‘উজান বই আলোচনা প্রতিযোগিতায়’ সেরা আলোচক হয়েছেন কবি ও প্রাবন্ধিক সরোজ মোস্তফা (গোলাম মোস্তফা)। দ্বিতীয় হয়েছেন ইলিয়াস বাবর, তৃতীয় স্থানে আছেন মাজেদা মুজিব।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পাচ্ছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই। দেশের স্বনামধন্য সাহিত্যিক ও অনুবাদকদের নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বিচারক কমিটির মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
উজান থেকে প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘কোরিয়ার কবিতা’ (ছন্দা মাহবুবের অনুবাদ) এবং ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ সম্পাদিত ‘কোরিয়ার গল্প’-এর ওপর এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। বই দুটির বাংলা অনুবাদ এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করছে লিটারেচার ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউট অফ কোরিয়া। বই দুটি প্রকাশ করেছে উজান প্রকাশন।
আরও পড়ুন: উজান প্রকাশনের বই আলোচনা প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগিতায় আলোচনা জমা দিয়ে নির্বাচিত আলোচক হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন আরও ১০ জন। তারা হলেন, মিলু হাসান, জাহিদ সোহাগ, সিরাজুম মুনিরা, সম্প্রীতি মল্লিক, অলাত এহসান, হারুন সুমন, রুম্মানা জান্নাত, ফাহাদ হোসেন, হাসান জামিল, আবিদা তাহসিন প্রমি। নির্বাচিত আলোচকদের প্রত্যেকে পাচ্ছেন পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের বই।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জমা দেয়া আলোচনার মান যাচাই ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই ১৩ জনের অবস্থান নির্ধারণ করেন পাঁচ সদস্যের বিচারক কমিটি। তারা হলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক সুব্রত বড়ুয়া, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক কুমার চক্রবর্তী, অনুবাদক রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, কবি সোহেল হাসান গালিব এবং কোরিয়ান ভাষা বিশেষজ্ঞ ও অনুবাদক শিউলি ফাতেহা।
উজান বই আলোচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় এসে পৌঁছান।
গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস চারদিনের সরকারি সফরে গত ২১ এপ্রিল কাতারের রাজধানী দোহা যান। পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গত শুক্রবার সেখান থেকে তিনি সরাসরি রোমে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতে আটক থাকা দেশের যেকোনো নাগরিককে ফিরিয়ে আনবে। তবে, তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য যাচাই করা প্রয়োজন।
তিনি আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতে আটক থাকা কেউ যদি বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে আনব।’
হোসেন বলেন, তবে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক কিনা তা অবশ্যই যাচাই করা আবশ্যক।
ভারতে বাংলাদেশিদের আটকের খবর সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কেবল গণমাধ্যমের খবর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়ার পর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দীদের জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সত্যাসত্য যাচাই শুরু করবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের বাংলাভাষী কিছু লোক বাংলাদেশিদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সতর্কতার সাথে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈধ ভারতীয় ভিসা নিয়ে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হোসেন বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্ট সমঝোতা থাকা উচিত- যারা বৈধ ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করছেন, তারা তাদের ভ্রমণ সম্পন্ন করে যথা সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।’
‘তবে, যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সংশ্লিষ্ট দেশের অধিকারের মধ্যে পড়ে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখনও ভারত সম্পর্কে কোনো ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেনি। তবে, এই মুহূর্তে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের ভ্রমণ এড়ানো উচিত।
হোসেন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার আহমেদাবাদ এবং গুজরাটের সুরাটে অভিযানের সময় ১,০২৪ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করার দাবি করেছে।
বরগুনায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দুই শিশুসন্তান বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা মামলায় ইলিয়াস পহলান নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মো. ইলিয়াস পহলান (৩৪) বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রঞ্জু আরা শিপু, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব স্বপন। আইনজীবী রঞ্জু আরা শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ওই নারী তার মেয়ে তাইফা (৩) ও ছেলে হাফিজুলকে (১০) নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন ওই নারী। এ সময় তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে গেলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাফিজুল নিহত হয়, আর বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু তাইফা।
তবে গুরুতর আহত ওই নারী দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরই ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ইলয়াস পহলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী তাকে সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়ম—এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পিএসসি নিয়ে সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রতা-অনিয়ম—এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের কাছে ছাত্রদের দাবিগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গত সোমবার আন্দোলনকারীদের একটা টিমের সাথে বসার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে সেটা হয়ে উঠেনি। তবে ছাত্রদের দাবিগুলো আমার পক্ষ থেকে কনসার্ন অথরিটিকে পাঠানো হয়েছে।’
‘বেকারত্ব নিরসনে এখন পর্যন্ত একক মন্ত্রণালয় হিসেবে পুলিশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় থেকে সর্বোচ্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গিয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। সামনের কয়েকমাসে আরও অন্তত ১০ হাজার নিয়োগ হবে। পিএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথবা ডিক্টেট করার অথরিটি আমার নেই। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব করছি, সামনেও করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘যত কাজই থাকুক না কেন, ছাত্রদের বিষয়গুলো সবসময়ই আমার জন্য প্রথম প্রায়োরিটি থাকে। কুয়েটেও আন্দোলন চরম পর্যায়ে আসার প্রায় ১০ দিন আগেই কুয়েটের একটা প্রতিনিধি দল বাসায় এসেছিল। তাদের দাবি, স্মারকলিপি পরদিনই শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। নিয়মিত আপডেট রেখেছি, দাবি মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুকে না বললেই যে কাজ হচ্ছে না, এটা ধরে নেওয়া উচিত না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘টিএসসিতে আন্দোলনরত প্রায় অনেকেই আমার পরিচিত। রাত ৪ বা ৫ টায় সেখানে যাওয়া কতটা শোভন হবে তা ভেবে যাইনি। এছাড়াও শহীদ জসিম ভাইয়ের মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে গিয়েছিলাম পরিবারের সাথে দেখা করতে। ভোর ৫টায় তেমন কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছি। তবে এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জামিনের খবরটি সঠিক নয়। এই কালপ্রিটদের সিআইডিতে রাখা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিস শেষেই রাজুতে অনশনরত ভাইদের সাথে দেখা করতে যাবো। এটা মনে রাখতে হবে যে, পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দাবিগুলো ইতিমধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। আবারও এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।’
মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছেন আদালত।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন—হিটু শেখ, তার দুই ছেলে সজীব শেখ, রাতুল শেখ এবং স্ত্রী জাহেদা বেগম।
আজ (রবিবার) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার শুরু থেকে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও আজ লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত আছিয়া হত্যা মামলার আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
তিনি বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আজকের সাক্ষীদের জেরা করেছেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী শিশু আছিয়া। ৬ মার্চ বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট। রোববার সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট উড়াল দেবে স্পেনের উদ্দেশে। এর মাধ্যমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হবে পণ্য পরিবহন।
সিলেট থেকে বিভিন্ন পণ্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এখানকার বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনাল না থাকায় ঢাকা থেকে পণ্য রপ্তানি করতে হতো ব্যবসায়ীদের। তাই সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে কার্গো টার্মিনাল স্থাপন ও ফ্লাইট চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ার সুযোগে সিলেটের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের এই দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে।
সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট শুরু হওয়াকে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাওয়া হিসেবে দেখছেন এখানকার রপ্তানিকারকরা। তবে ফ্লাইট চালু হলেও প্যাংকিং হাউস না থাকায় এখনই ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেটে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ও বসানো হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারের জন্য আধুনিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইউডিএস) যুক্ত রয়েছে এতে। ১০০ টন ধারণক্ষমতার ওসমানীর কার্গো টার্মিনালের ২০২২ সাল থেকেই পণ্য পরিবহনের জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে নানা কারণে এতদিন তা চালু হয়নি। অবশেষে রোববার স্পেনের ইনডিটেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হবে।
গ্যালিস্টার ইনফিনিট অ্যাভিয়েশনের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংশ্লিষ্টরা জানান, কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রমের নিরাপত্তা দেবে বেবিচক। আর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এতদিন ভারতের পেট্রাপোল ও গেদে স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির (ট্রান্সশিপমেন্ট) যে সুবিধা বাংলাদেশ পেত, গত ৮ এপ্রিল তা বাতিল করে দিল্লি। এরপর সড়কপথে দিল্লি বিমনবন্দর হয়ে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের বিকল্প হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফিশ এক্সপোর্ট গ্রুপের সাবেক সভাপতি হিজকিল গুলজার বলেন, ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট এ অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছি। এটি চালুর মাধ্যমে সিলেটের রপ্তানিকারকদের নতুন সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। এর ফলে সিলেটের পান, সাতকরা, লেবু, মাছসহ কিছু পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে কেবল দেশের ব্যবসায়ীরা নয়, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ব্যবসায়ীরাও এই বিমানবন্দর থেকে সুবিধা নিতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ জানান, ঢাকার পর ওসমানীতে দ্বিতীয় কার্গো স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। শুরুতে ইউরোপের কয়েকটি দেশে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সুবিধা যোগ হলে সিলেট থেকেই স্থানীয় পণ্য রপ্তানিও সম্ভব হবে উল্লেখ করে হাফিজ আহমদ বলেন, তবে এখনই তা সম্ভব নয়। কারণ সিলেটের প্রধান রপ্তানি পণ্য শাক-সবজি, যা দ্রুত পচনশীল। এ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে আরএ-থ্রি প্রটোকল ছাড়াও প্রয়োজন আধুনিক প্যাকিং হাউস।
জানা যায়, রোববার ওসমানী থেকে কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৫৬ হাজার ৩৫৭ শতক জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এসব জমির মূল্য ১০০১ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা এবং সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্থান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে উক্ত টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে।
মন্তব্য