ভারতের করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতীয় বোর্ড এক বিবৃতিতে টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়।
বিবৃতিতে তারা জানায় বিসিসিআই করোনা মহামারির সময়ে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিয়ে আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
‘আইপিএল আয়োজন করতে খেলোয়াড় ও অংশগ্রহণকারিদের সুরক্ষা নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই। সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভারতে চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা চেষ্টা করেছি সবাইকে কিছুটা আনন্দ দিতে। কিন্তু এখন টুর্নামেন্ট স্থগিত করতেই হচ্ছে যাতে করে এই কঠিন সময়ে সবাই নিজেদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে থাকতে পারেন।’
চলতি সপ্তাহে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাইস সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলোয়াড় ও সদস্যদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
সবশেষ সানরাইজার্সের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা মঙ্গলবার সকালে কোভিড পজিটিভ হন। এই তথ্য নিশ্চিত করে ভারতের ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
সোমবার আইপিএলের দুই অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ও চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) সদস্যরা কোভিড আক্রান্ত হন।
দুই খেলোয়াড় বরুণ চক্রবর্তী ও সানদিপ ওয়ারিয়রের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কথা নিশ্চিত করে কেকেআর।
সিএসকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাসি বিশ্বনাথন ও বোলিং কোচ লাক্সমিপতি বালাজি ও একজন বাস ক্লিনার পজিটিভ হন সোমবার। তারপর থেকেই দলের সদস্যদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
কলকাতার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলা দিল্লি ক্যাপিটালসের পুরো দলকেই আইসোলেশনে থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয় বিসিসিআই।
কোভিডের প্রকোপের মধ্যে আইপিএল বন্ধ করতে মঙ্গলবার দিল্লির হাইকোর্টে মামলা করেন স্থানীয় দুই আইনজীবী ও এক মানবাধিকার কর্মী। জনস্বাস্থ্যের চেয়ে আইপিএলকে কেন অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, তা তদন্তে রিট আদেশ বা নির্দেশনা জারি করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তারা।
বিসিসিআই টুর্নামেন্ট স্থগিত করলেও বাতিল করার সম্ভাবনা কম। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোয় করোনাভাইরাসের উপস্থিতির পর ভারতীয় বোর্ড আগেই পরিকল্পনা করছিল পুরো টুর্নামেন্টটিকে একটি শহরে আয়োজন করার।
ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই কোটি। পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসাসেবা দিতে। দেখা দিয়েছে হাসপাতাল বেড ও অক্সিজেন সংকট।
এমন অবস্থায় টুর্নামেন্টকে আহমেদাবাদ, চেন্নাই, ও দিল্লি থেকে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো সরিয়ে মুম্বাইয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল বিসিসিআইর। তবে, তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খেলোয়াড়দের বায়ো বাবলে রাখা।
বায়ো বাবল নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে বিসিসিআই মুম্বাইয়ের শীর্ষ হোটেলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ও জানতে চেয়েছে তারা বোর্ডের শর্ত অনুযায়ী খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারবে কিনা।
আরও পড়ুন:UPDATE: The Indian Premier League Governing Council (IPL GC) and Board of Control for Cricket in India (BCCI) in an emergency meeting has unanimously decided to postpone IPL 2021 season with immediate effect.
— IndianPremierLeague (@IPL) May 4, 2021
Details - https://t.co/OgYXPj9FQy pic.twitter.com/lYmjBId8gL
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।
তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।
পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।
পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’
সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’
লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।
তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।
পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।
ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য