২০২০ সালের আগস্টে ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ হয়ে আসছেন ব্রিটিশ কোচ টবি র্যাডফোর্ড।
বাংলাদেশ এইচপি দলের দায়িত্ব নেয়ার আগে লম্বা সময় র্যাডফোর্ড কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে। প্রথমে ছিলেন হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক, এরপর ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের সহকারী কোচ। তার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছেন জেসন হোল্ডার, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটের মতো ক্রিকেটাররা।
দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে জিতেছেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে, তখনও ছিলেন তাদের সঙ্গেই।
এর আগে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ইংলিশ কাউন্টির দল মিডলসেক্সের কোচ হিসেবে।
বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কাজ করেছেন র্যাডফোর্ড। এই দেশের তরুণদের প্রতিভায় মুগ্ধ তিনি। র্যাডফোর্ড আগেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তিনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান টেস্ট ক্রিকেটার, বাকি ফরম্যাট পরে।
নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় র্যাডফোর্ড কথা বললেন তার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে, কীভাবে খেলোয়াড়দের দেখেন, কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে চান, সেটি নিয়ে। সঙ্গে বললেন, তরুণদের সময় দেয়ার কথা, সুযোগ দেয়ার কথা।
নিউজবাংলা: কেমন আছেন?
র্যাডফোর্ড: ভালো আছি। আশা করছি আপনিও তাই।
নিউজবাংলা: একজন কোচ হিসেবে যখন কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে কাজ শুরু করেন, আপনি প্রথমে কোন বিষয়টির ওপরে নজর দেন?
র্যাডফোর্ড: খেলোয়াড়টির খেলা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কি না, সে ব্যাট বা বল হাতে কার্যকর কি না। সে তার নিজের খেলার শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখে কি না এবং সে মাঠে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না।
নিউজবাংলা: আপনি আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন, এরপর বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে করলেন। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মূল পার্থক্যটা কোন জায়গায়?
র্যাডফোর্ড: বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা লেগ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে অফ সাইড কাজে লাগাতে পছন্দ করে। এটা ওয়ানডেতে সাহায্য করলেও, টেস্টে সমস্যায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা খুবই প্রতিভাবান এবং স্পিন খুবই ভালো খেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও প্রতিভাবান এবং তারা গতিময় পিচে একটু দ্রুত গতির বোলারদের সামনে সমস্যায় পড়ে।
নিউজবাংলা: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মতো শক্তিশালী নয়। আপনার কি মনে হয় এটিই বাংলাদেশের টেস্টে সাফল্যের অন্তরায়?
র্যাডফোর্ড: বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানদের উপকার হবে সেরা বোলিং আক্রমণগুলোর বিপক্ষে ভিন্ন পিচ ও কন্ডিশনে খেললে, যেমন- অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকার দ্রুতগতির, বাউন্স বেশি এমন পিচ কিংবা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে যেখানে বল সুইং ও সিম করে এমন কন্ডিশনে। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং যুব ক্রিকেটে আরও মনোযোগ আরও বেশি টেস্ট খেলার মত ক্রিকেটার তৈরি করবে।
নিউজবাংলা: অনেক বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ করলেও পরে সেটি ধরে রাখতে পারেন না। আপনি যেহেতু সাম্প্রতিকভাবে তরুণদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে থেকে কোনো সমস্যা ধরতে পেরেছেন?
র্যাডফোর্ড: আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের মধ্যে পাইনি, তাদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। তারা খুবই প্রতিভাবান, বিনয়ী এবং তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমার মনে হয় তাদের এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।
নিউজবাংলা: আপনার মতে কি ব্যাটসম্যানের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের ধরন ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ? নাকি তাকে সফল বানানোর জন্য তার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আনাটা ঠিক?
র্যাডফোর্ড: অবশ্যই। প্রাকৃতিক খেলার ধরন এবং স্টাইল যতটা সম্ভব ঠিক রেখেই বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কন্ডিশনে তাদের ধারাবাহিক ও কার্যকর হতে সাহায্য করতে হবে। খেলোয়াড়দের নিজেদের খেলা বুঝতে বুঝতে ও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
নিউজবাংলা: আমি জানি আপনি দুই-একজনের নাম নিতে পছন্দ করেন না, কিন্তু আপনি এইচপি দলের সঙ্গে যে ক্যাম্পটি করেছেন, সেখানে আপনার সেরা ছাত্র কে ছিল? আপনার কি মনে হয়, তাদের মধ্যে কে টেস্টে সবচেয়ে ভালো করবেন, যেহেতু টেস্টেই বাংলাদেশের সমস্যাটা বেশি?
র্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় এইচপি দলের অনেকেরই বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট খেলার সামর্থ্য রয়েছে। তারা সবাই খুব প্রতিভাবান।
নিউজবাংলা: আপনার কি মনে হয়, ক্রিকেটারদের অল্প বয়সেই সামান্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক দেয়া উচিত?
র্যাডফোর্ড: যদি খেলোয়াড়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যোগ্য হয়, তাহলে বয়স সেখানে বাঁধা হওয়া উচিত না। এবং তরুণ খেলোয়াড়দেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ দিতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে। খুব কম ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দারুণ খেলা শুরু করে। শেখার সময় দিতে হবে।
নিউজবাংলা: আপনি এইচপি দলের সঙ্গে কাজ করার সময় বলেছিলেন, আপনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান। আপনি কি বিশ্বাস করেন সেই দলের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট সফল হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রতিভা আছে?
র্যাডফোর্ড: হ্যাঁ। আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলার টেকনিক ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। আমরা জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ভালো খেলবে এমন সব ক্রিকেটার তৈরির ওপর মনোযোগ রাখতে চেষ্টা করছি। টেস্ট সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন টেকনিক, পরিকল্পনা, শারীরিক ও মানসিক শক্তি।
নিউজবাংলা: আপনি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কাজ করার সময় তাকে বেশ কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময়ে আপনি কী দেখার চেষ্টা করেন এবং পরিবর্তনগুলো কীভাবে করেন?
র্যাডফোর্ড: আমি প্রথমে খেলোয়াড় এবং তার খেলার ধরন বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমে কিছুক্ষণ কিছু না বলে শুধু দেখে যাই। আমি চাই আমি যেন ভালোভাবে তাদের এবং তাদের খেলার ধরন জানি। আমি তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া, মুভমেন্ট এবং বেসিক টেকনিক দেখি। আমি অনেক কাজ করি একটি ধারাবাহিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সেট আপ তৈরি করতে যা ব্যাটসম্যানকে সহজ এবং তাড়াতাড়ি উপায় সামনে এগুতে এবং পেছাতে সাহায্য করে। শট খেলা অনেক সহজ হয়ে যায় যদি তাদের ব্যাটিং সেট আপ সরলরেখায় থাকে এবং শট তাড়াতাড়ি এবং সহজভাবে খেলার জন্য দ্রুত সঠিক পজিশনে যেতে পারে।
নিউজবাংলা: পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যানের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
র্যাডফোর্ড: খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের শুনতে এবং নতুন চিন্তার প্রতি ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি শিবনারায়ন চন্দরপলের সঙ্গে কাজ করতে খুবই উপভোগ করতাম। সে যখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল তখনও সে কঠোর পরিশ্রম করছিল এবং ব্যাটিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করছিল। সে অনেক সময় কাটাত সেই সব জায়গায় উন্নতি করতে যেখানে সে মনে করতো প্রতিপক্ষের বোলাররা আক্রমণ করবে। এর ফলে সে ম্যাচের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতো। আমি দেখেছি যে বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড়রা খোলা মনের এবং সব সময়ই উন্নতি করতে আগ্রহী।
নিউজবাংলা: আপনি যাদের নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের অনেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আপনার কি মনে হয়, তাদের ওপর যে প্রত্যাশা, তা এই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় চাপ?
র্যাডফোর্ড: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাটা এই তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে বলে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে বিশ্বকাপ জয় তাদের ওপর চাপ তৈরির বদলে তাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যা তাদের উপকৃত করছে। খেলোয়াড়দের মানসিকতা দারুণ এবং তাদের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ। তারা আত্মবিশ্বাসী কিন্তু খোলা মনের এবং তারা আরও ভালো হতে আগ্রহী।
নিউজবাংলা: ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা আছে কি?
র্যাডফোর্ড: যদি সুযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই আমি সেটি উপভোগ করব। আমি সাইফ হাসানের সঙ্গে কাজ করেছি সাম্প্রতিক সময়ে এবং সেটি অসাধারণ ছিল। আমরা তার ট্রিগার মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি এবং আমি তার জন্য খুবই আনন্দিত যে সে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছে এবং বেশ কয়েকটি বড় রান করেছে। সে একজন দারুণ প্রতিভা।
নিউজবাংলা: এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে আপনার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কোনটি?
র্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এবং মিডলসেক্সের সঙ্গে ঘরোয়া ইংলিশ টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সঙ্গীত বা গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) সকাল ১১টায় নান্দাইলের চন্ডিপাশা খেলার মাঠ থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ওপ্রতিষ্ঠান থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ইত্তেফাকুল উলামা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নান্দাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন,।
"৯২% মুসলমানের এই দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সঙ্গীতের শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এটি আমাদের ধর্মীয় চেতনাকে আঘাত করার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার যদি দ্রুত এই বিষয়টি সমাধান না করে, তবে সারা দেশে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কর্মসূচিকে সফল করতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় ধর্মীয় জনগণ ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেন। শান্তিপূর্ণ এই মিছিলের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও সাধারণ মানুষের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।
চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্বসম্প্রদায়ের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে প্রচলিত একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি। সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে।
তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অগ্রগামী করেছিলেন শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে। আর এ জন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই বারবার স্বৈরতন্ত্র হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা ইত্যাদি অনাচার করা হয়েছে রাষ্ট্রশক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। গত দেড় দশক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বন্দি রাখা হয়েছিল সারা জাতিকে। গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সমুন্নত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’, অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ-নির্বিশেষে সবার সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি মূল মানবাধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হলো একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পদ্ধতি, জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত ইচ্ছা এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার এক নজিবিহীন গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসে এক ভয়ংকর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন তাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য টিম হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সুপারিশের প্রায় অর্ধেক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের তাৎক্ষণিক কার্যকর করার মতো প্রায় ৭০ ভাগ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রথম যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়, তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশের মধ্যে থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্যগুলো বাছাই করে ইতোমধ্যেই অর্ধেকের মত বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করে যেতে পারব।
তিনি আরও বলেন, যে সকল সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারি না।
উপদেষ্টা জানান, কিছু প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপিত হলেও বাস্তবে তা তেমন নয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের সভাপতির সঙ্গেও আলোচনা করেছি। উদাহরণস্বরূপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান কে হবেন, তা কেবল কার্যপ্রণালীর বিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব; সংবিধান সংশোধনের দরকার নেই।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিছু প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি ছিল, কিছু তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে হয়েছে।
আবার কিছু প্রস্তাবে নিয়মিত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ রয়েছে, যেমন দুর্নীতি দমন বিষয়ক কৌশলপত্র তৈরি।
আইন উপদেষ্টা জানান, বাকি পাঁচটি কমিশনের কোন সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য তা নিরূপণে বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কাজ চলছে। কিছু সুপারিশের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, একবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে আর কোন আইনি সংশোধন আনা যাবে না, কারণ তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণেই প্রয়োজনীয় সব আইনি সংস্কার ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের কথা আমাকে খুব আশাবাদী করেছে। সবাই ঐক্যমত্যের ওপর ভিত্তি করে একটি ভালো সমাধান চায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানুষের নিয়ত। আমাদের নিয়ত যদি গণভ্যুত্থানের ঐক্য সংরক্ষণ করা, দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া এবং নিজেদের বিপদমুক্ত রাখা হয়, তাহলে সমাধান কঠিন হবে না, ইনশাআল্লাহ।
‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভাটি পরিচালনা করেন।
সভায় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।
বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনার কয়রা থানাধীন ছোট অংটিহারা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের মাথা এবং প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস, মাথা, শিকারের ফাঁদ এবং আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রার আন্দারমানিক ফরেস্ট অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
সম্প্রতি জানা যায় যে, কিছু অসাধুচক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মাসে বিজিবি ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, ০২টি রিভলভার, ০২টি এসএমজি, ০৫টি রাইফেল, ১৬টি দেশীয় বন্দুক, ০৩টি শর্টগান, ০৩টি মর্টার শেল, ০৮টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও রয়েছেন।
মন্তব্য