× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
What are the left parties thinking about the election?
google_news print-icon

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বাম দলগুলো

নির্বাচন-নিয়ে-কী-ভাবছে-বাম-দলগুলো
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (বাঁয়ে), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (মাঝে) ও বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
‘ইলেকশন করব কী করব না, আমাদের আন্দোলনের পটভূমিতে আমরা যখন ইলেকশন আসবে, সেটা কী ধরনের ইলেকশন হচ্ছে, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’ 

সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের অনেক সময় বাকি থাকলেও প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

কমপক্ষে দুই বছর পর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বামপন্থি দলগুলো, তা জানতে আলাপ হয় তিন নেতার সঙ্গে। তাদের বক্তব্যে নির্বাচনি ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দলগুলোর মনোভাব উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)

আগামী নির্বাচন নিয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের ব্যাপারে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

সেলিম বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ কোনো পয়সা খরচ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন সবার জন্য (প্রার্থী) পোস্টার ছাপিয়ে দেবে; তার জীবনবৃত্তান্ত ছাপিয়ে দেবে, কর্মসূচি ছাপিয়ে দেবে। এগুলো নিয়ে আমাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা ও সুপারিশমালা আমরা ২০ বছর ধরে সব সরকারের কাছে দিয়ে যাচ্ছি। সব ইলেকশন কমিশনের কাছে দেয়া আছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সেলিম বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হলো এখন আমাদের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কথা হলো, বিধি-বিধান, আইন করে সেটা করতে হবে।’

সিপিবি নির্বাচনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতি বলেন, ‘ইলেকশন করব কী করব না, আমাদের আন্দোলনের পটভূমিতে আমরা যখন ইলেকশন আসবে, সেটা কী ধরনের ইলেকশন হচ্ছে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নেই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে এখন পর্যন্ত একটা অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নাই। কিন্তু আমাদের তো একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে ২০২৩ সাল শেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

‘এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট, দলীয় সরকারের অধীনে বাস্তবে বাংলাদেশে এখন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। এটা বিশেষ করে আমরা দেখছি যে, গত কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন ও ২০১৮ সালের যে তামাশাপূর্ণ নির্বাচন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে, আমাদের এখানে দলীয় সরকারের অধীনে বাস্তবে মানুষের ভোটাধিকার অস্বীকৃত এবং সরকার এমন কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না, যে নির্বাচনে তারা হেরে যেতে পারে। গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবে বিপর্যস্ত হয়েছে। পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থার ওপর একটা গণহতাশা, গণ-অনাস্থা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রকৃতপক্ষে বিদায় দেয়া হয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই নির্বাচন, এখানে একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ছাড়া ভোটের ন্যূনতম অধিকার, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছাড়া ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে, পছন্দের দল বা প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে—এর কোনো সুযোগ হবে না।

‘সে কারণে আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকেও বলেছি যে, এই সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।’

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সরকারি দলের বক্তব্যের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারি দল থেকে বলছে তারা সংবিধানের বাইরে যাবে না। সংবিধান তো একটা কাগুজে ব্যাপার। সংবিধান তো মানুষের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। সর্বশেষ সংবিধান সংশোধনের আগে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, কমপক্ষে আরও দুটি নির্বাচন তদারকি সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হওয়া উচিত।

‘পরবর্তী সময়ে সরকার সংবিধান সংশোধন করে এটাকে বাতিল করবে। সুতরাং দেশের জন্য, মানুষের প্রয়োজনে আমরা মনে করি যে প্রয়োজনবোধে এটা সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের জায়গাটায় যাওয়া দরকার।’

নির্বাচন নিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তুতি কেমন, তা জানতে চাওয়া হয় সাইফুল হকের কাছে।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা তো প্রথমত নির্বাচনপন্থি দল নই; বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বা আমাদের বাম জোট, আমরা আন্দোলনের জোট। আমরা একটা গণবিপ্লবের পার্টি বা গণবিপ্লবের জোট। তার পরও আমরা নির্বাচনটাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করি।

‘আমরা ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছি, প্রত্যাখ্যান করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করেছি। এই বছর আমাদের জোট থেকে তিনটি প্রতীকে আমরা নির্বাচন করেছি। ওয়ার্কার্স পার্টি কোদাল মার্কায়, বাসদ মই মার্কায় আর সিপিবি কাস্তে মার্কায়। সুতরাং নির্বাচন তো আমরা নিশ্চয়ই করতে চাই। তার জন্য একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবনাটা হচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই ১১টা নির্বাচনের মধ্যে মোটামুটি চারটি নির্বাচন ছাড়া বাকি সব নির্বাচন নিয়ে শুধু প্রশ্ন। এটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে, রাজনৈতিক মহলের মধ্যে প্রশ্ন আছে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বলতে পারি। যে চারটি আপাত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছিল, সেই চারটি ছিল দলীয় সরকারের বাইরে নির্বাচন পরিচালনা করার মাধ্যমে। যেমন: ১৯৯১ সালের, ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচন, ২০০১ সালের এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন।

‘এই চারটা নির্বাচন তুলনামূলকভাবে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত আপাত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছিল। আর বাকি সব নির্বাচনই, দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সব কটি নির্বাচনই গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে পারেনি। এ কারণে আমরা বলেছিলাম যে, ১১টি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, দলীয় সরকারের নির্বাচন করা আমাদের এখানে, অন্তত গণতান্ত্রিক যতটুকু মূল্যবোধ থাকবে, দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সেই মূল্যবোধের চর্চাটাও ক্ষমতাসীন দল করে না। প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।’

নির্বাচন নিয়ে বামপন্থি দলগুলোর প্রস্তাব বিষয়ে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘বামপন্থি দলগুলোর পক্ষ থেকে তিনটা প্রস্তাব আমাদের ছিল। প্রথমত, নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন দলের প্রশাসনিক প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে। ২ নম্বর হচ্ছে, আমাদের এখন যে উইনার টেকস অল প্রবণতা, অর্থাৎ যে বিজয়ী হলো সে-ই সব আর যে হেরে গেল সব হারাল, এটার পরিবর্তে আমরা চেয়েছিলাম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা। ৩ নম্বর হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন মর্যাদাসম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে কালো টাকা, পেশিশক্তি এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারমুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এ রকম একটা পরিস্থিতি আমরা প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই তিনটা কাজ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধও হবে না এবং তা গ্রহণযোগ্যও হবে না। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের এই পরিবেশটা তৈরির জন্য দীর্ঘদিন কথা বলে আসছি।

‘সেদিকে নজর না দিয়ে শুধু নির্বাচনের কথা বলে আমাদের একটা নির্বাচনি বাধ্যবাধকতা এবং তামাশার নির্বাচনের মধ্যে আটকে ফেলার চেষ্টা বারবার চলছে। এই জন্য আমরা একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি যে, বিগত নির্বাচনের যে দৃষ্টান্ত সেই দৃষ্টান্ত আমাদের বলে যে ওই ধরনের নির্বাচন হলে তা দেশের গণতন্ত্রকে কোনোভাবেই সংহত করবে না।’

২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বলা হয়েছিল এটা একটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের পর আমরা দেখলাম গণতান্ত্রিক নিয়মবিধি কোনোটাই রক্ষিত হয়নি। ২০১৮ সালে বলা হয়েছিল, আসুন আমরা সবাই মিলে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করি; আমাদের ওপর ভরসা রাখুন, আস্থা রাখুন। ২০১৪ সালের নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে নিয়ম রক্ষিত হয়নি, ২০১৮ সালের আস্থা রক্ষার নির্বাচনে আস্থাটা রক্ষা হয়নি।

‘২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তারা অনেকে বলছেন, এখন প্রশাসনের খবরদারিমুক্ত, হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচন হবে। ফলে আগের দুটিতে যেহেতু কথা রাখতে পারেনি, পরেরটাতে যে কথা রক্ষিত হবে, এতে কোনো ভরসা নাই। সে কারণে আমরা বলি যে নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক পরিবেশটা খুবই দরকার। সেটার জন্য আমরা কথা বলছি। ফলে এখনই আমরা নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার কোনো বিষয়ে আলোচনা করছি না। আমরা বলছি, নির্বাচনের পরিবেশটার বিষয়ে।’

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইনের বিষয়ে রতন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য আমাদের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, একটা নির্বাচন কমিশন আইন হইবে এবং এই আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ প্রদান করা হইবে।’

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন ও কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আইন না থাকায় আক্ষেপ করেন রতন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ৫০ বছরে যারাই ছিলেন, তারা সব সময় সংবিধানের দোহাই দেন, কিন্তু নির্বাচন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ করবার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আইন থাকা দরকার। সেই আইন তারা এখন পর্যন্ত প্রদান করেননি। ফলে কখনও চাপে এবং কখনও গণ-আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে, আর কখনও কখনও নিজেদের মর্জিমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিয়েছে।

‘ফলে নির্বাচন কমিশন এখানে কখনও মর্যাদাপূর্ণও হয় নাই, স্বাধীনও হয় নাই এবং নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে নাই। সার্চ কমিটির নামে যে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটায় আছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব দিবেন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে, রাষ্ট্রপতি তার মধ্য থেকে বেছে নেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, সার্চ কমিটির মাধ্যমেও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার চাইতেও নির্বাচন কমিশনার যারা হয়ে যান তাদের গায়ে দলীয় লেবেল এঁটে দেয়া হয় এবং তারাও নিরপেক্ষভাবে আর কাজ করতে পারেন না।’

সরকারের কাছে এখনও সময় আছে মন্তব্য করে জ্যেষ্ঠ এ রাজনীতিক বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখনও সময় আছে। পার্লামেন্টে যেহেতু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও যেকোনো ধরনের সংশোধনী আনার যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে ক্ষমতাসীন দলের, তারা যদি একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য একটা নির্বাচন কমিশন আইন করতে চান, এটা যথেষ্ট সময়।’

আরও পড়ুন

বিনোদন
We are free from conspiracy not free Iqbal Hasan Mahmood Tuku

আমরা হাসিনামুক্ত হয়েছি, ষড়যন্ত্রমুক্ত নয় : ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

আমরা হাসিনামুক্ত হয়েছি, ষড়যন্ত্রমুক্ত নয় : ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আমরা হাসিনামুক্ত হয়েছি, কিন্তু ষড়যন্ত্রমুক্ত হইনি।

সিলেটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি সোমবার এ কথা বলেন।

নগরের পাঠানটুলার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সবাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে দেশ গড়ার ক্ষমতা দিতে চায়, এটাই তাদের অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে যে দলটি আল-বদর, আল-শামস বানিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, এখন তারা একেক দিন একেক কথা বলছে। কখনো বলছে পিআর সিস্টেম চায়, কখনো বলছে ভোট করার পরিস্থিতি হয়নি, কখনো বলছে নির্বাচন হলেও অসুবিধা নেই। কখন কী বলে বোঝা যায় না। তবে এটা বোঝা যায়, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
BNP at the top of the choice of young voters
সানেম ও একশনএইডের জরিপ

তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে বিএনপি

তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে বিএনপি

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে তরুণদের চোখে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

জরিপে অংশ নেওয়া তরুণরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে।

সানেম-অ্যাকশনএইড পরিচালিত ‘যুব জরিপ-২০২৫’ শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে সারা দেশের আট বিভাগের ২ হাজারের বেশি পরিবারের ওপরে এ জরিপ চালানো হয়েছে।

জরিপের তথ্যানুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আনুমানিক ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে। বিএনপির পড়েই আছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পাবে বলে মনে করছেন তরুণরা।

অন্যান্য ইসলামপন্থি দল, এনসিপি ও জাতীয় পার্টির অবস্থান আরও নিচে। এছাড়াও, যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারত, তবে ১৫ শতাংশ ভোট পেত বলে মনে করেছেন জরিপে অংশ নেওয়া তরুণরা। বিএনপির প্রতি পুরুষ ভোটারদের সমর্থন নারীদের তুলনায় একটু বেশি। জামায়াতের ক্ষেত্রেও পুরুষ সমর্থন বেশি নারীর তুলনায়। অন্যদিকে, এনসিপির প্রতি নারীদের সমর্থন পুরুষদের চেয়ে বেশি, এবং শহরাঞ্চলে এই দলের জনপ্রিয়তা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বেশি।

উল্লেখ্য, জরিপের ফল গত রোববার প্রকাশ করেছে সানেম, যা তরুণদের রাজনৈতিক ঝোঁক ও আগ্রহের একটি সময়োপযোগী প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেশের তরুণদের মধ্যে ৯৩ দশমিক ৯৬ শতাংশই আশাবাদী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ ইতোমধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ তরুণ, অন্যদিকে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ তরুণ ভোট দিতে অনাগ্রহী বলে জরিপে উঠে এসেছে।

জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী রাজনীতি ও সংস্কার নিয়ে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি জরিপে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক সচেতনতার দিক থেকে মাত্র ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ তরুণ নিয়মিত দেশের রাজনীতির হালচাল অনুসরণ করেন, ৩৯ দশমিক ০৯ শতাংশ মাঝে মাঝে করেন, আর ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এ ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী না।

নারীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহী না, যেখানে পুরুষদের মধ্যে এ হার ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঘনিষ্ঠভাবে রাজনীতি অনুসরণকারী তরুণের হারও খুব কম—পুরুষদের মধ্যে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। আঞ্চলিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও একই চিত্র—পুরুষদের মধ্যে ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

জরিপে রাজনৈতিক দলের কার্যকারিতা নিয়ে তরুণদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি স্পষ্ট। মাত্র ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় দেশের প্রকৃত সমস্যার প্রতিফলন ঘটে, যেখানে ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ একেবারেই এ বিষয়ে একমত না। দেশের ৫০ শতাংশ তরুণ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সঙ্গে কোনো সংযোগ স্থাপন করতে পারেনি, আর বিপরীতে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ মনে করেন যে দলগুলো তরুণদের সঙ্গে যুক্ত।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়েও তরুণদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন সংস্কার ছাড়াই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। তবে ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন, যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। অপরদিকে, ১১ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ ভবিষ্যতে পরিস্থিতির আরও অবনতি দেখছেন এবং ১৩ দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন, কিছুই পরিবর্তন হবে না।

দেশের ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ কোনোভাবেই রাজনীতিতে যুক্ত হতে আগ্রহী না। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ আছে এবং মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ বর্তমানে কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল নিয়ে তরুণদের প্রত্যাশা অনেকটাই আদর্শভিত্তিক। ৬০ শতাংশ তরুণ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তারা পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতা দূর করবে। ৫৪ শতাংশ চায় নিয়মিত নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রথা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক। পাশাপাশি, ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ তরুণ মনে করেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত নয়।

জরিপ পরিচালনা করা সংস্থা দুটি জানিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে তরুণরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের গতিপথ, অন্তর্ভুক্তি ও কার্যকারিতা সম্পর্কে কীভাবে চিন্তা করছে—তাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে জরিপটিতে। জরিপটি তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। সার্বিকভাবে, এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের দাবি ও আকাঙ্ক্ষাগুলো আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা, যেন তা নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয় এবং যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।

মন্তব্য

বিনোদন
Extreme instability in the Jatiya Party

জাতীয় পার্টিতে চরম অস্থিরতা

জাতীয় পার্টিতে চরম অস্থিরতা
* আনিসুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হককে অব্যাহতি * শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব করলেন জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে দলের শীর্ষ নেতাদের দুটি পক্ষের চলা উত্তেজনার মধ্যে জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পাটির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বিকালে দলের নতুন মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানায় দলটি। ঘণ্টাখানেক পর দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের।

রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৮ জুন জাতীয় পার্টির (জাপা) দশম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৬ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলন স্থগিতের কথা জানায় জাপা। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই সম্মেলন স্থগিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের আয়োজনে বিলম্ব, চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা, আর্থিক স্বচ্ছতার অভাবসহ নানা ইস্যুতে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রবল বিভক্তির সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর।

গতকাল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির গত ২৫ জুনের মতবিনিময় সভায় জেলা, মহানগর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই তিন নেতাকে সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ অবস্থায় পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার কিছুক্ষণ আগে জাতীয় পার্টির দুই জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বর্তমান মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) বাদ দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা এই নিয়োগকে চরম অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা বলেন, এটি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ, যা পার্টির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

গতকাল বিকালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) অব্যাহতি প্রদান করেছেন। সেই শূন্য পদে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এরপরই আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথভাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান। বিবৃতিতে এই দুই নেতা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হকই জাতীয় পার্টির বৈধ ও সম্মানিত মহাসচিব। ঘোষিত কাউন্সিলের আগে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে কোনো নিয়োগ বা বহিষ্কার কার্যকর নয়। মুজিবুল হককে কোনো কারণ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে একক সিদ্ধান্তে মহাসচিব নিয়োগ চরম অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে জাতীয় কাউন্সিল ঘোষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো প্রকার নিয়োগ, অব্যাহতি বা বহিষ্কার সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলছে। আমরা বিস্মিত যে দায়িত্বশীল প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়মিত চাঁদা প্রদান সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে যেভাবে অব্যাহতির চিঠি প্রদান করা হয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং নীতিহীন ও সম্মানহানিকর আচরণ।’

বিবৃতিতে জাতীয় পাটির দুই নেতা আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে ব্যক্তি নয়, গঠনতন্ত্র ও আদর্শে পরিচালিত হতে হবে। দলে গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা ও সম্মিলিত নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনাই এখন সময়ের দাবি।‘

বিবৃতিতে তারা জাতীয় পার্টির ত্যাগী, আদর্শবান নেতা-কর্মীদের প্রতি অন্যায় ও একনায়কতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বিনোদন
Mirza Fakhrul hopes to hold elections by next February

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আশা মির্জা ফখরুলের

আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আশা মির্জা ফখরুলের

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান যে নতুন পথ দেখিয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সবাইকে।’

এ ছাড়া, বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং এসব মামলা ও দমন-পীড়নের কারণে অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটির দিকে বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকার একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, সোমবার বিকালে সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন মির্জা ফখরুল।

পাশাপাশি সিলেটের দরগাহ গেট এলাকার হোটেল স্টার প্যাসিফিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সিলেটে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যান্য নেতারা।

মন্তব্য

বিনোদন
New Bangladesh cannot run in the old system Nahid Islam

নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না: নাহিদ ইসলাম

নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না: নাহিদ ইসলাম

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রবিবার (৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বিচার, সংস্কার, তারপর নির্বাচনের’ দাবিতে চলমান জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এরআগে পাশের জেলা নওগাঁ থেকে দুপুর ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড়ে উপস্থিত হন এনসিপির নেতারা। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়।

পরে এটি বাতেনখাঁ মোড়, নীমতলা মোড়, বড় ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় ও ক্লাব সুপার মার্কেট হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতারা।

পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এসেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে, যে বার্তা একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়।’

‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সব জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।’

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নেব না।’

‘সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ হয়েছে। আর আগ্রাসন চালানো হলে, আমার ভাইদের হত্যা করা হলে আমরা লং মার্চ ঘোষণা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।’

দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সায় দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে।’

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনোদিন আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারে না ‘

এ সময়ে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিতি ছিলেন। পরে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।

মন্তব্য

বিনোদন
Strict resistance should be developed against any fascism Dr Shafiqur Rahman

যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে:  ডা. শফিকুর রহমান

যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে:  ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘নতুন পুরাতন বুঝি না, নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীতে যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

শনিবার (৫ জালাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতা এসেছে। সে রক্তের সঙ্গে কাউকে বেইমানি করতে দেব না। আমরা শহিদদের রক্তের মূল্য দিতে চাই।’

‘যেনতেন নির্বাচন আমরা চাই না। নতুন পুরাতন বুঝি না, নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীতে যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইদানীং বেশকিছু রাজননৈতিক দলের দখল ও লুটপাট লক্ষ করছি। ওইসব দলগুলোকে বলতে চাই— নিজেদের সামলান, নয়তো জনগণই আপনাদের সামলাবে।’

ফেনীতে রুকন সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এদিন কুমিল্লায় পৃথক চারটি পথসভায় অংশগ্রহণ করেন জামায়াত আমির।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মহানগরীর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের পরিচালনা পথসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মোহাম্মদ মাসুম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আমীর মোহাম্মদ শাজাহান অ্যাডভোকেট, উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিলর মোশাররফ হোসাইন ও নাছির আহম্মেদ মোল্লা প্রমুখ।

মন্তব্য

বিনোদন
Proportional vote will push the country to more dictatorship Rizvi

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি দেশকে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসে, সে জন্য গণতান্ত্রিক ঐক্য দরকার।

এ সময়ে আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজন কী? এই ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নেতা তৈরি হবে না, নেতৃত্বের বিকাশও হবে না। আমরা চিরায়ত গণতন্ত্রের পক্ষে, যেখানে বৈধ ভোটাররা ভোট দিয়ে নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’

‘একজন মানুষ দীর্ঘদিন মানুষের পাশে থেকে নেতা হয়েছেন, অথচ আনুপাতিক ভোটে তাকে নয়; দলকে ভোট দিতে হবে। এরপর দল থেকে বাছাই করে এমপি ঘোষণা করা হবে—এটি আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রায় ১২ কোটি ভোটার রয়েছে, সেই ১৮ কোটি মানুষের দেশে কেন এমন ভোট পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে? যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, বছরের পর বছর কারাবরণ করেছে, সেই গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের কোনো তরুণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে, আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা, গঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে—এটাই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। এই ভয়াবহ সময় পার করতে হয়েছে আমাদের। শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ানো চলবে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের আচরণে যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন বিএনপির কাছ থেকে ন্যায়বিচার পায়, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি এসব অপকর্মে জড়িত থাকে, দল সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে—এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ‘বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন রংপুর (ড্যাব)।

মন্তব্য

p
উপরে