‘আপনারা এসেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আমি জানি আমাকে নিয়ে অনেক কমপ্লেইন আছে। সত্যি কথা বলতে, আমি অপেক্ষা করছিলাম যে আপনারা আগে সিনেমাটি দেখেন; আমি আপনাদের সঙ্গে মিট করতাম আরও আগেই, কিন্তু ভাবলাম সিনেমাটি দেখে কথা বললে সেটি আরও ইন্টারেস্টিং হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্যামেরার সামনে এসে এভাবেই শুরু করেন পরিচালক আবদুল্লাহ মোহম্মদ সাদ। তার পরিচালিত রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমা দেশে মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার।
মুক্তির আগে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলতে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাদ। সেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের করা প্রশ্ন এবং নিউজবাংলার করা প্রশ্ন দিয়ে সাজানো হলো এ সাক্ষাৎকার।
প্রশ্নটা শুনতে অনেক সহজ প্রশ্ন মনে হয় কিন্তু এটার উত্তর খুবই কঠিন ও জটিল।
একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট আছে। আমি আমার সেকেন্ড ফিল্ম হিসেবে আরেকটা বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করছিলাম ২০১৭ সালে। ওই আইডিয়াটা নিয়ে পাঁচ মাস কাজ করার পর সামহাউ আমার মনে হয়েছে এটা নিয়ে আমার ডিপার আন্ডারস্ট্যান্ডিং নাই। বিষয়টা যখন বুঝতে পারলাম, তখন ভাবলাম যে এটা করা উচিত না। এরপর আমি রেহানাতে ব্যাক করলাম।
রেহানার কথা চিন্তা করা শুরু করছি আমার প্রথম সিনেমার আগে থেকেই। আইডিয়াটা, ক্যারেক্টারটা আমার কাছে ওই অর্থে পরিষ্কার ছিল না, আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না বিষয়টি কোন দিকে যাচ্ছে এবং এটা আমি তুলে রাখি এবং লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমাটি করি।
এরপর আমি যখন রেহানাতে কনসেনট্রেট শুরু করি, সেখানে অনেকের ইনফ্লুয়েন্স আছে। আগে কয়েকটা জায়গায় বলেছি যে, আমার আপুদের অনেক ইনফ্লুয়েন্স আছে সিনেমায়।
আমি ওদেরকে দেখেই বড় হইছি। ওদের পরিবর্তনগুলো দেখেছি এবং বড় আপু হিসেবে কেমন, ওদের প্রফেশনাল লাইফ, মা হওয়ার পর কেমন।
এভাবে রেহানার জার্নিটা শুরু।
বাঁধনের নাম আমাকে প্রথম সাজেস্ট করে আমাদের কাস্টিং ডিরেক্টর ইয়াসির আল হক।
ওনার সঙ্গে যখন আমরা প্রথম মিট করি, ওনার অ্যাপ্রোচ বা আমি যখন তাকে প্রশ্ন করেছি জীবন নিয়ে কিংবা সাধারণ যেসব কথাবার্তা হয়, তখন আমরা সেই ফিলিংসটা পেয়েছি। এটা কীভাবে পেয়েছি সেটা ব্যাখ্যা করা মুশকিল।
আমরা যখন লুক টেস্ট করি, আমাদের কস্টিউম ডিজাইনার অনেক আগে থেকেই করা ছিল, রেহানার কস্টিউমে যখন বাঁধনকে ক্যামেরায় প্রথম দেখি তখনই মনে হয়েছে সে রেহানা করতে পারবে। রেহানার যে ইমেজ ছিল ওটা আমি পাইছি। এটা ছিল প্রথম পয়েন্ট।
এর পর যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বাঁধন এত কমিটেড কি না, আমাদের অত বেশি পাত্তা দেবে কি না বা ওই পরিশ্রমটা করবে কি না, পরে কয়েকবার কথা বলে সেটা আমরা বুঝতে পেরেছি।
রেহানাকে বাঁধন খুব আর্লি স্টেজ থেকেই কানেক্ট করতে পেরেছে, যেটা আমাকে খুব ইন্সপায়ার করছে যে ঠিক আছে আমি আমার রেহানাকে পেয়েছি।
আমি খুবই দুঃখিত, বিশ্বাস করেন এটা আমার ইনটেনশন না।
আমি আসলে ক্যামেরার সামনে না, পেছনে থাকতে চাই। ক্যামেরার সামনে আমি খুব আনকমফোরটেবল ফিল করি। আমি ট্রাই করি যেন কাজটা ঠিকমতো করতে পারি। আমি আশা করছি আজকের পর এ কমিউনিকেশন হবে না।
আমি শুনেছি অনেকে আমার ওপর রাগ করে আছেন, মন খারাপ করে আছেন। বিশ্বাস করেন আমরা একদমই আঘাত করতে চাইনি আপনাদেরকে।
কিন্তু বিষয়টা খুবই কষ্টকর আমার জন্য এবং আমি নার্ভাস হয়ে যাই আপনাদের সামনে। তা ছাড়া ভালো করে গুছিয়ে কথাও বলতে পারি না।
মানুষের চরিত্রগত কমপ্লেক্সিটি নিয়ে আমি খুবই ইন্টারেস্টেড। আমাদের মধ্যে এত কন্ট্রাডিকশন। কখনও আমাদের ইনটেনশন ঠিক তো অ্যাকশন ঠিক না, আবার অ্যাকশন ঠিক তো ইনটেনশন ঠিক না।
এসব কমপ্লেক্সগুলোর নানা লেয়ার বা শেডস প্রকাশ পায় যখন মানুষ সমস্যা বা বিপদে পড়ে।
সবকিছু মিলিয়ে হিউম্যান ন্যাচারের কমপ্লেক্সিটি নিয়ে আমি সব সময় খুব ফ্যাসিনেটেড। তাই আমার রাইটিংয়ে তার প্রভাব পড়ে।
এই গল্পটা তো অনেক আগে ভেবেছিলাম। কাজও শুরু হয়েছে অনেক আগে, কিন্তু দর্শকরা দেখছেন এখন।
এর আলাদা কোনো কারণ নেই। যদিও সিনেমা যে বিষয় সেটি নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। তবে এটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে।
আমার এডিট স্টাইলটা কঠিন, এটার কারণ হলো, আমি চাই না আমার ন্যারেটিভ সেন্টিমেন্টাল হোক এবং আমি সব সময় ইন্টারপ্রিটেশন স্পেস রাখতে চাই আমার দর্শকের কাছে।
আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি ইন্টারেস্টিং ইনসাইট এবং ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন তুলতে পারছি কি না।
আমি আমার প্রোটাগনিস্টকে যে ইনভেস্টিগেশন করছি তার লাইফটাও অনেক কঠিন। তাই এডিটিং, ক্যামেরার কাজ এবং সিনেমার রং সেভাবে সেট করা হয়েছে।
অনেক এলিমেন্ট দিয়েই তো একটা পরিবেশ তৈরি করতে হয়। তো আমি যে পরিবেশটা তৈরি করতে চেয়েছি, তার জন্যই বিষয়গুলো এমন।
হসপিটালে রোগীকে দেখতে যাওয়ার পর যেটা হয়, রোগীর খোঁজ খবর নেয়ার পর আলাপ অন্য জায়গায় চলে যায়। যে মানুষটি বা যে ঘটনাটি কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক না, সেটা নিয়েই তুমুল আলোচনা চলতে থাকে।
আমি তেমন একটা ঘটনা বা পরিবেশ তৈরি করা বা দেখানো চেষ্টা করেছি। তবে আমি দুঃখিত যে দৃশ্যটিকে আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারিনি; আরোপিত মনে হয়েছে।
আমরা কোনো প্রোডাকশন বাজেট পাইনি। আমরা একটা গ্র্যান্ড পেয়েছি, যেটা ছিল স্ক্রিপ্ট লেভেলে, আরেকটা পেয়েছি পোস্ট প্রোডাকশনে, কিন্তু প্রোডাকশনের কোনো গ্র্যান্ড আমরা পাইনি। অনেক জায়গায় আবেদন করেছিলাম কিন্তু সবাই রিজেক্ট করেছে।
তবে লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার চেয়ে এবার একটু বেশি টাকা পেয়েছি। যেটা দিয়ে কাজটা করেছি।
অনেক কিছু ছিল। আমার অনেক সিদ্ধান্ত হয়তো আমি অন্যভাবে নিতে পারতাম। আমি দেড় বছর বিভিন্ন সময় সিনেমাটা এডিট করছি।
আমি চেষ্টা করছি বেস্ট ভারসনটা দিতে। আমি হয়তো আরও অনেক দৃশ্য অন্যভাবে নিতে পারতাম। তবে আমি আমার টিমের ওপর অনেক খুশি।
সিনেমাটি কানে দেখানো হয়েছে, অস্কারে গেছে, যদি এগুলো পেয়েও যায় তারপরও আরও একটু ভালো করা চেষ্টা যায় না।
আমরা আমাদের বেস্ট ট্রাই করছি। আমরা যে সিনেমাটা বানাতে চেয়েছি তার জন্য বেস্টটা দিয়েছি। আশা করি আমাদের সিনেমাটাকে অডিয়েন্স একটা চান্স দেবে, একটা অপরচুনিটি দেবে।
দর্শকদের কাছ থেকে আমি এক ধরনের প্রতিক্রিয়া চাই না, আমি আশা করি অনেক ডিফরেন্ট ইন্টারপ্রিটেশন আসবে। আমাদের সিনেমাতে আমরা অনেক ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন রেইজ করতে চেয়েছি এবং সেই সব প্রশ্ন নিয়ে ডিফরেন্ট ইন্টারপ্রিটেশন আসবে বলে আশা করি। সেটার জন্য সিনেমাটা দেখতে আসতে হবে।
আমরা আমাদের কষ্টটা করছি, এখন আমরা আশা করি যে অডিয়েন্সে এর রেসপন্স করবে। যদি ভালো লাগে ভালো, না ভালো লাগলে তারা কথা বলবেন।
কেউ যদি বলে যে ভালো লেগেছে তাহলে অবশ্যই ভালো লাগবে, কেউ যদি বলে যে খারাপ লেগেছে তাহলে খারাপ লাগবে।
ভালো না লাগলে আমি জিজ্ঞেস করব যে কেন, কোন কোন জায়গায় খারাপ লেগেছে।
তবে দর্শকদের খারাপ লাগলে যে আমাদেরও খারাপ লাগবে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই।
মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু।
যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু।
ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
#KGFChapter2 ZOOMS past ₹700 cr milestone mark.
— Manobala Vijayabalan (@ManobalaV) April 21, 2022
২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি।
পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।
চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।
২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।
চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।
শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।
সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।
কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।
তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।
জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।
সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।
অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।
এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।
এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।
সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।
তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’
তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।
আরও পড়ুন:২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।
সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।
শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।
আরও পড়ুন:বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।
কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।
বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।
‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’
সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।
এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।
সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’
শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মন্তব্য