× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
What are the left parties thinking about the election?
google_news print-icon

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বাম দলগুলো

নির্বাচন-নিয়ে-কী-ভাবছে-বাম-দলগুলো
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (বাঁয়ে), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (মাঝে) ও বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
‘ইলেকশন করব কী করব না, আমাদের আন্দোলনের পটভূমিতে আমরা যখন ইলেকশন আসবে, সেটা কী ধরনের ইলেকশন হচ্ছে, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’ 

সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের অনেক সময় বাকি থাকলেও প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

কমপক্ষে দুই বছর পর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বামপন্থি দলগুলো, তা জানতে আলাপ হয় তিন নেতার সঙ্গে। তাদের বক্তব্যে নির্বাচনি ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দলগুলোর মনোভাব উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)

আগামী নির্বাচন নিয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের ব্যাপারে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ কোনো পয়সা খরচ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন সবার জন্য (প্রার্থী) পোস্টার ছাপিয়ে দেবে; তার জীবনবৃত্তান্ত ছাপিয়ে দেবে, কর্মসূচি ছাপিয়ে দেবে। এগুলো নিয়ে আমাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা ও সুপারিশমালা আমরা ২০ বছর ধরে সব সরকারের কাছে দিয়ে যাচ্ছি। সব ইলেকশন কমিশনের কাছে দেয়া আছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সেলিম বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হলো এখন আমাদের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কথা হলো, বিধি-বিধান, আইন করে সেটা করতে হবে।’

সিপিবি নির্বাচনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতি বলেন, ‘ইলেকশন করব কী করব না, আমাদের আন্দোলনের পটভূমিতে আমরা যখন ইলেকশন আসবে, সেটা কী ধরনের ইলেকশন হচ্ছে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নেই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে এখন পর্যন্ত একটা অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নাই। কিন্তু আমাদের তো একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে ২০২৩ সাল শেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

‘এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট, দলীয় সরকারের অধীনে বাস্তবে বাংলাদেশে এখন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। এটা বিশেষ করে আমরা দেখছি যে, গত কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন ও ২০১৮ সালের যে তামাশাপূর্ণ নির্বাচন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে, আমাদের এখানে দলীয় সরকারের অধীনে বাস্তবে মানুষের ভোটাধিকার অস্বীকৃত এবং সরকার এমন কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না, যে নির্বাচনে তারা হেরে যেতে পারে। গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবে বিপর্যস্ত হয়েছে। পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থার ওপর একটা গণহতাশা, গণ-অনাস্থা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রকৃতপক্ষে বিদায় দেয়া হয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই নির্বাচন, এখানে একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ছাড়া ভোটের ন্যূনতম অধিকার, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছাড়া ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে, পছন্দের দল বা প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে—এর কোনো সুযোগ হবে না।

‘সে কারণে আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকেও বলেছি যে, এই সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।’

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সরকারি দলের বক্তব্যের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারি দল থেকে বলছে তারা সংবিধানের বাইরে যাবে না। সংবিধান তো একটা কাগুজে ব্যাপার। সংবিধান তো মানুষের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। সর্বশেষ সংবিধান সংশোধনের আগে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, কমপক্ষে আরও দুটি নির্বাচন তদারকি সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হওয়া উচিত।

‘পরবর্তী সময়ে সরকার সংবিধান সংশোধন করে এটাকে বাতিল করবে। সুতরাং দেশের জন্য, মানুষের প্রয়োজনে আমরা মনে করি যে প্রয়োজনবোধে এটা সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের জায়গাটায় যাওয়া দরকার।’

নির্বাচন নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তুতি কেমন, তা জানতে চাওয়া হয় সাইফুল হকের কাছে।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা তো প্রথমত নির্বাচনপন্থি দল নই; বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বা আমাদের বাম জোট, আমরা আন্দোলনের জোট। আমরা একটা গণবিপ্লবের পার্টি বা গণবিপ্লবের জোট। তার পরও আমরা নির্বাচনটাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করি।

‘আমরা ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছি, প্রত্যাখ্যান করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করেছি। এই বছর আমাদের জোট থেকে তিনটি প্রতীকে আমরা নির্বাচন করেছি। ওয়ার্কার্স পার্টি কোদাল মার্কায়, বাসদ মই মার্কায় আর সিপিবি কাস্তে মার্কায়। সুতরাং নির্বাচন তো আমরা নিশ্চয়ই করতে চাই। তার জন্য একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবনাটা হচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই ১১টা নির্বাচনের মধ্যে মোটামুটি চারটি নির্বাচন ছাড়া বাকি সব নির্বাচন নিয়ে শুধু প্রশ্ন। এটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে, রাজনৈতিক মহলের মধ্যে প্রশ্ন আছে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বলতে পারি। যে চারটি আপাত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছিল, সেই চারটি ছিল দলীয় সরকারের বাইরে নির্বাচন পরিচালনা করার মাধ্যমে। যেমন: ১৯৯১ সালের, ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচন, ২০০১ সালের এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন।

‘এই চারটা নির্বাচন তুলনামূলকভাবে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত আপাত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছিল। আর বাকি সব নির্বাচনই, দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সব কটি নির্বাচনই গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে পারেনি। এ কারণে আমরা বলেছিলাম যে, ১১টি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, দলীয় সরকারের নির্বাচন করা আমাদের এখানে, অন্তত গণতান্ত্রিক যতটুকু মূল্যবোধ থাকবে, দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সেই মূল্যবোধের চর্চাটাও ক্ষমতাসীন দল করে না। প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।’

নির্বাচন নিয়ে বামপন্থি দলগুলোর প্রস্তাব বিষয়ে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘বামপন্থি দলগুলোর পক্ষ থেকে তিনটা প্রস্তাব আমাদের ছিল। প্রথমত, নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন দলের প্রশাসনিক প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে। ২ নম্বর হচ্ছে, আমাদের এখন যে উইনার টেকস অল প্রবণতা, অর্থাৎ যে বিজয়ী হলো সে-ই সব আর যে হেরে গেল সব হারাল, এটার পরিবর্তে আমরা চেয়েছিলাম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা। ৩ নম্বর হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন মর্যাদাসম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে কালো টাকা, পেশিশক্তি এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারমুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এ রকম একটা পরিস্থিতি আমরা প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই তিনটা কাজ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধও হবে না এবং তা গ্রহণযোগ্যও হবে না। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের এই পরিবেশটা তৈরির জন্য দীর্ঘদিন কথা বলে আসছি।

‘সেদিকে নজর না দিয়ে শুধু নির্বাচনের কথা বলে আমাদের একটা নির্বাচনি বাধ্যবাধকতা এবং তামাশার নির্বাচনের মধ্যে আটকে ফেলার চেষ্টা বারবার চলছে। এই জন্য আমরা একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি যে, বিগত নির্বাচনের যে দৃষ্টান্ত সেই দৃষ্টান্ত আমাদের বলে যে ওই ধরনের নির্বাচন হলে তা দেশের গণতন্ত্রকে কোনোভাবেই সংহত করবে না।’

২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বলা হয়েছিল এটা একটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের পর আমরা দেখলাম গণতান্ত্রিক নিয়মবিধি কোনোটাই রক্ষিত হয়নি। ২০১৮ সালে বলা হয়েছিল, আসুন আমরা সবাই মিলে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করি; আমাদের ওপর ভরসা রাখুন, আস্থা রাখুন। ২০১৪ সালের নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে নিয়ম রক্ষিত হয়নি, ২০১৮ সালের আস্থা রক্ষার নির্বাচনে আস্থাটা রক্ষা হয়নি।

‘২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তারা অনেকে বলছেন, এখন প্রশাসনের খবরদারিমুক্ত, হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচন হবে। ফলে আগের দুটিতে যেহেতু কথা রাখতে পারেনি, পরেরটাতে যে কথা রক্ষিত হবে, এতে কোনো ভরসা নাই। সে কারণে আমরা বলি যে নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক পরিবেশটা খুবই দরকার। সেটার জন্য আমরা কথা বলছি। ফলে এখনই আমরা নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার কোনো বিষয়ে আলোচনা করছি না। আমরা বলছি, নির্বাচনের পরিবেশটার বিষয়ে।’

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইনের বিষয়ে রতন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য আমাদের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, একটা নির্বাচন কমিশন আইন হইবে এবং এই আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ প্রদান করা হইবে।’

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন ও কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আইন না থাকায় আক্ষেপ করেন রতন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ৫০ বছরে যারাই ছিলেন, তারা সব সময় সংবিধানের দোহাই দেন, কিন্তু নির্বাচন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ করবার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আইন থাকা দরকার। সেই আইন তারা এখন পর্যন্ত প্রদান করেননি। ফলে কখনও চাপে এবং কখনও গণ-আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে, আর কখনও কখনও নিজেদের মর্জিমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিয়েছে।

‘ফলে নির্বাচন কমিশন এখানে কখনও মর্যাদাপূর্ণও হয় নাই, স্বাধীনও হয় নাই এবং নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে নাই। সার্চ কমিটির নামে যে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটায় আছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব দিবেন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে, রাষ্ট্রপতি তার মধ্য থেকে বেছে নেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, সার্চ কমিটির মাধ্যমেও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার চাইতেও নির্বাচন কমিশনার যারা হয়ে যান তাদের গায়ে দলীয় লেবেল এঁটে দেয়া হয় এবং তারাও নিরপেক্ষভাবে আর কাজ করতে পারেন না।’

সরকারের কাছে এখনও সময় আছে মন্তব্য করে জ্যেষ্ঠ এ রাজনীতিক বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখনও সময় আছে। পার্লামেন্টে যেহেতু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও যেকোনো ধরনের সংশোধনী আনার যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে ক্ষমতাসীন দলের, তারা যদি একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য একটা নির্বাচন কমিশন আইন করতে চান, এটা যথেষ্ট সময়।’

আরও পড়ুন

বিনোদন
Domestic and foreign powers plotting to topple elected government Quader

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি।

মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

তিনি বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।

মন্তব্য

বিনোদন
The Awami League rally was also suspended on Friday

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।

অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।

মন্তব্য

বিনোদন
Life imprisonment of 14 people in Comilla for Chhatra Dal leaders murder

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন ফাইল ছবি
২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।

সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় ১১ জন আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম।

নিহত মো. পারভেজ হোসেন সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কালিবাজার এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেকান্দর আলী, যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মফিজ ভান্ডারী, মো. কামাল হোসেন, আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহীম খলিল, আনোয়ার, মো. মেহেদী হাসান রুবেল ও জয়নাল আবেদীন। এবং পলাতক তিন আসামী হলেন- মো. কাওছার, মো. রিয়াজ রিয়াদ ও বিল্লাল।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পারভেজের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।

আরও পড়ুন:
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

বিনোদন
BNP postponed the rally due to heat wave

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

গ্রীষ্মের চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশে। আবহাওয়ার এই প্রতিকূলতার কারণে রাজধানীতে পূর্বঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার এই তথ্য জানান।

আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে অবহিত করে চিঠিও দেয় দলটি।

গ্রীষ্মের উত্তাপে পুড়ছে দেশ। এর মধ্যে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশের ঘোষণায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও।

তবে তীব্র গরমের কারণে ১৯ এপ্রিল সারা দেশে তিনদিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। হিট অ্যালার্ট সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, গরমে সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্টের সময় বাড়ানোর কারণে সমাবেশ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

মন্তব্য

বিনোদন
The candidate is the cousin of former minister Zahid Malek ignoring the party decision
উপজেলা নির্বাচন

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ফাইল ছবি
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ইসরফিল হোসেনের মা মৃত রাহেলা বেগম সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরশনের সাবেক মেয়র কর্নেল (অব.) আব্দুল মালেকের আপন বোন। আর কর্নেল মালেকের ছেলে হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্তমান মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সদস সদস্য জাহিদ মালেক।

এ হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে- সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদের সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসরাফিল হোসেন টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইসরফিল হোসেন ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো.আতাউর রহমান আতাকে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২য় বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাফিল হোসেন বলেন, আমি নির্বাচন করব। কারণ উপজেলা নির্বাচনে দল বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিদ্বান্ত নিয়েছে,আমি সেই ক্যাটাগরিতে পড়ি না। সুতরাং আমার ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্বান্তের প্রভাব পরবে না এবং নির্বাচনে কোনো বাধার হবে না।

তিনি বলেন, বরং আমি নির্বাচন না করলে আমাদের তৃণমূলে বিভেদ ও বিশৃঙাখলা বাড়বে। তাছাড়া আমি নির্বাচন না করলে, কলাগাছ দাঁড়ালেও জিতবে। দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি এবং প্রায় ৪০-৪২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর আমার আত্মীয়স্বজন আমার অনেক (জাহিদ মালেক) মহদয় রাজনীতি আসছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দীপক কুমার ঘোষ বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে নেয়া উচিত। আর যদি কেউ দলীয় সিদ্বান্ত অমান্য করে, তাহলে দলীয় সিদ্বান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

নাম প্রকাশে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, ইসরাফিল হোসেন যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই এটা মানিকগঞ্জের প্রত্যেক নেতা-কর্মীরজানা আছে। দলীয় সিদ্বান্তের আগে দিনও সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেছিলেন জাহিদ মালেক। ইসরাফিল হোসেনের জন্য অনেক প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতেও বলেছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তারা জানান, নির্বাচনে যতই দলীয় সিদ্বান্ত বা নির্দেশনা থাকুক না কেন, গোপনে তো এমপি (জাহিদ মালেক) ইসরাফিলের জন্য কাজ করবেই। কারণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাহিদ মালেকের প্রার্থী হচ্ছে ইসরাফিল হোসেন।

তবে এ বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভোটাররা, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই এবং এই নির্বাচনে দলীয় কোনো পরিচয়ের প্রয়োজনও নেই। তবে নির্বাচনীয় আইনে বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি আছে, ক্রিমিনাল মামলা ২-৩বছর সাজা খেটেছেন। অথবা যারা নাগরিত্ব হারান, তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।

মন্তব্য

বিনোদন
The condition of BNP is in turmoil Kader

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলটি ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

‘এই ঝাঁকুনি হলো বার বার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে প্রযোজিত ও পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ দ্বারা বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।’

মন্তব্য

বিনোদন
Will not allow anyone to undermine freedom sovereignty PM

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাসবাংলা
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায়, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা যা করা দরকার তাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক তা আমরা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’

রোববার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন শেষে দরবারে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর ইউএনবির

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও প্রশিক্ষিত হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।

তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা, অনুশীলন, প্রশিক্ষণ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন চৌকস হতে হবে।’

সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য বজায় রেখে কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের গৌরব বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, এপিসি, ট্যাংক ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।

দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশনগুলোতে অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক হালকা সাঁজোয়া যান এবং মাইন প্রতিরোধী অ্যামবুশ সুরক্ষিত যানবাহন কেনা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে