আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ পৌঁছে যাওয়া তুঙ্গে। সেই উত্তেজনা দেখা গেল মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে।
যে ঘটনা ঘটল, সেটি বিতর্কিত। আর সে বিতর্কের জন্মটা দিলেন সাকিব। এমন ঘটনা অবশ্য তার ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়।
ঘটনা আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। মোহামেডানের বেঁধে দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুভাগত হোমের বোলিং তোপে তিন ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী।
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে তাকে ছয় মারেন আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, পরের বলেই চার। শেষ বলে অবশ্য মুশফিককে পরাস্ত করে তার প্যাড আঘাত হেনেছিল সাকিবের বল।
কিন্তু লেগ বিফোরের জন্য সাকিবের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। আর তাতেই সাকিব লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন বোলিং প্রান্তের স্টাম্প।
আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কও করেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর সতীর্থরা তাকে সরিয়ে নেন।
ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি নামলে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন খেলা বন্ধ করার। কিন্তু তা মানতে চাননি সাকিব। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে করতে ক্ষোভ দেখিয়ে বোলিং প্রান্তের তিনটি স্টাম্প তুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন তিনি। রাগান্বিত ভঙ্গিতে তর্কও করতে থাকেন আম্পায়ারের সঙ্গে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের তর্কের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুরের হয়ে খেলার সময় আম্পায়ার তানভির আহমেদ একটি আবেদনে সাড়া না দিলে তার দিকে তেড়ে যান সাকিব, তর্ক করেন।
ম্যাচশেষে ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন, সাকিবের শাস্তি হবে কি না।
চলতি ডিপিএলে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সাকিব। তার অনুশীলনের সময় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে জৈব নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর ঢুকে পড়ে বলয়ের বাইরে থাকা একজন। সেই ঘটনায় অবশ্য সাকিব ও মোহামেডানকে কেবল নোটিশই দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিস ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আবাহনীর বিপক্ষে এই ম্যাচেই আসরে প্রথমবারের মতো ৩০ রান পেরোন সাকিব, আউট হন ৩৭ রানে। তার ৩৭ রানে ভর করে ১৪৫ রানের সংগ্রহ গড়ে মোহামেডান।
আরও পড়ুন:সম্প্রতি ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ টিকাদান ক্যাম্পেইনের টাকা আত্মসাৎ ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সঙ্গে অসদাচরণ, বিভিন্ন সময় হয়রানি, অশালীন কথাবার্তা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল মাঠকর্মী স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদনও করেছিলেন ভুক্তভোগী দাবি করা স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তবে ঘটনার প্রায় এক মাস পর অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে উল্টো কর্তৃপক্ষের রোষাণলে পড়েছেন অভিযোগকারীরা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে বদলির আদেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অভিযোগকারীরা বলছেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার কারণেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বদলির ব্যবস্থা করিয়েছেন। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই তাদের বদলির আদেশ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম ওই দুজনের বদলির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
২৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে বদলির আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মইনুল হক খান। আদেশে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাজমুন নাহারকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ওসমান গণিকে ফরিদপুরে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঠকর্মীদের গরু-ছাগল মনে করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা!
গত ২ সেপ্টেম্বর ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফাত আরার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাজমুন নাহার ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ওসমান গণিসহ ৭৪ জন মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী। এদের সবার পক্ষে অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন নাজমুন নাহার।
মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ওসমান গণি অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ অফিসে আসার পর জানতে পারলাম আমাকে বদলি করা হয়েছে। কারণ আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ করেছিলাম। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে উনিই এই বদলির অর্ডার করিয়েছেন।’
সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অশালীন বাক্য ব্যবহার ও করোনাকালে টিকা কার্যক্রমের সময় আমাদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটা লিখিত আবেদন করেছিলাম। আমার মনে হয়, আমরা স্যারের বিরুদ্ধে যে আবেদন করেছিলাম, সেটার কারণেই বদলি করা হয়েছে। এছাড়া তো আর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে জানতে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফাত আরাকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘এটা তো বলতে পারব না, কে বদলি করেছে। অভিযোগটা তো ডিজি স্যার বরাবর দিয়েছিল। এখন সেখানে কী হয়েছে, আমি বলতে পারব না এই মুহুর্তে। অনেক সময় ওখান থেকে কপি দেয়, আবার দেয় না।’
তবে অভিযোগের পর ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না- সে বিষয়েও তিনি জানেন না বলে জানান।
বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক বদলি। বহুদিন একটা জায়গায় থাকলে যেটা হয়।’
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিরুদ্ধে করা অভিযোগের পর কোনো তদন্ত হয়েছে কি না- প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। বলেন, ‘সেই অভিযোগের তদন্ত হবে। সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে কেন নির্বাচন হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হবে না, এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যদি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না যায়, তাহলে এই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ চলমান এক দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
সমাবেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রথম কমিটিতে আমি ছিলাম শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। সেই কমিটিতে একজন সাবেক বিচারপতি, যদিও তখনও বিচারপতি হননি, ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক। তিনি পরে ১৯৭৯ সালে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ওকালতি শুরু করেন। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবেও তিনি যোগ দেন। তারপর অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে প্রধান বিচারপতি হয়ে ২০০৬ সালে অবসরে যান।
‘১৯৭৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই সময়টাতে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ওই বিচারপতি। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলো- তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
‘২৬ বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে?’
বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, ‘এজন্যই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনঢ়। আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তাদের (সরকার) ভরাডুবি হবে- এজন্যই তারা বারবার সংবিধানের ধোয়া তুলছে।’
‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে সরকার বিপদে আছে’ দাবি করে বিএনপির নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিপদে আছে যে তারাই (সরকার), এটা বোঝা যায়। বিভিন্ন বক্তৃতায় তারা চাপাবাজি করে। অথচ তাদের ছেলে-মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছে না, ফিরে আসতেছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলতেছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে বলছেন এই সব স্যাংশন, এই সব রেস্ট্রিকশসন আমরা পরোয়া করি না।’
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। তাই যাদের কারণে আমাদের এই লজ্জা, তাদের আর বহন করার কোনো প্রয়োজন নাই।’
সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা জনগণের পক্ষে আছি, জনগণও আমাদের পক্ষে আছে। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ বলতেছে, কেউ বলতেছে না। বাংলাদেশের জনগণ শুধু নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু যারা এখনও রাস্তায় নামছেন না, তাদের বলি— এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। এই সরকারের পতন হবেই হবে।
‘যারা এই সরকার পতনের আন্দোলনে আছেন, তারা স্বৈরাচারের পতন করেছেন বলে গৌরব করবেন। আর যারা আন্দোলনে আসছেন না, তারা এক সময় আক্ষেপ করবেন আর বলবেন— আহা! স্বৈরাচারবিরোধী এই আন্দোলনে থাকতে পারলাম না!’
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘খালেদা জিয়া পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। তিনি জীবনে কখনও পালিয়ে যাননি। চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরে এসে আবারও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।’
এদিকে নির্ধারিত সময় বেলা ২টার আগেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জমায়েতের ফলে গাবতলী বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন ব্যস্ত সড়কের অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। নেতা-কর্মীদের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে বারবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে বলা হলেও তাতে খুব একটা সাড়া দেননি তারা।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নানা মতের জগাখিচুড়ি ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো যাবে না। শেখ হাসিনা ডাক দিয়েছেন। লাল-সবুজের পতাকা হাতে অক্টোবর মাসে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। বিএনপিকে এই ৩৬ দিন দাঁড়াতে দেবো না। সব জায়গা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের, শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে থাকবে।
‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবিরোধী স্লোগান দেন তারা।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন অক্টোবরে নাকি ভাগ্য নির্ধারণ হবে। বিএনপির ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি। তারা আমাদের ভাগ্য কী নির্ধারণ করবে।
‘বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। এক দফা, সাতাশ দফা, বাইশ দফা ও গণতন্ত্র ভুয়া; ওদের ক্ষমতা ও রাজপথের আন্দোলন ভুয়া।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। কাজেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নাকি মেয়াদ শেষ, অক্টোবরে নাকি সব শেষ। বিএনপির কী হবে অক্টোবরে? ১৫টা অক্টোবর দেখলাম, এবারও দেখবো। আগামী বছরও অক্টোবর আসবে, শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবেন ইনশাআল্লাহ।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা এখন তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরাও অপেক্ষা করছি- ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে দেখিয়ে দেবো। হাসিনা ম্যাজিক দেখিয়ে দেবো।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দয়া করে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অথচ মির্জা ফখরুল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন! ৪৮ মিনিটও খালেদা জিয়ার জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেননি তারা।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমেরিকাকে বলি, ট্রাম্পকে আগে সামলান। তারপর ভিসা টিসা। আমাদের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কেন মাথা ঘামান। আপনার দেশের জনমত জরিপে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি। নিজের দেশের ট্রাম্পকেই সামলাতে পারেন না। এক ট্রাম্পই আপনার ঘুম হারাম করে দিয়েছে।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, ইকবাল হোসেন সবুজ, বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বিএনপির হাঁকডাক ও আওয়াজ খালি কলসির মতো বেশি বাজে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর মিরপুর ১০ গোলচত্বর সংলগ্ন রোডে বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর বলেছিল, সরকার বড়জোর তিন মাস টিকবে। আমরা পাঁচ বছর সরকার পরিচালনা করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বলেছিল, এই সরকারও তারা টেনে ফেলে দেবে। এখন বিএনপিই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। অর্থাৎ এখন মির্জা ফখরুল সাহেব ও তাদের নেতারা যে সমস্ত কথা বলছেন, সেটি হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমি একটু আগে অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব। ওরা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব। তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেব না, তাদের শিক্ষা দেব আমরা।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন যে, ভিসা নীতিতে তাদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তিনি জানেন, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে যে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের ওপর এ নীতি প্রয়োগ হবে। আর যাদের ওপর ইতোমধ্যেই ভিসানীতি কার্যকর করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যে বিরোধী দলের নেতারাও আছেন, সেটি ফখরুল সাহেব জানেন না। জানলে এ কথা বলতেন না।’
‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং আমাদের সঙ্গে এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ হচ্ছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, জো বাইডেন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেছেন এবং নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীকে নৈশভোজোর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জো বাইডেন সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে ছবি তুলেছেন, ছবিই কথা বলে, আমরা ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বহু দেশের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে। তারা নাইজেরিয়ার ওপর ভিসানীতি কার্যকর করেছে, ওই সরকারের কিছু হয় নাই, কম্বোডিয়ার ওপর কার্যকর করেছে, ওই সরকারেরও কিছু হয় নাই। উগান্ডার ওপরও তারা ভিসানীতি কার্যকর করেছে, তাদেরও কিছু হয় নাই।
‘কিউবার ওপর ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিসানীতি কার্যকর ছিলো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১শ’ মাইল দূরে কিউবার কিছু হয় নাই। সুতরাং এই ভিসা নীতি নিয়ে এতো কিছু মাতামাতি করার কোনো কারণ নাই।’
নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে হাছান বলেন, ‘এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। আমি নেতা-কর্মীদের বলব, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রামের দল। আমরা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে রেখেছিলাম।
‘আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগ কোনো কিছুকে পরোয়া করে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আবার ধস নামানোর বিজয়ের মাধ্যমে আমরা সরকার গঠন করবে।’
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে যদি না আসেন তাহলে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন মায়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অনেকে এ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
জঙ্গিভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছা ও আরসার সদস্যসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব। জব্দ করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
বুধবার দুপুরে র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া উপজেলার তেলখোলা-বরইতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের রাস্তার মুখোমুখি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১৫। এ সময় বিস্ফোরকসহ মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামে দুজনকে আটক করা হয়। তারা দুজনই বাংলাদেশি।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ আরসার অন্যতম কমান্ডার ও আরসার জিম্মাদার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ক্যাম্প-৪ এর আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসুকে আটক করে র্যাব। সেখান থেকে মোট ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৪টি পিস্তলের বুলেট, ৩টি ওয়ান শুটার গানের বুলেট এবং ২টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, আরসার শীর্ষ নেতারা বালুখালী রোহিঙ্গ ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। এছাড়া তারা এসব কাজ করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান করত।
আটক কৃষক শফিক ও টমটম চালক সিরাজ বিস্ফোরক দ্রব্য কৌশলে সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এনে সংরক্ষণ করে রাখতো এবং সুবিধাজনক সময়ে আরসার সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করত।
আটক হওয়া অপর দুই আরসা কমান্ডার রহিমুল্লাহ ও শামছুল আলম মিয়ানমারের নাগরিক।
অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পে অবস্থান করে তারা দলের সদস্যদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতো। চাঁদা না পেলে অপহরণ করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করত। মুক্তিপণ না মিললে খুন করে গহীন পাহাড়ে অথবা জঙ্গলে মরদেহ গুম করতো।
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী রহিমুল্লাহ ২০১৭ সাল থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে মিয়ানমারে থাকা তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবার চালান নিয়ে আসত। পরে তা সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত।
রহিমুল্লাহ ২০১৮ সালের দিকে আরসা নেতা খালেদের মাধ্যমে আরসা সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেন। এরপর আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ, অপহরণ, খুন, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গোলাগুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
র্যাব জানায়, জঙ্গিবাদী এই সন্ত্রাসী মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্র ও বোমা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন। পরে আরসার গান কমান্ডার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর জিম্মাদারের দায়িত্ব পান। এছাড়া আরসার সদস্যদের বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।
র্যাব আরও জানায়, রহিমুল্লাহ আরও স্বীকার করেছেন যে ক্যাম্পের হেড মাঝি আজিম উদ্দিন ও সাব-মাঝি জাফর হত্যাকাণ্ড, এপিবিএন-এর ওপর হামলা, ক্যাম্পে মাদ্রাসায় হামলা করে ৬ জন শিক্ষক ও ছাত্রকে হত্যা, জসিম ও শফিক হত্যা, মৌলভী সামশুল আলম হত্যা, নুর হাসিম ও নূর হাবা হত্যা, সাব-মাঝি আইয়ুব হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত ছিলেন।
আটক হওয়া আরেক আরসা কমান্ডার শামছুল আলম ২০১২ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসেন। ২০১৯ সালে তিনি মৌলভী জাবেদের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আরসায় যোগ দেন। আরসায় যোগ দেয়ার পর তিনি অস্ত্র চালানো ও রণকৌশল প্রশিক্ষণ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর অন্যতম কমান্ডারের দায়িত্ব পান। এই সন্ত্রাসী বিভিন্ন সময়ে আরসার শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় টার্গেট কিলিং, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং মুক্তিপণ না পেলে হত্যা করে মরদেহ গুম করতেন।
এছাড়াও ক্যাম্পে হেড মাঝি হোসেন ও কামাল হত্যাকাণ্ডে শামসুল আলম জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার ও উখিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। জেলও খেটেছেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুইডিশ রাজনীতিবিদ মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু সুইডিশ আপিল কোর্টে বিচারপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্টকহম আপিল কোর্টের জন্য পুনরায় বিচারপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই বিচারপতি ২০১০ থেকে একই আদালতে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেনl তিনি স্টকহম আপিল কোর্ট নির্বাচিত বিচারপতি সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্টওl
মহিবুল ইজদানী ডাবলু প্রায় ৩৩ বৎসর থেকে সুইডেনের মূধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সুইডিশ লেফট পার্টি সেন্ট্রাল কমিটির ১১ সদস্য বিশিষ্ট মনোনয়ন বোর্ডে একটানা ৬ বছর নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেনl
ডাবলু সুইডিশ লেফট পার্টির মনোনয়ন নিয়ে গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনl তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি স্টকহল্ম সিটি কাউন্সিল ও গ্রেটার স্টকহল্ম এসেম্বলির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেনl এ ছাড়া একটানা ১০ বছর লেফট পার্টি স্টকহম হেসেল্বি ভেলেংবি ব্রাঞ্চের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে চলতি বৎসরের মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেনl
মহিবুল ইজদানী খানের বাবা মরহুম আলী মেহদি খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা অফিসার হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট ভাই কবিরুল ইজদানী খান বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি খুশির খবর নয়, বরং দেশের জন্য তা লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘এসবের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। এই কর্তৃত্ববাদী সরকার যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে তাদের কথাবার্তা শোনে মনে হয়, এই দেশে শুধু তারাই থাকতে পারবে। সরকারের লোকজন বলছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি বিপদে আছে। আসলে বিএনপি কোনো বিপদে নেই, বরং বিএনপি আন্দোলন করতে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।’
বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নাস শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল এক ছেলের সঙ্গে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে, কিন্তু পরিবার বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সঙ্গে ন্যুনতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।’
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন, তিনি যোগ্যতা-দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য