× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Afterlives A novel questioning colonial atrocities
google_news print-icon

আফটারলাইভস: ঔপনিবেশিক নৃশংসতাকে প্রশ্ন করার উপন্যাস

ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ
নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ এবং তার সবশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’। ছবি: সংগৃহীত
যে বিশ্বে যুদ্ধের ধ্বংসলীলাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে গুরনাহ আমাদের সেসব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈশ্বিক দ্বন্দ্বগুলো দেখান, যারা একে অপরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও বেঁচে আছে।

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তানজানিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ। সুইডিশ একাডেমি বলেছে, ঔপনিবেশিক প্রভাব এবং সাংস্কৃতিক ও মহাদেশীয় বিচ্ছিন্নতার মধ্যে শরণার্থী জীবনের টানাপোড়েনকে নিজের লেখায় আপসহীন ও সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন তিনি। গত বছর তার সবশেষ প্রকাশিত উপন্যাস আফটারলাইভস এর একটি পর্যালোচনা প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য সেটিকে অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত জার্মানিকে বাদ রেখেই আফ্রিকায় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতা সংক্রান্ত বেশির ভাগ আলোচনা হতো। উনিশ শতকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত জার্মান সাম্রাজ্য বর্তমান নামিবিয়া, ক্যামেরুন, টোগো, তানজানিয়া ও কেনিয়ার কিছু অংশে উপনিবেশের বিস্তার ঘটায় এবং শেষ পর্যন্ত রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি রাজ্যকেও নিজেদের বলে দাবি করে।

উপনিবেশগুলোতে সাধারণত যেমন হয়, জার্মান ঔপনিবেশিক শাসনও ছিল তেমন নিষ্ঠুর। নামিবিয়ায় হেরেরো ও নামা বিদ্রোহ দমনে ২০ শতকের প্রথম গণহত্যা চালায় জার্মানি। পূর্ব আফ্রিকা বা ডয়েচে-ওস্টাফ্রিকাজুড়ে জার্মানির সামরিক কৌশল একই রকম ভয়াবহ ছিল। এই নৃশংসতার পটভূমি নিয়ে লেখা হয়েছে আব্দুরাজাক গুরনাহর বিস্তৃত কিন্তু প্রগাঢ় উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’।

তখনকার টাঙ্গানিকা, যেটি এখন তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ডের অংশ, সেখানে একটি কোমল ও সাদাসিধা বাক্য দিয়ে শুরু হয় উপন্যাসটি, ‘সওদাগর আমুর বিয়াশারার সঙ্গে যখন খলিফার দেখা হয় তখন তার বয়স ২৬ বছর।’

খলিফা বিয়াশারার ভাগনি আশাকে বিয়ে করে ১৯০৭ সালে, যখন মাজি মাজি বিদ্রোহ 'এর নৃশংসতার চূড়ান্ত পর্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গুরনাহ জার্মান শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ভয়াবহ পরিণতির কথা বর্ণনা করতে করতে তরুণ বিবাহিত দম্পতির জীবনে ফিরে আসেন।

খলিফা ও আশার যেখানে বসবাস, সেই নাম না জানা উপকূলীয় শহরটিতে যখন আত্মবিশ্বাসী, মিশুক ও জার্মান বলতে পারা ইলিয়াস এসে হাজির হয় ততক্ষণে বিদ্রোহ ও ঔপনিবেশিক প্রতিশোধের গল্প বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। গুরনাহ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের বৃহত্তর ঘটনাগুলোকে একপাশে ঠেলে দিয়ে তার বদলে অপেক্ষাকৃত শান্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত চরিত্রগুলোর দিকে নজর ফেরান।

তবে এই শান্ত জীবন মানে এই নয় যে, তারা ঔপনিবেশিকতাবাদের কাঠামোগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। উপন্যাসের এক চরিত্র ক্লান্ত হয়ে বলে, ‘জার্মানরা এত মানুষ মেরেছে যে, পুরো দেশে খুলি ও হাড়ের ছড়াছড়ি, মাটি ভিজে আছে রক্তে।’

জার্মানদের কফি খামারে ছোটবেলা থেকে কাজ করে ইলিয়াস। তারা তাকে একটা মিশনারি স্কুলে পড়তে পাঠায়। সে জার্মান ঔপনিবেশিকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। “তার শ্রোতারা এ রকম পরিস্থিতিতে নীরব ছিলেন। কেউ অবশেষে উত্তর দেয় ‘আমার বন্ধু, ওরা তোমাকে খেয়ে ফেলেছে'।”

জার্মানরা যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ইলিয়াস জার্মানদের ভয়ংকর ‘শুটজট্রুপ আসকারিসে’ যোগ দেয়। স্থানীয় সৈন্যদের দিয়ে গড়া এই বাহিনী জার্মান সাম্রাজ্যের নামে স্বদেশি আফ্রিকানদের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতা চালানোর জন্য কুখ্যাত ছিল। ইলিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার ছোট বোন আফিয়ার কাহিনি সামনে আসে। কঠিন অনুশাসনের এক পরিবারে বেড়ে ওঠা আফিয়া লিখতে ও পড়তে পারার কারণে প্রচণ্ড মার খায় এবং ইলিয়াসের বন্ধু খলিফার দারস্থ হয়। সে খলিফা ও আশার সঙ্গে বসবাস শুরু করে।

উপন্যাসে আমাদের দেখা হয় নম্র-ভদ্র হামজার সঙ্গে। সে আস্কারি বাহিনীর একজন স্বেচ্ছাসেবক যে কিনা তার ভুল দ্রুত বুঝতে পারে। হামজার গল্পটি উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পীড়াদায়ক। তার গল্প মূলত নিপীড়ক ও নিপীড়িতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে রূপ দেয়া অন্যায় ও জটিল আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রকাশ করে।

তাকে যখন বাহিনীর ওবারলেফটেন্যান্টের ব্যক্তিগত পরিচারক হওয়ার কাজ দেয়া হয় তখন আরেক আস্কারি হামজাকে সাবধান করে দিয়ে বলে, ‘জার্মানরা সুন্দর তরুণ ছেলেদের নিয়ে খেলতে পছন্দ করে।’

হামজার অফিসার তাকে জার্মান শেখাতে চায়, যাতে সে জার্মান নাট্যকার ফ্রিডরিখ শিলারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে। একই সঙ্গে হামজাকে বলে যে, সে ‘অনুন্নত ও অসভ্য মানুষের সঙ্গে কাজ করছে। এসব মানুষকে শাসন করার একমাত্র উপায় তাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা।’

তাদের সম্পর্কটি ধীরে ধীরে খোলসে ঢুকতে থাকতে এবং গুরনাহ মনস্তাত্ত্বিক জটিল দ্বন্দ্বগুলো থেকে দূরে থাকেননি। অন্য চরিত্রগুলোর মতো একই ধরনের ধৈর্য ও যত্নের সঙ্গে তিনি হামজাকে যুদ্ধের পুরো সময়টিতে অনুসরণ করেন। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ও বজায় রাখার অভিযানে খ্রিস্টধর্মের গভীর ভূমিকা অনুধাবন করতে আমাদের দক্ষভাবে পরিচালিত করেন। একই সঙ্গে হামজা ও আফিয়ার মাধ্যমে তিনি বিশ্বাস ও ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেন।

‘প্যারাডাইজ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৪ সালে বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেয়া গুরনাহ ইউরোপীয় ইতিহাসের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য পরিচিত। এটি তার একটি কাঠামোগত অবস্থান, যা রাজনৈতিকভাবে দৃঢ়।

‘আফটারলাইভস’-এ তিনি প্রজন্মের ওপর ঔপনিবেশিকতা ও যুদ্ধের প্রভাবগুলো বিবেচনা করেছেন এবং এত ধ্বংসের পর আর কী অবশিষ্ট আছে, তা বিবেচনা করতে আমাদের আহ্বান জানান।

ঔপনিবেশিকতার অন্যতম পরিণতিতে যখন আর্কাইভ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি বর্জন করা হয়, তখন ঠিক কী উদ্ধার করা যেতে পারে? যদি আমরা জানতেই না পারি কী মুছে ফেলা হয়েছে, তাহলে আমরা মনে রাখব কী?

যে বিশ্বে যুদ্ধের ধ্বংসলীলাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে গুরনাহ আমাদের সেসব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈশ্বিক দ্বন্দ্বগুলো দেখান, যারা একে অপরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও বেঁচে আছে।

এ কারণেই উপন্যাসের শেষটা যেন মনে হয় হঠাৎ করে হয়েছে। একটি চিত্তাকর্ষক ও হৃদয়বিদারক ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে শেষ অধ্যায়গুলো আমাদের মুগ্ধ করে। গুরনাহর ফিরে আসার যে প্রতিবাদী প্রচেষ্টা সেটি একটি তীব্র সমাপ্তিতে গিয়ে থামে। তবে বিষয়টি খুব আকস্মিকভাবে ঘটেছে। কাহিনীর গতি আরেকটু ধীর হতে পারত- এমন আকাঙ্ক্ষা মোটেও অমূলক নয়। তেমনটা হলে হয়তো আমরা ইলিয়াসের শেষ বছরগুলোর একটি অন্তরঙ্গ ছবি পেতে পারতাম এবং অন্যান্য চরিত্রের মতো ইলিয়াসকে নিয়েও কিছুটা সময় ক্ষেপণ করতে পারতাম।

এরপরও আফটারলাইভস একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় উপন্যাস, যা ভুলে যাওয়ার মুখে থাকা সবকিছুকে একীভূত করে এবং তাদের মুছে ফেলার বিষয়টিকে অস্বীকৃতি জানায়।

আরও পড়ুন:
আফটারলাইভস: ঔপনিবেশিক নৃশংসতাকে প্রশ্ন করার উপন্যাস
আবদুরাজাক গুরনাহর ‘প্যারাডাইস’: একটি পাঠপ্রতিক্রিয়া
গুরনাহর সৃষ্টি: শিকড়সন্ধানী মানুষের অভিজ্ঞতার নির্যাস
উপনিবেশবিরোধী লেখক গুরনাহর হাতে সাহিত্যের নোবেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
3 years of Holi Artizan attack Bloody Gulshan in memory 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নয় বছর পূর্ণ হল আজ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় একদল সশস্ত্র জঙ্গি। সেখানে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক।

অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার সময় বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন খান এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নব্য জেএমবির’ সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।

নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্ট গত ১৭ জুন প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ এর ১ উপধারা (ক) (আ) দফায় বর্ণিত অপরাধে তারা দোষী। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক উপলব্ধি না করে আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যে কারণে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যের পর্যালোচনা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে গণ্য করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দণ্ডিতদের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।

এছাড়া হাইকোর্টেন রায়ে বলা হয়, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

কি ঘটেছিল সেদিন?

২০১৬ সালের ১ জুলাই, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। ‘নব্য জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।

পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস হামলার ঘটনা।

সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘নব্য জেএমবি’র আরো আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

মন্তব্য

বিনোদন
The main adviser to inaugurate the month long program to commemorate the July coup

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য

বিনোদন
In Gazaria a road accident was killed in a road accident

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।

সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।

মন্তব্য

বিনোদন
Five day hill fruit festivals and fairs are being launched in Dhaka today

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।

আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।

রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মন্তব্য

বিনোদন
Former MP Faisal Biplob on seven day remand

সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব

সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব

মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।

এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।

আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।

গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।

মন্তব্য

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং জ্বালানি সম্পদ রক্ষায় চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

অভিযানে অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাহেবনগর, ভাদুয়াপাড়া ও কাকিয়ারচর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) সৈকত রায়হান। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)-এর আওতাধীন এসব এলাকার ৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩ জন ব্যক্তিকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় প্রায় ০.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ৫৩টি অবৈধ গ্যাস রাইজার এবং ২২টি অবৈধ গ্যাসচালিত চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।

গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে জোবিঅ-টঙ্গী এবং আবিবি-জয়দেবপুরের একটি যৌথ দল অভিযানটি পরিচালনা করে। এর আওতায় তিনটি নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শন চালানো হয়। সেগুলো হল, টঙ্গীর শিলমুন হাইস্কুল রোডের এস.এম.ফ্যাশন, মিরাশপাড়ার নদী বন্দর রোডের মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং এবং দত্তপাড়া জহির মার্কেটের মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ।

তবে, তিনটি স্পটেই গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম বা অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, পূর্ববর্তী অভিযানগুলোর কারণে ওই এলাকায় অবৈধ সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সবাইকে বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ও এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হতে হবে। নাগরিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি খাতের আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য

বিনোদন
Light rains in Dhaka and storm forecasts in 4 districts

ঢাকায় হালকা বৃষ্টি ও ৬ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

ঢাকায় হালকা বৃষ্টি ও ৬ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

গত দুদিন ধরে ঢাকায় বৃষ্টি তেমন না হলেও বাতাসের চাপের আধিক্য ছিল বেশ। আজও সেই চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই চলছে মেঘ-রোদের খেলা। তবে দুপুরের মধ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আকাশ এই সময়ে আংশিক থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে।

সেই সঙ্গে দক্ষিণ অথবা পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝরতে পারে হালকা বৃষ্টি।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আজ অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত

এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে