× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Hasan Azizul represents the age of advanced thought
google_news print-icon

হাসান আজিজুল ‘উন্নত চিন্তার যুগের প্রতিনিধি’

হাসান-আজিজুল-উন্নত-চিন্তার-যুগের-প্রতিনিধি
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

রাজশাহীতে নিজ বাসায় ১৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের। তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কেউ কেউ আবার বলছেন, হাসান আজিজুল বাংলা সাহিত্যে ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদি যুগের সর্বশেষ সাহিত্যিক। এ নিয়ে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির, সৈয়দ শামসুল হক এবং সবশেষ হাসান আজিজুল হকের বিদায়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে কি না। এই শূন্যতাকে কীভাবে দেখছেন?’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘নাহ ক্ল্যাসিক যুগ বলা যাবে না। এটা তিনি (হাসান আজিজুল হক) কখনো বলেনও নাই। এগুলো আমরা মনগড়া কিছু শ্রেণীকরণ করে ফেলি। এটা তো ঠিক না। যেটা উনি করতেন সেটা জীবনঘনিষ্ঠ, জীবননিষ্ঠ সাহিত্যের চর্চা করতেন এবং যে সমস্ত মানুষ, যাদেরকে আমরা নিচুতলার বলি, তাদেরকে তাদের সম্পর্কে তার গভীর একটা মমত্ববোধ ছিল।

‘এ দেশের সংস্কৃতি, এ দেশের ভাষা, এ দেশের ইতিহাস, যদিও তিনি জন্মগতভাবে পশ্চিমবঙ্গের, তার ভাষার ভেতরে সেই টান রয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশকে তিনি অসম্ভব ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি তার একটা ভালোবাসা ছিল এবং তার সাহিত্যে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, কিন্তু সাহিত্যে তিনি কোনো শ্রেণিবিভাগ করেননি। কারণ যে মুহূর্তে আমি বলছি ক্ল্যাসিক, তখন একটা মনগড়া শ্রেণি আমি গড়ে ফেলছি। তার সঙ্গে শ্রেণি, শিক্ষা এসবই জড়িত হয়ে যায়। এগুলো তিনি কখনো আমলে নিতেন না।’

হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে অন্য লেখকদের রচনাশৈলীর পার্থক্য তুলে ধরে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যেটা বলতে পারি যে, শহীদুল জহির একদমই আলাদা সাহিত্য লিখতেন। তারা প্রত্যেকে আলাদা লিখতেন। আবদুল মান্নান সৈয়দ আলাদা লিখতেন। তাকেও মনে করা উচিত আমাদের। হাসান আজিজুল হক যেটা লিখতেন সেটা হচ্ছে, তিনি ইতিহাসকে নিয়ে খুব ভাবতেন, বিশেষ করে দেশ বিভাগের পর যে গভীর কিছু বিষাদ মানুষকে স্পর্শ করেছিল, যেটাকে আমরা বলি ট্র্যাজেডি, বিচ্ছিন্নতা, মানুষে মানুষে হানাহানি, মানে এক ধরনের সমাজের দুষ্টু ক্ষতটা বেরিয়ে এসেছিল। যেটা পরে আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি আরও বেশি উসকে দিয়েছিল।

‘এ বিষয়গুলো তাকে খুব পীড়িত করত। তো তিনি খোলা মনে লিখতেন, মানুষের নৈতিক-নান্দনিক অবস্থা পরিবর্তনের তাগিদ দিতেন। ব্যক্তির মূল্য, তা তিনি তার লেখালেখিতে তুলে ধরতেন। আর ইতিহাসের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলে মানুষ যেন ইতিহাস থেকে একটা শিক্ষা নেয়। আর সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের পুনরুজ্জীবনের জন্য মানুষকে সঞ্জীবিত রাখার জন্য একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, সক্রিয়তার ক্ষেত্র। সেটা যেন কখনো অপসংস্কৃতি হয়ে না দাঁড়ায়, সেই বিষয়গুলো উনি অনেক যত্ন নিয়ে লিখতেন। সে জন্য তার মতো লেখক খুব প্রয়োজন। এ জন্য যে সমাজটা খুবই জটিল হচ্ছে।’

হাসান আজিজুল হকের চিন্তা টিকিয়ে রাখতে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের কিছু করণীয় আছে বলে মনে করেন সৈয়দ মনজুরুল।

তিনি বলেন, ‘হানাহানি বাড়ছে, মতবাদ উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে আর সংস্কৃতির ক্ষেত্রটা ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো যদি আমরা হতে দিই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, সেটা আর দেখানো হবে না। তাকে কোনো বিশেষ শ্রেণিতে না রেখে আমরা বলি তিনি মানুষের জন্য লিখতেন। খুব উন্নত জীবনের আশা করতেন মানুষের। উন্নত জীবন মানে বৈষয়িক দৃষ্টিতে না, উন্নত জীবন মানে সাংস্কৃতিক এবং চিন্তাচেতনাগত, সেটা তিনি চাইতেন।

‘এটা যদি আমরা করতে দিই, হতে দিই, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখি, সংস্কৃতি থেকে প্রেরণা নিই এবং নিম্নবর্গীয় বলে যারা অবহেলিত, তাদের জীবনের দিকে দৃষ্টি দিই, সাহিত্যকে জীবনের অংশ করে ফেলি, বই পড়ার চর্চাটা বাড়াই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। এগুলোই তিনি বলতেন। এগুলো ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সে অর্থে তিনি সেই যুগের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন উন্নত চিন্তার, পরিশ্রমের, সহমর্মিতার, সহনশীলতার। এটাই ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে।’

আনিসুল হক

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘৫০-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা একই সঙ্গে এর জনক ও সন্তান। যেমন: কবি শামসুর রাহমান। উনি বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আবার বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের ফলে পূর্ববঙ্গে যে নতুন একটা আধুনিকতা তৈরি হলো সেটার সন্তানও কিন্তু। তারা সেই সুফলটা ভোগও করলেন। ৫২ সাল তৈরিও করেছেন এরা, এর মধ্য দিয়ে যে একটা লেখকশ্রেণি তৈরি হলো, এরা হলেন তারা।

‘সেই ব্যাচটা পুরোটা চলে গেছে। সেটা ধরেন সৈয়দ শামসুল হকই বলেন, শহীদ কাদরী, শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ ওই একটা ব্যাচ যেটা ৫২ সালের ফসল যারা ছিলেন, তারা চলে গেছেন। পরের ব্যাচ হচ্ছে ষাটের দশক। হাসান আজিজুল হক অনেক সিনিয়র, উনি পঞ্চাশের দশকেরই।’

তিনি বলেন, ‘ষাটের দশকের হচ্ছেন নির্মলেন্দু গুণ। এটা হচ্ছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে ছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। শহীদুল জহির আরও অনেক পরে। শহীদুল জহির মোটামুটি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় নতুন সাহিত্যিক হয় নাই বললেই চলে, সেখানে আমাদের একজন পাওয়া গিয়েছিল, সেটা হচ্ছে শহীদুল জহির।

‘কাজেই তিনজন তিন জেনারেশন একচুয়ালি। কাজেই আপনি যে মিলটা পাচ্ছেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হকের, তাদের সঙ্গে ছিলেন শওকত আলী। তারা লেখক শিবির… বাংলাদেশে যারা বামপন্থি কথাসাহিত্যিক ছিলেন, সেই ঘরানার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হক। সে জন্য এই নাম দুটো একসঙ্গে উচ্চারণ করা হয়। যাই হোক, আমাদের যুগাবসানটা… আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বেশ আগেই মারা গেছেন, খুব অল্প বয়সে মারা গেছেন। তার অল্প বয়সে মারা যাওয়াটা গ্রেট লস। কারণ উনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় একটা উপন্যাসের কাজ শুরু করেছিলেন। ওটা তিনি শেষ করতে পারলেন না, সেটা গ্রেট লস।

‘শহীদুল জহিরও খুবই অল্প বয়সে মারা গেছেন এবং বাংলাদেশে উত্তরাধুনিক যেটা একটু জাদুবাস্তবতা মেলানো লেখা, নতুন ধারার প্রবর্তন করতে আরম্ভ করেছিল, ওটাও একটা গ্রেট লস। যেকোনো চলে যাওয়াও লস, কিন্তু এদের মধ্যে আমার মনে হয় হাসান আজিজুল হক আবার খুব শিল্প। ওনার মধ্যে শিল্পিতা ছিল, উনি যদিও বামপন্থি, যদিও লেখক শিবির, কিন্তু ওনার লেখার মধ্যে সৌন্দর্য এবং মানুষের কথা…ফর্মুলার লেখক না। আমার মনে হয় যে, আমাদের বড় প্রধান লেখক ছিলেন। সবাই শেষ হয়ে গেলেন। আনিসুজ্জামান স্যার মারা গেলেন। এখন আমি চোখের সামনে দেখি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। অল্প কজন বেঁচে আছেন।’

লেখকদের প্রয়াণ নিয়ে আনিসুল বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

‘ফলে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে তাই। ওই আগের জমানার আরেকজন আছেন, সেটা সেলিনা আপা, সেলিনা হোসেন। ভাষা আন্দোলনের জনক এবং সন্তান যারা ছিলেন, যারা আমাদের সাহিত্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন, তারা সবাই চলে গেলেন।’

শাহীন আখতার

কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতার বলেন, ‘লেখকের মৃত্যু মানে মুছে যাওয়া নয়। তার সৃষ্টিকর্ম পেছনে রয়ে যায়, পরবর্তী লেখকের জন্য পাঠকের জন্য। সে অর্থে শূন্যতা তৈরি হয়, তা বলা যাবে না, তবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির অসময়ে চলে গেছেন। অপার সম্ভাবনাময়, অতুলনীয় দুজন সাহিত্যিক। আরও অসংখ্য ভালো লেখা আমরা তাদের কাছ থেকে পেতে পারতাম। তাদের প্রস্থান সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি।

‘শ্রদ্ধেয় হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ শামসুল হক যথেষ্ট সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। হাসান স্যারের ছোটগল্পগুলো তো ম্যাজিক মনে হয়। এমন গল্প কমই লেখা হয়েছে। সৈয়দ হক তো সব্যসাচী, সর্বত্রগামী। যে বয়সের মৃত্যুই হোক, তা বেদনার, কষ্টের। সে শূন্যতা আরেকজন এসে ভরতে পারবে না। আমি মনে করি, লেখকের লেখা পড়াই তার প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশের উপায়। সাড়ম্বরে শোক প্রকাশের চেয়ে বই পড়াটা আমি নিশ্চিত যে, প্রয়াত লেখকেরা তা চাইতেন।’

শাহনাজ মুন্নী

লেখক শাহনাজ মুন্নী বলেন, ‘আমরা তো হারাবই, কেউ তো সারা জীবন থাকবে না। এটা গ্রহণ করতেই হবে। সব সময় একটা যুগ শেষ হয়; আরেকটা যুগ আসে। সেটা সাহিত্য কেন, সব ক্ষেত্রেই সত্য। ওনারা যখন শুরু করেছিলেন সেই পঞ্চাশ-চল্লিশের দশকে, তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ওনারা বাংলা সাহিত্যকে, বাংলা ভাষাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। এখন নতুন প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম সেই দায়িত্ব নেবে।

‘তাদের যে ক্ষমতা, তাদের যে নিষ্ঠা, তাদের যে সাধনা, সেটা দিয়ে সেই জায়গাটা নিতে হবে। এখন ভাবতে পারি যে, যে মানের সাহিত্যকর্ম তারা করে গেছেন…তারা তো আসলে ক্ল্যাসিক যুগের লোক ছিলেন, একেবারেই ধ্রুপদি যুগের। সেই মানের সাহিত্যচর্চা আমরা করছি কি না বা আমাদের যারা আছেন বেঁচে, তারা সেই জায়গাটা দখল করতে পারবে কি না বা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে কি না, সে রকম একটা প্রশ্ন হতে পারে।’

পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘আমি বলব যে, তারপরের প্রজন্মের যারা আছেন, তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং ওই রিলে রেসের মতো একজনের হাত থেকে মশালটা আরেকজনের হাতে যাচ্ছে। এখন কে কতখানি অন্ধকার দূর করতে পারছেন, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

‘কারণ যে সময়ে ওনারা লিখেছেন সেই সময় তো আর নাই, অনেক পালটে গেছে। এখন মানুষের জীবনে যোগাযোগ বেড়েছে, মানুষের বিনোদনের হাজারটা মাধ্যম বেড়েছে, যেগুলো আগের দিনে ছিল না। তার মধ্যে সাহিত্য টিকে আছে তার মতো করে।’

এ প্রজন্মের প্রবণতা নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘এখন হয়তো কাগজের বই ছেড়ে মানুষ ডিজিটাল বুক পড়ার দিকে যাচ্ছে। তারপর মানুষের জীবন অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে। তারা লম্বা উপন্যাস পড়ে কি না, তারা কাগজের বই পড়ে কি না, এ রকম অনেক প্রশ্ন আসছে। আসলে আমি যেটা করি যে, মানবজীবনটাই এ রকম। মানবসভ্যতাটাই এ রকম। এক অবস্থা থেকে আমরা আরেক অবস্থার দিকে যাচ্ছি।’

সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে এ লেখক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। আমরা সমাজের একটা র‍্যাডিক্যাল পরিবর্তন, একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যেও সাহিত্য আছে। সাহিত্য একটা চিরন্তন জিনিস।

‘সেটি থাকবে, যুগ পরম্পরাই থাকবে এবং যারা এর মধ্যে ভালো লিখবেন, তারা টিকবেন। যারা সাধনা করে যাবেন, তারা হয়তো পূর্বসূরিদের পথ ধরে এগিয়ে যাবেন এবং এটি চলমান থাকবে।’

আরও পড়ুন:
হাসান আজিজুলের শেষ উপন্যাস ‘তরলাবালা’ আসছে বইমেলায়
হাসান আজিজুল হকের দীক্ষা
হাসান আজিজুল হক যে কারণে সমাহিত গ্রন্থাগারের সামনে
স্যার রোদে গেলেন
জাতিসত্তার মহিরুহ হাসান আজিজুল হক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Farmer Dialogue held in Kurigram 

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত 

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত 

জলবায়ু পরিবর্তন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ক কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আফাদ এর মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নারী পক্ষ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত উপপরিচালক মো: আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা খান,জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মাইদুল ইসলাম, আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

ইউএনওমেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন,ফেইস প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

দিনব্যাপী কৃষক সংলাপ সদর উপজেলাসহ রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর, ফুলবাড়ি,নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৫০জন কৃষক- কৃষাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।

দিনব্যাপি কৃষক সংলাপে নারী নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংগঠনের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠন,সভা, পরামর্শ সভা এবং ডায়লোগ সেশন আয়োজন করা,স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজের কর্মীদের ও কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,কমিউনিটি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন এর মূলক উপকরণ তৈরি,জেন্ডার সংবেদনশ প্রণোদনা প্রয়োশে মাধ্যমে কমিউনিটিকে সহায়তা করাসহ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে মৎস্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

মন্তব্য

নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার

নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় নুরাল পাগলার দরাবার থেকে জেনারেটর চুরির দায়ে মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান রাজবাড়ীর লক্ষীকোল সোনাকান্দা এলাকার হারুনার রশিদ এর ছেলে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা গোয়েন্দা ডিবি ও গোয়ালন্দ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে জেনারেটর সহ গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।

তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মিজানুর রহমান নুরাল পাগলার দরবার থেকে একটি জেনারেটর নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাকে নুরাল পাগলার দরবারের ভক্ত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লার দায়ের করা মামলায় গুরুতর জখম, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, কবর থেকে লাশ উত্তোলন, পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মন্তব্য

বিনোদন
Special buses for speech students to participate in BCS Preliminary 

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশ নিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস 

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশ নিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে পৌঁছে দিতে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জব্বারের মোড় থেকে দুটি বাস টাউন হলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একই স্থান থেকে বাসগুলো শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনবে।

পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ জানান, উপাচার্যের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থবির পরিস্থিতির কারণে প্রথমে বাস চালুর পরিকল্পনা না থাকলেও পরে উপাচার্যের নির্দেশে সার্ভিসটি চালু করা হয়।

মন্তব্য

বিনোদন
Thakurgaon dances in the festival of Karam Puja

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম পূজার উৎসবে নাচে গানে মেতেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম পূজার উৎসবে নাচে গানে মেতেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়

হলদে রঙের শাড়ি, খোপায় সাদা কাঠগোলাপ, পায়ে আলতা, নুপুর সাজে সেজেছে ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের নারীরা। পুরুষের ঢোল ও মন্দিরার তালে নেচে গেয়ে নিজেদের বড় ধর্মীয় আয়োজন কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ।

আয়োজকরা জানান, বাংলা খ্রিষ্টাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ রাত বুধবার থেকে তাদের পূজা আর্চনা শুরু হয়ে পরদিন পহেলা আশ্বিন বৃহস্পতিবার দুপর পর্যন্ত চলে আনন্দ উৎসব। এ সময় নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে কারাম গাছের ডাল এনে পূজা আর্চনা ও নাচগানে মাতোয়ারা থাকে এ সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষরা।

সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামে উৎসবের রাতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন আয়োজন।

ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম। বিভিন্ন ধর্মের রাজনীতিক নেতা, সমাজ ওসাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও আমন্ত্রিত ছিলেন।

এছাড়াও গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ এই কারাম উৎসব দেখতে আসেন। এদিন সম্প্রিতির বন্ধনে আরও একবার আবদ্ধ হন গ্রামের মানুষ।

শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের নাচ ও গানের তালে তালে বরণ করে নেন ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে ফুল দিয়ে সকল ধর্মের মানুষদের বরণ করেন তারা। এরপর নাচ ও গান পরিবেশন করেন অতিথিদের সামনে। পরে উৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য করেন আয়োজকরা এবয় নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, কারাম উৎসব দুই রকম ভাবে উদযাপন করা হয়। একটি নিজ কারাম ও অপরটি দশ কারাম। নিজ কারাম হলো যারা একটু স্বচ্ছল তারা নিজেদের বাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। আর দশ কারাম হলো যেখানে সবার সহযোগিতায় একখানে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে কারাম গাছের পূজা করা হয়। ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে কারাম গাছ প্রাকৃতিক নানা রকম দূর্যোগ মোকাবেলায় তাদের সহযোগিতা করেছে। এ গাছের ডালকে আঁকড়ে ধরে তারা যুগ যুগ ধরে বেঁচে ছিলো। তিনি বলেন, এটি ওড়াওঁ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বড় উৎসব হলেও এইখানে গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ আসেন। সম্প্রীতির মিলবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ সময় তিনি এখানকার আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সরকার সহ সকলের এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।

কারাম উৎসবে এসে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মো: জসিম উদ্দীন। বলেন, এ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন যাপন খুব সহজ সরল। তারা অনেক পরিশ্রমী। তাদের উৎসবের আমেজ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আমি দারুন উপভোগ করছি। তাদের সরল আতিথিয়েতা আমাকে খুব আপন করে নেয় তাদের।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো: খাইরুল ইসলাম উৎসবমুখোর পরিবেশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ওড়াওঁ সম্প্রদায় একটি অনন্য জাতিসত্ত্বা। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৃষ্টি কালচার রয়েছে। তাদের ধর্মীয় উৎসব চমৎকার। তাদের নিজস্ব সত্ত্বা যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায়। যেন সহস্র বছর ধরে তারা টিকে থাকে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে এর জন্য প্রশামনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।

মন্তব্য

বিনোদন
Kushtia Battalion 1 BGB has distributed relief assistance to the families affected by the Padma river erosion in Daulatpur in Kushtia

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।

ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, “বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।”

মন্তব্য

বিনোদন
Seven party protests in Dhaka today Fear of traffic congestion

ঢাকায় আজ সাত দলের বিক্ষোভ: যানজটের আশঙ্কা

ঢাকায় আজ সাত দলের বিক্ষোভ: যানজটের আশঙ্কা

সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন বৃহস্পতিবার। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় আজ নামছে সাতটি রাজনৈতিক দল। একই দাবিতে ঘোষিত এই সমাবেশ ও বিক্ষোভে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। শুধু ঢাকাতেই কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী ইতোমধ্যে অবস্থান নিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আজকের রাজনৈতিক কর্মসূচি মিলিয়ে রাজধানীর সড়কগুলোতে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কোন এলাকায় কর্মসূচি

জানা যায়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আবদুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)—এই সাত দল আজ ঢাকায় প্রথম দিনের সমাবেশ করছে।

বায়তুল মোকাররম, পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল ও শাহবাগ এলাকায় এসব সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি।

জামায়াতে ইসলামী: বিকেল সাড়ে ৪টায় দক্ষিণ গেটে সমাবেশ; এরপর পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শাহবাগে মিছিল।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: জোহরের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ; প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে কর্মসূচির সমাপ্তি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক): আসরের পর সমাবেশ; এরপর পল্টন–বিজয়নগর–কাকরাইল–নাইটিঙ্গেল পর্যন্ত মিছিল।

খেলাফত আন্দোলন: প্রেসক্লাবের সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশ; এরপর মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম।

জাগপা: বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগরে সমাবেশ; মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব এবং আবারও বিজয়নগরে ফেরা।

নেজামে ইসলাম: বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাবে সমাবেশ।

অন্য দলগুলোও পল্টন–গুলিস্তান–প্রেসক্লাব ও শাহবাগ ঘিরে অবস্থান নেবে।

যানজট ও জনভোগান্তি

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় কর্মসূচি হওয়ায় অফিসগামী ও ফেরত কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, সচিবালয়ের কর্মকর্তা, গুলিস্তান ও শাহবাগ হয়ে যাতায়াতকারীরা বিকল্প রাস্তায় চাপ সৃষ্টি করবেন।

শাহবাগ বন্ধ হয়ে গেলে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ আশপাশের এলাকায়ও অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বিপাকে পড়বে হাসপাতালগামী রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল, বারডেম, বিএসএমএমইউ, ল্যাবএইডসহ একাধিক হাসপাতালে রোগী আনা–নেওয়া ব্যাহত হতে পারে।

পুলিশের সতর্কতা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ–কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিল শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, “ঢাকা এমনিতেই ব্যস্ত শহর। যেকোনো রাস্তায় কর্মসূচি মানেই জনদুর্ভোগ। এতে সময়ের অপচয়, আর্থিক ক্ষতি, এমনকি জরুরি রোগী পরিবহনও ব্যাহত হয়।” রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগ এড়াতে বিকল্প কর্মসূচি নিতে অনুরোধ করা হলেও বড় দলগুলোর কর্মসূচি ঠেকানো সম্ভব হয় না বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বিনোদন
Implementation of Constitutional Origin Suggestions to take legitimacy in referendum
জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত 

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া তৃতীয় ধাপের সংলাপের তৃতীয় দিনে এটি উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশন গত রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ ধারা অনুযায়ী সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে বলে।

বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ২০২৫ এ মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করতে পারে। ওই সংবিধান আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, সংবিধান আদেশকে একটি গণভোটে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যা আগামী সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি সংবিধান আদেশ জনগণের অনুমোদন পায় গণভোটের মাধ্যমে, তবে তা প্রণয়নের তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।

পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়গুলো (যার মধ্যে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চারভাবে বাস্তবায়নের জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।

এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন শুরুর আশা আলী রীয়াজের

এক মাসের মধ্যে জুলাই সনদ প্রকাশের পাশাপাশি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল বুধবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের মেয়াদ এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এক মাস সময় নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নই। আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারব।’

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ছিল ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথমবার এক মাস সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। গত সোমবার দ্বিতীয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক মাস।

সময় বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কার্যালয় যদি প্রায় এক বছর ধরে অব্যাহত থাকে, সেটা গুটিয়ে তুলতেও খানিকটা সময় লাগে। আমরা যেন মেয়াদের মধ্যেই সেটা গুটিয়ে তুলতে পারি, সেটাও সরকারের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই আমরা এখানে আজকে (বুধবার) উপস্থিত হয়েছি।’

এতদিনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে (নোট অব ডিসেন্টসহ) একমত হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট মতবিরোধ রয়েছে রয়েছে এনসিপি, জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে।

মন্তব্য

p
উপরে