করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কঠোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মেনে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। চার বছর পর বাংলাদেশে আসছে তারা।
বৃহস্পতিবার সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৬ দিনে ৫টি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ সিরিজে খেলতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম। খবরটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান আকরাম খান।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) এর সঙ্গে সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশের চুক্তি ছিল যে, দুই দলই ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করবে যা শুরু হয়েছে ২০ জুলাই থেকে।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ওই সময়ে সফরে থাকায় বাংলাদেশের কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে হারারে থেকে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে সেইন্ট লুসিয়া থেকে।
বাংলাদেশে এসে দুই দলের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ও বায়ো বাবলে থাকা অবস্থা ১ আগস্ট থেকে সিরিজের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা। ৩ আগস্ট শুরু সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
তবে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুশফিককে জিম্বাবুয়ে থেকে আগেই দেশে ফিরে আসতে হয়। পারিবারিক ব্যস্ততা শেষে ২২ জুলাই তিনি বিসিবির কাছে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশের আবেদন করেন।
বিসিবির আপত্তি না থাকলেও, বাধ সেধেছে সিএ। তারা চুক্তি অনুযায়ী ১০ দিন কোয়ারেন্টিন চায় অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের।
যে কারণে মুশফিকের ইচ্ছা থাকার পরও সিরিজে তাকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না জানান আকরাম খান।
বলেন, 'ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়ারেন্টিন নিয়ে আমাদের চুক্তি আছে। যে কারণে আমরা মুশফিককে দলে রাখতে পারছি না। দুই দিন পর মুশফিকের কোয়ারেন্টিন শুরুর আবেদনে তারা রাজি হয়নি।'
দুই দল ঢাকায় নেমে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলের বায়ো বাবলে প্রবেশ করবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল বিসিবির কোভিড নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে তাদের অনুরোধে দুই ভেন্যুর বদলে একটি ভেন্যুতেই হচ্ছে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ।
বিসিবি প্রথমে চট্টগ্রামে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে। সবগুলো ম্যাচ হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
অস্ট্রেলিয়া দল কঠোর কোভিড প্রটোকল বজায় রাখবে। তাদের যাত্রা পথে যেনো সংক্রমণের শঙ্কা না থাকে সেজন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বিমানবন্দরের টারমাকে শেষ করে সেখান থেকে সরাসরি হোটেলে আসার অনুরোধ রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন:শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্যানারে ধারাবাহিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লালকার্ড দেখিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে অনুষ্ঠিত আন্দোলন কর্মসূচি থেকে প্রশাসনকে এই লালকার্ড দেখানো হয়।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অবন্তিকার অভিযোগপত্রকে অবহেলা করেছেন সদ্য সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। তিনি অবন্তিকার অভিযোগ আমলে নিলে আজ হয়তো ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি হতো। এই শিক্ষককে তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
লালকার্ড প্রদর্শনীতে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাওসিফ বলেন, ‘এই প্রক্টর অফিসে কী না হয়েছে? আগের প্রক্টর মোস্তফা কামাল কি করেননি? রিকশাচালকের ওপরও অত্যাচার করা হয়েছে।
‘প্রক্টর অফিসের ভূমিকাটা যেখানে অভিভাবকের মতো হওয়ার কথা সেখানে হয়েছে পুরো উল্টো। এই কাঠামো আমরা ভেঙে দিতে চাই। আমরা প্রশাসন থেকে একটা শক্ত অঙ্গীকার চাই। সর্বোপরি অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলকে ঢালাওভাবে সাজাতে সাতদিনের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তারা।
আইন বিভাগের শোকসভা
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অবন্তিকার অকাল মৃত্যুতে আইন বিভাগের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসভায় উপাচার্য বলেন, ‘অবন্তিকা একইসঙ্গে মেধাবী শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। তার অকাল মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের নাম সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে। অবন্তিকার মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বস্তুনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজব্যবস্থার কারণেই নারী আত্মহননের পথ বেছে নেয়। আজও নারীদের মানুষ না ভেবে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নারীদের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
‘একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তার পরিবার ছেড়ে আসে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের শিক্ষকদের এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।’
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন এবং চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে প্রতিটি বিভাগে যৌন নিপীড়ন অভিযোগ বাক্স বসানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধীন যা যা করা সম্ভব তা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপীড়ন সেল যথাসম্ভব কার্যকর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিভাবক হওয়ার পর আমি নিজেও বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। আমার নামে ফেসবুকে অনেক বাজে কথা লেখা হয়েছে। এসব এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘তবে আমাকে যে বুলিং করা হচ্ছে সেটা আমি নিতে শিখে গেছি। কেননা নারীদের নিয়ে কথা বলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক থাকার সময় থেকেই আমি বুলিংয়ের শিকার হয়ে আসছি। আজ আমি আর কারও কাছে মাফ চাইতে যাব না। আমি মাফ চাই আমার শিক্ষার্থীদের কাছে। আমার বিশ্বাস আমার শিক্ষার্থীরা আমাকে মাফ করবে।’
অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনো শিক্ষার্থী যেন মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যতনের শিকার না হন সে দাবি জানান তারা। তার স্মরণে বিভাগটি দু’দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধের দায় কেবল নারী সংগঠন বা ছাত্র সমাজের নয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে। মাত্র ৯ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। বাকি ৯১ শতাংশ শিক্ষককে এসব শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট প্রণীত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত রায়কে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে অনুমোদন দিতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা দিতে হবে। নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে।’
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর হার সমান থাকার পরও সেখানে ক্রমাগত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে থাকা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ না থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং একইসঙ্গে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নেরও পরিপন্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায় না বরং শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ের তৎপরতা দেখা যায় যা প্রকৃত শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।’
উপস্থিত অন্যান্য বক্তা বলেন, নারীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে ঘটনা ঘটার আগেই পরিবার, শিক্ষকদের প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। এছাড়াও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দূর করে অপরাধীদের দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে কুপিয়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ওই আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও ত্রিশাল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলার ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন ভোর চারটার দিকে জেলার ভালুকা থানাধীন সিডস্টোর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ত্রিশালের ধানীখোলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকার মূল আসামি ৫৯ বছর বয়সী বেদেনা খাতুন, তার ৪৪ বছর বয়সী ছেলে হারুন মিয়া ও ২৫ বছর বয়সী মো. নাঈম।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আহত তিন পুলিশ কর্মকর্তা এখন শঙ্কামুক্ত।’
এর আগে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বেদেনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে যান থানার ৩০ বছর বয়সী উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন, ৩৫ বছর বয়সী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রসুল এবং ৩৯ বছর বয়সী এএসআই রাকিব। আসামিকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে হারুন ও নাঈম তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার দুপুরে এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় মেহেদী হাসান রাকিব নামে এক যুবককে মারধরের মামলায় চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত এ আদেশ দেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেনারেল রেকর্ড অফিস (জিআরও) শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তাহের বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানার মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে অপহরণ, মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ মামলার বাদী মেহেদী হাসান রাকিব চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে একুশে ড্রাগ হাউজ নামে একটি ফার্মেসিতে ছিলেন। এ সময় সেখানে থাকা বন্ধু অভিজিতের মোবাইলে ফোন করে কথা বলতে থাকেন কাউন্সিলর টিনু। পাশে মোবাইলে অন্যজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাকিবও।
কণ্ঠস্বর শুনে টিনু অভিজিতের কাছে তার পাশে থাকা ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান। রাকিবের নাম শুনে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং তার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কথোপকথনের কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫-৬টি মোটরসাইকেলে করে ১৫-২০ জন যুবক ফার্মেসির সামনে আসেন।
রাকিবকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে কাপাসগোলা এলাকায় চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাউন্সিলর আগে থেকেই বসা ছিলেন। রাকিবকে চেয়ারে বসিয়ে কয়েকজন যুবক ঘিরে ধরেন এবং কাউন্সিলর তাকে মারধর করেন ও হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ থানায় কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন রাকিব।
আরও পড়ুন:বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে ধানখেতে পাতা হয়েছিল ইঁদুর মারার ফাঁদ। সেখানে সবজি তুলতে গিয়েছিলেন বাড়ির বউ। নিজের অজান্তে ওই ফাঁদ স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাকে বাঁচাতে গিয়ে একই ফাঁদে আটকে যান শাশুড়িও। সেখানেই চিরবিদায় নিয়েছেন দুজনই।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে খুলনার দাকোপ উপজেলার হরিণটানা গ্রামে বউ ও শাশুড়ির এমন মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন হরিণটানা গ্রামের চিত্তরঞ্জন গাইনের স্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী চপলা গাইন ও তার পুত্রবধূ ৩৬ বছর বয়সী টুম্পা গাইন।
এ প্রসঙ্গে দাকোপ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, ‘ধানখেতে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। রেকর্ড দাম হওয়ার পর কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ৭ মার্চ ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৩ দিন রেকর্ড দামে বিক্রির পর এখন স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে বাড়ি হস্তান্তরে তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) অন্যান্য সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ হয়েছে যে সালাম মুর্শেদী গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেটি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।
আব্দুস সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘জনস্বার্থের মামলায় বাড়ি ছেড়ে দেয়ার রায় বিরল। এর আগে কখনও উচ্চ আদালত এরকম রায় দেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুলশানের এই বাড়ি সালাম মুর্শেদীর দখলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।
রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ২০২২ সালের ৪ জুলাই আবারও চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দিয়ে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রিটের পর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত রুল জারি করে আদেশ দেয়। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আর বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে পাশাপাশি আদেশ ও কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুদক যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন ঠিক করে।
বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে নিয়ে তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
‘বিদেশি প্রভুদের তোষণ, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং নির্বাচন বানচালের সংবিধানবিরোধী অপরাজনীতি ছেড়ে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করুন।’
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
মন্তব্য