× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Afterlives A novel questioning colonial atrocities
google_news print-icon

আফটারলাইভস: ঔপনিবেশিক নৃশংসতাকে প্রশ্ন করার উপন্যাস

ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ
নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ এবং তার সবশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’। ছবি: সংগৃহীত
যে বিশ্বে যুদ্ধের ধ্বংসলীলাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে গুরনাহ আমাদের সেসব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈশ্বিক দ্বন্দ্বগুলো দেখান, যারা একে অপরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও বেঁচে আছে।

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তানজানিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ। সুইডিশ একাডেমি বলেছে, ঔপনিবেশিক প্রভাব এবং সাংস্কৃতিক ও মহাদেশীয় বিচ্ছিন্নতার মধ্যে শরণার্থী জীবনের টানাপোড়েনকে নিজের লেখায় আপসহীন ও সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন তিনি। গত বছর তার সবশেষ প্রকাশিত উপন্যাস আফটারলাইভস এর একটি পর্যালোচনা প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য সেটিকে অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত জার্মানিকে বাদ রেখেই আফ্রিকায় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতা সংক্রান্ত বেশির ভাগ আলোচনা হতো। উনিশ শতকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত জার্মান সাম্রাজ্য বর্তমান নামিবিয়া, ক্যামেরুন, টোগো, তানজানিয়া ও কেনিয়ার কিছু অংশে উপনিবেশের বিস্তার ঘটায় এবং শেষ পর্যন্ত রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি রাজ্যকেও নিজেদের বলে দাবি করে।

উপনিবেশগুলোতে সাধারণত যেমন হয়, জার্মান ঔপনিবেশিক শাসনও ছিল তেমন নিষ্ঠুর। নামিবিয়ায় হেরেরো ও নামা বিদ্রোহ দমনে ২০ শতকের প্রথম গণহত্যা চালায় জার্মানি। পূর্ব আফ্রিকা বা ডয়েচে-ওস্টাফ্রিকাজুড়ে জার্মানির সামরিক কৌশল একই রকম ভয়াবহ ছিল। এই নৃশংসতার পটভূমি নিয়ে লেখা হয়েছে আব্দুরাজাক গুরনাহর বিস্তৃত কিন্তু প্রগাঢ় উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’।

তখনকার টাঙ্গানিকা, যেটি এখন তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ডের অংশ, সেখানে একটি কোমল ও সাদাসিধা বাক্য দিয়ে শুরু হয় উপন্যাসটি, ‘সওদাগর আমুর বিয়াশারার সঙ্গে যখন খলিফার দেখা হয় তখন তার বয়স ২৬ বছর।’

খলিফা বিয়াশারার ভাগনি আশাকে বিয়ে করে ১৯০৭ সালে, যখন মাজি মাজি বিদ্রোহ 'এর নৃশংসতার চূড়ান্ত পর্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গুরনাহ জার্মান শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ভয়াবহ পরিণতির কথা বর্ণনা করতে করতে তরুণ বিবাহিত দম্পতির জীবনে ফিরে আসেন।

খলিফা ও আশার যেখানে বসবাস, সেই নাম না জানা উপকূলীয় শহরটিতে যখন আত্মবিশ্বাসী, মিশুক ও জার্মান বলতে পারা ইলিয়াস এসে হাজির হয় ততক্ষণে বিদ্রোহ ও ঔপনিবেশিক প্রতিশোধের গল্প বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। গুরনাহ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের বৃহত্তর ঘটনাগুলোকে একপাশে ঠেলে দিয়ে তার বদলে অপেক্ষাকৃত শান্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত চরিত্রগুলোর দিকে নজর ফেরান।

তবে এই শান্ত জীবন মানে এই নয় যে, তারা ঔপনিবেশিকতাবাদের কাঠামোগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। উপন্যাসের এক চরিত্র ক্লান্ত হয়ে বলে, ‘জার্মানরা এত মানুষ মেরেছে যে, পুরো দেশে খুলি ও হাড়ের ছড়াছড়ি, মাটি ভিজে আছে রক্তে।’

জার্মানদের কফি খামারে ছোটবেলা থেকে কাজ করে ইলিয়াস। তারা তাকে একটা মিশনারি স্কুলে পড়তে পাঠায়। সে জার্মান ঔপনিবেশিকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। “তার শ্রোতারা এ রকম পরিস্থিতিতে নীরব ছিলেন। কেউ অবশেষে উত্তর দেয় ‘আমার বন্ধু, ওরা তোমাকে খেয়ে ফেলেছে'।”

জার্মানরা যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ইলিয়াস জার্মানদের ভয়ংকর ‘শুটজট্রুপ আসকারিসে’ যোগ দেয়। স্থানীয় সৈন্যদের দিয়ে গড়া এই বাহিনী জার্মান সাম্রাজ্যের নামে স্বদেশি আফ্রিকানদের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতা চালানোর জন্য কুখ্যাত ছিল। ইলিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার ছোট বোন আফিয়ার কাহিনি সামনে আসে। কঠিন অনুশাসনের এক পরিবারে বেড়ে ওঠা আফিয়া লিখতে ও পড়তে পারার কারণে প্রচণ্ড মার খায় এবং ইলিয়াসের বন্ধু খলিফার দারস্থ হয়। সে খলিফা ও আশার সঙ্গে বসবাস শুরু করে।

উপন্যাসে আমাদের দেখা হয় নম্র-ভদ্র হামজার সঙ্গে। সে আস্কারি বাহিনীর একজন স্বেচ্ছাসেবক যে কিনা তার ভুল দ্রুত বুঝতে পারে। হামজার গল্পটি উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পীড়াদায়ক। তার গল্প মূলত নিপীড়ক ও নিপীড়িতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে রূপ দেয়া অন্যায় ও জটিল আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রকাশ করে।

তাকে যখন বাহিনীর ওবারলেফটেন্যান্টের ব্যক্তিগত পরিচারক হওয়ার কাজ দেয়া হয় তখন আরেক আস্কারি হামজাকে সাবধান করে দিয়ে বলে, ‘জার্মানরা সুন্দর তরুণ ছেলেদের নিয়ে খেলতে পছন্দ করে।’

হামজার অফিসার তাকে জার্মান শেখাতে চায়, যাতে সে জার্মান নাট্যকার ফ্রিডরিখ শিলারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে। একই সঙ্গে হামজাকে বলে যে, সে ‘অনুন্নত ও অসভ্য মানুষের সঙ্গে কাজ করছে। এসব মানুষকে শাসন করার একমাত্র উপায় তাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা।’

তাদের সম্পর্কটি ধীরে ধীরে খোলসে ঢুকতে থাকতে এবং গুরনাহ মনস্তাত্ত্বিক জটিল দ্বন্দ্বগুলো থেকে দূরে থাকেননি। অন্য চরিত্রগুলোর মতো একই ধরনের ধৈর্য ও যত্নের সঙ্গে তিনি হামজাকে যুদ্ধের পুরো সময়টিতে অনুসরণ করেন। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ও বজায় রাখার অভিযানে খ্রিস্টধর্মের গভীর ভূমিকা অনুধাবন করতে আমাদের দক্ষভাবে পরিচালিত করেন। একই সঙ্গে হামজা ও আফিয়ার মাধ্যমে তিনি বিশ্বাস ও ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেন।

‘প্যারাডাইজ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৪ সালে বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেয়া গুরনাহ ইউরোপীয় ইতিহাসের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য পরিচিত। এটি তার একটি কাঠামোগত অবস্থান, যা রাজনৈতিকভাবে দৃঢ়।

‘আফটারলাইভস’-এ তিনি প্রজন্মের ওপর ঔপনিবেশিকতা ও যুদ্ধের প্রভাবগুলো বিবেচনা করেছেন এবং এত ধ্বংসের পর আর কী অবশিষ্ট আছে, তা বিবেচনা করতে আমাদের আহ্বান জানান।

ঔপনিবেশিকতার অন্যতম পরিণতিতে যখন আর্কাইভ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি বর্জন করা হয়, তখন ঠিক কী উদ্ধার করা যেতে পারে? যদি আমরা জানতেই না পারি কী মুছে ফেলা হয়েছে, তাহলে আমরা মনে রাখব কী?

যে বিশ্বে যুদ্ধের ধ্বংসলীলাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে গুরনাহ আমাদের সেসব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈশ্বিক দ্বন্দ্বগুলো দেখান, যারা একে অপরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও বেঁচে আছে।

এ কারণেই উপন্যাসের শেষটা যেন মনে হয় হঠাৎ করে হয়েছে। একটি চিত্তাকর্ষক ও হৃদয়বিদারক ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে শেষ অধ্যায়গুলো আমাদের মুগ্ধ করে। গুরনাহর ফিরে আসার যে প্রতিবাদী প্রচেষ্টা সেটি একটি তীব্র সমাপ্তিতে গিয়ে থামে। তবে বিষয়টি খুব আকস্মিকভাবে ঘটেছে। কাহিনীর গতি আরেকটু ধীর হতে পারত- এমন আকাঙ্ক্ষা মোটেও অমূলক নয়। তেমনটা হলে হয়তো আমরা ইলিয়াসের শেষ বছরগুলোর একটি অন্তরঙ্গ ছবি পেতে পারতাম এবং অন্যান্য চরিত্রের মতো ইলিয়াসকে নিয়েও কিছুটা সময় ক্ষেপণ করতে পারতাম।

এরপরও আফটারলাইভস একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় উপন্যাস, যা ভুলে যাওয়ার মুখে থাকা সবকিছুকে একীভূত করে এবং তাদের মুছে ফেলার বিষয়টিকে অস্বীকৃতি জানায়।

আরও পড়ুন:
আফটারলাইভস: ঔপনিবেশিক নৃশংসতাকে প্রশ্ন করার উপন্যাস
আবদুরাজাক গুরনাহর ‘প্যারাডাইস’: একটি পাঠপ্রতিক্রিয়া
গুরনাহর সৃষ্টি: শিকড়সন্ধানী মানুষের অভিজ্ঞতার নির্যাস
উপনিবেশবিরোধী লেখক গুরনাহর হাতে সাহিত্যের নোবেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
The first meeting of the Health Unit in Mymensingh was held

ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য ইউনিটির প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য ইউনিটির প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বক্তব্য রাখছেন ময়মনসিংহের ‘স্বাস্থ্য ইউনিটির’ সভাপতি শামীম আহম্মেদ। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োজিত চিকিৎসক, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক মালিকদের নিয়ে ‘স্বাস্থ্য ইউনিটি’ নামের সংগঠন করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর চরপাড়া এলাকায় সংগঠনটির প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি শামীম আহম্মেদের সভাপতিত্বে জমকালো এই আয়োজনের শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মনসুর আলম চন্দন। এছাড়া ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক এম.এ মোতালেবসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। নেতারা বলেন, ‘স্বাস্থ্য ইউনিটি’ শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং এটি হবে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংগঠনটি ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আরও বলা হয়, সংগঠনটির লক্ষ্য একত্রে কাজ করা এবং সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করা। এ জন্য সাংবাদিক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে সাথে নিয়ে সংগঠনের নেতারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চায়।

এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিনোদন
The negotiation of the consensus will be a peaceful solution to political differences Press Secretary

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে এবং এই আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিনোদন
A joint trial of Bangladesh United States Air Force in Anwara

আনোয়ারায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

ইনক্যাপ সিরিমনি অনুষ্ঠিত
আনোয়ারায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩থ-এর অংশ হিসেবে ইনক্যাপ সিরিমনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিবছর দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বিদেশে বেশ কয়েকটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, আর এটাই ছিল চলতি বছরের শেষ মহড়া। এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি অর্জন করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আমেরিকান বিমান বাহিনীর দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিল, অপারেশন লাইট, এয়ার কন্ডিশন, জেনারেটর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র এবং অপারেশন থিয়েটারের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর জুদাহ বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রমে বিশেষভাবে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ অঞ্চলের মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুসেবা আরও উন্নত করতে এসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আনোয়ারার মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে স্থানীয় মানুষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র টিমের সিনিয়র সদস্য কার্নেল অ্যান্ড্রু ব্রি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি মেজর গ্রিন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যসহ দুদেশের বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Human bonds held against Union Entrepreneur in Satkhira

সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা টাকা আত্মসাৎ
সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জন্মনিবন্ধে ইচ্ছাকৃত ভুল, ভুল সংশোধনের নামে বারবার অর্থ গ্রহণ, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা নিজের পরিবারের নাম্বার দিয়ে আত্মসাৎ করে, বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারি ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, পরিষদের অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মহিলা লীগ ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচারের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ফুলতলা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘আসমা হঠাও প্রতাপনগর বাচাও’ এই স্লোগানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সভাপতি স.ম আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরি আলম সিদ্দিকী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিএনপি নেতা কারিমুজ্জামান, প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী স্বামী আব্দুল সালাম, আর এক ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, প্রমুখ।

মানববন্ধনে বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আসমা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধীসহ ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এমনকি বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদের নাম্বার পরিবর্তন করে নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানাজানি পরেও চেয়ারম্যান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তিনি আওয়ামী মহিলা লীগের ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচার করতে হবে, তা না হলে এরপরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি করা হবে।

তবে অভিযুক্ত তথ্য উদ্যোক্তা আসমা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমার মায়ের একটি সিম হারিয়ে গিয়েছিল। ভুলক্রমে সেই সিম নাম্বারে একটি বয়স্ক ভাতার টাকা চলে আসে। আমি জানতে পেরে সমাজসেবা কর্মকর্তার অবহিত করি। আমি কোনো টাকা উত্তোলন করিনি।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি দাউদ ঢালী বলেন, আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি আজ তাকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
The skeleton of the missing auto driver recovered from the bushes after 7 days in Muradnagar

মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

ঘাতকের স্বীকারোক্তিতে উন্মোচিত হলো হত্যার রহস্য
মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক অটো রিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় অটো রিকশা চালক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান আসামি খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানো স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। গত ১১ আগস্ট রাতে অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ২০ আগস্ট নিহতের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল ঘাতক খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে মেহেদীর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে থাকা পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা নিহতকে শনাক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Starting training in skill development of young people who dropped in Patuakhali

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

ঝরে পড়া তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বিশেষ কার্যক্রম ‘কার্যকর সাক্ষরতা ও ব্যবহারিক কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ (প্রাক-বৃত্তিমূলক পর্যায়)’। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে একই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের চারটি ট্রেডে দক্ষ করে তোলা হবে; ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং এবং মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস, মোট ৪৬০ ঘণ্টা। সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে টিভিইটি সোপানের এনএসসি-১ (NSC-1)-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবেন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হবে। তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণ-তরুণীরা শুধু সাক্ষরতা অর্জন করবে না, বরং কর্মসংস্থানের যোগ্যতাও অর্জন করবে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রশিক্ষণার্থী রহিম খান বলেন, ‘এখান থেকে আমরা বিনা খরচে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।’

একজন অভিভাবক মোসা. সাবিকুন নাহার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই প্রশিক্ষণে যুক্ত হওয়ার পর তাকে নতুনভাবে উদ্যমী দেখছি। এখন তার জীবনের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ওই কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণরা শুধু কর্মমুখী জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আনিসুর রহমান, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ ইলেকট্রিক্যাল), এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ সিভিল), মো. জুয়েল রানা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রশিক্ষণের সফলতা কামনা করেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Distribution of BGP relief among flood victims in Daulatpur

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। গত বুধবার বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।

ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে বিজিবি কর্তৃক জানিয়েছেন।

সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, ‘বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

p
উপরে