তৈলচিত্রে রমন লাম্বার প্রতিকৃতি। শিল্পী: রাজশেখরন পরমেশ্বরন
লাম্বা সুস্থ অবস্থায়ই চলে যান ড্রেসিংরুমে। খুব বেশি কিছু হয়েছে, এমনটি ভাবেনি কেউই। ক্লাব ডাক্তারের কাধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন, এরপর তাকে ভর্তি করা হয় ডেল্টা ক্লিনিকে। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি।
এমনটি হবে দিনের শুরুতে হয়ত কেউ ভাবেনি।
ঢাকার ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, যে কোনোটিতেই আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই উত্তাপ। ১৯৯৮ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের ম্যাচ ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ, বাঁহাতি স্পিনার সাইফুল্লাহ খানের বোলিংয়ে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে দাঁড়ান রমন লাম্বা। ব্যাটিংয়ে মেহরাব হোসেন অপি।
লাম্বাকে হেলমেট নিতে বলা হলে লাম্বা বললেন, দুয়েক বলের ব্যাপার, লাগবে না। অথচ সেই এক বলেই কী বিপদ হবে, সেটি যদি লাম্বা জানতেন!
শর্ট বল দেখেই পুল করলেন অপি, সেই বল গিয়ে লাগলো লাম্বার বাঁ কানের পাশে। হাওয়ায় ভেসে ওঠা বল লুফে নিলেন আবাহনীর উইকেটকিপার ও অধিনায়ক খালেদ মাসুদ। উদযাপন করতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া লাম্বার দিকে ফিরে এলেন।
লাম্বা নিজেই হেঁটে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। খুব বেশি কিছু হয়েছে, এমনটি ভাবেনি কেউই। ক্লাব ডাক্তারের কাধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় ডেল্টা ক্লিনিকে। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি।
তিন দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন লাম্বা। ২৩ ফেব্রুয়ারিতে, যার ২৩ বছর আজ।
ক্রিকেট মাঠে মৃত্যুতে লাম্বা অবশ্য একমাত্র নন। ২০১৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে শন অ্যাবটের বাউন্সার মাথার পেছনে আঘাত হানে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ফিল হিউজের। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও।
লাম্বাকে আঘাত করা শট খেলা মেহরাব হোসেনের কাছে ব্যাপারটি দুর্ভাগ্যজনক। কখনও ভাবেননি, এমনটি হবে।
‘আমরা কেউই কখনও ভাবিনি আঘাত লাগা থেকে এত বড় কিছু হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে ব্রেন হ্যামারেজের মত হয়েছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমার শটেই এমন হয়েছে’, বলেন মেহরাব।
তিনি যোগ করেন, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে, খেলোয়াড়দের নিজের সুরক্ষা সবার আগে প্রয়োজন। অপি বলেন, ‘ওটা একটা দুর্ঘটনা ছিল যেটায় কারও কিছু করার ছিল না। একটা মেসেজ এখানে আসে যে যেকোনো খেলায় সবার আগে নিজের সুরক্ষা। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই কিন্তু সারা বিশ্বে এই বার্তাটা গিয়েছে।’
প্রায় নয় বছর ঢাকার ক্রিকেট খেলেছেন লাম্বা। ছিলেন ঢাকা লিগের বিদেশি তারকা। তার এই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির ২৩ বছর হয়ে গেলেও তার স্মরণে করা হয়নি কিছুই। না কিছু করেছে আবাহনী। না কিছু করেছে ক্রিকেট বোর্ড। কথা ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের একটি প্রান্ত তার নামে নামকরণ করার। সেই স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটই বিলুপ্ত এখন।
মেহরাবের মতে লাম্বা ভিনদেশি ছিলেন বলেই হয়তো এই অবস্থা। বলেন, ‘হয়ত তিনি বাংলাদেশি ছিলেন না বলেই এমনটা হয়েছে। হলে ভালো হত।’
লম্বা চুলের লাম্বা চলে গেছেন তার ২৩ বছর পার হয়ে গেছে। এখন অবশ্য আর কেউ এক বলের জন্য হলেও ক্লোজ-ইনে হেলমেট ছাড়া দাঁড়ান না।
লাম্বারা এভাবে স্মৃতি ও স্মারক হয়ে থাকেন সব সময়। তারা ফিরে আসেন না। ফিল হিউজ, রমন লাম্বা, তাদের কথা স্মৃতিতে আটকে থাকে। সেটি মলিন হয়। ওপারলোকের মায়া কাটিয়ে এপাড়ে তারা ফিরে আসেন না।
Raman Lamba passed away this day 21 years ago. According to his wife Kim, Raman used to say, ‘Smile at the day and the day will smile back.’
— Clayton J Murzello (@ClaytonMurzello) February 22, 2019
Pic: @mid_day archives. pic.twitter.com/nDBfuPJfhI
বাংলাদেশ লিজেন্ডস দলে খেলবেন যারা। ছবি: বিসিবি
গত বছর আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর। পাঁচ দলের সেই আসরে ছিল না বাংলাদেশ। তবে এবার অস্ট্রেলিয়া সরে দাঁড়ানোয় সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ, যোগ দিচ্ছে ইংল্যান্ডও। এবার তাই আসর হবে ছয় দলের।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভারতে আয়োজন করা হয় ‘রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ’। সেখানে খেলেন ক্রিকেটের প্রথম সারির দেশগুলোর সাবেক তারকারা।
গত বছর আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর। পাঁচ দলের সেই আসরে ছিল না বাংলাদেশ। তবে এবার অস্ট্রেলিয়া সরে দাঁড়ানোয় সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ, যোগ দিচ্ছে ইংল্যান্ডও। এবার তাই আসর হবে ছয় দলের।
দলগুলো হচ্ছে- ভারত, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তান।
প্রথম বারের মতো এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দলে থাকছেন মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাফীস ইকবাল ও আব্দুর রাজ্জাকদের মতো সাবেক তারকারা।
এবারের টুর্নামেন্টে খেলবেন শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, জহির খান, মারভান আতাপাত্তু, চামিন্দা ভাসদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ৫ মার্চ। শেষ হবে ২১ মার্চ। টুর্নামেন্টের সব খেলা হবে ভারতের রাইপুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে বাংলাদেশ দল
মোহাম্মদ রফিক, জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, মেহরাব হোসেন অপি, হান্নান সরকার, রাজিন সালেহ, নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদ, মুশফিকুর রহমান বাবু ও মোহাম্মদ শরিফ।
রোহিত শর্মাকে আউট করে উদযাপনে জ্যাক লিচ। ছবি: বিসিসিআই
ভারত গুটিয়ে যায় ১৪৫ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১১২ রানে গুটিয়ে দিয়েও মাত্র ৩৩ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। জবাবে ইংল্যান্ডও পড়েছে বিপদে। মাত্র ৫০ রানেই হারিয়েছে চার উইকেট।
আহমেদাবাদে দিবারাত্রির টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ভারত। সেখান থেকে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের পাঁচ উইকেটে মাত্র ৪৬ রান যোগ করেই গুটিয়ে যায় ভারত।
ভারতকে ১৪৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ডও। ৫০ রান তুলতেই সফরকারীরা হারিয়েছে চার উইকেট।
দিনের ষষ্ঠ ওভারেই ভারতের সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্রথম উইকেট শিকার করেন জ্যাক লিচ। পরের ওভারেই ভারতের হয়ে একমাত্র ফিফটি হাঁকানো রোহিত শর্মাকেও লেগ বিফোর করে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার।
বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই ঋষভ পন্থকে উইকেটের পেছনে বেন ফোকসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রুট। এরপর একে একে ওয়াশিংটন সুন্দর ও আক্সার প্যাটেলকে ফিরিয়ে দেন রুট। নবম উইকেট হিসেবে অশ্বিন যখন ফেরেন রুটের বলে, তখন ভারতের রান মাত্র ১৩৪।
শেষ পর্যন্ত ভারত গুটিয়ে যায় ১৪৫ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১১২ রানে গুটিয়ে দিয়েও মাত্র ৩৩ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
জবাবে ইংল্যান্ডও পড়েছে বিপদে। মাত্র ৫০ রানেই হারিয়েছে চার উইকেট। প্রথম ওভারেই আক্সারের কাছে জ্যাক ক্রলি ও জনি বেয়ারস্টোকে হারায় তারা। এরপর আক্সার তুলে নেন ডম সিবলিকেও।
প্রতি-আক্রমণ শুরু করলেও রভিচন্দ্রন আশউইনের বলে ফিরে গেছেন বেন স্টোকস। ফেরার আগে তিনি করেন ৩৪ বলে ২৫।
উদযাপনে নিউজিল্যান্ড দল। ছবি: এএফপি
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড ২১৯/৭, ২০ ওভার (গাপটিল ৯৭, উইলিয়ামসন ৫৩, নিশাম ৪৫*, রিচার্ডসন ৩/৪৩, ঝাই রিচার্ডসন ১/৩৯, জ্যাম্পা ১/৪৩); অস্ট্রেলিয়া ২১৫/৮, ২০ ওভার (স্টোইনিস ৭৮, ফিলিপে ৪৫, স্যামস ৪১, স্যান্টনার ৪/৩১, নিশাম ২/১০, সোধি ১/৪১)
ম্যাচে রান হলো ৪৩৪। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করল ২১৯, জবাবে অস্ট্রেলিয়া করতে পারল ৪ রান কম। তাতে জয় তুলে নিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের। চতুর্থ ওভারেই কেন রিচার্ডসন টিম সাইফার্টকে ফেরালে সেই সিদ্ধান্ত আপাতদৃষ্টিতে সঠিকই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু তারপরই শুরু হয় মার্টিন গাপটিল-ঝড়। তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুজনে মিলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি, মাত্র ৬৯ বলে।
ড্যানিয়েল স্যামস যতক্ষণে গাপটিলকে ফিরিয়েছেন, ততক্ষণে ৫০ বল খেলে ফেলেছেন ডান হাতি এই ওপেনার। আর তাতে ছয়টি চার ও আটটি ছয়ে করেছেন ৯৭, যা ভিত্তি গড়ে দেয় নিউজিল্যান্ডের বড় সংগ্রহের।
গাপটিল-উইলিয়ামসনে ভিত্তি পেলেও অস্ট্রেলিয়ার আসল সর্বনাশ করে দেন জিমি নিশাম। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৫তম ওভারে মাঠে নামেন, খেলেন মাত্র ১৬ বল। কিন্তু সেই ১৬ বলে মারেন একটি চার ও ছয়টি ছয়, করেন ৪৫। আর তাতে ভর করে নিউজিল্যান্ড পৌঁছে যায় ২১৯ রানের চূড়ায়।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক ফিঞ্চের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে পিছিয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে জোশ ফিলিপের ৩২ বলে ৪৫-এ সামান্য আশা পায় তারা, ম্যাচে ফেরে মার্কাস স্টোইনিসের ৩৭ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের কল্যাণে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাশটন অ্যাগার ও মিচেল মার্শরা ব্যর্থ হলে স্টোইনিসকে সঙ্গ দেন স্যামস। দুজনের ৩৭ বলে ৯২ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া, শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন নেমে আসে ১৫ রানে।
কিন্তু ব্ল্যাকক্যাপসদের নায়ক হয়ে দাঁড়ান নিশাম। প্রথম বলেই ফেরান স্যামসকে, চতুর্থ বলে স্টোইনিসের হাতে ছয় খেলেও পরের বলেই ঘুরে দাঁড়ান। পরের বলেই তাকে ফিরিয়ে দিয়ে নিশাম জয় নিশ্চিত করেন স্বাগতিকদের।
এই জয় দিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তারা মুখোমুখি হবে আগামী ৩ মার্চ।
আক্সার প্যাটেল বল হাতে নেন ইংল্যান্ডের ছয়টি উইকেট। ছবি: টুইটার
প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৯৯। শেষ বেলায় কোহলি ফিরে গেলেও রোহিত ক্রিজে জমে গিয়েছেন। ইংল্যান্ডের থেকে মাত্র ১৩ রানে পিছিয়ে ভারত। ক্রিজে আছেন রোহিত শর্মা ৫৭* ও আজিঙ্কা রাহানে ১*।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু, আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে এগিয়ে আছে ভারত। স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু ইংল্যান্ড অল্প রানে গুটিয়ে যায়। বোলারদের দাপটের পর ব্যাটিংয়েও স্বস্তিতে স্বাগতিকরা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৯৯। শেষ বেলায় ভিরাট কোহলি ফিরে গেলেও রোহিত ক্রিজে জমে গিয়েছেন। ইংল্যান্ডের থেকে মাত্র ১৩ রানে পিছিয়ে ভারত। ক্রিজে আছেন রোহিত শর্মা ৫৭* ও অজিঙ্কা রাহানে ১*।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ১১২ রানেই গুটিয়ে যায় প্রথম টেস্টে জয় পাওয়া ইংল্যান্ড। দলে একমাত্র ওপেনার ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রাউলি ব্যাট হাতে একমাত্র ফিফটিতে দলের ঢাল হয়ে ছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৩*। বাকীদের মধ্যে দুই ঘরের অংক ছুঁতে পেরেছেন তিন জন। অধিনায়ক রুট ফিরেছেন ১৭ রানে, উইকেটকিপার ফোকস ১২ ও ফাস্ট বোলার জোফরা আর্চার ব্যাট হাতে তুলেছেন ১১ রান।
৭৪ রানে ভেতরে তিন উইকেট হারানো পর্যন্ত ঠিক পথেই ছিল ইংল্যান্ড। পরের ৩৮ রানে যেন স্কোরবোর্ড লন্ডভন্ড করে ফেলে ভারত। বল হাতে স্পিনার আক্সার প্যাটেল ও রভিচন্দ্রন আশউইন ঘুরিয়ে দেন পুরো ম্যাচ। স্পিন ম্যাজিকে আক্সার তুলে নেন ছয়টি উইকেট। আর আশউইন তিনটি। মাঝে এক উইকেট নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি টেস্টের উদযাপনে শামিল হলেন ইশান্ত শর্মা।
১১২ রানে সফরকারিদের গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানের মধ্যেই চেতেশ্বর পুজারা ও শুভমান গিলের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। তবে অন্য প্রান্তে ব্যাট হাতে ফিফটিতে দলকে ভরসা দেন শর্মা। ক্রিজে জমে গিয়েও ২৭ রানে ফেরেন অধিনায়ক কোহলি। অজিঙ্কা রাহানে ক্রিজে এসে রোহিতের সঙ্গে অপরাজিত থেকে ৯৯ রান তোলেন।
বল হাতে জ্যাক লিচ দুইটি ও জোফ্রা আর্চার নেন একটি উইকেট। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে আছে ভারত।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্ট দু’দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিতলে যেমন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত, তেমনই সিরিজ জয়ের ব্যাপারটাও অনেকটা নিশ্চিত হবে।
নতুন নাম রাখা হয়েছে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। বুধবার উদ্বোধনী ম্যাচের আগে এই নাম পরিবর্তন করেন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ।
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্ট হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গোলাপি বলের ডে-নাইট ম্যাচ শুরুর দিনই বদলে গেল এর নাম। মোতেরার ১ লাখ ১০ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভেন্যুটি এখন থেকে পরিচিত হবে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হিসেবে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বুধবার উদ্বোধন করেন নতুন নামের স্টেডিয়ামটির। মোতেরা স্টেডিয়ামের আগের নাম ছিল সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়াম।
উদ্বোধনের মঞ্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে মোতেরাকে বিশ্বের সবথেকে বড় স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন নরেন্দ্র মোদি। উনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শুরু হয় মোতেরা স্টেডিয়াম নবনির্মাণের কাজ। দীর্ঘ ৫ বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে গড়ে তোলা হয়েছে এটি। এখন থেকে এটি নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত হবে।’
বিশ্বের সব থেকে বড় স্টেডিয়ামের উদ্বোধনের মঞ্চে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
স্টেডিয়ামটি ধারণক্ষমতার হিসেবে ছাড়িয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে (এমসিজি)। এমসিজিতে ৯০ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারেন।
অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন স্টেডিয়ামে ১১টি পিচের সঙ্গে আছে অনুশীলনের জন্য দুটি ছোট মাঠ। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেট মাঠ এটি, যেখানে খেলোয়াড়দের জন্য চারটি ড্রেসিং রুমের সুবিধা আছে।
As CM, he used to say Gujaratis must also progress in 2 fields-sports&armed forces. He took charge of GCA on my request&promoted sports here. His vision was that world's largest cricket stadium be built here. This 1,32,000-seater stadium will be known as Narendra Modi Stadium: HM pic.twitter.com/bn2BNcLA57
— ANI (@ANI) February 24, 2021
ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর বিশ্রামে থাকায় অনুপস্থিত বিসিসিআইয়ের প্রধান।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু, আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। গোলাপি বলে ডে-নাইট ম্যাচটির আগে উদ্বোধন করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়াম।
আয়োজনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তবে, ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর বিশ্রামে থাকায় অনুপস্থিত বিসিসিআইয়ের প্রধান। কদিন আগেই তার হৃদযন্ত্রে তিনটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। তাই এখনও বাড়িতেই আছেন ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
তার মন পড়ে আছে আহমেদাবাদে। থাকতে না পেরে মন খারাপ সৌরভের। এক টুইটারে গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘আজ স্টেডিয়ামে থাকতে পারলাম না। খুব মিস করব। এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য কী পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটা বুঝতে পারছি। গোলাপি বলের টেস্ট আমাদের স্বপ্ন ছিল। ভারতে দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় টেস্ট হতে চলেছে। গতবারের মতো ভরা গ্যালারি দেখার আশায় রইলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে এই স্টেডিয়াম।’
ক্রিকেট বোর্ড সচিব জয় শাহকে অভিনন্দন জানিয়ে গাঙ্গুলি আরও একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন, ‘গুজরাট ও ভারতের সব ক্রিকেটারের জন্য এরকম একটা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। জয় শাহ ও গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সব পদাধিকারী ও সদস্যরা আজ গর্বিত। স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে। সবাইকে শুভেচ্ছা।’
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম বুধবার সকালে পাল্টে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম রাখা হয়।
Will miss being at the stadium today ..what an effort it must have been to create this ..pink test was our dream and it's going be the 2nd one in india.hope to see full stands like last time. Under the leadership of Honble Prime minister @narendramodi Amit Shah @AmitShah .. pic.twitter.com/za7vdYHTN0
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) February 24, 2021
স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছায় টাইগার বাহিনী। এয়ারপোর্ট থেকে টিম হোটেলে যাওয়ার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে পুরো স্কোয়াড। এরপর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবেন তামিম-মুশফিক-মুমিনুলরা।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছায় টাইগার বাহিনী।
এয়ারপোর্ট থেকে টিম হোটেলে যাওয়ার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে পুরো স্কোয়াড। এরপর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবেন তামিম-মুশফিক-মুমিনুলরা।
নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ফরম্যাটের জন্য মোট ২০ জন ক্রিকেটার আছেন বাংলাদেশ দলে। সঙ্গে আছে ১৫ জনের সাপোর্টিং স্টাফ।
কোভিড মহামারির সময়ে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বিসিবির দুই চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী ও হুমায়ূন মোর্শেদও গেছেন দলের সঙ্গে।
টাইগারদের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান নেই সিরিজে। তৃতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে সফর থেকে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব।
দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২০ মার্চ ডানেডিনে।
ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে ২৩ ও ২৬ মার্চ বাকি দুই ওয়ানডের পর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। বাকি দুই টি-টোয়েন্টি হবে নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।
The Bangladesh Team reached Christchurch at 14h45 (New Zealand Time).#BCB pic.twitter.com/8onlCyBq0R
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) February 24, 2021
মন্তব্য