× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ক্রিকেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে তরুণদের র‍্যাডফোর্ড
google_news print-icon

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড

আন্তর্জাতিক-ক্রিকেটে-সময়-দিতে-হবে-তরুণদের-র‍্যাডফোর্ড
বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে কাজ করেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি
নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় র‍্যাডফোর্ড কথা বললেন তার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে, কীভাবে খেলোয়াড়দের দেখেন, কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে চান, সেটি নিয়ে। সঙ্গে বললেন, তরুণদের সময় দেয়ার কথা, সুযোগ দেয়ার কথা।

২০২০ সালের আগস্টে ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ হয়ে আসছেন ব্রিটিশ কোচ টবি র‍্যাডফোর্ড।

বাংলাদেশ এইচপি দলের দায়িত্ব নেয়ার আগে লম্বা সময় র‍্যাডফোর্ড কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে। প্রথমে ছিলেন হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক, এরপর ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের সহকারী কোচ। তার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছেন জেসন হোল্ডার, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটের মতো ক্রিকেটাররা।

দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে জিতেছেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে, তখনও ছিলেন তাদের সঙ্গেই।

এর আগে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ইংলিশ কাউন্টির দল মিডলসেক্সের কোচ হিসেবে।

বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কাজ করেছেন র‍্যাডফোর্ড। এই দেশের তরুণদের প্রতিভায় মুগ্ধ তিনি। র‍্যাডফোর্ড আগেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তিনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান টেস্ট ক্রিকেটার, বাকি ফরম্যাট পরে।

নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় র‍্যাডফোর্ড কথা বললেন তার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে, কীভাবে খেলোয়াড়দের দেখেন, কীভাবে তাদের প্রস্তুত করতে চান, সেটি নিয়ে। সঙ্গে বললেন, তরুণদের সময় দেয়ার কথা, সুযোগ দেয়ার কথা।

নিউজবাংলা: কেমন আছেন?

র‍্যাডফোর্ড: ভালো আছি। আশা করছি আপনিও তাই।

নিউজবাংলা: একজন কোচ হিসেবে যখন কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে কাজ শুরু করেন, আপনি প্রথমে কোন বিষয়টির ওপরে নজর দেন?

র‍্যাডফোর্ড: খেলোয়াড়টির খেলা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কি না, সে ব্যাট বা বল হাতে কার্যকর কি না। সে তার নিজের খেলার শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখে কি না এবং সে মাঠে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না।

নিউজবাংলা: আপনি আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন, এরপর বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে করলেন। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মূল পার্থক্যটা কোন জায়গায়?

র‍্যাডফোর্ড: বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা লেগ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে অফ সাইড কাজে লাগাতে পছন্দ করে। এটা ওয়ানডেতে সাহায্য করলেও, টেস্টে সমস্যায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা খুবই প্রতিভাবান এবং স্পিন খুবই ভালো খেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও প্রতিভাবান এবং তারা গতিময় পিচে একটু দ্রুত গতির বোলারদের সামনে সমস্যায় পড়ে।

নিউজবাংলা: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মতো শক্তিশালী নয়। আপনার কি মনে হয় এটিই বাংলাদেশের টেস্টে সাফল্যের অন্তরায়?

র‍্যাডফোর্ড: বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানদের উপকার হবে সেরা বোলিং আক্রমণগুলোর বিপক্ষে ভিন্ন পিচ ও কন্ডিশনে খেললে, যেমন- অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকার দ্রুতগতির, বাউন্স বেশি এমন পিচ কিংবা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে যেখানে বল সুইং ও সিম করে এমন কন্ডিশনে। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং যুব ক্রিকেটে আরও মনোযোগ আরও বেশি টেস্ট খেলার মত ক্রিকেটার তৈরি করবে।

নিউজবাংলা: অনেক বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ করলেও পরে সেটি ধরে রাখতে পারেন না। আপনি যেহেতু সাম্প্রতিকভাবে তরুণদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে থেকে কোনো সমস্যা ধরতে পেরেছেন?

র‍্যাডফোর্ড: আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের মধ্যে পাইনি, তাদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। তারা খুবই প্রতিভাবান, বিনয়ী এবং তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমার মনে হয় তাদের এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড
আফিফ হোসেনের সঙ্গে কাজ করছেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি

নিউজবাংলা: আপনার মতে কি ব্যাটসম্যানের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের ধরন ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ? নাকি তাকে সফল বানানোর জন্য তার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আনাটা ঠিক?

র‍্যাডফোর্ড: অবশ্যই। প্রাকৃতিক খেলার ধরন এবং স্টাইল যতটা সম্ভব ঠিক রেখেই বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কন্ডিশনে তাদের ধারাবাহিক ও কার্যকর হতে সাহায্য করতে হবে। খেলোয়াড়দের নিজেদের খেলা বুঝতে বুঝতে ও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।

নিউজবাংলা: আমি জানি আপনি দুই-একজনের নাম নিতে পছন্দ করেন না, কিন্তু আপনি এইচপি দলের সঙ্গে যে ক্যাম্পটি করেছেন, সেখানে আপনার সেরা ছাত্র কে ছিল? আপনার কি মনে হয়, তাদের মধ্যে কে টেস্টে সবচেয়ে ভালো করবেন, যেহেতু টেস্টেই বাংলাদেশের সমস্যাটা বেশি?

র‍্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় এইচপি দলের অনেকেরই বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট খেলার সামর্থ্য রয়েছে। তারা সবাই খুব প্রতিভাবান।

নিউজবাংলা: আপনার কি মনে হয়, ক্রিকেটারদের অল্প বয়সেই সামান্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক দেয়া উচিত?

র‍্যাডফোর্ড: যদি খেলোয়াড়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যোগ্য হয়, তাহলে বয়স সেখানে বাঁধা হওয়া উচিত না। এবং তরুণ খেলোয়াড়দেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ দিতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে। খুব কম ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দারুণ খেলা শুরু করে। শেখার সময় দিতে হবে।

নিউজবাংলা: আপনি এইচপি দলের সঙ্গে কাজ করার সময় বলেছিলেন, আপনি টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান। আপনি কি বিশ্বাস করেন সেই দলের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট সফল হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রতিভা আছে?

র‍্যাডফোর্ড: হ্যাঁ। আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলার টেকনিক ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। আমরা জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ভালো খেলবে এমন সব ক্রিকেটার তৈরির ওপর মনোযোগ রাখতে চেষ্টা করছি। টেস্ট সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন টেকনিক, পরিকল্পনা, শারীরিক ও মানসিক শক্তি।

নিউজবাংলা: আপনি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কাজ করার সময় তাকে বেশ কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময়ে আপনি কী দেখার চেষ্টা করেন এবং পরিবর্তনগুলো কীভাবে করেন?

র‍্যাডফোর্ড: আমি প্রথমে খেলোয়াড় এবং তার খেলার ধরন বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমে কিছুক্ষণ কিছু না বলে শুধু দেখে যাই। আমি চাই আমি যেন ভালোভাবে তাদের এবং তাদের খেলার ধরন জানি। আমি তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া, মুভমেন্ট এবং বেসিক টেকনিক দেখি। আমি অনেক কাজ করি একটি ধারাবাহিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সেট আপ তৈরি করতে যা ব্যাটসম্যানকে সহজ এবং তাড়াতাড়ি উপায় সামনে এগুতে এবং পেছাতে সাহায্য করে। শট খেলা অনেক সহজ হয়ে যায় যদি তাদের ব্যাটিং সেট আপ সরলরেখায় থাকে এবং শট তাড়াতাড়ি এবং সহজভাবে খেলার জন্য দ্রুত সঠিক পজিশনে যেতে পারে।

নিউজবাংলা: পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যানের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

র‍্যাডফোর্ড: খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের শুনতে এবং নতুন চিন্তার প্রতি ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি শিবনারায়ন চন্দরপলের সঙ্গে কাজ করতে খুবই উপভোগ করতাম। সে যখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল তখনও সে কঠোর পরিশ্রম করছিল এবং ব্যাটিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করছিল। সে অনেক সময় কাটাত সেই সব জায়গায় উন্নতি করতে যেখানে সে মনে করতো প্রতিপক্ষের বোলাররা আক্রমণ করবে। এর ফলে সে ম্যাচের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতো। আমি দেখেছি যে বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড়রা খোলা মনের এবং সব সময়ই উন্নতি করতে আগ্রহী।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দিতে হবে তরুণদের: র‍্যাডফোর্ড
এইচপি দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করছেন র‍্যাডফোর্ড। ছবি: বিসিবি

নিউজবাংলা: আপনি যাদের নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের অনেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আপনার কি মনে হয়, তাদের ওপর যে প্রত্যাশা, তা এই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় চাপ?

র‍্যাডফোর্ড: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাটা এই তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে বলে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে বিশ্বকাপ জয় তাদের ওপর চাপ তৈরির বদলে তাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যা তাদের উপকৃত করছে। খেলোয়াড়দের মানসিকতা দারুণ এবং তাদের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ। তারা আত্মবিশ্বাসী কিন্তু খোলা মনের এবং তারা আরও ভালো হতে আগ্রহী।

নিউজবাংলা: ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা আছে কি?

র‍্যাডফোর্ড: যদি সুযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই আমি সেটি উপভোগ করব। আমি সাইফ হাসানের সঙ্গে কাজ করেছি সাম্প্রতিক সময়ে এবং সেটি অসাধারণ ছিল। আমরা তার ট্রিগার মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি এবং আমি তার জন্য খুবই আনন্দিত যে সে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছে এবং বেশ কয়েকটি বড় রান করেছে। সে একজন দারুণ প্রতিভা।

নিউজবাংলা: এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে আপনার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কোনটি?

র‍্যাডফোর্ড: আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এবং মিডলসেক্সের সঙ্গে ঘরোয়া ইংলিশ টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতা আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি।

আরও পড়ুন:
স্থগিত জাতীয় ক্রিকেট লিগ
আমরা এই সিরিজটি ভুলতে চাইব: মাহমুদুল্লাহ
পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া যাচ্ছেতাই বাংলাদেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
Implementation of 5 percent recommendations of the Reform Commission by December is possible Asif Nazrul

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য টিম হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সুপারিশের প্রায় অর্ধেক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের তাৎক্ষণিক কার্যকর করার মতো প্রায় ৭০ ভাগ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রথম যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়, তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশের মধ্যে থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্যগুলো বাছাই করে ইতোমধ্যেই অর্ধেকের মত বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করে যেতে পারব।

তিনি আরও বলেন, যে সকল সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারি না।

উপদেষ্টা জানান, কিছু প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপিত হলেও বাস্তবে তা তেমন নয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের সভাপতির সঙ্গেও আলোচনা করেছি। উদাহরণস্বরূপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান কে হবেন, তা কেবল কার্যপ্রণালীর বিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব; সংবিধান সংশোধনের দরকার নেই।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিছু প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি ছিল, কিছু তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে হয়েছে।

আবার কিছু প্রস্তাবে নিয়মিত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ রয়েছে, যেমন দুর্নীতি দমন বিষয়ক কৌশলপত্র তৈরি।

আইন উপদেষ্টা জানান, বাকি পাঁচটি কমিশনের কোন সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য তা নিরূপণে বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কাজ চলছে। কিছু সুপারিশের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, একবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে আর কোন আইনি সংশোধন আনা যাবে না, কারণ তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণেই প্রয়োজনীয় সব আইনি সংস্কার ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কথা আমাকে খুব আশাবাদী করেছে। সবাই ঐক্যমত্যের ওপর ভিত্তি করে একটি ভালো সমাধান চায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানুষের নিয়ত। আমাদের নিয়ত যদি গণভ্যুত্থানের ঐক্য সংরক্ষণ করা, দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া এবং নিজেদের বিপদমুক্ত রাখা হয়, তাহলে সমাধান কঠিন হবে না, ইনশাআল্লাহ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।

জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভাটি পরিচালনা করেন।

সভায় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
The Coast Guard has arrested 4 deer hunters including about 5 kg of deer meat in Khulna and deer hunting traps

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনার কয়রা থানাধীন ছোট অংটিহারা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের মাথা এবং প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস, মাথা, শিকারের ফাঁদ এবং আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রার আন্দারমানিক ফরেস্ট অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Give information to the BGB to prevent the infiltration of illegal weapons

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

সম্প্রতি জানা যায় যে, কিছু অসাধুচক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মাসে বিজিবি ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, ০২টি রিভলভার, ০২টি এসএমজি, ০৫টি রাইফেল, ১৬টি দেশীয় বন্দুক, ০৩টি শর্টগান, ০৩টি মর্টার শেল, ০৮টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
The Chief Advisor awarded the Youth Volunteer Award to 12 youths 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও রয়েছেন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Madaripur Sadar Parapur is making public suffering from the sandy sand business

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে জনবসতি এলাকায় বালুর স্তূপ করে চলছে রমরমা ব্যবসা। সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী, অর্থ-বিত্ত-বৈভবের মালিক ইলিয়াস ব্যাপারী গং এ ব্যবসা চালিয়ে জনদূর্ভোগ তৈরী করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীণ হওয়ার উপক্রম। এ পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

​পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ইলিয়াস ব্যাপারী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছেন। এর ফলে আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে বেশীরভাগ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ​ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু ব্যবসাস্থলের জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলছে, বালু ব্যবসার আড়ালে বেরিকেড, কাদাপানি সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরী করে কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখে রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন ইলিয়াস ব্যাপারী গং। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ্ করে দেয়া হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাদা হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারনে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উক্ত এলাকায় আরেকজন বাসিন্দা আঃ আজিজ জমাদ্দার বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকঠাকমতো স্কুলে যেতে পারে না, কারণ রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা একাধিকবার আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগের কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা এখানে এলে সাময়িকভাবে তা বন্ধ করা হয় এবং চলে গেলে আবার তা চালু করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।

​ তারা অবিলম্বে এ অবৈধ বালু বিক্রি ও দূর্ভোগ তৈরীকারী ব্যবসা বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

​এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং আদালতের নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

​স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে। কেননা আদালত তাদের আস্থার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার স্থল- যেখানে তাদের আশা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা এ দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস ব্যাপারী কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য

ক্রিকেট
In Madhabpur the locals were injured in the bite of the mad dog

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু-কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছে না।এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি মসজিদে পাগাল কুকুরটি থেকে সাবধান থাকতে ও একে নিধন করতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এক কুকুর গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কামড়ে একের পর এক মানুষকে আহত করে। আতঙ্কের মাত্রা বাড়তে থাকায় গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদে মাইকিং করা হয়। তবে কুকুরটিকে এখনও আটক বা নিধন করা যায়নি।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, “পাগলা কুকুরের ভয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।কুকুরটির লাল বর্ণের কুকুরি। আমরা মসজিদ থেকে মাইকিং করেছি। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।”

এ বিষয়ে মাধবপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, “কুকুরকে ধরে র‌্যাবিস টিকা দেয়ার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এটি বন বিভাগ করলে করতে পারে। আপাতত এলাকাবাসীকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এদিকে গ্রামবাসী দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
The body of the missing businessman in Comilla recovered

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীতে নিখোঁজের একদিন পর রেল সড়কের পাশ থেকে জামশেদ ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরতলীর পালপাড়া রেললাইনের পাশের একটি ঝোপ থেকে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। জামশেদ ভূঁইয়া কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী ভূঁইয়া বাড়ির সাবেক কমিশনার প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া তৃতীয় পুত্র।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য বের হন জামশেদ। এরপর তিনি বাসায় ফেরেননি। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। রোববার বিকেলের পর রেললাইনের পাশে একটি ঝোপে ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করে।

রাতে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে শনিবার রাতে জামশেদ ভূঁইয়া ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে ওই ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এখনো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে