× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ক্রিকেট
বাংলাদেশের পেইসারদের মূল সমস্যা তারা বোলিং পায় না গিবসন
google_news print-icon

‘বাংলাদেশের পেইসাররা যথেষ্ট বোলিং পায় না’

বাংলাদেশের-পেইসাররা-যথেষ্ট-বোলিং-পায়-না
মুস্তাফিজের সঙ্গে ওটিস গিবসন। ছবি: বিসিবি
নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ওটিস গিবসন কথা বলেন বাংলাদেশের পেইসারদের নিয়ে। তাদের ভালো করার বাধা নিয়ে। জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটে যথাযথ সুযোগ না পেলে, পেইসারদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করাটা অনেক কঠিন।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব পান ওটিস গিবসন। বাংলাদেশে যোগ দেয়ার আগে তিনি হেড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সাউথ আফ্রিকা দলে। উইন্ডিজের ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কোচ ছিলেন এই ক্যারিবিয়ান কোচই। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেছেন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে।

গিবসন কোচ হয়ে আসার পরে বাংলাদেশ দলের পেইসারদের মধ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছে উন্নতি। গিবসনের কোচিং সময়ের অনেকখানি কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। তবুও তার কাজের প্রতিফলন দেখা গেছে তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের পারফরমেন্সে।

নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ওটিস গিবসন কথা বলেন বাংলাদেশের পেইসারদের নিয়ে। তাদের ভালো করার বাধা নিয়ে। জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটে যথাযথ সুযোগ না পেলে, পেইসারদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করাটা অনেক কঠিন।

নিউজবাংলার সঙ্গে গিবসনের আলাপচারিতার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো -

বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব কেমন উপভোগ করছেন?

কাজ উপভোগ করছি। আমি ফাস্ট বোলিং ভালোবাসি। তাই পেইসারদের উন্নতি করতে ও তাদের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করি। বোলারদের অ্যাকশন দেখে সেটিকে আরও ভালো করার চেষ্টা করি। কোচিংয়ে টেকনিক্যাল দিকগুলো বেশি পছন্দ করি। সঙ্গে কৌশলগত দিকগুলোও, যা তাদের বোলার হিসেবে আরও ভালো করতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ তাদের স্পিনারদের জন্যই পরিচিত। সাম্প্রতিক বেশ কয়েক জন পেইসার উঠে এসেছে। আপনার অধীনে থাকা এই পেইসারদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এখন পর্যন্ত রাহি আমাদের সেরা টেস্ট পেইসার। যখন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র এক পেইসার খেলাই, তখন সে-ই ছিল আমাদের পছন্দ। সে খুবই ভালো বোলার। দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে। নির্ভুল লাইন-লেংথে বল করে।

তাসকিন গত ছয় মাসে অনেক উন্নতি করেছে। তার যে ভালো করার ইচ্ছা আছে সেটা বোঝা যায়। সে ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেছে। তার রানআপ নিয়ে সামান্য কাজ করেছি। সঙ্গে কবজির অবস্থান নিয়েও। যা তাকে দুই দিকে বল সুইং করাতে সাহায্য করছে। সে ঠিক জায়গায় বোলিং করা নিয়েও কাজ করেছে।

হাসান মাহমুদ ও শরিফুল দারুণ প্রতিভা। দুজনেরই তাদের ক্যারিয়ারে দারুণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও কিছু পেইসার আছে। এবাদত শ্রীলঙ্কায় দারুণ গতিতে বোলিং করেছে। মুস্তাফিজ সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছে। খালেদ একজন দারুণ পেইসার। সাইফুদ্দিন সীমিত ওভারে সব সময়ই দলে থাকে। তরুণ মুকিদুলও শ্রীলঙ্কা সফরে দারুণ সম্ভাবনা দেখিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এখন নয় জনের পেইস বোলিং ইউনিট রয়েছে। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য দারুণ ব্যাপার।

আমার কাজ হচ্ছে তাদেরকে যেকোনো সময়ে যেকোনো ফরম্যাট খেলার জন্য প্রস্তুত করা। নির্বাচকদের চিন্তার খোরাক দেয়া যে কাকে বাদ দিয়ে কাকে নেব। আমার কাজ তাদের স্কিলে উন্নতি করানো। এখনের চেয়ে আরও ভালো বোলার হিসেবে তৈরি করা।

বাংলাদেশের পেইসারদের ভালো করার ক্ষেত্রে মূল বাধা কী? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার জন্য তাদের কী ধরণের উন্নতি প্রয়োজন?

বাংলাদেশে পেইসারদের জন্য মূল সমস্যা হলো তারা যথেষ্ট বোলিং করতে পারে না। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও। বাংলাদেশের ঘরোয়া কাঠামো পেইসারদের কেন্দ্র করে বানানো নয়। পেইসাররা হয়তো দিনে বা ইনিংসে ১০ ওভার বল করে। বাকিটা সময় স্পিনাররাই বল করে। তাই পেইসাররা খুব বেশি বল করার অভিজ্ঞতা পায় না। তাদের নিজেদের কাজ বা শরীরের ওপর চাপ সামলানোর ব্যাপারটির অভিজ্ঞতা থাকে না। অনেক ওভার বোলিং করে ম্যাচ জেতানো, এসব বিষয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের পেইসাররা ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে পায় না।

যখন শ্রীলঙ্কার মাটিতে, যেখানে পেইসারদের জন্য কোনো সাহায্য নেই, সেখানে তাদেরকে অনেক ওভার করতে বলা হয় ও আশা করা হয় যে তারা উইকেট নিয়ে আপনাকে ম্যাচ জেতাবে, সেটি খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

এটি তাদের জন্য অবশ্যই শেখার সুযোগ। সাধারণত বাংলাদেশ তাদের স্পিনারদের ওপর নির্ভর করে। এখন আমাদের হাতে বেশ কয়েকজন ভালো পেইসার রয়েছে। হয়তো এটিই এখন সুযোগ বাংলাদেশে পেইসারদের সহায়ক কন্ডিশন তৈরির। যাতে পিচগুলো সিমারদের উৎসাহিত করে জোরে বল করতে ও আরও ভালো বল করতে।

মূল সমস্যা হলো যথেষ্ট বোলিং না করা ও দলকে জেতানোর অবস্থায় না থাকা। তারা যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে এটি করে অভ্যস্ত না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে সেটি করা তাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

আপনার অধীনে আমরা মুস্তাফিজকে ইনসুইঙ্গার করতে দেখেছি। তাকে ইনসুইং করাতে শেখানো কতটুকু কঠিন ছিল?

মুস্তাফিজের সঙ্গে কাজ করাটা খুবই উপভোগ করেছি। সে তার কবজির অবস্থান নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে, বিশেষ করে নতুন বলে ইনসুইঙ্গার করার জন্য। এর মধ্যেই আমরা তাকে ইনসুইঙ্গার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের প্যাডে আঘাত করতে দেখেছি।

সে আমার কাছে এসে বলেছে সে ইনসুইঙ্গার শিখতে চায় ও আমি তাকে সাহায্য করতে পারব কি না? কোচিংয়ের এ বিষয়টিই আমার পছন্দ যে আমি তাকে সাহায্য করতে পেরেছি। সে একজন দারুণ বোলার।

আমি ও রাসেল (ডমিঙ্গো) মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা মুস্তাফিজকে টেস্টের জন্য তখনই বিবেচনা করব যখন সে ইনসুইং করাতে পারবে। সে সেটি করেছে।

আমরা আইপিএলে মুস্তাফিজকে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি স্লোয়ার করতে দেখেছি। এগুলো নিয়ে কি আপনি তার সঙ্গে কাজ করেছেন?

যখন আমরা একসঙ্গে থাকি তখন আমরা অনেক কিছু নিয়ে কাজ করি। আমি তাকে এটিও বলি যে আইপিএল একটি দারুণ সুযোগ যেখানে সে অন্যান্য খেলোয়াড় ও কোচদের সংস্পর্শ পাচ্ছে। যখনই কোনো বোলার আইপিএল বা অন্য কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে যায় আমি তাকে বলি নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতে। মুস্তাফিজ সেখানে গিয়ে নতুন কিছু স্লোয়ার শিখেছে যা আমাদের জন্য দারুণ হবে। আমি খুব বেশি আইপিএল দেখিনি। যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে সে তার স্লোয়ার নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। সেটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ হতে পারে।

এবাদত শ্রীলঙ্কায় ১৪৫ কিমি/ঘন্টা গতিতে বল করলেও সঠিক জায়গায় বল করতে পারেননি। সে কি ১৫০ কিমি/ঘন্টা গতিতে বল করতে পারবে? সঠিক জায়গায় বল করতে তার কী কী করা প্রয়োজন?

এবাদত খুবই ভালো বোলার। সে খুবই দ্রুত গতিতে বল করে। আমি সব সময়ই তাকে এবং সব বোলারকে বলি, তুমি যত জোরেই বল করো না কেনো, সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তুমি সঠিক জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলতে পারছো কি না। আমার মনে হয় সে যত আত্মবিশ্বাসী হবে, সে ১৫০ কিমি তে বল করতে পারবে।

‘বাংলাদেশের পেইসাররা যথেষ্ট বোলিং পায় না’
অনুশীলনে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ওটিস গিবসন। ছবি: বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে পেইসাররা ভালো করার পরও দুই টেস্টেই মাত্র একজন করে পেইসার খেলে। ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে সেটি কতখানি হতাশার?

যখন ৫-৬ জন পেইসার নিয়ে কাজ করবেন এবং মাত্র একজন একাদশে থাকবে তখন আপনি অবশ্যই হতাশ হবেন। একই সময়ে যদি কিউরেটর বলে যে কন্ডিশন পেইসারদের সাহায্য করবে না, পিচে স্পিন করবে। তখন আপনি স্পিনারদেরই খেলাবেন। এটি বাংলাদেশে হয়েই থাকে। এভাবেই বাংলাদেশ টেস্টে খেলে। ভবিষ্যতে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। ঘরের মাটিতেও এমন কন্ডিশন প্রস্তুত করতে হবে যা পেইসারদের সাহায্য করবে। যাতে আমাদের দুই বা তিন জন পেইসার খেলার সুযোগ পায়। কারণ পেইসাররা দ্রুত উন্নতি করছে। তারা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরের মাঠে যথাযথ পিচ ও কন্ডিশন ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ভালো পেইসার গড়ে তোলাটা কতখানি কঠিন?

আগেই পেইসারদের জন্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে যথাযথ পিচের কথা বলেছি। আমাদের বেশ কয়েক জন তরুণ পেইসার আছে যাদের পিচ থেকে অনুপ্রেরণা দরকার। বাংলাদেশে অধিনায়করা কীভাবে পেইসারদের ম্যানেজ করে সেটিও একটি ব্যাপার।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পেইসাররা বলের শাইন নষ্ট করে। এরপর বাকি সময় স্পিনাররা বল করে। আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন পিচ তৈরি করা যা তরুণ পেইসারদের জোরে বল করতে উন্নতি করতে অনুপ্রেরণা দেবে। যা তাদেরকে সাহায্য করবে ফাস্ট বোলিংয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।

ঘরের মাঠে জানেন আপনি কী পাবেন। আমাদের হয়তো ঘরের মাটিতে মানসিকতা বদলাতে হবে কারণ আমরা যখন দেশের বাইরে যাই, তখন পেইসারদের ওপর ভালো বোলিং করে টেস্ট জেতানোর দায়িত্ব থাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা যখন সে সুযোগ পায় না, তখন বিদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটি করাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে। যেন আমরা আমাদের পেইসারদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি।

শেষ প্রশ্ন, বিদেশী কোচদের জন্য বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অনুসরণ করা বেশ কঠিন কাজ। আপনার কোনো পরামর্শ আছে এ ব্যাপারটিতে, কীভাবে আপনারা সব সময় খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে পারেন?

খুব ভালো প্রশ্ন। অবশ্যই আমাদের জন্য কঠিন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অনুসরণ করা। আমি যেটা করার চেষ্টা করি তা হলো যত জন পেইসারের সংস্পর্শে আসি তাদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলি। সেখানে আমি তাদের জন্য আমি কিছু কাজ দেই, তাদের কাজের ধরণ ও পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করি, যেন তারা কী করছে তা অনুসরণ করতে পারি। আমি যে কারও সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

আমার মনে হয় যে যদি বিসিবিতে একজন ফাস্ট বোলিং কোচ থাকে যাকে ভবিষ্যতের জন্য ভাবা হচ্ছে, তাহলে তাকে জাতীয় দলের সঙ্গে রাখা উচিত। যাতে করে সে দেখতে পারে আমরা কীভাবে কাজ করি। শুধু ফাস্ট বোলিং কোচ না, ব্যাটিং কোচ বা ফিল্ডিং কোচের ক্ষেত্রেও এটা হতে হবে। একজন ঘরোয়া কোচ, যে দলের সঙ্গে থেকে সব ধরণের কাজ দেখবে ও পরবর্তীতে ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই বার্তাটি পৌছে দেবে। তখন সব জায়গার খেলোয়াড়রা একই বার্তা পাবে।

ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোর উন্নতির জন্য বিসিবি এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে জাতীয় দল থেকে একই বার্তা যেন সব ধরণের ক্রিকেটে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ সফরে বাদ করুনারত্নে, অধিনায়ক কুশল পেরেরা
‘১৫০ কিমি গতিতে বল করতে পারবে এবাদত’
‘নিজের খেলা আগের চেয়ে ভালো বুঝি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
In Madhabpur the locals were injured in the bite of the mad dog

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু-কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছে না।এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি মসজিদে পাগাল কুকুরটি থেকে সাবধান থাকতে ও একে নিধন করতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এক কুকুর গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কামড়ে একের পর এক মানুষকে আহত করে। আতঙ্কের মাত্রা বাড়তে থাকায় গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদে মাইকিং করা হয়। তবে কুকুরটিকে এখনও আটক বা নিধন করা যায়নি।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, “পাগলা কুকুরের ভয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।কুকুরটির লাল বর্ণের কুকুরি। আমরা মসজিদ থেকে মাইকিং করেছি। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।”

এ বিষয়ে মাধবপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, “কুকুরকে ধরে র‌্যাবিস টিকা দেয়ার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এটি বন বিভাগ করলে করতে পারে। আপাতত এলাকাবাসীকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এদিকে গ্রামবাসী দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
The body of the missing businessman in Comilla recovered

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীতে নিখোঁজের একদিন পর রেল সড়কের পাশ থেকে জামশেদ ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরতলীর পালপাড়া রেললাইনের পাশের একটি ঝোপ থেকে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। জামশেদ ভূঁইয়া কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী ভূঁইয়া বাড়ির সাবেক কমিশনার প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া তৃতীয় পুত্র।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য বের হন জামশেদ। এরপর তিনি বাসায় ফেরেননি। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। রোববার বিকেলের পর রেললাইনের পাশে একটি ঝোপে ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করে।

রাতে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে শনিবার রাতে জামশেদ ভূঁইয়া ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ওই ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এখনো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
The unhappy court to investigate the investigation and asked to do

তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে বললেন

তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে বললেন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা শেষ করতে ‘আপ্রাণ চেষ্টার’ তাগিদ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১তম বার পেছান হলো। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল আদালতে উপস্থিত হন। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। আদালত আজিজুলের কাছে জানতে চান, তিনি সিআইডিতে আছেন কিনা? আজিজুল জানান, পিবিআইতে আছেন।

আদালততদন্তের অগ্রগতি কতদূর?

কর্মকর্তা– উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্তের। আমি এই মামলা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও ডিএনএ এক্সপার্টদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দুজনের মিক্সড ডিএনএ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও উচ্চ আদালত থেকে আরও সময় নেওয়া হয়েছে।

বিচারক– যা বুঝলাম, এই মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন, তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তুষ্ট। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান মামলা করেন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Locals gave the schoolgirl to the police

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ৫ বখাটেকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ৫ বখাটেকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বখাটে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার ষাইট ঘর তেওতা বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরান শেখ ৩), একই এলাকার আলী চাঁনের ছেলে আশিক খাঁ (২৪), পার্শ্ববর্তী চরধুবলীয়া গ্রামের মৃত বিষা খাঁর ছেলে শিপন খাঁ (২৪), পয়লা গ্রামের তোতা শেখের ছেলে ইয়াছিন শেখ (২২) এবং ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার মৃত আজাহার আলীর ছেলে ফরিদ শেখ (২০)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্য়াতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার বান্ধবীর সঙ্গে রবিবার বিকালের দিকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে আরিচা-জাফরগঞ্জ সড়কের ষাইট ঘর তেওতা আবুলের বটতলা মোড় এলাকায় ইমরান, আশিক, শিপন, ইয়াসিন এবং ফরিদ নামের পাঁচজন বখাটে ওই ছাত্রীকে গতিরোধ করে। এসময় তারা তাকে ওড়না ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বান্ধবী আত্মচিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার ও বখাটের আটক করে।

এসময় উত্তেজিত হয়ে লোকজন তাদের পিটিয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, ইভটিজিংয়ের দায়ে পাঁচ বখাটেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ সোমবার তাদের আদালতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিবালয় থানা পুলিশ ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে।

মন্তব্য

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

দেশের ১০ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Patients are being fraudulent at Kamlganj Upazila Health Complex NCPs central leader

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ নিয়ে রোগীদের সাথে জালিয়াতি হচ্ছে- এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ নিয়ে রোগীদের সাথে জালিয়াতি হচ্ছে- এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা

শয্যা সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বিপাকে ফেলছে রোগী, স্বজন ও দর্শনার্থীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ও জানালার পাশে জমে আছে পলিথিন, পরিত্যক্ত খাবার, ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ নানান আবর্জনা। এসব ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় রোগী, স্বজন ও নার্সরাই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলছেন, ফলে নিচে তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ দিয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি, ধসে পড়ছে পলেস্তার। হাসপাতালজুড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। নামে ৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের ১৩৬ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৫০টি পদ। সামান্য রোগ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক ছাড়াও বিভিন্ন পদ শূন্য থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৭ বছর আগে এ হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগ হয়নি।

রোববার দুপুরে তিনি এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। হাসপাতালটি ঘুরে দেখেন এবং রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সমস্যার খোঁজখবর নেন। রোগীদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও দৈনন্দিন কার্যক্রম ও সমস্যার কথা শোনেন তিনি। পরে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রীতম দাশ।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী আসেন, তার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। পরিছন্নতাকর্মীও অপর্যাপ্ত। ৪ লাখ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মাত্র ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এতে চিকিৎসা সেবার মানও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় শুনে আসছি এই হাসপাতালে রোগীদের দুর্দশার কথা। তারা নানা ভাবে আমাদের জানিয়েছে। এই প্রতিষ্টানটা আমাদের প্রতিষ্টান। আমাদের ভ্যাট টেক্সের টাকা এটা চলে। শুতরাং এখানে যারা সেবাদান করছেন তাদের সবসময় মনে রাখতে হবে তাদের বেতনটা জনগনের টাকায় হয়। আমরা এখানে এসে যেটা দেখলাম ডাক্তার সহ অন্যান্য চিকিৎসক স্টাফ তেমন নেই। পাশাপাশি আরেকটা জিনিস আমরা লক্ষ করলাম,এখানে বর্তমানে যে পরিমানে জনবল আছে সে পরিমানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটা ওর্য়াডে যে পরিমান ময়লা,আবর্জনা পাশাপাশি বাতরুমে ডুকাই যায়না। রোগীরা এসে কি সেবা নিবে ভালো মানুষরাই রোগী হয়ে যাবে। যদি কোন ব্যক্তি এখানে এখানে একটা রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে আসেন, বাসায় গেলে পরবর্তিতে আরও ৫টা রোগের ঔষধ নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করবো জেলা সিভিল সার্জন সহ সকল কর্মকর্তা এখানে এসে দেখে যান কি অবস্থা এই হাসপাতালের। দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। হাসপাতালে ঠিকমতো ঔষধ দেওয়া হয়না। সকল থেকে আমার এখানে দাড়িয়ে দেখছি তেম কোনো রোগী নাই। রেজিস্টার দেখানো হয়েছে অনেক রোগীকে ঔষধ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নাই। ঔষধগুলো কোথায় যায়? এছাড়া এই হাসপাতালে রাতের বেলা মাদকসেবন হয়, বিভিন্ন অপকর্ম হয়।একটা হাসপাতালে এসব কি? প্রশাসন সহ সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এই হাসপাতালটা নিজেই দুখছে। হাসপাতালে অনেক জায়গায় লাইট নষ্ট হয়ে থাকায় অন্ধকার থাকে। বৃষ্টি হলে হাসপাতালের বেডের উপড় পানি পড়ে। আসলে এগুলো সমাধান না হলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

প্রীতম দাশ বলেন, আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলব, যেন এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, পরিছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই হাসপাতাল কখনো ঠিক হবে না। কারো নজর নেই এখানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের আশেপাশে একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বরন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ৬বছর ধরে এই হাসপাতালে আছেন। কিন্তু এই ৬বছর ধরে হাসপাতালের কোনো উন্নতি হয়নি।বরং তিনি কোটি টাকার জায়গা জমি কিনেছেন এখানে। উনার দূর্নীতি শেষ নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসনাত আলী অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র সমাধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ও স্যানেটারী অফিসার দুলাল মিয়াকে এখান থেকে বদলি করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে তারেক আহমদ নামে একজন ফেইসবুকে হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে একজন সাংবাদিকের একটি পোস্টের কমেন্টে করেছেন। তিনি সেই কমেন্টে লিখেছেন মানুষের চিকিৎসার সেবাকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া। তারে নিয়া ঠিক মত নিউজ করেন সে দুর্নীতি করতেছে তার কারণে কোন এমবিবিএস ডাক্তার আসতে পারছে না, মহিলা ডেলিভারি রুম খুবই খারাপ অবস্থা এটাই নিয়ে কিছু কথা বলেন তারেক আহমদ।

দায়সারা কথা বললেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, প্রথম শ্রেণির ডাক্তার এবং কনসালটেন্ট সহ ১৯টা পদ আছে। তার মধ্যে ৮পদে লোক আছে। বাকিগুলো খালি।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Government is working on the production of vaccine in the country Fisheries Advisor

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানো মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাণির রোগ নিয়ন্ত্রণ করা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা বিশেষ কোন রোগ জানা মাত্রই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানোর চান্স দিতে চাই না।

রোববার দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ মাংস, দুধ, ডিম পেতে হলে প্রাণিকে নিরাপদ ও রোগমুক্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন আমদানি করি, তাই দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা প্রাণিদের ঠিকমত ভ্যাকসিন দিতে পারে না। আমরা সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ান হেলথ কনসেপ্টের আওতায় মানুষ ও প্রাণি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, যুগ্ম সচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকারসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন নিয়ে উত্তেজনা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে কর্মশালায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শিত হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার দুপুর রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেন্টেশন দেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী।

প্রকল্পের তথ্য-চিত্র প্রদর্শনের সময় একটি স্লাইডে প্রশিক্ষণ কর্মশালার ছবিতে হলরুমে অতিথিদের মাথার উপর শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দেখা যায়। চব্বিশের গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী পতিত সরকার প্রধানের ছবি প্রদর্শন নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন।

এ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হতে পারে না। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয় তবে সেটি চরম অবমাননাকর। এত মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমলে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যিনি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেছেন, তিনি বলেছেন এটি ভুলক্রমে হয়েছে। তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মনে করছি ফ্যাসিবাদ জাস্ট চলে গেছে। ফ্যাসিবাদ অনেক রকম রূপে রয়েছে, তার প্রতিফলন নানাভাবে ঘটছে। আমরা যখন বিষয়গুলো জানতে পারছি, তাক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।

মন্তব্য

p
উপরে