ভারতে করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রতিদিনই হচ্ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। রোববার দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। মারা যান প্রায় দুই হাজার ৮০০ জন। বিপর্যয়ের সময়ে রোগীদের জন্য অক্সিজেনের তীব্র সংকটে ভুগছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার এ ফাস্ট বোলার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিলে ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪২ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছেন।
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার কামিন্স এ মুহূর্তে আইপিএল খেলতে ভারতে আছেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় কামিন্স তার অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
“খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের জন্য সুবিধাজনক একটি মঞ্চ রয়েছে, যা ব্যবহার করে আমরা লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি ও তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারি। সেই চিন্তা থেকে ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন কেনার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর ‘পিএম কেয়ার ফান্ড’-এ অনুদান দিয়েছি। আইপিএলে থাকা সতীর্থ ও বিশ্বে যারা ভারতের মহানুভবতায় মুগ্ধ তাদের প্রতি আমার অনুরোধ অনুদান দেয়ার। আমি শুরু করেছি ৫০ হাজার ডলার দান করে।”
অস্ট্রেলিয়ার এ বোলারকে গতবার আইপিএল নিলামে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে (প্রায় ১৭ কোটি টাকা) কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এবারের মৌসুমে পাঁচ ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। আর ৩৫ আইপিএল ম্যাচে তার শিকার ৩৩ উইকেট। কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়াও তিনি খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসে।
অনুদানের পর কামিন্সের আশা স্বল্প হলেও কারও উপকারে আসবে তার দেয়া অর্থ।
‘এত মানুষ এই মুহূর্তে কষ্ট করছেন দেখে আমার খারাপ লাগছে। আমি জানি আমার এই অনুদানের পরিমাণ খুব বেশি নয়। কিন্তু আশা করি এটা কারও পরিস্থিতি বদলাতে সাহায্য করবে।’
ভারতে করোনা বিপর্যয়ের সময় অনেকেই বলছেন আইপিএল স্থগিত করে দেয়া উচিত। তাদের সঙ্গে একমত নন কামিন্স।
তার মতে, কিছুটা সময়ের জন্য হলেও করোনার আতঙ্ক থেকে সবাইকে দূরে রাখতে সাহায্য করছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
‘অনেকে বলছেন এমন কঠিন সময়ে যখন সংক্রমণ হার বাড়ছে, তখন আইপিএল চালিয়ে যাওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে আমাকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকারের মতে লকডাউনে থাকা জনগণকে এই দুঃসহ সময়ে আইপিএল কয়েক ঘণ্টার জন্য আনন্দ ও মুক্তি দেয়।’
— Pat Cummins (@patcummins30) April 26, 2021আরও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর উদ্যোগে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২৫ আগস্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (তদন্ত) কমিশনার মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী।
গণশুনানিতে বক্তারা বলেন, “সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে জনগণের অভিযোগ শোনা, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনসচেতনতা তৈরিই এ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
এসময় বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত জনসাধারণ তাদের অভিযোগগুলো জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে ধরা হয়। জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । এছাড়াও অনেক অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন টাঙ্গাইলের দূর্নীতি দমন কমিশন এবং সহযোগিতায় ছিলেন জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল।
জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে চলাচলের অযোগ্য প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা। কাঁদাযুক্ত রাস্তায় চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। উপজেলায় আওনা ইউনিয়নের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি হতে নাথের-পাড়া দিয়ে জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তা দিয়ে কাশিনাথপুর, নাথেরপাড়া, টিকরাপাড়া, তরণীআটা ও কাবারিয়াবাড়ী সহ ৫-৬ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হাট বাজারের যাতায়াতে স্থানীয়রা চলাচল করে। উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি থেকে বাদল মেম্বারের বাড়ী হয়ে নাথেরপাড়া গ্রামের জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তা কাঁচা থাকায় চলাচলে দীর্ঘ দিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তার একাধিক স্থানে পরিনত হয় কাঁদাময় রাস্তায়। কোথাও কোথাও মাটি গর্ত হয়ে উচু নিচু বা নিচের দিকে ধসে গিয়ে যানবাহন ও স্থানীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সোলায়মান, রাশিদুল, রনি মন্ডল, জোবেদা বেওয়া, শিক্ষার্থী কাকন, মোহনা মিম সহ অনেকেই বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে জরুরি মুহুর্তে রোগী ও গর্ভবতি মা বোনদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। অনেক সময় আমাদের স্কুলে যাওয়ার সময় কাঁদার কারনে পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় প্রায় হাটু সমান কাঁদা জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি রাস্তাটি পাকা করার জন্য দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আওনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগম বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়ে ইতিমধ্যে আমি খোজ নিয়েছি। আপাতত বালি ফালানোর ব্যবস্থা করছি। আর এলজিইডির সাথে কথা বলে পাকা রাস্তা করনে ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এবং মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের ব্যবস্থাপনায় শহরে বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন এর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মহসিন হোসেন, বি এম এর সভাপতি ডা. প্রফেসর আলিমুজ্জামান,মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো: হাসানুজ্জামান অস্রু প্রমুখ।
বক্তারা প্রতিটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের শক্তি গুনাগুন ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকালে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের খেলার মাঠ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজরুলের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ মিছিলটি অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে নিজামুল হক নজরুল ছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুবায়ের হাসান ইয়ামিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান যোগ্য অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থেকেছেন, খোঁজখবর রেখেছেন।
জামায়াত-এনসিপি’র ষড়যন্ত্রের কাছে যদি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আমাদের নেতাকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের করে নিয়ে আসবো। বক্তারা আরো বলেন, এডভোকেট ফজলুর রহমান একজন সৎ, নির্ভীক ও আদর্শবান রাজনীতিক। জামায়াত ও এনসিপি’র একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইরত একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে লাভ হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ ফজলুর রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল উপজেলার চারাভাঙ্গা এলাকা থেকে ৫৩ কজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। রোববার রাত ১১ টায় উপজেলার চারাভাঙ্গা মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের মৃত আবু শামার ছেলে শাহাব উদ্দিন(৩৫) একই উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে মাসা মিয়া (৩৮),। এসময় মাদক পরিবহন ব্যবহৃত ১টি প্রাইভটকার জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে মাদকসহ তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ একেএম শহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও মাসা মিয়া (৩৮) তারা দুজন ৫৩ কজি গাঁজা বিক্রয়র উদ্দেশ্যে নিজ নিজ হেফাজতে রেখেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পরস্পর যোগসাজসে আর্থিকভাব লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয় মাধবপুর সীমাÍবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও গাঁজার গুড়া এনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন জায়গায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান,র্যাবের হাতে মাদক সহ আটক দু,ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা শেষে আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক পাড় এলাকায় পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে সজল (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা অভিযানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সজল গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানায়। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন । তিনি আরও বলেন এটি একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা, ছেলেটি সাঁতার জানতো না। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার অলি বেকারি এলাকার রেসিডেন্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় কক্ষ ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠে এ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ওই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এ সময় মরিয়ম নূর চিকিৎসা কেন্দ্রে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই প্রসূতিদের প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব অপরাধের দায়ে মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের রোকেয়া বেগমকে (৪৮) এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
অভিযানে আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি ও তার মেডিকেল টিম। উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি দল।
মন্তব্য