ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট ছাড়া হয় ওপেনিং জুটি। মাঝের ব্যাটসম্যানরাও সুবিধা করতে পারেননি। এমন অবস্থায় দারুণ দৃঢ়তা দেখান দুই তরুণ আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাদের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার হাতে আট বল ও পাঁচ উইকেট রেখেই জয়ের জন্য ১২২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। একই ভেন্যুতে আগের দিন সফরকারীদের ২৩ রানে হারিয়েছিল তারা।
টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সৈকতের এ কীর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
বৃহস্পতিবার আইসিসি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইসিসির বার্ষিক পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৈকতকে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেল থেকে এলিট প্যানেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আইসিসি আম্পায়ারদের ‘ইমার্জিং’ প্যানেলের ওপরের দিকে ছিলেন সৈকত। সেখান থেকে যে কয়জন আম্পায়ার এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন, তাদের চেয়ে এগিয়েই ছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস অবসরে গেছেন। তার অবসরের পর জায়গাটি ফাঁকা পড়ে ছিল। সেই জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সৈকত।
এক্ষেত্রে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার-ক্রিকেট ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের সাবেক আম্পায়ার টনি হিল এবং কনসালট্যান্ট অফিসিয়েটিং এক্সপার্ট মাইক রাইলি বড় ভূমিকা রেখেছেন।
কারণ তাদের পরামর্শেই আইসিসি এলিট প্যানেলের দরজা খুলে গেছে সৈকতের। তারা আইসিসির একটি নির্বাচক প্যানেলে আছেন। তাদের ওপরই দায়িত্ব ছিল এলিট প্যানেলের জন্য একজন আম্পায়ারকে নির্বাচিত করার।
এলিট প্যানেলে যোগ দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত সৈকত।
আইসিসিকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমার দেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এই প্যানেলে আসতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমার ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে তার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করব। কয়েক বছর ধরে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তার মাধ্যমে সামনে দিনের চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত।’
২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় সৈকতের। এরই মধ্যে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ইতোমধ্যে একশর বেশি ম্যাচ পরিচালনা করে ফেলেছেন তিনি।
আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের মতো অভিজ্ঞতাও তার ঝুলিতে রয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার।
শুধু তা-ই নয়, গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
এক নজরে আইসিসির এলিট প্যানেল অফ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি
আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) এবং জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) এবং জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ নারী দল।
বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ১১৮ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিল টাইগ্রেসরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষীক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল নিগার সুলতানার দল। এই প্রথমবার ঘরের মাঠে প্রথম কোন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা। তবে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে এই নিয়ে তৃতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলো টাইগ্রেসরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে সিরিজে প্রথমবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সুমাইয়া আকতার। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ৫ রান করা ফারজানা হক।
৮ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুরশিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু ২৮ বলে ১৬ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। ২১ বলে ১টি চারে ৮ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুরশিদা।
১১তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ নম্বরে নামা রিতু মনি ১ ও ফাহিমা খাতুন খালি হাতে বিদায় নেন। এতে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন নিগার ও স্বর্ণা আকতার। সাবধানে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা।
কিন্তু দলীয় ৫৩ রানে বিচ্ছিন্ন নিগার ও স্বর্ণা। ২টি চারে ৩৯ বলে ১৬ রান করেন নিগার। জুটিতে ৩৯ বলে ২১ রান যোগ করেন নিগার ও স্বর্ণা।
এরপর ১০ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যাবার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৬৩ রানে নবম উইকেট পতন হয় তাদের। কিন্তু দশম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর চড়াও হন শেষ দুই ব্যাটার সুলতানা খাতুন ও মারুফা আকতার। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১শর রানের এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুলতানা আউট হলে ৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ২২ বল খেলে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন সুলতানা-মারুফা। ২টি চারে ১০ রানে সুলতানা আউট হলেও ১টি বাউন্ডারিতে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফা। অস্ট্রেলিয়ার কিম গ্যারেথ ১১ রানে ও অ্যাশলে গার্ডনার ২৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
৯০ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ বল বাকী রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া নারী দল। নবম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট শিকার করেন অফ-স্পিনার সুলতানা। ফোবি লিচফিল্ডকে ১২ রানে আউট করেন সুলতানা। ১৩তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ৩৩ রানে আউট করেন লেগ-স্পিনার রাবেয়া খান। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন এলিসা পেরি ও বেথ মুনি। পেরি ২৭ ও মুনি ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সুলতানা ও রাবেয়া ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন গ্যারেথ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেন গার্ডনার।
সিরিজটি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিলো। এখন অবধি ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমানসংখ্যাক ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তমস্থানে আছে বাংলাদেশ। আগামী ৩১ মার্চ থেকে মিরপুরের ভেন্যুতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকছেন না হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়ে বিসিবি জানায়, দ্বিতীয় টেস্টে হাথুরুসিংহের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কোচ নিক পোথাস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারলেও ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। এরপর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
আগামী ৩০শে মার্চ চট্টগ্রামে মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্টের জন্য দলে ডাক পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই টেস্টে দলে ফিরছেন সাকিব আল হাসান, ফেরানো হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদকেও।
সাকিব ফেরায় কপাল পুড়েছে তৌহিদ হৃদয়ের। ফলে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষাটা তার আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
আগামী ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম ম্যাচে শোচনীয় হারের পর সাকিব দলে ফেরায় তাই দলের আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বাড়বে।
গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এরপর বিশ্রাম ও চোটের কারণে প্রায় এক বছর সাদা পোশাকে মাঠে নামা হয়নি তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজেও বিশ্রামে ছিলেন এ অলরাউন্ডার।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে সাকিবের পরিসংখ্যানটা দারুণ। এই ফরম্যাটে ৯ টেস্ট ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৮.১৮ গড়ে ৬১১ রান করেছেন সাকিব। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।
এ ছাড়াও দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার মুশফিক হাসান। প্রথম ম্যাচে না খেললেও চট্টগ্রাম টেস্টের আগে চোটে পড়েছেন তিনি। গোড়ালির চোটের কারণে তিনি ছিটকে যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন হাসান মাহমুদ।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
সিলেটে শুক্রবার শুরু হওয়া টেস্টের এক দিন বাকি থাকতেই শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন সোমবার পার না হতেই ৩২৮ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
সফরকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ শিবিরে ধস নামান কাসুন রাজিথা, যিনি ১৪ ওভার বল করে ৫৬ রান খরচায় তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। এ ছাড়া বিশ্ব ফার্নান্দো তিনটি ও লাহিরু কুমারা পান দুটি করে উইকেট।
টস হেরে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা করেছিল ২৮০ রান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ধনঞ্জয় ডি সিলভার ১০২ রানের পর দ্বিতীয়টিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৮ রান। দলের টেস্ট অধিনায়কের জোড়া এ শতকের সুবাদে দুই ইনিংসেই রানের ভিত মজবুত করার সুযোগ পায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ করে পাঁচ শর বেশি রানের লিড নিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
দলটির দেয়া বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের চেয়ে কম ১৮২ রান করে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম টেস্টে পরপর দুই সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে মূল ভূমিকা রাখা ধনঞ্জয় ডি সিলভা হয়েছেন প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল সংগ্রহ করতে না পারলেও এরই মধ্যে আড়াই শর বেশি রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচের তৃতীয় দিন রোববার এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৫১ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সফরকারী দলটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের চাকা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দুই শর আগেই স্বাগতিকদের সব উইকেট তুলে নেয়া শ্রীলঙ্কা লিড পায় ৯২ রানের, তবে প্রায় ১০০ রানে এগিয়ে থাকা দলটি দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখাতে পারেনি।
দলীয় ১৯ রানে নিশান মাদুশকা আউট হওয়ার পর ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। এ ছাড়া ৬০ রানের মাথায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ৬৪ রানের সময় প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিনেশ চান্ডিমাল।
এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন দিমুথ করুণারত্নে। তার ৫২ রানের সুবাদে ধীরে ধীরে রান বাড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার। এর সঙ্গে অপরাজিত দুই ব্যাটার ধনঞ্জয় ডি সিলভার ৫৪ ও কামিন্দু মেন্ডিসের ২৫ রান লিড বাড়াচ্ছে সফরকারীদের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
সিলেট টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার করা ২৮০ রানের জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম দিন শুক্রবার ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করে স্বাগতিকরা। মাঠে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটাররা।
চতুর্থ উইকেটে দলীয় ৫৩ রানে মাহমুদুল হাসান জয়ের পতনের পর লিড নেয়ার মতো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
তাইজুল ইসলামের ৪৭ ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি কেউই। এর ফলে ৯২ রানে পিছিয়ে থেকেই প্রথম ইনিংসে থামতে হয় টাইগারদের।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্ব ফার্নান্দো চারটি এবং কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা তিনটি করে উইকেট পান।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আফিফ ও সোহান দারুণ খেলেছে, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে পরিপক্বতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের সামনের সারির চার বোলারই ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়াকে ১২০ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেখিয়েছে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললে আমরা কিছুটা চিন্তায় পড়ে যাই। তবে আফিফ ও সোহানের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি আসে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সব সময়ের মতো আজও মুস্তাফিজ ভালো খেলেছে এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। শরীফুলও দারুণ বল করেছে। সব বোলার ভালো করেছে। সিরিজে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
ম্যাচ সেরা আফিফ বলেন, ‘আমি উইকেটে নামার পর ভেবেছি যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। জানতাম, রান রেট যাই দাঁড়াক টিকে থাকলে আমি ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা জানতাম, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। উইকেট ধরে রাখতে হবে। সোগান ভাইও ভালো খেলছিলেন। তাই আমার ওপর খুব একটা চাপ ছিল না।’
৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ৩৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন জিতে নিয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। চাপের মধ্যে অসাধারণ ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসানের বিদায়ে ফিকে হওয়া স্বপ্ন আবার বড় করে তুলেছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসান। আস্কিং রেটের চেয়ে বেশি হারে রান তুলে ১২২ রানের লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ১৫ ওভার ৩ বলে শতরানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ে যার ওপর ভরসা ছিল বেশি, সেই মেহেদী হাসানও ফিরলেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ তম বলে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে বসেন তিনি। উইকেট কিপার ম্যাথিউ ওয়েড সুযোগ কাজে লাগান। মেহেদী উইকেটে ফেরার আগেই ভেঙে দেন স্ট্যাম্প।
সাকিব আল হাসান যেখানে দলকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে কোনো অবদান না রেখে রিক্ত হস্তে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বা হাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে চারটি বলও নষ্ট করেছেন তিনি।
২ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে যখন জয়ের পথে ছুটে চলা, তখন হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
অজি পেইসার এন্ড্রু টাইয়ের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন সাকিব আল হাসান। তার আগে অবশ্য বেশ দ্রুতলয়ে রান করে বাংলাদেশকে একটি স্বস্তিকর অবস্থানে রেখে এসেছেন তিনি। ১৭ বলে ২৬ করেছেন তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্যে লেখতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পরে ৫৮ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান। ৮ ওভার ৩ বলে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের প্রয়োজন আর বাকি ৬৪ রান।
দুটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভরসা হিসেবে ক্রিজে সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান।
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪১। লক্ষ্য ১২২। এই হারে রান তুলতে পারলে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন কঠিন হবে না মোটেও।
লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে নেই দুই উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জশ হেইজলউডের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নাঈম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনার আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামরা। ম্যাচটিতে টাইগারদের জিততে চাই ১২২ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
মুস্তাফিজুর রহমানের সফল এক ওভারের পর বল হাতে তুলে নেন পেইসার শরীফুল ইসলাম। এসেই সাফল্য দেখালেন। ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন। ম্যাচে এটা শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পর পর দুই বলে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ম্যাথু ওয়েড এবং অ্যাস্টন অ্যাগারকে ফেরান তিনি। এতে আরও বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন পেইসার শরিফুল ইসলাম।সফরকারীদের স্কোর ৯৯ রানে ৪ উইকেট।
৪২ বলে ৪৫ রান করা মার্শ ফিরে যাওয়ায় অজিদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। তারা ১০০ রান করতেই খরচ করে ফেলেছে ১৬ ওভার ২ বল। রান রেট ৬ এর সামান্য বেশি।
১৫ তম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান মোয়েজেস এনরিকেস।
দুই উইকেট ফেলার পর নতুন করে কাউকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশি বোলাররা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
ওভার প্রতি ৬ এর কিছুটা বেশি গতিতে রান করছে সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে তারা দুই উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৮৭।
ফিলিপ ১৪ বল খেলে করেছেন ১০ রান আর ক্যারি ১১ বলে করেছেন ১১ রান।
মাঝারি রান তাড়া করে বেশ বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি মাথায় রেখে এবার টসে দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট খুইয়ে বসে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানেই সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরান ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে।
মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে আগে হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরাই ছিল এতদিন। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: জশ ফিলিপে, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, মোয়জেস এনরিকেস, অ্যাস্টন টারর্নার, ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জশ হেইজলউড।
মন্তব্য