× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Blue Crown The story of a family man in a uniform
google_news print-icon

নীল মুকুট: ইউনিফর্মের ভেতরে থাকা পারিবারিক মানুষের গল্প

নীল-মুকুট-ইউনিফর্মের-ভেতরে-থাকা-পারিবারিক-মানুষের-গল্প
নীল মুকুট সিনেমার পোস্টার ও পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন। ছবি: সংগৃহীত
‘এখন যে লাঠিচার্জ করে আর যে লাঠির বাড়ি খায়, দুজনই একই শ্রেণির মানুষ। কিন্তু আমরা যারা লাঠির বাড়ি খাই, তারা অলিক একটা কিছু ভেবে লাঠিচার্জকারীদের শত্রু বানিয়ে ফেলি।’

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছে সিনেমা নীল মুকুট। সিনেমাটির মাধ্যমে চিত্রের নতুন ভাষায় কথা বলতে চেয়েছেন পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন।

সিনেমাটি দেখার পর এর নির্মাণপদ্ধতি ও পরিকল্পনা নিয়ে জানার ইচ্ছা হয়েছে অনেকের। অনেক দর্শক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে।

এমন কিছু বিষয় নিয়ে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

  • কামার আহমাদ সাইমন। আপনার নামে তিনটি শব্দ। আপনার কাছের মানুষরা কোন শব্দটি বেছে নেন আপনাকে ডাকার ক্ষেত্রে। আমরাও আপনাকে সেই নামে সম্বোধন করতে চাই। আপনার কাছের হওয়ার খায়েশ আছে আমাদের।

দশ-বারো বছর স্কুলের যে জীবনটা যায়, যেখানে আমার নাম কামার এবং কামার নামেই সেখানে সবাই আমাকে ডাকে। কামার একটি আরবি শব্দ এবং এটা নিয়ে অনেক সময় আজেবাজে কথা শুনতে হয়েছে। ছোটবেলায় বন্ধুরা যখন কামার বলে ক্ষ্যাপাত তখন খুব মন খারাপ হতো।

পরে বুয়েটে গিয়ে সাইমন নামটা আমি বেশি ব্যবহার করেছি। বুয়েট থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর একটা অন্য চিন্তায় কামার নামটি আবার ব্যাক করে। তখন আমি আবার কামার নামটি বলা শুরু করি।

যখন দেখলাম ছবি বানাতে যাচ্ছি, তখন দিনরাত যে অমানুষিক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যাই, তখন নিজেকে কামারবাড়ির সেই হাঁপর চালানো মানুষটার সঙ্গে মিল খুঁজে পাই। আমাদের চলচ্চিত্রযাত্রাটা অনেকটা সে রকমই।

কামারশালায় সিনেমা যাপন বলে একটি ব্লগ লেখা শুরু করি এবং কামার নামটাকে রি-ডিসকভার করা শুরু করি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হব যদি কেউ আমাকে কামার নামে ডাকে।

নীল মুকুট: ইউনিফর্মের ভেতরে থাকা পারিবারিক মানুষের গল্প
চলচ্চিত্র বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলছেন কামার আহমাদ সাইমন। ছবি: সংগৃহীত

  • আপনার সিনেমার প্রসঙ্গে আসি। আপনার পরিচালিত সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমার নাম নীল মুকুট। নীল রঙের মুকুটটাই কেন পরাতে চাইলেন আপনি?

আমি সিনেমায় যে বর্গকে নিয়ে কাজ করেছি, তাদের পোশাকের মধ্যে নীল রঙের প্রাধান্য রয়েছে। তারা যে মিশনে গিয়েছে, সেখানেও একটি নীলের ব্যাপার আছে। এ দুটি বিষয় হলো আক্ষরিক অর্থে সিনেমার নামকরণ নীল মুকুট করার কারণ।

কিন্তু যদি একটু ভেতরের দিকে তাকাই। নীলের মধ্যে ব্যথার একটা প্রকাশ আছে, কবিতায় এই বিষয়টি প্রকট, ওই জায়গা থেকে আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল নীল মুকুটটা বেশি অ্যাপ্রোপিয়েট।

মুকুটটা যে আপনি পরলেন সেটা আনন্দে পরলেন, না বেদনায় পরলেন সেটার একটা ব্যাপার আছে। যে পাওয়ারের জন্য মুকুটটা পরা হলো, সেটা কি তিনি কনজিউম করলেন, এমন একটি প্রশ্ন আমার সিনেমার মধ্যেও আছে।

আমার কাছে মনে হয়েছে সিনেমাটি একটু বেদনাতুর, একটু নীলচে, সেখান থেকেই সিনেমার এমন নামকরণ।

  • পোস্টারে দেখেছি নীল মুকুট সিনেমাটিকে বলা হচ্ছে ডকু-ড্রামা।

না, পোস্টারে কোথাও মনে হয় এমন লেখা নাই। প্রেসে অনেক জায়গায় নীল মুকুটকে ডকু-ড্রামা বলা হয়েছে।

  • আপনি নীল মুকুটকে কী বলতে চান?

আমি এটাকে সিনেমা বলতে চাই। নীল মুকুট যেহেতু রানিং সিনেমা, এর অনেকগুলো মিথ আছে। সেগুলো আমি এখনও ভেঙে দিতে চাই না।

সিনেমা বানাতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে যে সিনেমার প্রয়োজনে যেখানে আমার ফিকশন লাগবে সেখানে ফিকশন, যেখানে ড্রামা লাগবে সেখানে ড্রামাটাইজ করব, যেখানে আমার ডকুমেন্ট্রি লাগবে, সেখানে আমি ডকুমেন্ট্রি ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করব।

  • প্রচলিত ধারণায় সিনেমা নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই তার একটি স্ক্রিপ্ট লাগবে। নীল মুকুটের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ছিল কি না?

প্রচলিত অর্থে সিনেমার যে সিন বাই সিন সাজানো, সংলাপ সেসব আমার শুনতে কি পাও, নীল মুকুট বা যে সিনেমাটি আসছে অন্যদিন বলে, সেখানে এমন স্ক্রিপ্ট নাই।

একই সঙ্গে উল্টোটাও বলি, কোনোটাই কাগজের বাইরে নয়। অনেক অনেক প্ল্যানিং, সেগুলো লেখা এবং শুট করার সময় আমরা চাচ্ছি যে এখানে এই আলোচনা থাকবে, এখানে চরিত্রগুলো এমন করবে।

মজাটা কিন্তু সেখানেই, যেখানে দর্শকের দেখে মনে হবে আমি কিছু করি নাই কিন্তু আমি মূলত অনেক কিছু করেছি। সাজানো তো সেটাই সুন্দর, যেটা দেখে আপনাকে সুন্দর লাগবে কিন্তু মনে হবে না যে আপনি সেজেছেন।

  • যদি ধারণা করে বলি, যে ঘটনা যেভাবে গেছে ক্যামেরা বা পরিচালক সেইভাবেই এগিয়ে গেছেন। সেখানে পরিচালকের আসলে কী করার ছিল?

যেটা ঘটছে সেটাই যদি আমি ক্যামেরায় ধরি, তাহলে তো আমার কোনো কাজ নাই।

নীল মুকুট: ইউনিফর্মের ভেতরে থাকা পারিবারিক মানুষের গল্প
শুটিং এর সময় কামার ও তার ইউনিট। ছবি: সংগৃহীত

  • এটা আমাদের বিস্ময় বলতে পারেন যে, কামার কি আসলে ঘটনার পেছনে দৌড়াল, নাকি ঘটনা তৈরি করে তার পেছনে দৌড়াল?

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডেফিনেটলি আমি ঘটনার পেছনে দৌড়াইছি। যেমন সিনেমায় একটি ছাগলের সিকোয়েন্স আছে, সেটা শুট করতে আমি ছাগলের পেছন পেছন দৌড়াইছি।

এমন অনেক ব্যাপার আছে যা যেভাবে এসেছে আমি সেভাবে নিয়েছি। বলতে পারেন জীবনের রস চুরি করেছি। আর অনেক কিছু প্ল্যান করে নেয়া কিন্তু সেগুলো আমি বলতে পারব না কারণ সেই মিথটা আমি ভাঙতে চাই না।

  • নীল মুকুট সিনেমায় সচেতনভাবে আপনার কিছু ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল কি?

হ্যাঁ, একটা বিষয় তো সাংঘাতিকভাবে ছিল। এই পোশাক পরা মানুষগুলো সম্পর্কে সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে আমার যে পারসপেকটিভ, যেখান থেকে আমি একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম।

এই গল্পটা অনেক জায়গায় বলেছি। আমি বিমানে হঠাৎ করে কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। সেটা ট্র্যাক করে দেখলাম যে একজন ইউনিফর্ম পরা মানুষ কাঁদছেন। ওই দৃশ্যটা দেখে আমার সিনেমাটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত।

আমার মনে হয় সেটা আমারই সীমাবদ্ধতা যে, আমি ভেবে নিয়েছিলাম ইউনিফর্ম পরা একজন সে তো মানুষ না। সে কেন কাঁদবে বরং আমি তাকে দেখে কাঁদব। এই যে একটা ভুল ধারণা, সেটা আমাকে ভীষণভাবে ধাক্কা দিয়েছে।

ধরেন শাহবাগে যে পুলিশ আমাকে লাঠিচার্জ করে সে তো আসলে বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির থাকে। সে তার পরিবারের কাছে যেতে চায়। পারে না, কারণ তাকে ওই কাজটি করতে বলা হয়েছে। যিনি বলেছেন, তিনি আবার তার ওপরের কারও কাছ থেকে সে কাজের নির্দেশ পেয়েছেন।

এখন যে লাঠিচার্জ করে আর যে লাঠির বাড়ি খায়, দুজনেই একই শ্রেণির মানুষ। কিন্তু আমরা যারা লাঠির বাড়ি খাই, তারা অলিক একটা কিছু ভেবে লাঠিচার্জকারীদের শত্রু বানিয়ে ফেলি।

কিন্তু তারা যে আমাদের মতোই, তাদের পরিবার আছে, হাসি-কান্না আছে, আমি সচেতনভাবে সেটাই দেখাতে চেয়েছি।

  • সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে যাওয়ার সুবিধা কী?

ঢাকা শহরে গত বিশ বছরে আমরা যারা বেড়ে উঠেছি, তারা তো এই বাস্তবতা মেনেই বড় হয়েছি যে চাইলেও পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না আপনি। এটা নির্মম বাস্তবতা। আমি কালকে যদি আরেকটি কাজের কথা বলি, পুলিশ সেই সুযোগ আমাকে চাইলেও দিতে পারবে না।

বাইরে যাওয়াটা আসলে একটা সুযোগ। কৌশলগতভাবে আমি সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি। এসব অনুমতি পেতে অনেক কাঠ-খর পোড়াতে হইছে।

বাইরে যাওয়ার কারণে আরেক সুবিধা হইছে। সেটা হলো, আমি যে বিষয়টা তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম, দূরত্বের কারণে সে পরিস্থিতিটা তৈরি করছে।

  • ইউনিফর্ম পরা মানুষগুলো বিদেশে গিয়েছে। সেখানে তাদের দক্ষতা বা চৌকস ভাবটাও তুলে আনার কোনো সুযোগ ছিল কি?

কোনো সিনেমা কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কোনো চিত্র দেয়ার জন্য তৈরি হয় না। যদি সেটা করা হয় তাহলে সেটা প্রপাগান্ডা সিনেমা। যদি আমি পূর্ণ চিত্র দেই তাহলে মনে হবে যে আমি পেইড। আমার সেটা উদ্দেশ্য ছিল না এবং আমি পেইডও নই। আমার ভিন্ন একটা অবজেকটিভ ছিল, সেটি আমি পূরণ করার চেষ্টা করেছি।

নীল মুকুট: ইউনিফর্মের ভেতরে থাকা পারিবারিক মানুষের গল্প
কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নবীন পরিচালকদের সঙ্গে কামার আহমাদ সাইমন। ছবি: সংগৃহীত

  • প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমা দেখলে নিজেকেই যেন ছোট মনে হয়। আবার ছোট স্ক্রিনে কিছু দেখলে বড় বিষয়কেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। নীল মুকুটের ক্ষেত্রে এমন কিছু মিস হলো কি না দর্শকদের?

ঠিকই বলেছেন। থিয়েটারে বসে নীল মুকুট দেখলে আপনার ওপর যে আসরটা হবে সেটা তো ওটিটি দিয়ে সম্ভব না। এ ছাড়া এই কনটেন্টে ৫ দশমিক ১ সিস্টেমে সাউন্ড মিক্স করা। এটার তো কোনো কাজেই লাগল না। ওটিটিতে একটা স্টেরিও সাউন্ড হয়তো আপনারা পেয়েছেন।

  • ওটিটির কারণে নতুন দর্শক তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করছি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা এসেছে।

এটা ঠিক। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক জায়গায় সিনেমাটি নিয়ে লাইভে যুক্ত হতে হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যে চলচ্চিত্র সংসদ রয়েছে, সেই দর্শকরা আমাকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ওটিটির জন্য আরেকটি সুবিধা হয়েছে। যেহেতু সিনেমায় কোনো স্টার কাস্ট নেই, তাই নীল মুকুট চালানোর জন্য বেশি একটা হল পাওয়া যেত না। কিন্তু ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার কারণে অনেকে সিনেমাটি দেখতে পেয়েছেন।

  • চলচ্চিত্রের এমন ভাষায় বেশি সিনেমা আশা করছি না কিন্তু অল্প সিনেমাও দেখা যায় না। এভাবে ভাবা যাচ্ছে না, এটাই কি শুধু কারণ?

আমার চলচ্চিত্রযাত্রা খুব বেশি দিনের না, দশ-এগার বছরের একটা যাত্রা। আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন আমি এই প্রশ্ন নিয়েই কাজ শুরু করেছিলাম। আমার জনপদের সিনেমা কেমন হবে বা আমার সময়ের সিনেমার ইমেজটা কেমন হবে। এটা বলতে আমার দ্বিধা নেই যে আমার চলচ্চিত্র প্রস্তুতিতে আমি সম্পূর্ণভাবে ঋণী আমার সাহিত্যের কাছে।

ধরেন আমি যদি সৈয়দ ওয়ালীউল্লার লাল সালু পড়ি বা অদ্বৈতমল্ল বর্মনের তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাসটা পড়ি বা আমি যদি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসটা পড়ি তাহলে যে ইমেজগুলো পাই, যে ম্যাটেরিয়াল পাই, সিনেমায় এই ইমেজগুলোর সাংঘাতিক সংকট ছিল এবং আছে এখনও।

আমাদের গল্পের শূন্যতার একটা মৌলিক কারণ হচ্ছে, আমার যেটা মনে হয়, গত দুই দশক ধরে যারা সিনেমার চর্চার মধ্যে এসেছেন, তাদের সবার ওপর ইরানিয়ান, কোরিয়ান বা লাতিন সিনেমার প্রভাব রয়েছে। সেটা আমার ওপরও আছে।

কিন্তু তারা আমার কাছে মনে হয়েছে যে একটা রি-প্রোডাকশনের দিকে চলে গেছেন। এমন হয়তো হয়েছে যে আমি অরেকটি ইরানিয়ান, কোরিয়ান বা লাতিন সিনেমা বানাব। কিন্তু প্রয়োজন ছিল আরেকটা বাংলাদেশি সিনেমা বানানো।

নীল মুকুট: ইউনিফর্মের ভেতরে থাকা পারিবারিক মানুষের গল্প
শুনতে কি পাও সিনেমা নির্মাণের পর কামার। ছবি: সংগৃহীত

  • নীল মুকুট দেখার পর অনেকেই আপনার কাজ খুঁজছেন হয়তো। নতুন কাজ কবে দেখতে পাবেন দর্শকরা?

আমার দুটি সিনেমার কাজ শেষ। একটি শিকলবাহা, আরেকটি অন্যদিন। এর মধ্যে অন্যদিনশুনতে কি পাও সিনেমাটি পরপর শুরু করি। অনেকের হয়তো এখন মনে নেই অন্যদিনের কথা।

শুনতে কি পাও, অন্যদিন এবং আরও কিছু জীবন এই তিনটি মিলে ট্রিলজির প্ল্যান ছিল এবং আমার পরিকল্পনা ছিল স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বছরে তৃতীয় সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার। সে অনুযায়ী আমি অন্যদিনের শুটিং শেষ করে ফেলেছিলাম ২০১৬-১৭ সালের দিকেই কিন্তু একটু বিচিত্র ঘটনার কারণে প্রায় পুরো শুটিংটা করার পরেও আমার রেখে দিতে হয়েছে। আশা করছি আগামীতে সিনেমাটি দর্শকরা দেখতে পাবেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

বিনোদন
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

বিনোদন
Akshay apologized

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

বিনোদন
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

বিনোদন
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে