শচীন টেন্ডুলকার। ছবি: আইসিসি
শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শচীন জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পূর্তি শুক্রবার। এদিন আনন্দের উপলক্ষে এল দুঃসংবাদ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শচীন জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
‘প্রার্থনার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সতর্কতা হিসেবে চিকিৎসকদের পরামর্শে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরব আশা করছি। সবাই নিজেদের খেয়াল রাখুন ও সাবধানে থাকুন।’
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের এক দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে লিটল মাস্টার লিখেছেন, ‘সকল ভারতীয় এবং আমার সতীর্থদের বিশ্বকাপ জয়ের ১০ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা।’
ছবি: সংগৃহীত
বিবৃততিতে বলা হয়, এপ্রিলের শুরুতে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে দেশের সরকার। ১৪ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে পুরো সিরিজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেট সিরিজ।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
বিবৃততিতে বলা হয়, এপ্রিলের শুরুতে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে দেশের সরকার। ১৪ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে পুরো সিরিজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
চারদিনের ম্যাচ ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে প্রাথমিকভাবে ১১ এপ্রিল লাহোর থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। শিডিউল অনুযায়ী, সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সফর শেষ করে ১০ মে লাহোরে ফিরত পাকিস্তান দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পিসিবি মিলে এখন সিরিজের জন্য নতুন সময় দেখবে জানিয়েছেন বিসিবির নির্বাহী প্রধান নিজামউদ্দীন চৌধুরী।
‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা যেকোনো একটা সুবিধাজনক সময়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা একটা আন্তর্জাতিক দলকে হোস্ট করার মতো অনুকূলে মনে করব তখনই আমরা করে ফেলব।’
সিরিজকে সামনে রেখে কক্সবাজারে আবাসিক ক্যাম্প করছিল বাংলাদেশের যুবরা।
ছবি: বিওএ
শনিবার বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে রান উৎসবের ফাইনালে বরেন্দ্র নর্থ জোনকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন।
‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস’ ক্রিকেটের পুরুষ বিভাগে স্বর্ণ জিতেছে জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোন। শনিবার বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে রান উৎসবের ফাইনালে বরেন্দ্র নর্থ জোনকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন।
এর আগে গেমসের প্রথম ইভেন্ট নারী ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ ব্লু দল।
পুরুষ ক্রিকেটে চার দলের প্রতিযোগিতায় লিগ পর্বে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল চট্টলা ইস্ট জোন ও চন্দ্রদ্বীপ সাউথ জোন। রান রেটে চন্দ্রদ্বীপের (-১.৪৫৪) চেয়ে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থাকা চট্টলা (-০.১৭৭) ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।
শনিবার ফাইনালে জমাট লড়াই হয়েছে বরিশালে।
দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির হয়েছে। টস জিতে আগে ব্যাট করে অধিনায়ক নাঈম আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭০ রান সংগ্রহ করে বরেন্দ্র।
৭ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম ও মিনহাজুল হাসান ১৫৮ রানের জুটি গড়েন। মিনহাজুল ৬৫ রান করে আউট হলেও নাঈম সেঞ্চুরি তুলে নেন। নাঈমের ১২৯ বলে ১২৮ রানের ইনিংস সমৃদ্ধ ছিল ১৩ চার ও ১ ছক্কায়।
এ ছাড়া আরাফাত ইসলাম ৩৮, ইমন আলী অপরাজিত ১১, রাহানুর ইসলাম অপরাজিত ২ রান করেন। জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোনের শাহরিয়ার আলম ৩টি, রেজওয়ান হোসেন, খালিদ সাইফুল্লাহ, আমির হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে জিসান আলমের সেঞ্চুরিতে ৪০.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৩ রান তুলে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় জাহাঙ্গীরাবাদ সেন্ট্রাল জোন। ওপেনিংয়ে ১৩০ রানের জুটি গড়ে দলের রান তাড়ার কাজ সহজ করে দেন রেজওয়ান হোসেন ও জিসান আলম। রেজওয়ান ৩৫ রান করলেও জিসান আলম অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন।
ইনিংসের ৩৬তম ওভারে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জিসান আলম যখন আউট হন, তখন স্কোরবোর্ডে জাহাঙ্গীরাবাদের সংগ্রহ ২৫০ রান। ১১৯ বলে ১৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন জিসান আলম। যেখানে ছিল ২০ টি চার ও ৮টি ছয়।
পরে আমির হোসেন অপরাজিত ৪৬, মাকসুদুর রহমান অপরাজিত ৯ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। বরেন্দ্র নর্থ জোনের নাঈম আহমেদ, রাফিউজ্জামান রাফি ও জাকারিয়া ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন। সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানো জাহাঙ্গীরাবাদের জিসান আলম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।
এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের নারী বিভাগে টানা তিন ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ ব্লু দল। বাংলাদেশ গ্রিন রুপা ও বাংলাদেশ রেড দল ব্রোঞ্জ পদক পায়।
টিকা নিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার টিকা নেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ২৯ জন। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক ডা. মনজুর হোসেন চৌধুরি।
নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার ডোজ নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা।
বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে ১২ এপ্রিল। তার আগে শনিবার করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার টিকা নেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ২৯ জন। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক ডা. মনজুর হোসেন চৌধুরি।
‘সর্বমোট ২৯ জন নিয়েছে খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য মিলিয়ে আজকে টিকা নিয়েছেন। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের অনেকেই আজকে দ্বিতীয় ডোজ নেননি। আশা করছি তারা আগামীকাল নিয়ে নেবেন,’ বলেন ডা. মনজুর।
তিনি জানান, এই ২৯ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।
মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস নিউজিল্যান্ড সফরের আগে টিকার প্রথম ডোজ নেননি। ডা. মনজুর জানান, তারা টিকা নেননি এবারও।
‘মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও লিটন টিকা নেননি’, জানান বিসিবির এ চিকিৎসক।
শ্রীলঙ্কায় ১২ এপ্রিল পৌছে কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলাদেশ দল। সেখানে তাদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ২১ এপ্রিল।
আকরাম খান। ছবি: সংগৃহীত
করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। সেই পরীক্ষায় পজেটিভ ফল আসে আকরামের।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান আকরাম খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। সেই পরীক্ষায় পজেটিভ ফল আসে আকরামের।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ ফল আসার পর নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন আকরাম।
শনিবার আকরামের সহধর্মিণী সাবিনা আকরামেরও করানো হয়েছে করোনা পরীক্ষা।
বাংলাদেশের হয়ে ১৯৮৮ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় আকরামের। বাংলাদেশের জার্সিতে মোট ৮টি টেস্ট ও ৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
ঐতিহাসিক ১৯৯৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন আকরাম।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স। ছবি: আইপিএল
গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ বলে দুই উইকেটে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর শুরু করেছে ব্যাঙ্গালোর।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য চাই ৩৪। সেখান থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জন্য সমীকরণটা এবি ডি ভিলিয়ার্স নামিয়ে নিয়ে আসেন ৩ বলে ৩ রানে।
কিন্তু তখনই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স, রান আউট হয়ে ফেরেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে তাতে অবশ্য হারেনি ব্যাঙ্গালোর।
গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ বলে দুই উইকেটে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর শুরু করেছে ব্যাঙ্গালোর।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। চতুর্থ ওভারেই মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান আউট হলে ভালো শুরু পায় তারা।
কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস লিন ও সূর্যকুমার যাদব মিলে ৭০ রানের জুটি গড়লে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল মুম্বাই। এই দুজনকে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কাইল জেমিসন ফেরানোর পর বাকিটা হার্শাল প্যাটেলের গল্প।
আইপিএলের ১৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট তুলে নেন হার্শাল। তার বোলিং তোপে শেষ চার ওভারে মাত্র ২৪ রান নিতে পারে মুম্বাই, তারা থামে ১৫৯ রানে।
১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল ব্যাঙ্গালোর।
কিন্তু ১৫ বলের ব্যবধানে তাদের দুজনকে সহ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপদের আভাস পাচ্ছিল তারা। বিপদ অবশ্য হতে দেননি ডি ভিলিয়ার্স।
আউট হওয়ার আগে চার চার ও দুই ছয়ে খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস, তাতে ব্যাঙ্গালোর চলে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
আর শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হার্শাল, ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
ক্রিকেটার শহিদুল ইসলাম।
১৯৯৫ সালের ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া তরুণ এই ক্রিকেটার ডানহাতি পেস বোলার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে তরুণ এই ক্রিকেটারের। একই বছরের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় শহিদুলের।
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র শহিদুল ইসলাম।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র।
শ্রীলঙ্কা সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুক্রবার ২১ সদস্যের দল ঘোষণা করে। এতে নতুন মুখ হিসেবে দলে জায়গা করে নেন শহিদুল।
১৯৯৫ সালের ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া তরুণ এই ক্রিকেটার ডানহাতি পেস বোলার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে তরুণ এই ক্রিকেটারের। একই বছরের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় শহিদুলের।
২০১৮-১৯ সেশনে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে মধ্যাঞ্চল ক্রিকেট দলের বোলিংয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার।
গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল ম্যাচে বাবার মৃত্যুশোক সামলে শেষ ওভারে জেমকন খুলনার জয়ের নায়ক হয়েছিলেন এই শহিদুল।
এদিকে শহিদুলের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার জন্য শুভকামনা ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শহিদুলের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবরটি এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও অনেক ভালো খবর। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অনেক গর্বের। আমরা খুবই আনন্দিত।’
শুভাগত হোম। ছবি: এএফপি
প্রায় পাঁচ বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার শুভাগত হোম। এছাড়া প্রথম বারের মত টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন তিন তরুণ পেইসার শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শহিদুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ১২ এপ্রিল রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। এই সফরের জন্য ২১ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
চোটের কারণে এই সফরে নেই অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার জায়গায় প্রায় পাঁচ বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার শুভাগত হোম। এছাড়া প্রথমবারের মত টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন তিন তরুণ পেইসার শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শহিদুল ইসলাম।
এছাড়া টেস্ট দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার কাজী নুরুল হাসান সোহান।
২১ সদস্যের প্রাথমিক দল নিয়েই শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের পর মূল দল ঘোষণা করবে বিসিবি।
২১ সদস্যের দল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কায়য় প্রাথমিক দল নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ তাহলে আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য হবে এবং আমাদের কিছু খেলোয়াড় যারা আমাদের ভবিষ্যতে টেস্টে সাহায্য করবে তারা দলের সঙ্গে থাকার সুযোগ পাবেন।’
তিন নতুন মুখের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তারা আমাদের হাই-পারফরম্যান্সের দলের হয়ে সব ফরম্যাটেই ভালো পারফরমেন্স করেছে। মুকিদুল এবং শহিদুল এ বছর জাতীয় লিগে ভালো করেছে এবং তারা ভবিষ্যতের টেস্ট খেলোয়াড়। তারা সবাই তরুণ এবং প্রতিভাবান।’
পাঁচ বছর পর দলে ফেরা শুভাগতর ব্যাপারে নান্নু বলেন, ‘শুভাগত অনেক দিন পর দলে ফিরেছে কিন্তু সে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার। তাকে আমরা ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে নিয়েছি কিন্তু তার অফ স্পিন আমাদেরকে বোলিংয়ে আরেকটি অতিরিক্ত অপশন দেবে।’
২১ এপ্রিল শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দুটি টেস্টই হবে পাল্লেকেলেতে।
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মাদ মিঠুন, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি রাব্বি, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, শুভাগত হোম, শহিদুল ইসলাম, কাজী নুরুল হাসান সোহান
মন্তব্য