× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ক্রিকেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে তরুণদের র‍্যাডফোর্ড
google_news print-icon

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড

আন্তর্জাতিক-ক্রিকেটে-সময়-দিতে-হবে-তরুণদের-র‍্যাডফোর্ড
বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে কাজ করেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি
নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় র‍্যাডফোর্ড কথা বললেন তার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে, কীভাবে খেলোয়াড়দের দেখেন, কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে চান, সেটি নিয়ে। সঙ্গে বললেন, তরুণদের সময় দেয়ার কথা, সুযোগ দেয়ার কথা।

২০২০ সালের আগস্টে ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ হয়ে আসছেন ব্রিটিশ কোচ টবি র‍্যাডফোর্ড।

বাংলাদেশ এইচপি দলের দায়িত্ব নেয়ার আগে লম্বা সময় র‍্যাডফোর্ড কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে। প্রথমে ছিলেন হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক, এরপর ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের সহকারী কোচ। তার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছেন জেসন হোল্ডার, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটের মতো ক্রিকেটাররা।

দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে জিতেছেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে, তখনও ছিলেন তাদের সঙ্গেই।

এর আগে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ইংলিশ কাউন্টির দল মিডলসেক্সের কোচ হিসেবে।

বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কাজ করেছেন র‍্যাডফোর্ড। এই দেশের তরুণদের প্রতিভায় মুগ্ধ তিনি। র‍্যাডফোর্ড আগেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তিনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান টেস্ট ক্রিকেটার, বাকি ফরম্যাট পরে।

নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় র‍্যাডফোর্ড কথা বললেন তার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে, কীভাবে খেলোয়াড়দের দেখেন, কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে চান, সেটি নিয়ে। সঙ্গে বললেন, তরুণদের সময় দেয়ার কথা, সুযোগ দেয়ার কথা।

নিউজবাংলা: কেমন আছেন?

র‍্যাডফোর্ড: ভালো আছি। আশা করছি আপনিও তাই।

নিউজবাংলা: একজন কোচ হিসেবে যখন কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে কাজ শুরু করেন, আপনি প্রথমে কোন বিষয়টির ওপরে নজর দেন?

র‍্যাডফোর্ড: খেলোয়াড়টির খেলা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কি না, সে ব্যাট বা বল হাতে কার্যকর কি না। সে তার নিজের খেলার শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখে কি না এবং সে মাঠে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না।

নিউজবাংলা: আপনি আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন, এরপর বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে করলেন। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মূল পার্থক্যটা কোন জায়গায়?

র‍্যাডফোর্ড: বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা লেগ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে অফ সাইড কাজে লাগাতে পছন্দ করে। এটা ওয়ানডেতে সাহায্য করলেও, টেস্টে সমস্যায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা খুবই প্রতিভাবান এবং স্পিন খুবই ভালো খেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও প্রতিভাবান এবং তারা গতিময় পিচে একটু দ্রুত গতির বোলারদের সামনে সমস্যায় পড়ে।

নিউজবাংলা: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মতো শক্তিশালী নয়। আপনার কি মনে হয় এটিই বাংলাদেশের টেস্টে সাফল্যের অন্তরায়?

র‍্যাডফোর্ড: বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানদের উপকার হবে সেরা বোলিং আক্রমণগুলোর বিপক্ষে ভিন্ন পিচ ও কন্ডিশনে খেললে, যেমন- অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকার দ্রুতগতির, বাউন্স বেশি এমন পিচ কিংবা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে যেখানে বল সুইং ও সিম করে এমন কন্ডিশনে। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং যুব ক্রিকেটে আরও মনোযোগ আরও বেশি টেস্ট খেলার মত ক্রিকেটার তৈরি করবে।

নিউজবাংলা: অনেক বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ করলেও পরে সেটি ধরে রাখতে পারেন না। আপনি যেহেতু সাম্প্রতিকভাবে তরুণদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে থেকে কোনো সমস্যা ধরতে পেরেছেন?

র‍্যাডফোর্ড: আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের মধ্যে পাইনি, তাদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। তারা খুবই প্রতিভাবান, বিনয়ী এবং তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমার মনে হয় তাদের এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড
আফিফ হোসেনের সঙ্গে কাজ করছেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি

নিউজবাংলা: আপনার মতে কি ব্যাটসম্যানের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের ধরন ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ? নাকি তাকে সফল বানানোর জন্য তার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আনাটা ঠিক?

র‍্যাডফোর্ড: অবশ্যই। প্রাকৃতিক খেলার ধরন এবং স্টাইল যতটা সম্ভব ঠিক রেখেই বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কন্ডিশনে তাদের ধারাবাহিক ও কার্যকর হতে সাহায্য করতে হবে। খেলোয়াড়দের নিজেদের খেলা বুঝতে বুঝতে ও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।

নিউজবাংলা: আমি জানি আপনি দুই-একজনের নাম নিতে পছন্দ করেন না, কিন্তু আপনি এইচপি দলের সঙ্গে যে ক্যাম্পটি করেছেন, সেখানে আপনার সেরা ছাত্র কে ছিল? আপনার কি মনে হয়, তাদের মধ্যে কে টেস্টে সবচেয়ে ভালো করবেন, যেহেতু টেস্টেই বাংলাদেশের সমস্যাটা বেশি?

র‍্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় এইচপি দলের অনেকেরই বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট খেলার সামর্থ্য রয়েছে। তারা সবাই খুব প্রতিভাবান।

নিউজবাংলা: আপনার কি মনে হয়, ক্রিকেটারদের অল্প বয়সেই সামান্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক দেয়া উচিত?

র‍্যাডফোর্ড: যদি খেলোয়াড়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যোগ্য হয়, তাহলে বয়স সেখানে বাঁধা হওয়া উচিত না। এবং তরুণ খেলোয়াড়দেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ দিতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে। খুব কম ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দারুণ খেলা শুরু করে। শেখার সময় দিতে হবে।

নিউজবাংলা: আপনি এইচপি দলের সঙ্গে কাজ করার সময় বলেছিলেন, আপনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান। আপনি কি বিশ্বাস করেন সেই দলের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট সফল হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রতিভা আছে?

র‍্যাডফোর্ড: হ্যাঁ। আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলার টেকনিক ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। আমরা জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ভালো খেলবে এমন সব ক্রিকেটার তৈরির ওপর মনোযোগ রাখতে চেষ্টা করছি। টেস্ট সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন টেকনিক, পরিকল্পনা, শারীরিক ও মানসিক শক্তি।

নিউজবাংলা: আপনি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কাজ করার সময় তাকে বেশ কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময়ে আপনি কী দেখার চেষ্টা করেন এবং পরিবর্তনগুলো কীভাবে করেন?

র‍্যাডফোর্ড: আমি প্রথমে খেলোয়াড় এবং তার খেলার ধরন বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমে কিছুক্ষণ কিছু না বলে শুধু দেখে যাই। আমি চাই আমি যেন ভালোভাবে তাদের এবং তাদের খেলার ধরন জানি। আমি তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া, মুভমেন্ট এবং বেসিক টেকনিক দেখি। আমি অনেক কাজ করি একটি ধারাবাহিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সেট আপ তৈরি করতে যা ব্যাটসম্যানকে সহজ এবং তাড়াতাড়ি উপায় সামনে এগুতে এবং পেছাতে সাহায্য করে। শট খেলা অনেক সহজ হয়ে যায় যদি তাদের ব্যাটিং সেট আপ সরলরেখায় থাকে এবং শট তাড়াতাড়ি এবং সহজভাবে খেলার জন্য দ্রুত সঠিক পজিশনে যেতে পারে।

নিউজবাংলা: পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যানের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

র‍্যাডফোর্ড: খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের শুনতে এবং নতুন চিন্তার প্রতি ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি শিবনারায়ন চন্দরপলের সঙ্গে কাজ করতে খুবই উপভোগ করতাম। সে যখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল তখনও সে কঠোর পরিশ্রম করছিল এবং ব্যাটিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করছিল। সে অনেক সময় কাটাত সেই সব জায়গায় উন্নতি করতে যেখানে সে মনে করতো প্রতিপক্ষের বোলাররা আক্রমণ করবে। এর ফলে সে ম্যাচের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতো। আমি দেখেছি যে বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড়রা খোলা মনের এবং সব সময়ই উন্নতি করতে আগ্রহী।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড
এইচপি দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করছেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি

নিউজবাংলা: আপনি যাদের নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের অনেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আপনার কি মনে হয়, তাদের ওপর যে প্রত্যাশা, তা এই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় চাপ?

র‍্যাডফোর্ড: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাটা এই তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে বলে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে বিশ্বকাপ জয় তাদের ওপর চাপ তৈরির বদলে তাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যা তাদের উপকৃত করছে। খেলোয়াড়দের মানসিকতা দারুণ এবং তাদের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ। তারা আত্মবিশ্বাসী কিন্তু খোলা মনের এবং তারা আরও ভালো হতে আগ্রহী।

নিউজবাংলা: ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা আছে কি?

র‍্যাডফোর্ড: যদি সুযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই আমি সেটি উপভোগ করব। আমি সাইফ হাসানের সঙ্গে কাজ করেছি সাম্প্রতিক সময়ে এবং সেটি অসাধারণ ছিল। আমরা তার ট্রিগার মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি এবং আমি তার জন্য খুবই আনন্দিত যে সে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছে এবং বেশ কয়েকটি বড় রান করেছে। সে একজন দারুণ প্রতিভা।

নিউজবাংলা: এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে আপনার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কোনটি?

র‍্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এবং মিডলসেক্সের সঙ্গে ঘরোয়া ইংলিশ টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি।

আরও পড়ুন:
স্থগিত জাতীয় ক্রিকেট লিগ
আমরা এই সিরিজটি ভুলতে চাইব: মাহমুদুল্লাহ
পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া যাচ্ছেতাই বাংলাদেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
Temperature and discomfort may increase during the day

তাপমাত্রা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে

তাপমাত্রা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। ফাইল ছবি
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ও সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অস্থান নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

শনিবারের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।

বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায়
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে

মন্তব্য

ক্রিকেট
Jugantars crime reporter was threatened to leave the area where the chemical was thrown

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ফরিদকে। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার মডেল থানার ওসি মো.শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের ওপর ঝাঁঝালো রাসায়নিক নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।

অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে কলমা এলাকায় শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক।

ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘রাতে অফিস শেষে ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার অদূরে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন মুখোশধারী যুবক আমাকে নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মুখোশধারী দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে সাভার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় তারা।

‘এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগে পেছন থেকে তাদের একজন মরিচের গুঁড়াসদৃশ এক প্রকার ঝাঁঝালো কেমিক্যাল আমার মাথায় ও চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেয়ার পর চোখে-মুখে ও শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাভারের যে দুইজন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে আমার পরিচয়, যোগাযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিরোধ নেই। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে তাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদকে দেখতে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম: চারজন গ্রেপ্তার
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
শেরপুরের সাংবাদিককে কারাদণ্ড: সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

ক্রিকেট
Comilla celebrates Boro festival

বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা

বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা কুমিল্লার দেবিদ্বারে ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের, তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল।

কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে প্রকৃতি যেন পুড়ে যাচ্ছে। এমন বৈরী আবহাওয়াতে কুমিল্লার কৃষকরা মেতে উঠেছেন রোরো ধান ঘরে তোলার উৎসবে। পাকা ধানের ঘ্রাণে মোহিত হচ্ছে চারপাশ।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কুমিল্লায় এক লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে ব্রি ধান ৯৬, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ। তিনি জানান, বোরো ধান তোলার উৎসবে শুরু হয়েছে। ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাউমের আঘাতে রবি ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মৌসুমের শুরু থেকেই আধুনিক উফশী জাত ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেচ নিশ্চিতকরণ, কালবৈশাখি ঝড়, অতিবৃষ্টি, তাপদাহ, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবসহ নানা প্রতিকূলতা ছিল।

‘নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর বোরো মৌসুমে ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে।’

জেলার দেবিদ্বার এলাকা ঘুরে শুক্রবার দেখা যায়, ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমিতে ব্রি ধান ৯৬ জাতের একটি জমিতে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া গেছে ৪ দশমিক ১৮ টন।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ব্রি ধান ৯৬ জাতটি চাষ করেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। মাত্র ১৩০ দিনের জীবনকালে বাম্পার ফলন পেয়ে বেজায় খুশি তিনি।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের, তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল।

তিনি জানান, স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এ ধানটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ও এমাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ হওয়ায় ভাত খেতে সুস্বাদু ও ঝরঝরে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী
মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায়
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

ক্রিকেট
A 12 foot python died after being crushed by a car in Lauachhara

লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের

লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ভানুগাছ সড়কে মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে অজগরটি গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনের মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে শুক্রবার সকালে অজগর সাপকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন মৃত অজগরটিকে উদ্ধার করে জানকীছড়ায় মাটিচাপা দেন।’ 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগরের।

মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন বিভাগের ভাষ্য, অজগরটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, লাউয়াছড়ায় বনের ভেতরে যানবাহন চলাচলের জন্য বন বিভাগ দিকনির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, কিন্তু কেউ সেটা মানে না। যেভাবে খুশি সেভাবে চলাচল করে সব ধরনের গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে কোনো এক সময় রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির চাপায় ১২ফুট লম্বা অজগরটি পিষ্ট হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনের মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে শুক্রবার সকালে অজগর সাপকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।

‘খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন মৃত অজগরটিকে উদ্ধার করে জানকীছড়ায় মাটিচাপা দেন।’

মন্তব্য

ক্রিকেট
27 sacks of money are being counted in the donation box of Pagla Mosque

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। বর্তমানে চলছে টাকা গণনা। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে ৯টি দানবাক্স আছে, যেগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে চার মাস ১০ দিন পর। 

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, যেগুলোর গণনা চলছে এ মুহূর্তে।

জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে ৯টি দানবাক্স আছে, যেগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে চার মাস ১০ দিন পর।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৯টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।

ডিসি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এসব দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

এসপি মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূরদুরান্ত থেকে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন একর ৮৮ শতাংশে।

আরও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৬,৩২,৫১,৪২৩ টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আছে শত শত চিঠিও
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ১৫ বস্তা টাকা

মন্তব্য

ক্রিকেট
Singras ruble received grief from the team
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপহরণ ও মারধর’

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।

‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।

আরও পড়ুন:
সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

ক্রিকেট
1 killed in clash between two groups over land dispute in Pabna

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৪০ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।

আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ৫০ বছর বয়সী সাজু হুদী, জামাত ফকির ও নুর বেগম, ৫৫ বছর বয়সী মানু প্রামানিক, ৬০ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন, ৩৫ বছর বয়সী খোকন প্রামাণিক, জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক ও মো. মিঠুন এবং ৩০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তারা ফের সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই খাইরুল নিহত হন। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। তাদদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’

মন্তব্য

p
উপরে