিক্সা‌টির মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ হয়। সংঘ‌র্ষে অ‌টো‌রিক্সাটি দুম‌ড়েমুচ‌ড়ে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থ‌লেই নিহত হয় অ‌টো‌রিক্সা চালক অজ্ঞাত (৩৫) এবং আহত হয় অ‌টো‌রিক্সার যাত্রী শাহ‌রিয়ার হাসান আকাশ (২৯) ও তার বন্ধু সায়মন (২৯), তা‌মিম সরকার (২৯)। তা‌দের ম‌ধ্যে শাহ‌রিয়ার হাসান আকাশ ও তার বন্ধু তা‌মিম সরকারকে গুরুত্বর আহত অবস্থায়

স্থানীয়রা উদ্ধার ক‌রে ঢাকা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নি‌য়ে গে‌লে চি‌কিৎসকরা শাহ‌রিয়ার হাসান আকাশকে মৃত ঘোষনা ক‌রেন।

এ ব্যাপা‌রে রূপগঞ্জ থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) লিয়াকত আলী ব‌লেন, দূর্ঘটনার পর হাই‌য়েস মাই‌ক্রোবা‌সের চালক মাই‌ক্রোবাসটি নি‌য়ে পা‌লি‌য়ে যাওয়ায় তা‌কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি।

মন্তব্য

বিনোদন
Former MP Anar luxurious Prado cars matching in Kushtia

সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল প্রাডো গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায়

সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল প্রাডো গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের পার্কিং স্পেসে একটি বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ির সন্ধান মিলেছে। কোটি টাকা দামের গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নিহত আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ধারণা করছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।

সোমবার (৯ জুন) দিবাগত রাত বারোটার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের আটতলা বিশিষ্ট সাফিনা টাওয়ার নামের ভবনের গ্যারেজে এটি খুঁজে পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। গাড়ির ভেতরে পাওয়া গেছে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার। কালো রঙের গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০’।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন। তিনি বলেন, ‘গাড়ির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গাড়ি থেকে কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি সাবেক এমপি আনারের।’

বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ে

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাব্বির বলেন, ‘প্রথমে শুনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের গাড়ি রাখা আছে সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গাড়ির কাগজপত্র ও সংসদ সদস্যের স্টিকার উদ্ধার করে। গাড়ির চালক কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগার আলীর সাবেক চালক ছিলেন। তিনিই কাগজপত্র ও স্টিকার দেন। এতে দেখা যায়, গাড়িটির মালিক আনোয়ারুল আজীম আনার।”

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জুনায়েদ হোসাইন বলেন, ‘সাধারণ জনগণের কাছ থেকে জানতে পারি যে সাফিনা টাওয়ারে একটি দামি প্রাডো গাড়ি রাখা আছে, যা মাসের পর মাস বের করা হয় না, শুধু মাঝে মাঝে স্টার্ট দেওয়া হয়। পরে আমরা গিয়ে দেখি গাড়িটি। আমাদের দেখে চালক পালানোর চেষ্টা করেন। পরে একজনকে কল দেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু তিনি কোনো তথ্য দেননি। পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র উদ্ধার করে, যেখানে এমপি আনারের নাম পাওয়া যায়।’

ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, জেনুইন লিফ কোম্পানি নামের একটি সিগারেট কোম্পানি ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়েছে। তারাই গাড়িটি এখানে রাখার ব্যবস্থা করেছে।

এ বিষয়ে বাসার কেয়ারটেকার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘জেনুইন লিফ কোম্পানি ভবনের তিনটি তলায় ভাড়া নিয়েছে। সেখানে বিদেশিরা আসেন, থাকেন ও খাওয়াদাওয়া করেন। গাড়িটি তারাই রেখেছেন। কোম্পানির বেলাল স্যার জিএম ও জাহিদ স্যার সিইও। এর বেশি আমি জানি না।’

গাড়িটির চালক শান্ত বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগার আলীর গাড়ি চালাতাম। এখন জেনুইন লিফ কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করি। জিএম বেলাল স্যার ও সিইও জাহিদ স্যারের গাড়ি চালাই। তাদের হুকুমে আমি গাড়ি স্টার্ট দিয়েছি। গাড়ির মালিক কে, তা জানি না। আমি কখনো রাস্তায় গাড়িটি চালাইনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনের একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘গাড়িটি এনে তারা গ্যারেজে রাখেন। আমি জানতাম না এটি কার। আজ শুনলাম এটি এক এমপির। গাড়িটি কয়েক মাস ধরে রাখা আছে।’

এ বিষয়ে সাফিনা টাওয়ারের মালিক জেনুইন লিফ টোব্যাকোর সিইও জাহিদ ও জিএম বেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের অফিসে গিয়ে কেয়ারটেকার ও দারোয়ান ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও মালিকানা পত্রে এমপি আনারের নাম রয়েছে। এ ছাড়া, সাফিনা টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. মুস্তাফিজুর রহমান ভবনের তিনটি ইউনিট ও তিনটি গাড়ির পার্কিং স্পেস ভাড়া নিয়েছেন। গাড়িটি বর্তমানে তার পার্কিং স্পেসেই রাখা আছে।

তিনি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটি ভাড়া নিয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার দশমাইল এলাকায় অবস্থিত ‘তারা টোব্যাকো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটি কলকাতায় খুন হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য আনারের। তবে গাড়িটির মালিকানা সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে কে বা কারা গাড়িটি এনে এখানে রেখেছে, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

বিনোদন
Hajid return flight to start today

হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ

হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ

পবিত্র হজের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এখন হাজিরা সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট। যা চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।

মিনায় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ এবং কাবা ঘরে ফরজ তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরছেন হাজিরা। ফেরার পথে অনেকে পথ হারিয়ে আশ্রয় নেন মক্কার হজ মিশনে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজ পালন করেছেন। এর মধ্য ১৯ জন হজ যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৪৩৬টি ভুয়া হজ এজেন্সি বন্ধ করে দিয়েছে এবং ৪৬২ জনকে আইন ভঙ্গ করায় গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮৮ বাংলাদেশি। এ ছাড়া ১৯ জন দেশটির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এবার হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে।

মন্তব্য

বিনোদন
Five more bodies in the country

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

রবিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। এই সময়ের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জনে।

মন্তব্য

বিনোদন
The chief adviser to the country left for London

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমিরাতের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

সফরসঙ্গী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

এ ছাড়া, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।’

মন্তব্য

p
উপরে