এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তানজানিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুরাজাক গুরনাহ। সুইডিশ একাডেমি বলেছে, ঔপনিবেশিক প্রভাব এবং সাংস্কৃতিক ও মহাদেশীয় বিচ্ছিন্নতার মধ্যে শরণার্থী জীবনের টানাপোড়েনকে নিজের লেখায় আপসহীন ও সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন তিনি। গত বছর তার সবশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’ এর একটি পর্যালোচনা প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য সেটিকে অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত জার্মানিকে বাদ রেখেই আফ্রিকায় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতা সংক্রান্ত বেশির ভাগ আলোচনা হতো। উনিশ শতকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত জার্মান সাম্রাজ্য বর্তমান নামিবিয়া, ক্যামেরুন, টোগো, তানজানিয়া ও কেনিয়ার কিছু অংশে উপনিবেশের বিস্তার ঘটায় এবং শেষ পর্যন্ত রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি রাজ্যকেও নিজেদের বলে দাবি করে।
উপনিবেশগুলোতে সাধারণত যেমন হয়, জার্মান ঔপনিবেশিক শাসনও ছিল তেমন নিষ্ঠুর। নামিবিয়ায় হেরেরো ও নামা বিদ্রোহ দমনে ২০ শতকের প্রথম গণহত্যা চালায় জার্মানি। পূর্ব আফ্রিকা বা ডয়েচে-ওস্টাফ্রিকাজুড়ে জার্মানির সামরিক কৌশল একই রকম ভয়াবহ ছিল। এই নৃশংসতার পটভূমি নিয়ে লেখা হয়েছে আব্দুরাজাক গুরনাহর বিস্তৃত কিন্তু প্রগাঢ় উপন্যাস ‘আফটারলাইভস’।
তখনকার টাঙ্গানিকা, যেটি এখন তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ডের অংশ, সেখানে একটি কোমল ও সাদাসিধা বাক্য দিয়ে শুরু হয় উপন্যাসটি, ‘সওদাগর আমুর বিয়াশারার সঙ্গে যখন খলিফার দেখা হয় তখন তার বয়স ২৬ বছর।’
খলিফা বিয়াশারার ভাগনি আশাকে বিয়ে করে ১৯০৭ সালে, যখন মাজি মাজি বিদ্রোহ 'এর নৃশংসতার চূড়ান্ত পর্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গুরনাহ জার্মান শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ভয়াবহ পরিণতির কথা বর্ণনা করতে করতে তরুণ বিবাহিত দম্পতির জীবনে ফিরে আসেন।
খলিফা ও আশার যেখানে বসবাস, সেই নাম না জানা উপকূলীয় শহরটিতে যখন আত্মবিশ্বাসী, মিশুক ও জার্মান বলতে পারা ইলিয়াস এসে হাজির হয় ততক্ষণে বিদ্রোহ ও ঔপনিবেশিক প্রতিশোধের গল্প বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। গুরনাহ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের বৃহত্তর ঘটনাগুলোকে একপাশে ঠেলে দিয়ে তার বদলে অপেক্ষাকৃত শান্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত চরিত্রগুলোর দিকে নজর ফেরান।
তবে এই শান্ত জীবন মানে এই নয় যে, তারা ঔপনিবেশিকতাবাদের কাঠামোগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। উপন্যাসের এক চরিত্র ক্লান্ত হয়ে বলে, ‘জার্মানরা এত মানুষ মেরেছে যে, পুরো দেশে খুলি ও হাড়ের ছড়াছড়ি, মাটি ভিজে আছে রক্তে।’
জার্মানদের কফি খামারে ছোটবেলা থেকে কাজ করে ইলিয়াস। তারা তাকে একটা মিশনারি স্কুলে পড়তে পাঠায়। সে জার্মান ঔপনিবেশিকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। “তার শ্রোতারা এ রকম পরিস্থিতিতে নীরব ছিলেন। কেউ অবশেষে উত্তর দেয় ‘আমার বন্ধু, ওরা তোমাকে খেয়ে ফেলেছে'।”
জার্মানরা যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ইলিয়াস জার্মানদের ভয়ংকর ‘শুটজট্রুপ আসকারিসে’ যোগ দেয়। স্থানীয় সৈন্যদের দিয়ে গড়া এই বাহিনী জার্মান সাম্রাজ্যের নামে স্বদেশি আফ্রিকানদের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতা চালানোর জন্য কুখ্যাত ছিল। ইলিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার ছোট বোন আফিয়ার কাহিনি সামনে আসে। কঠিন অনুশাসনের এক পরিবারে বেড়ে ওঠা আফিয়া লিখতে ও পড়তে পারার কারণে প্রচণ্ড মার খায় এবং ইলিয়াসের বন্ধু খলিফার দারস্থ হয়। সে খলিফা ও আশার সঙ্গে বসবাস শুরু করে।
উপন্যাসে আমাদের দেখা হয় নম্র-ভদ্র হামজার সঙ্গে। সে আস্কারি বাহিনীর একজন স্বেচ্ছাসেবক যে কিনা তার ভুল দ্রুত বুঝতে পারে। হামজার গল্পটি উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পীড়াদায়ক। তার গল্প মূলত নিপীড়ক ও নিপীড়িতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে রূপ দেয়া অন্যায় ও জটিল আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রকাশ করে।
তাকে যখন বাহিনীর ওবারলেফটেন্যান্টের ব্যক্তিগত পরিচারক হওয়ার কাজ দেয়া হয় তখন আরেক আস্কারি হামজাকে সাবধান করে দিয়ে বলে, ‘জার্মানরা সুন্দর তরুণ ছেলেদের নিয়ে খেলতে পছন্দ করে।’
হামজার অফিসার তাকে জার্মান শেখাতে চায়, যাতে সে জার্মান নাট্যকার ফ্রিডরিখ শিলারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে। একই সঙ্গে হামজাকে বলে যে, সে ‘অনুন্নত ও অসভ্য মানুষের সঙ্গে কাজ করছে। এসব মানুষকে শাসন করার একমাত্র উপায় তাদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা।’
তাদের সম্পর্কটি ধীরে ধীরে খোলসে ঢুকতে থাকতে এবং গুরনাহ মনস্তাত্ত্বিক জটিল দ্বন্দ্বগুলো থেকে দূরে থাকেননি। অন্য চরিত্রগুলোর মতো একই ধরনের ধৈর্য ও যত্নের সঙ্গে তিনি হামজাকে যুদ্ধের পুরো সময়টিতে অনুসরণ করেন। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ও বজায় রাখার অভিযানে খ্রিস্টধর্মের গভীর ভূমিকা অনুধাবন করতে আমাদের দক্ষভাবে পরিচালিত করেন। একই সঙ্গে হামজা ও আফিয়ার মাধ্যমে তিনি বিশ্বাস ও ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেন।
‘প্যারাডাইজ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৪ সালে বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেয়া গুরনাহ ইউরোপীয় ইতিহাসের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য পরিচিত। এটি তার একটি কাঠামোগত অবস্থান, যা রাজনৈতিকভাবে দৃঢ়।
‘আফটারলাইভস’-এ তিনি প্রজন্মের ওপর ঔপনিবেশিকতা ও যুদ্ধের প্রভাবগুলো বিবেচনা করেছেন এবং এত ধ্বংসের পর আর কী অবশিষ্ট আছে, তা বিবেচনা করতে আমাদের আহ্বান জানান।
ঔপনিবেশিকতার অন্যতম পরিণতিতে যখন আর্কাইভ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে আফ্রিকান দৃষ্টিভঙ্গি বর্জন করা হয়, তখন ঠিক কী উদ্ধার করা যেতে পারে? যদি আমরা জানতেই না পারি কী মুছে ফেলা হয়েছে, তাহলে আমরা মনে রাখব কী?
যে বিশ্বে যুদ্ধের ধ্বংসলীলাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে গুরনাহ আমাদের সেসব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈশ্বিক দ্বন্দ্বগুলো দেখান, যারা একে অপরকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও বেঁচে আছে।
এ কারণেই উপন্যাসের শেষটা যেন মনে হয় হঠাৎ করে হয়েছে। একটি চিত্তাকর্ষক ও হৃদয়বিদারক ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে শেষ অধ্যায়গুলো আমাদের মুগ্ধ করে। গুরনাহর ফিরে আসার যে প্রতিবাদী প্রচেষ্টা সেটি একটি তীব্র সমাপ্তিতে গিয়ে থামে। তবে বিষয়টি খুব আকস্মিকভাবে ঘটেছে। কাহিনীর গতি আরেকটু ধীর হতে পারত- এমন আকাঙ্ক্ষা মোটেও অমূলক নয়। তেমনটা হলে হয়তো আমরা ইলিয়াসের শেষ বছরগুলোর একটি অন্তরঙ্গ ছবি পেতে পারতাম এবং অন্যান্য চরিত্রের মতো ইলিয়াসকে নিয়েও কিছুটা সময় ক্ষেপণ করতে পারতাম।
এরপরও আফটারলাইভস একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় উপন্যাস, যা ভুলে যাওয়ার মুখে থাকা সবকিছুকে একীভূত করে এবং তাদের মুছে ফেলার বিষয়টিকে অস্বীকৃতি জানায়।
আরও পড়ুন:আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ (রবিবার) থেকেই সারা দেশে একযোগে চিরুনি অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনো অপরাধী বা বিশৃঙ্খলাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারাই জড়িত থাকুক না কেন; তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর ও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাচ্ছে এবং অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করছে।’
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে খুলনার হত্যাকাণ্ডেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে, অপরাধী অপরাধীই—তা সে যে-দলেরই হোক না কেন। রাজনৈতিক অথবা অন্য কোনো পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না। কোনো অপরাধীকেই পুলিশ প্রশ্রয় দেবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কোনো আপস করব না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনকে ঘিরে যেসব নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি, তা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। আমাদের অংশটুকু যথাসময়ে ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু, শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ, আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে পাবনাবাসী। যেকোন মূল্যে ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হরে এই সরকারকে। এসব চারদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে চরম মূল্য দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের বলে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্ত্বর থেকে পুরো শহরজুড়ে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাবনার রাজনৈতিক সংগঠনের চরম ব্যর্থতায় আমরা ট্রেনের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছি। এটাতো রাজনৈতিক দলের কাজ। পাবনা থেকে মাঝ পাড়া পর্যন্ত অকার্যকর একটি রেল লাইন চালু করা হয়েছে। সেটি কার্যকর করে দ্রুত পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করে ঢাকায় যাতায়াত সহজীকরণ করতে হবে। কাজিরহাটের ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তর করা হলে দু'ঘন্টার পথ ১৫ মিনিটে পারাপার হওয়া যাবে। ঈশ্বরদী ইপিজেড, রপপুর প্রকল্পের জন্য বিমানবন্দর চালু করা হোক। যানজট নিরসনে পাবনা শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। পাবনা আটঘরিয়া হয়ে মাঝপাড়া দিয়ে ৩০ কিলোমিটার ঘুড়ে ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনতেছি। এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নেবোনা।
যেকোন মূল্যে পাবনা ঢাকা ট্রেন চালু করতেই হরে। তাছাড়া এটার জন্য সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন শেষে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিনত হয়েছিল। আমাদের এই দাবি যেন অন্য দাবিতে পরিনত না হয়। আমরা সবদিক থেকেই বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার।
বক্তারা আরও বলেন, পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নগরবাড়ি আরিচায় নতুন যমুনা সেতু নির্মাণ করা। দ্বিতীয় যমুনা সেতু এখান দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। ইছামতী নদী উদ্ধারে অনেক জটিলতা ছিল। এখন নদী খনন হচ্ছে। যারা মামলা করেছেন দ্রুত মামলা তুলে নিয়ে নদী খননের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহযোগীতা করুন। এটা হলে পাবনাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়াও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা, মানসিক হাসপাতাল সংস্কার করতে হবে। এটা জুলাইয়ের মাস। এই চত্বরেই দুজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিল। এখনো ওসব খুনি গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফার সভাপতিত্বে ও আতাইকুলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাজু ইসলাম ওলির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, জামায়াতের পৌর আমীর আব্দুল লতিফ, দেশ বরেণ্য শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, সাইদুল ইসলাম, কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আলিম, এডভোকেট রানা, রোটারিয়ান বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, সমন্বয়ক শাওন হোসাইন, আইডিয়াল গ্রুপের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সহ পাবনার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মানবন্ধনে পাবনা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম জমা না দেন, তবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন ছাড়া নিয়োগের সুযোগ থাকছে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা পরিপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম প্রাপ্তির পর তা সরাসরি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ অধিদপ্তরে পাঠাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে বিদ্যমান নিয়মে, এই ভেরিফিকেশন ফরম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সে পদ্ধতি আর অনুসরণ করা হবে না।
পরিপত্রের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আগের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে পাঠানোর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছিল। তাই এনটিআরসিএকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করে সময় কমানো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ-এর অধীন এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চলছে।
এ আবেদন চলার মধ্যেই গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পুলিশ ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করেছে।
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল আলম (৩২) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার কালনী গ্রামের প্রয়াত মকসেদ আলীর ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই হাসান আল আরিফ জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে আশরাফুল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন নম্বর টার্মিনালের সামনে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান হাসান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সদস্য ইসমাইল জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (১৫ জুলাই) এই আমের চালানটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছাবে।
নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর আমগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে— মৈত্রীর অংশ হিসেবে।
এছাড়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সেখানকার বিশিষ্টজনদের জন্য ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৬০টি কার্টনে এসব আম পাঠানো হয়।
প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার মৌসুমি উপহার হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আমসহ বিভিন্ন ফল পাঠিয়ে থাকে। এর জবাবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারও উপহার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য পাঠায় বিখ্যাত রসালো ‘কুইন’ জাতের আনারস।
চলতি বছরের আম উপহার পাঠানোর কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটি রপ্তানিকারকের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার কর্মকর্তাদের কাছে উপহারের চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
এই উদ্যোগকে ‘আম কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা আগের প্রশাসনের সময়েও চলমান ছিল। এখনো এটি সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বিষয়ে ঐক্য গড়ে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ তৈরির লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দফার দ্বাদশ দিনের মত আনুষ্ঠানিকভাবে এ আলোচনা শুরু হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনার সূচিতে প্রাধান্য পাচ্ছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগবিধি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
এর আগে, উল্লেখ্য তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আজ অধিকতর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বরাবরের মতো আজকেও আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
এছাড়া, কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংলাপ শুরু হওয়ার আগে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতু আপনারা রাজনৈতিক দল করেন, সেহেতু সব বিষয়ে আপনাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, একটি মাঝামাঝি স্থানে এসে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
পরবর্তীতে যদি জনগণের কাছ থেকে আপনারা প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, তাহলে সেটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং সেটি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকবে।
কিন্তু কমিশন মনে করছে, একটি পর্যায়ে আসা ভালো।
তিনি আরো বলেন, আমরা আপনাদের বক্তব্যকে গুরুত্বহীন মনে করছি না, বরং আমরা চাচ্ছি সকলে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাক। চাইলেই এ আলোচনা বাদ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতে বিদ্যমান পরিস্থিতিই থেকে যাবে। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে- এই বিবেচনাটা যদি আপনারা করেন, তাহলে আমাদের পক্ষে ঐকমত্য গঠন করা সম্ভব।
তিনি সকলের প্রতি কিছুটা ছাড় দিয়ে ও কিছুটা অবস্থান পরিবর্তন করে একটি জায়গায় আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা অবস্থার পরিবর্তন করে হলেও এগিয়ে আসুন। না হলে আমরা যেখানে আছি, সেখানেই থেকে যাব। গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে এইটুকু বিবেচনা করুন যে, এটা সম্ভব কি-না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এর আগে, দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণকল্পে স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচনা শেষে ব্রিফ করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ত্রাস খ্যাত শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন ডাকাতকে কক্সবাজার আদালতের হাজতে মুঠোফোন সুবিধা দেয়ার ঘটনায় দুই টিএসআই সহ ৫ জনকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে পুলিশ লাইন্স এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া কোর্ট হাজতে আসামিদের সাথে সাক্ষাৎতের বিষয়ে আরও সর্তক হওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্লোজড হওয়াদের দুই টিএসআই, তিনজন কনস্টেবল। তারা হলেন টিএসআই সুরেন দত্ত, আবদুল ওয়াহেদ, কনস্টেবল নাজম হায়দার, গোলাম।মোস্তফা ও ইয়াছিন নূর।
এর আগে এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যোর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বুধবার (৯ জুন) আদালতে হাজিরা দিতে কোর্ট পুলিশের হেফাজতে হাজতখানা থেকে বের করে আনা হয় শাহীনকে। ঠিক তখনই তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন নজরে আসে কক্সবাজারের গণমাধ্যমকর্মী দের চোখে। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গঠিত হয় তদন্ত কমিুট।
জানা গেছে, গত ৫ জুন সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শাকের আহমদের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন ডাকাতকে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী ক্লোজড'র বিষয়টি স্বীকার করেন।
মন্তব্য