× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ক্রিকেট
অনেক প্রশ্ন রেখে গেল উইন্ডিজ
google_news print-icon

অনেক প্রশ্ন রেখে গেল উইন্ডিজ

অনেক-প্রশ্ন-রেখে-গেল-উইন্ডিজ
সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে উদযাপনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: বিসিবি
প্রথম টেস্টে ভালো করা মুস্তাফিজ কেনো দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেলেন না এবং কেনো সাকিবের চোটের পর মাত্র চার নিয়মিত বোলার নিয়ে খেললো বাংলাদেশ, এমন প্রশ্নেরও উত্তর নেই।

এমনটি হবে, সেটি কারও সুদূর ভাবনায়ও ছিল না। বরঞ্চ ১২ জন নিয়মিত খেলোয়াড় ছাড়া বাংলাদেশ সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কত দ্রুত হারাবে বাংলাদেশ, বিস্তর আলোচনা হয় তা নিয়ে।

পাশার দান উল্টে গেল সিরিজ শেষ হতে হতে। প্রথম টেস্টে তবু সান্ত্বনা ছিল, কাইল মেয়ার্সের ‘ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম’ ইনিংসের কাছে হারতে হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে একদম নাস্তানাবুদই করে ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংস বাদে বাকি ম্যাচজুড়ে এগিয়ে ছিল তারা।

২০১২-১৩ মৌসুমের পর প্রথম বারের মত ঘরের মাটিতে দুই বা তার বেশি টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ হারে সবকটি ম্যাচ। এমন এক সিরিজের পর তাই সব দিকে থেকে ছুটে আসছে সমালোচনার তীর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান তো বলেই দিয়েছেন, কোচ, অধিনায়কসহ সবার কাছে জবাব চাইবেন তিনি।

সিরিজ জুড়েই বাংলাদেশ দলে দেখা গিয়েছে অব্যবস্থাপনা। প্রথম টেস্টে দলে ছিলেন চার স্পিনার। কিন্তু পিচে স্পিনারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। দ্বিতীয় টেস্টে স্কোয়াডের বাইরে থেকে দলে নেওয়া হলো সৌম্য সরকারকে। যিনি চার দিন আগেও সাদা বলে অনুশীলন করেছেন। ব্যাকআপ ওপেনার সাইফ হাসানকে টপকে তিনিই ঢুকে গেলেন একাদশে। এমন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েই ক্যারিবিয়ানদের বিদায় জানায় বাংলাদেশ।

প্রস্তুতি কোথায়?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই লাল বলের কোনো ম্যাচ খেলেননি। অদ্ভুত হলেও সত্য, গত ফেব্রুয়ারিতে খেলা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা টেস্টই ছিল টাইগারদের শেষ লাল বলের প্রস্তুতি।

আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর আগে সফর করেছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছেন তারা। সেই প্রস্তুতি ম্যাচের দলে ছিলেন পরবর্তীতে একাদশে সুযোগ পাওয়া কেবলমাত্র সাদমান ইসলাম।

পুরো সিরিজে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের টেস্ট মানসিকতার অভাবের কারণ হিসেবে তাই সবার আগে আসছে এই প্রস্তুতির অভাবই। সফরকারীরা যখন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন তখন খেলতে পারতো বাংলাদেশও। অথচ, সেটি হয়নি।

কেনো হয়নি, সেই প্রশ্নের জবাব এসেছে বায়ো বাবলে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সময়ে থাকা নিয়ে। সিরিজের আগে না করে বরং ওয়ানডে ও টেস্টের মধ্যে করলে যে সমস্যা হতো না, সে বিষয়ে উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একাদশ বিড়ম্বনা

একাদশ নিয়েও নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট। প্রথম টেস্টের আগে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, এমন পিচে পেইসার খেলানো মুশকিল। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের প্রথম দুই উইকেট পেইসার মুস্তাফিজুর রহমানের!

একাদশ নিয়ে অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার আরও দেখা গেলো দ্বিতীয় টেস্টের আগে। সাকিব আল হাসান চোটে পড়ে বাদ পড়ায় তার বদলে অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছিলেন এক জন বোলার ও এক জন ব্যাটসম্যানকে নেওয়া হবে। কিন্তু একাদশে তার বদলে এলেন মোহাম্মদ মিঠুন। যিনি আদতে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান!

সাকিবের বদলি নিয়ে আরেক কাণ্ড অবশ্য ঘটানো হয়েছিল আগে। তার বদলি হিসেবে প্রাথমিক স্কোয়াডের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয় সৌম্য সরকারকে। যিনি শেষ বার টেস্ট খেলেছেন ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সাদমান চোটে পড়ে ছিটকে গেলে তার বদলি হিসেবে খেলানোও হয় সৌম্যকে। অথচ স্কোয়াডে ছিলেন ব্যাকআপ ওপেনার সাইফ হাসান!

প্রথম টেস্টে ভালো করা মুস্তাফিজ কেনো দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেলেন না এবং কেনো সাকিবের চোটের পর মাত্র চার নিয়মিত বোলার নিয়ে খেললো বাংলাদেশ, এমন প্রশ্নেরও উত্তর নেই।

অনেক প্রশ্ন রেখে গেল উইন্ডিজ
দ্বিতীয় টেস্টে আবু জায়েদ রাহি ছয় উইকেট নিয়েছেন, কিন্তু দলে ছিলেন না আর কোনো নিয়মিত পেইসার। ছবি: বিসিবি

সাবেক বিসিবি নির্বাচক ও বাংলাদেশ অধিনায়ক ফারুক আহমেদের মতে, বাংলাদেশ চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

‘একাদশ নির্বাচনে খুব একটা চিন্তাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। সবগুলো ব্যাপারই আমার কাছে মনে হয়েছে তারা ভালোভাবে চিন্তা করেনি। উইকেট, টিম কম্বিনেশন, ব্যাটিং অর্ডারে কে কোথায় খেলবে। দল নির্বাচনে আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের চেয়ে পছন্দ-অপছন্দ বেশি গুরুত্ব পায়’, বলেন তিনি।

তিনি যোগ করেন, ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ হয়ত অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। ফারুক বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্ট্রং টিমকে আমরা হারিয়েছি। এবার সুযোগ ছিল অনভিজ্ঞ দলকে হারানোর। ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর আমরা ভেবেছি যে টেস্ট সিরিজে শুধু নিয়মরক্ষার হবে। সেটা আর হয়নি।’

বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, এমন ফলের কারণ বাংলাদেশের নিজেদের মত খেলতে না পারা। অনভিজ্ঞ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে বাংলাদেশ অবমূল্যায়ন করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা তো করেছেই অবশ্যই। এই দল যে শক্তিশালী তেমন না, আমাদের লেভেলে খেলতে পারিনি বলে এমন হয়েছে। আসলে ওরা এতটা ভালো দল না,’ বলেন তিনি।

স্পিন বিষে ঘায়েল করতে গিয়ে নিজেরাই ঘায়েল আর কত?

ঘরের মাঠে স্পিনারদের সহায়তা করে এমন পিচ বানানোর পরিকল্পনা বাংলাদেশ শুরু করে ২০১৬ সালের ইংল্যান্ড সিরিজে। সেবার সফলতাও এসেছিল, ইংল্যান্ডকে প্রথম বারের মত টেস্টে হারিয়েছিল টাইগাররা। এই ফর্মুলাতেই পরে তারা ঘরের মাঠে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

এই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে আসে ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। সেই টেস্টে আফগান স্পিনারদের দৌরাত্ম্যে ২২৪ রানের বিরাট পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার সেটি আবার হলো ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে। রাখিম কর্নওয়ালের ১৪ উইকেট ছিল সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হওয়ার বড় কারণ।

তবে কি বাংলাদেশের সময় এসেছে স্পিন সহায়ক পিচ থেকে সরে দাঁড়ানোর? এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, এতদিন পেইসারদের তুলনায় স্পিনাররা সফল হওয়াতেই স্পিন সহায়ক পিচ ছিল।

‘বোলারদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে আমাদের স্পিনাররা ভালো ছিল এতদিন। পেইস বোলিংয়ে তেমন শক্তি আমাদের ছিল না। মাঝেমধ্যে দেখেছি পেইস বোলাররা আসছে কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক ওরা এগুতে পারেনি। যে কারণে স্পিনারদের প্রাধান্য ছিল এবং আমরা স্পিনিং উইকেটের সাহায্য নিয়েছি।

‘এখন সিচুয়েশন যেরকম যে আমরা ওই মানের স্পিন বোলিং দেখছি না বোলারদের কাছে। সাকিব না থাকায় আমাদের স্পিন আক্রমণটা আরও দুর্বল মনে হচ্ছে। যে তিন জন ঢাকায় খেলল, তারা তিন জনই যে খুব মানসম্পন্ন স্পিনার তা কিন্তু না। এখন আমাদের হাতে যে পেইসাররা আছে, তাদের যদি পাশাপাশি দাড় করাই, তাহলে খুব বেশি পার্থক্য হবে তা না। সে কারণেই আমাদের সামনে সুযোগ ছিল আমরা দুজন স্পিনার ও দুজন পেইসার নিতাম তাহলে আমাদের আক্রমণটা আরও ভালো হত’, বলেন ফাহিম।

সঙ্গে বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক যোগ করেন, সব দেশই এখন কাজ করছে উপমহাদেশে এসে স্পিন খেলার বিষয়ে।

অনেক প্রশ্ন রেখে গেল উইন্ডিজ
রাখিম কর্নওয়ালের ১৪ উইকেট ছিল টেস্ট সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণে বড় প্রভাবক। ছবি: বিসিবি

‘এখন সব দেশই কিন্তু স্পিনার তৈরি করছে। আমরা যেমন পেইসার চাই যেন নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে খেলতে পারি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওরাও কিন্তু চায়, স্পিনার গড়ে তুলতে যেন ওরা উপমহাদেশে এসে খেলতে পারে। সব দলেই ভালো স্পিনার, ভালো ব্যাটসম্যান আছে যারা স্পিনের বিপক্ষে ভালো। সুতরাং ঘরের মাঠের সুযোগ নেওয়ার যে ব্যাপারটি, সেটা কিন্তু পুরোপুরিভাবে নেই এখন’, বলেন তিনি।

আপাতত নিউজিল্যান্ডে পরের সফরে টেস্ট নেই বাংলাদেশদের। তবে সিরিজ হারার ক্ষোভের উদ্গিরণ ইতিমধ্যে দেখেছে ক্রিকেট। বোর্ড সভাপতি বলেছেন টেস্টের জন্য হতে হবে আলাদা দল।

মাত্রই ২০২০ সালের শুরুতে সাদা ও লাল বলের জন্য ভিন্ন চুক্তি দেয়া বিসিবির এই সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবে রূপান্তরিত হবে কিনা, সেটি নিয়ে রয়েছে নানা জনের নানা মত। আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে আপ্তবাক্য দ্বিতীয় টেস্ট শেষে অধিনায়ক মুমিনুলের হকের সেই কথাটিই -

‘২০ বছর হয়ে গেছে। আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি।’

আরও পড়ুন:
তবুও সন্তুষ্ট নন উইন্ডিজ কোচ!
১৮ ফেব্রুয়ারি টিকা নেবেন ক্রিকেটাররা
টেস্টের জন্য আলাদা দল চায় বিসিবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
Enamuls Failure continuity The story of Run vacancies in Sri Lanka tour

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।

মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।

এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Rumana Ahmed sought justice from BCB

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।

গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’

২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।

দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’

৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Tamims condition should improve at rest Doctor

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক তামিমের স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর (ডানে) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’

সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।

‌‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।

‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।

‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের
নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

মন্তব্য

ক্রিকেট
The ring is worn on Tamims heart

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।

বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।

‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মন্তব্য

ক্রিকেট
Cricketer Shakibs property in the Czech Digon case

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ


চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি সাকিব আল হাসান। ছবি: বাসস
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।

আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে পলক
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেল আইসিটি

মন্তব্য

ক্রিকেট
Tamim Iqbal at the hospital with chest pain

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।

‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’

টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
সরকারি হাসপাতালে দুই দিন ধরে নেই পানি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মন্তব্য

ক্রিকেট
Inter University Cricket Tournament Revised in the Permanent campus of Canadian University

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন। ছবি: সিইউবি
এ টুর্নামেন্টে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।

সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।

সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা
টাইগারদের লড়াকু পুঁজি
আফগানিস্তান ২৩৫ রানে অলআউট
চট্টগ্রাম টেস্টে তিনদিনেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
রানপাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ ধুঁকছে

মন্তব্য

p
উপরে