আর্নেস্ট আর্থার কাউড্রে ক্রিকেটপ্রেমে আকণ্ঠ নিমজ্জিত এক মানুষ। নিজেও খেলতেন। একেবারে আহামরি কিছু নয়। তারপরও তালেগোলে একটা ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। জাতিতে ইংরেজ, তবে জন্ম ব্রিটিশ রাজের অধীন ভারতবর্ষে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কলকাতায়।
একমাত্র ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচটি তালেগোলে খেলে ফেলা বলছি, কারণ তা খেলতে পেরেছিলেন তখন তিনি ভারতে ছিলেন বলেই। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে ভারতে শুভেচ্ছা সফরে এসেছে এমসিসি দল। সেই দলের বিপক্ষে মাদ্রাজে ইউরোপিয়ান একাদশের হয়ে খেলেন আর্নেস্ট কাউড্রে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই।
আর্থার কাউড্রের একমাত্র ছেলের জন্মও ভারতে। তখন তাঁর বাস অধুনা চেন্নাই আর সে সময়ের মাদ্রাজের কাছের পর্যটন শহর উটিতে, নিজের টি এস্টেটে। ক্রিকেটপ্রেম থেকে ছেলের এমন একটা নাম রাখলেন, যেন সেই নামের আদ্যক্ষর মিলে এমসিসি হয়। এমসিসি মানে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। যে ক্লাবকে বলতে পারেন ক্রিকেটের জনক। এখনো ক্রিকেটে কোনো আইন বদলাতে হলে যে ক্লাবের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলও অনেক অনেক বছর এমসিসি নামেই খেলেছে।
তো আদ্যক্ষর এমসিসি রাখতে ছেলের নাম রাখা হলো মাইকেল কলিন কাউড্রে। এটা তো না বললেও চলছে যে, পদবীর প্রথম অক্ষর ‘সি’ না হলে বাবার চাওয়া পূরণ হতো না। ছেলের যখন এমসিসির অর্থ ভালো করে বোঝার বয়সও হয়নি, তখনই তার জন্য এমসিসির সদস্য পদ চেয়ে আবেদনও করে দিলেন আর্থার কাউড্রে।
এসব গল্প আমরা জানতেও পারতাম না, যদি না সেই ছেলে একদিন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হতেন। এমসিসি নিয়ে এত কথা বলার আসল কারণ যদিও এটা নয়। কী বিস্ময়কর দেখুন, এমসিসি আদ্যক্ষরের সেই ছেলেটিই মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব অর্থাৎ এমসিসির দ্বিশতবার্ষিকীতে সেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট! বাবা নামটা রাখার সময় নিশ্চয়ই এতটা ভাবেননি। কেই-বা ভাবতে পারে এমন!
ছেলে ক্রিকেটার হবে, এই স্বপ্ন তো দেখেছিলেনই। তাই বলে আর্নেস্ট আর্থার কাউড্রের স্বপ্ন নিশ্চয়ই এত দূর বিস্তৃত হয়নি যে, তিনি ভাববেন ছেলে একদিন প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি করবে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি একদিন তাঁর হবে, সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ডও। খেলা ছাড়ার সময় সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড, ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি। নিদারুণ এক ট্র্যাজেডিই বলতে হয়, নিজের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া এমন কীর্তিমান ছেলের টেস্ট অভিষেকটাও বাবা দেখে যেতে পারেননি মাত্র মাস দুয়েকের জন্য।
এই দুই রেকর্ডের কোনোটাই যে এখন আর কলিন কাউড্রের নয়, এটা তো মনে হয় আপনি জানেনই। ১০০ টেস্ট খেলাও অনেকদিন ধরেই তেমন কোনো ব্যাপার নয়। শচীন টেন্ডুলকার ২০০ টেস্ট খেলে ফেলার পর তো আরও নয়। তবে কাউড্রে যখন শততম টেস্ট খেলতে নামেন, তা সত্যিকার অর্থেই ছিল এক বিস্ময়। কলিন কাউড্রে তা উদযাপন করেছিলেন সেঞ্চুরি করে। সেই সেঞ্চুরিতেও মজার একটা ব্যাপার আছে। হাফ সেঞ্চুরি করার পরই পায়ের পেশিতে টান পড়েছিল। ক্রিকেটে তো তখন রানার নেয়া যেত, সেঞ্চুরি করতে তাই সমস্যা হয়নি। আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানই শুধু রানার হতে পারতেন, সেই ইনিংসে তখন পর্যন্ত আউট হয়েছিলেন শুধু জিওফ বয়কট। নিজেকে ছাড়া কিছু বোঝেন না, সারা জীবন এই অপবাদ বয়ে বেড়ানো বয়কটকে তাই দৌড়ে যেতে হয়েছে কাউড্রের রানের জন্য। প্রসঙ্গটা উঠতই না, যদি ঘটনাচক্রে ১০০ টেস্ট খেলার দ্বিতীয় কীর্তিটা এই বয়কটই করে না ফেলতেন।
এমসিসির দ্বিশতবার্ষিকীতে ক্লাবের চেয়ারম্যানের নাম এমসিসি, প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে শততম টেস্ট খেলার সময় কাউড্রের রানারের এই কীর্তিতে দ্বিতীয় জন হয়ে যাওয়া- এ সব তো অবশ্যই কাকতালীয়। ক্রিকেটে এমন কাকতালীয় ঘটনা আরও অনেক আছে। এই লেখায় তাতে আর না যাই। আমরা কলিন কাউড্রে নিয়েই থাকি। তা হঠাৎ করে আজ তাঁকে নিয়ে লেখারও তো একটা কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়। সেই কারণ হলো, আজ কলিন কাউড্রের জন্মদিন। নিজে তা পালন করছেন কি না, তা জানার উপায় নেই। কারণ স্বর্গে জন্মদিন পালনের রেওয়াজ আছে কি না, আমরা তা জানি না। এক ডিসেম্বরে পৃথিবীতে এসেছিলেন, ৬৭ বছর পর ২০০০ সালের আরেক ডিসেম্বরে কলিন কাউড্রে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে।
কাউড্রের জন্মদিনের সঙ্গে মেলানো যায়, এমন কাকতালীয় আরেকটা ঘটনাও তাহলে বলেই ফেলি। কৈশোর থেকেই কাউড্রের ব্যাটিং যাঁকে মনে করিয়ে দিত, সেই ওয়ালি হ্যামন্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা করেছিলেন। সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ডটাও হ্যামন্ডের কাছ থেকেই ছিনিয়ে নেওয়া। কী আশ্চর্য, সেই হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেক কি না কলিন কাউড্রের জন্মদিনেই। তারিখ অনুযায়ী 'জন্মদিন' কথাটাতে কোনো ভুল নেই। তবে হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেক কাউড্রের জন্মের ঠিক পাঁচ বছর আগের এক ২৪ ডিসেম্বরে।
কথায় কথা আসে। হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেকের কথা বলতে গিয়েই যেমন আরেকটি কাকতালীয় মিলের কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। ১৯২৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে হ্যামন্ডের টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পণ। এগার বছর পর একই দিনে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে ছয় হাজার রান করার কীর্তি। এখানেও শেষ হলে কথা ছিল। মিলটা শুধু দিনেই না, প্রতিপক্ষও সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেন্যুও সেই জোহানেসবার্গ। পরিসংখ্যানবিদরা বলতে পারবেন, প্রবাবিলিটির বিচারে ব্যাপারটা কতটা অবিশ্বাস্য!
বিষয় কলিন কাউড্রে হলেও এই লেখাটা কিছু কাকতালীয় মিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ কলিন কাউড্রের বর্ণাঢ্য এবং নাটকীয় ক্যারিয়ার আরও অনেক বিস্তৃত পরিসর দাবি করে। তারপরও লেখাটা শেষ করার আগে কিছু ব্যাপার একটু ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই। টেস্টে প্রথম সাত হাজার রান কলিন কাউড্রের। 'প্রথম' কিছু চিরদিনই প্রথম হয়ে থাকলেও সেই কীর্তিমানদের দলটা জনাকীর্ণ হয়ে পড়লে তা আর সেভাবে মনে থাকে না। তবে টেস্ট সংখ্যা-রান-ক্যাচের মতো অনেক রেকর্ডের মালিকানা হারিয়ে ফেললেও একটা রেকর্ড এখনো কলিন কাউড্রেরই আছে। যে রেকর্ডটি একাই লড়ে যাওয়ার বীরত্বব্যঞ্জক। কমপক্ষে তিন ইনিংস খেলা হয়েছে, এমন টেস্ট ম্যাচে কাউড্রেই একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান, এমন হয়েছে নয়বার। এই রেকর্ডে যিনি সবচেয়ে কাছাকাছি (৮ বার), তাঁর নামটা এই লেখাতে আগেও এসেছে। শততম টেস্টে কলিন কাউড্রের রানার জিওফ বয়কট।
বীরত্বসূচক কোনো একটা রেকর্ডে কাউড্রের নাম থাকাটাকে একটু প্রতীকি বলেই মনে হয়। সাহসের প্রমাণ তো আর কম দেননি। ১৯৬৩ সালে লর্ডস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার ওয়েস হলের বাউন্সারে হাত ভেঙে গেল। পরদিন ইংল্যান্ডের যখন নবম উইকেট পড়ল, ম্যাচে সম্ভাব্য চারটি ফলই হতে পারে। ইংল্যান্ডের ৬ রান দরকার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১ উইকেট। নবম উইকেট ফেলে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা যখন জিতে গেছি বলে ভাবছে, বাঁহাতে প্লাস্টার নিয়ে মাঠে নেমে এলেন কাউড্রে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে একটি বলও খেলতে হয়নি। কিন্তু খেলতে হতে পারে ভেবেই তো নেমেছিলেন এবং না নামলে ইংল্যান্ড টেস্টটা হেরে যায়।
ক্যারিয়ারের শেষটা তো আরও দুর্জয় সাহসের প্রদর্শনী। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ডেনিস লিলি আর জেফ টমসনের আগুনে গোলায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। চোট পেয়েছেন দলের মূল দুই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা উদ্ধারকর্তা হিসাবে শরণাপন্ন হলেন কলিন কাউড্রের। অথচ কাউড্রের বয়স তখন ৪২ ছুঁইছুঁই এবং প্রায় চার বছর তিনি কোনো টেস্ট খেলেননি। কাউড্রে যে 'না' বলে দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই স্বাভাবিক ব্যাপারটাই ঘটল না। কাউড্রে উড়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং ৪৭ ঘণ্টার বিমানযাত্রার শেষে পার্থে পৌাছানোর পরদিনই বিশ্বের দ্রুততম পিচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে গেলেন। তখন বোলিং করছেন জেফ টমসন, যাঁর মুখোমুখি হলে ব্যাটসম্যানদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নেমে যায়। সেই স্রোতধারাকে আরও শিরশিরে করে তুলতে যিনি উইকেটে রক্ত দেখতে ভালোবাসেন বলেও ঘোষণা করে দিয়েছেন। কাউড্রে উইকেটে গিয়েই সেই টমসনকে হাসি মুখে সম্ভাষণ জানালেন, "গুড মর্নিং, মাই নেম ইজ কলিন কাউড্রে।"
টমসন তাতে পুলকিত হয়েছেন বলে জানা যায় না। শুধু ব্যাটে নয়, শরীরেও বল নিয়ে সেই টেস্টের দুই ইনিংসে ২২ ও ৪১ রান। এরপর থেকেই স্কোর নিম্নমুখী, কিন্তু শুধু রান দিয়ে কি আর সেই সিরিজের কাউড্রেকে বোঝানো যায়! সিরিজটা যে শেষ করেই ফিরেছিলেন, আসল মহিমাটা তো ওখানে। জেনেবুঝে ওই অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দেওয়ার কারণ হিসাবে পরে বলেছিলেন, "কারণ একটাই- চ্যালেঞ্জ। ওটা নেওয়ার লোভটা সামলাতে পারিনি।"
এমসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার কথা তো বলা হয়েছে আগেই। চেয়ারম্যান হয়েছিলেন আইসিসিরও। ক্রিকেটে টিভি আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির প্রবর্তন তাঁর সময়েই। মাঠে ও মাঠের বাইরে এমনই এক খেলোয়াড়ি চেতনার ধারক ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরের বছর থেকেই এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট লেকচারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম। এমসিসির সঙ্গে মিল রেখে যে ছেলের নাম রেখেছিলেন বাবা, তাঁর নামটা তাই প্রতি বছরই নিয়ম করে উচ্চারিত হয় এমসিসিতে।
শুভ জন্মদিন, মাইকেল কলিন কাউড্রে! স্যরি, স্যরি! শুভ জন্মদিন, এমসিসি!
🧢 114 Tests and one ODI
— ICC (@ICC) December 24, 2020
🏏 7625 runs including 22 hundreds in international cricket
England's Colin Cowdrey, who was born #OnThisDay in 1932, was the first to play 1️⃣0️⃣0️⃣ Test matches😯
Happy birthday! pic.twitter.com/eTYsDPtKzr
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।
মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।
এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।
‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।
‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।
‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।
আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।
সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।
সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য