‘মিস আয়ারল্যান্ড’-খ্যাত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আখতার প্রিয়তী এখন সারা বিশ্বে শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ। মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে সবাই তাকে চিনলেও প্রিয়তীর আরও দুটি পরিচয় আছে। তিনি একজন লেখক এবং কর্মজীবনে পাইলট।
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইনটিগ্রিটি ম্যাগাজিন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রিয়তী। এর পরই গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘টপ মডেল-২০২১’ প্রতিযোগিতাতেও জয় করেছেন টপ মডেলের পুরস্কার।
মডেলিং জগতে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের আগ্রহ রয়েছে প্রিয়তীর।
নিউজবাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মডেলিং, অভিনয়, লেখালেখিসহ নানা বিষয়ে আলাপ করেছেন প্রিয়তী।
মডেল হিসেবে আপনার যাত্রার শুরুটা জানতে চাই? ঠিক কীভাবে নিজের মডেল হওয়ার ইচ্ছেটা জাগল?
প্রিয়তী: মডেল হিসেবে আমার যাত্রা আসলে অনেক ছোটবেলায়। আমি একজন শিশু মডেল হিসেবে কাজ করেছি একটা বিস্কুট কোম্পানির বিজ্ঞাপনে।
আর ঠিক কীভাবে মডেল হওয়ার ইচ্ছে জাগল, সেটা আসলে আমরা কারও না কারও পদচিহ্ন অনুসরণ করি বা কারও দ্বারা অনুপ্রাণিত হই। আমি যখন বড় হতে থাকি, তখন আমাদের দেশের রিনাউন মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। উনি খুব বিখ্যাত একজন মডেল ছিলেন এবং তখন উনি খুব স্ট্রংলি কাজ করছেন মিডিয়াতে, মডেলিং জগতে। ওনাকে দেখে আমি খুব অনুপ্রাণিত হতাম।
ওনার সৌন্দর্য আমাকে খুব আলোড়িত করত। সো আমি যদি একদম বলি যে মডেল হওয়ার ইচ্ছে জাগা, অনুপ্রাণিত হওয়ার জাগাটা ওনার স্ট্রং একটা ইফেক্ট রয়েছে আমার ওপরে।
‘মিস আয়ারল্যান্ড-২০১৪’-এর আগে মডেল হিসেবে প্রথম যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন?
প্রিয়তী: ‘মিস আয়ারল্যান্ড-২০১৪’ হওয়ার আগে আমি আসলে ‘মিস ইউনিভার্সেল রয়েলিটি বিউটি প্রেজেন্ট-২০১৩’-এ ইউএসের টেক্সাসের একটা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। এটা সম্ভবত ২০১৩-এর সেপ্টেম্বরে ছিল। এর পরে মিস আয়ারল্যান্ড প্রতিযোগিতায়।
কানের টপ মডেলের পরপরই যুক্তরাজ্যের ‘টপ মডেল-২০২১’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন, আপনার এই দুই বিজয়ের অনুভূতি জানতে চাই?
প্রিয়তী: আসলে আমি এই দুটির পার্থক্য বলি, যেমন টপ মডেল ইউকের যে প্রতিযোগিতা, সেটা শুরু হয়েছে গত বছরই। এক বছর থেকে এটার কার্যক্রম চলছে। প্রতিযোগিতার যে ধাপগুলো থাকে, সেগুলো চলছে গত এক বছর ধরেই। সো এটার জন্য আমি প্রস্তুত হচ্ছিলাম। যেমন আপনি যদি এখন একটা পরীক্ষা দিয়ে যান, সেই পরীক্ষার জন্য আপনি নিজেকে যেভাবে প্রস্তুত করবেন, সে পরীক্ষার ফলাফল জানতে আপনি যে রকম আগ্রহী হবেন বা আপনি যে রকম এক্সসাইটেড থাকবেন, সেই ব্যাপারটা হচ্ছে এ রকম। আর কানের টপ মডেল হচ্ছে আমার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। যেমন আপনি এখন একটা অফিসে কাজ করছেন, যেখানে আপনি প্রমোশন পেলেন, আপনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আপনাকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হলো, সেটা হচ্ছে কানের আমার টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ডটা।
তাই দুটি হচ্ছে দুই রকমের অনুভূতি। একটা কাজের স্বীকৃতি, আরেকটা হচ্ছে প্রতিযোগিতার ফসল। আপনার যত শ্রম, যত সময়, আপনি যতখানি ফোকাস দিয়েছেন, দুটিই দুই রকমের সফতার আনন্দ।
আরেকটা ব্যাপার যেটা বলব, কানে যেটা হয়েছে, কানে তো আমি গিয়েছিলাম আমার কাজে, ফ্যাশন শো, ফটোশুটে এবং মুভির কিছু ব্যাপারে। সবকিছু মিলে আমার কানে যাওয়া হয়েছিল। তো এই অ্যাওয়ার্ডটা আমার জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি জানতাম না যে আমাকে এ রকম একটা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হতে পারে বা আমি একটা অ্যাওয়ার্ড পাব, এত বড় একটা অ্যাওয়ার্ড ইভেন্ট। কারণ সেখানে ফ্রান্সের মডেলরা ছিলেন, তাদের টপকে আমাকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে আমি এটা কল্পনাও করতে পারিনি। আমার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এটা পেয়েছি, এটা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের, কানের মাটি থেকে সেই স্বীকৃতি নিয়ে আসা। তো দুটির অনুভূতি আসলে অন্য রকম কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস, আমার রেসপন্সিবিলিটি, আমার কাজ করার আগ্রহ বা কাজের প্রতি নিজেকে আরও ডেডিকেট করার মনমানসিকতার যে স্থিরতা লাগে, সেটা আরও বেড়েছে।
মডেল হিসেবে নিজেকে আর কোনো সেরা জায়গায় দেখা বাকি রইল কি?
প্রিয়তী: আসলে সেরা হওয়ার কোনো লিমিট নেই। আপনি কখনও কোনো স্কেল দিয়ে সেরা হওয়ার লিমিট করতে পারবেন না, যেকোনো সেক্টরে। এটা শুধু মডেল হওয়ার ক্ষেত্রে না। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে বলেন, বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে ডাক্তার, সাংবাদিক, অ্যাক্টর যেকোনো সেক্টরে একদম বলতে পারবেন না, এটাই শেষ স্কোর সেরা হওয়ার। তাই মডেল হিসেবে নিজেকে সেরা জায়গায় দেখার বাকি রইল কি না, সেটার উত্তর আমি এখনও দিতে পারব না।
কারণ আমার এখনও মনে হয় যে আমাকে আরও ওপরে নিতে হবে। তাই এই প্রক্রিয়ায় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যখন এই প্রক্রিয়াটা থাকে, তখন আপনি নিজেকে চেঞ্জ করতে থাকেন, নতুনভাবে নিজেকে আবার উপস্থাপন করতে থাকেন। নিজেকে আরও বেশি আবিষ্কার করতে থাকেন। আপনার কাজের গুণ চেঞ্জ হতে থাকে, আপনার স্টাইল চেঞ্জ হতে থাকে। সো হুইচ ইজ বিউটিফুল, হুইচ ইজ ওয়ান্ডারফুল।
তাই মডেল হিসেবে নিজেকে সেরা জায়গার বাকি রইল কি, সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাচ্ছে না। অবশ্যই সেরা হওয়ার অনেক অনেক স্তর আছে, অনেক অনেক জায়গা আছে, অনেক অনেক ধাপ আছে।
একজন সফল বৈমানিক ও মডেলের পর আর কোন ক্ষেত্রে নিজেকে সফল হিসেবে দেখতে চান?
প্রিয়তী: আমি আসলে নিজেকে এখন সফল একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে দেখতে চাই। আমি নিজেকে এখনও অভিনেত্রী বলতে পারি, কিন্তু এখনও অভিনয়শিল্পী হয়ে ওঠার প্রসেসের মধ্যে আছি। সেটা যখন মনে করব যে, একজন অভিনয়শিল্পী হয়ে উঠতে পেরেছি। আমার মনে হয় আরেকটা সফলতার ধাপ পার করার পথে আছি, হয়তো আমি তা পার করতে পারব।
বাংলাদেশের কোনো সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে আছে?
প্রিয়তী: অবশ্যই আমার বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে আছে, এটা সব সময় ছিল, আছে এবং আমার দরজা খোলা। যদি কেউ মনে করেন আমাকে ইউটিলাইজ করা যাবে, অবশ্যই তাদের জন্য আমার দরজা খোলা। এখন কথা হচ্ছে যে, আমাদের প্রফেশনাল টিম এখনও রেডি আছে কি না, সেটা হচ্ছে আসল ব্যাপার।
আপনার ‘প্রিয়তীর আয়না’ ও ‘ছোবল’ বেশ সারা ফেলেছিল পাঠক মহলে, লেখক প্রিয়তীর আর কোনো বই আসছে সামনে?
এই দুই বইয়ের পরে এ বছর আমার আরও বইটি বের হয়েছে ‘কণ্টক শয্যা’। এরপর অবশ্যই আমার আরেকটা বই আসবে, এখনও আমি সেটা নিয়ে কোনো ঘোষণা করিনি, আমার আরেকটা বই সামনে আসবে।
এত কিছুর মধ্যে সন্তান-সংসার কীভাবে সামলান?
প্রিয়তী: আসলে এটা অবশ্যই অনেক কঠিন এবং আমার মতো সিঙ্গেল মায়ের জন্য বেশ কঠিন। এর মধ্যে যদি পরিবারের সদস্য বা কেউ আশপাশে না থাকে, ভিনদেশে এটা আরও বেশি কঠিন অবশ্যই। হয়তোবা আমার সব এনার্জির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ চলে যায় আমার পরিবার আর সন্তানদের সামলাতে, তাদের দায়দায়িত্বে। এটা আমি ভালোবাসি, অবশ্যই এটা আমি এনজয় করি। আমি যদি সেভাবে বলি, আর বাকি ২০ ভাগ দিই আমার কাজে। কারণ এই রেসপনসিবিলিটির ভারটা একটু কম হলে হয়তোবা আমি আমাকে আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারতাম বা হয়তো আমি আরও বেশি কাজে যুক্ত হতে পারতাম বা আমি মনে হয় আরেকটু বেশি সফলতার পথে আগাতে পারতাম।
কিন্তু যেহেতু আমি একজন মা, মা হিসেবে আমার সন্তানদের দেখাশোনা করার দায়িত্বটা প্রথম, তাদের নিরাপত্তাটা প্রথম। আমি খুব লাকি এবং আমি ওপরওয়ালার কাছে হাজার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি যে আমি সেটা করতে পারছি। সেই সক্ষমতা আমাকে ওপরওয়ালা দিয়েছেন এবং আমাকে সুস্থ রেখেছেন আমার সন্তানদের সুস্থ রেখেছেন।
একজন মা, মডেল, বৈমানিক ও লেখক প্রিয়তী যে কথাটা তার ভক্ত-অনুরাগীদের বা সবার উদ্দেশে বলতে চান?
প্রিয়তী: আমি একটা কথা প্রায় বলে থাকি, নিজে স্বাবলম্বী হওয়াটা অনেক বেশি জরুরি। নিজে যখন আমরা স্বাবলম্বী হই, তখন আমরা নিজেদের হ্যাপি রাখতে পারি এবং অন্যদেরও হ্যাপি রাখতে পারি। আর আমরা যখন অন্যের ওপরে নির্ভরশীল হই, তখন আমাদের আসলে মেইন ফোকাসটা থাকে সেই অন্য মানুষটাকে, অন্য মানুষদের হ্যাপি রাখার, তাকে দেখভাল করার। তাই নিজে নির্ভরশীল হওয়াটা খুব জরুরি নিজের লাইফের জন্য। নিজের সুখের জন্য, নিজের মনের সুখের জন্য এবং কাছের মানুষদের সুখের জন্য। এটার সঙ্গে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করা উচিত না। সেটা যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। সেটা ভাই-বোন, বাবা-মা, স্বামী-প্রেমিক যেটাই হোক না কেন, নিজে আত্মনির্ভরশীল হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু।
যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু।
ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
#KGFChapter2 ZOOMS past ₹700 cr milestone mark.
— Manobala Vijayabalan (@ManobalaV) April 21, 2022
২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি।
পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।
চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।
২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।
চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।
শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।
সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।
কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।
তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।
জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।
সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।
অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।
এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।
এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।
সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।
তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’
তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।
আরও পড়ুন:২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।
সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।
শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।
আরও পড়ুন:বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।
কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।
বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।
‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’
সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।
এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।
সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’
শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মন্তব্য