× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ক্রিকেট
মাইকেল কলিন কাউড্রে না বলে এমসিসি নামেই ডাকুন
google_news print-icon

মাইকেল কলিন কাউড্রে না বলে এমসিসি নামেই ডাকুন!

মাইকেল-কলিন-কাউড্রে-না-বলে-এমসিসি-নামেই-ডাকুন
ছবি: আইসিসি
এমসিসি ও আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। ক্রিকেটে টিভি আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির প্রবর্তন তাঁর সময়েই। মাঠে ও মাঠের বাইরে এমনই এক খেলোয়াড়ি চেতনার ধারক ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরের বছর থেকেই এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট লেকচারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম।

আর্নেস্ট আর্থার কাউড্রে ক্রিকেটপ্রেমে আকণ্ঠ নিমজ্জিত এক মানুষ। নিজেও খেলতেন। একেবারে আহামরি কিছু নয়। তারপরও তালেগোলে একটা ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। জাতিতে ইংরেজ, তবে জন্ম ব্রিটিশ রাজের অধীন ভারতবর্ষে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কলকাতায়।

একমাত্র ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচটি তালেগোলে খেলে ফেলা বলছি, কারণ তা খেলতে পেরেছিলেন তখন তিনি ভারতে ছিলেন বলেই। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে ভারতে শুভেচ্ছা সফরে এসেছে এমসিসি দল। সেই দলের বিপক্ষে মাদ্রাজে ইউরোপিয়ান একাদশের হয়ে খেলেন আর্নেস্ট কাউড্রে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই।

আর্থার কাউড্রের একমাত্র ছেলের জন্মও ভারতে। তখন তাঁর বাস অধুনা চেন্নাই আর সে সময়ের মাদ্রাজের কাছের পর্যটন শহর উটিতে, নিজের টি এস্টেটে। ক্রিকেটপ্রেম থেকে ছেলের এমন একটা নাম রাখলেন, যেন সেই নামের আদ্যক্ষর মিলে এমসিসি হয়। এমসিসি মানে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। যে ক্লাবকে বলতে পারেন ক্রিকেটের জনক। এখনো ক্রিকেটে কোনো আইন বদলাতে হলে যে ক্লাবের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলও অনেক অনেক বছর এমসিসি নামেই খেলেছে।

তো আদ্যক্ষর এমসিসি রাখতে ছেলের নাম রাখা হলো মাইকেল কলিন কাউড্রে। এটা তো না বললেও চলছে যে, পদবীর প্রথম অক্ষর ‘সি’ না হলে বাবার চাওয়া পূরণ হতো না। ছেলের যখন এমসিসির অর্থ ভালো করে বোঝার বয়সও হয়নি, তখনই তার জন্য এমসিসির সদস্য পদ চেয়ে আবেদনও করে দিলেন আর্থার কাউড্রে।

এসব গল্প আমরা জানতেও পারতাম না, যদি না সেই ছেলে একদিন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হতেন। এমসিসি নিয়ে এত কথা বলার আসল কারণ যদিও এটা নয়। কী বিস্ময়কর দেখুন, এমসিসি আদ্যক্ষরের সেই ছেলেটিই মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব অর্থাৎ এমসিসির দ্বিশতবার্ষিকীতে সেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট! বাবা নামটা রাখার সময় নিশ্চয়ই এতটা ভাবেননি। কেই-বা ভাবতে পারে এমন!

ছেলে ক্রিকেটার হবে, এই স্বপ্ন তো দেখেছিলেনই। তাই বলে আর্নেস্ট আর্থার কাউড্রের স্বপ্ন নিশ্চয়ই এত দূর বিস্তৃত হয়নি যে, তিনি ভাববেন ছেলে একদিন প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি করবে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি একদিন তাঁর হবে, সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ডও। খেলা ছাড়ার সময় সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড, ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি। নিদারুণ এক ট্র্যাজেডিই বলতে হয়, নিজের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া এমন কীর্তিমান ছেলের টেস্ট অভিষেকটাও বাবা দেখে যেতে পারেননি মাত্র মাস দুয়েকের জন্য।

এই দুই রেকর্ডের কোনোটাই যে এখন আর কলিন কাউড্রের নয়, এটা তো মনে হয় আপনি জানেনই। ১০০ টেস্ট খেলাও অনেকদিন ধরেই তেমন কোনো ব্যাপার নয়। শচীন টেন্ডুলকার ২০০ টেস্ট খেলে ফেলার পর তো আরও নয়। তবে কাউড্রে যখন শততম টেস্ট খেলতে নামেন, তা সত্যিকার অর্থেই ছিল এক বিস্ময়। কলিন কাউড্রে তা উদযাপন করেছিলেন সেঞ্চুরি করে। সেই সেঞ্চুরিতেও মজার একটা ব্যাপার আছে। হাফ সেঞ্চুরি করার পরই পায়ের পেশিতে টান পড়েছিল। ক্রিকেটে তো তখন রানার নেয়া যেত, সেঞ্চুরি করতে তাই সমস্যা হয়নি। আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানই শুধু রানার হতে পারতেন, সেই ইনিংসে তখন পর্যন্ত আউট হয়েছিলেন শুধু জিওফ বয়কট। নিজেকে ছাড়া কিছু বোঝেন না, সারা জীবন এই অপবাদ বয়ে বেড়ানো বয়কটকে তাই দৌড়ে যেতে হয়েছে কাউড্রের রানের জন্য। প্রসঙ্গটা উঠতই না, যদি ঘটনাচক্রে ১০০ টেস্ট খেলার দ্বিতীয় কীর্তিটা এই বয়কটই করে না ফেলতেন।

মাইকেল কলিন কাউড্রে না বলে এমসিসি নামেই ডাকুন!
শততম টেস্টে কাউড্রে। ছবি: আইসিসি

এমসিসির দ্বিশতবার্ষিকীতে ক্লাবের চেয়ারম্যানের নাম এমসিসি, প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে শততম টেস্ট খেলার সময় কাউড্রের রানারের এই কীর্তিতে দ্বিতীয় জন হয়ে যাওয়া- এ সব তো অবশ্যই কাকতালীয়। ক্রিকেটে এমন কাকতালীয় ঘটনা আরও অনেক আছে। এই লেখায় তাতে আর না যাই। আমরা কলিন কাউড্রে নিয়েই থাকি। তা হঠাৎ করে আজ তাঁকে নিয়ে লেখারও তো একটা কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়। সেই কারণ হলো, আজ কলিন কাউড্রের জন্মদিন। নিজে তা পালন করছেন কি না, তা জানার উপায় নেই। কারণ স্বর্গে জন্মদিন পালনের রেওয়াজ আছে কি না, আমরা তা জানি না। এক ডিসেম্বরে পৃথিবীতে এসেছিলেন, ৬৭ বছর পর ২০০০ সালের আরেক ডিসেম্বরে কলিন কাউড্রে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে।

কাউড্রের জন্মদিনের সঙ্গে মেলানো যায়, এমন কাকতালীয় আরেকটা ঘটনাও তাহলে বলেই ফেলি। কৈশোর থেকেই কাউড্রের ব্যাটিং যাঁকে মনে করিয়ে দিত, সেই ওয়ালি হ্যামন্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা করেছিলেন। সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ডটাও হ্যামন্ডের কাছ থেকেই ছিনিয়ে নেওয়া। কী আশ্চর্য, সেই হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেক কি না কলিন কাউড্রের জন্মদিনেই। তারিখ অনুযায়ী 'জন্মদিন' কথাটাতে কোনো ভুল নেই। তবে হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেক কাউড্রের জন্মের ঠিক পাঁচ বছর আগের এক ২৪ ডিসেম্বরে।

কথায় কথা আসে। হ্যামন্ডের টেস্ট অভিষেকের কথা বলতে গিয়েই যেমন আরেকটি কাকতালীয় মিলের কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। ১৯২৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে হ্যামন্ডের টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পণ। এগার বছর পর একই দিনে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে ছয় হাজার রান করার কীর্তি। এখানেও শেষ হলে কথা ছিল। মিলটা শুধু দিনেই না, প্রতিপক্ষও সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেন্যুও সেই জোহানেসবার্গ। পরিসংখ্যানবিদরা বলতে পারবেন, প্রবাবিলিটির বিচারে ব্যাপারটা কতটা অবিশ্বাস্য!

বিষয় কলিন কাউড্রে হলেও এই লেখাটা কিছু কাকতালীয় মিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ কলিন কাউড্রের বর্ণাঢ্য এবং নাটকীয় ক্যারিয়ার আরও অনেক বিস্তৃত পরিসর দাবি করে। তারপরও লেখাটা শেষ করার আগে কিছু ব্যাপার একটু ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই। টেস্টে প্রথম সাত হাজার রান কলিন কাউড্রের। 'প্রথম' কিছু চিরদিনই প্রথম হয়ে থাকলেও সেই কীর্তিমানদের দলটা জনাকীর্ণ হয়ে পড়লে তা আর সেভাবে মনে থাকে না। তবে টেস্ট সংখ্যা-রান-ক্যাচের মতো অনেক রেকর্ডের মালিকানা হারিয়ে ফেললেও একটা রেকর্ড এখনো কলিন কাউড্রেরই আছে। যে রেকর্ডটি একাই লড়ে যাওয়ার বীরত্বব্যঞ্জক। কমপক্ষে তিন ইনিংস খেলা হয়েছে, এমন টেস্ট ম্যাচে কাউড্রেই একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান, এমন হয়েছে নয়বার। এই রেকর্ডে যিনি সবচেয়ে কাছাকাছি (৮ বার), তাঁর নামটা এই লেখাতে আগেও এসেছে। শততম টেস্টে কলিন কাউড্রের রানার জিওফ বয়কট।

বীরত্বসূচক কোনো একটা রেকর্ডে কাউড্রের নাম থাকাটাকে একটু প্রতীকি বলেই মনে হয়। সাহসের প্রমাণ তো আর কম দেননি। ১৯৬৩ সালে লর্ডস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার ওয়েস হলের বাউন্সারে হাত ভেঙে গেল। পরদিন ইংল্যান্ডের যখন নবম উইকেট পড়ল, ম্যাচে সম্ভাব্য চারটি ফলই হতে পারে। ইংল্যান্ডের ৬ রান দরকার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১ উইকেট। নবম উইকেট ফেলে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা যখন জিতে গেছি বলে ভাবছে, বাঁহাতে প্লাস্টার নিয়ে মাঠে নেমে এলেন কাউড্রে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে একটি বলও খেলতে হয়নি। কিন্তু খেলতে হতে পারে ভেবেই তো নেমেছিলেন এবং না নামলে ইংল্যান্ড টেস্টটা হেরে যায়।

ক্যারিয়ারের শেষটা তো আরও দুর্জয় সাহসের প্রদর্শনী। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ডেনিস লিলি আর জেফ টমসনের আগুনে গোলায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। চোট পেয়েছেন দলের মূল দুই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা উদ্ধারকর্তা হিসাবে শরণাপন্ন হলেন কলিন কাউড্রের। অথচ কাউড্রের বয়স তখন ৪২ ছুঁইছুঁই এবং প্রায় চার বছর তিনি কোনো টেস্ট খেলেননি। কাউড্রে যে 'না' বলে দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই স্বাভাবিক ব্যাপারটাই ঘটল না। কাউড্রে উড়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং ৪৭ ঘণ্টার বিমানযাত্রার শেষে পার্থে পৌাছানোর পরদিনই বিশ্বের দ্রুততম পিচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে গেলেন। তখন বোলিং করছেন জেফ টমসন, যাঁর মুখোমুখি হলে ব্যাটসম্যানদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নেমে যায়। সেই স্রোতধারাকে আরও শিরশিরে করে তুলতে যিনি উইকেটে রক্ত দেখতে ভালোবাসেন বলেও ঘোষণা করে দিয়েছেন। কাউড্রে উইকেটে গিয়েই সেই টমসনকে হাসি মুখে সম্ভাষণ জানালেন, "গুড মর্নিং, মাই নেম ইজ কলিন কাউড্রে।"

টমসন তাতে পুলকিত হয়েছেন বলে জানা যায় না। শুধু ব্যাটে নয়, শরীরেও বল নিয়ে সেই টেস্টের দুই ইনিংসে ২২ ও ৪১ রান। এরপর থেকেই স্কোর নিম্নমুখী, কিন্তু শুধু রান দিয়ে কি আর সেই সিরিজের কাউড্রেকে বোঝানো যায়! সিরিজটা যে শেষ করেই ফিরেছিলেন, আসল মহিমাটা তো ওখানে। জেনেবুঝে ওই অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দেওয়ার কারণ হিসাবে পরে বলেছিলেন, "কারণ একটাই- চ্যালেঞ্জ। ওটা নেওয়ার লোভটা সামলাতে পারিনি।"

এমসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার কথা তো বলা হয়েছে আগেই। চেয়ারম্যান হয়েছিলেন আইসিসিরও। ক্রিকেটে টিভি আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির প্রবর্তন তাঁর সময়েই। মাঠে ও মাঠের বাইরে এমনই এক খেলোয়াড়ি চেতনার ধারক ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরের বছর থেকেই এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট লেকচারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম। এমসিসির সঙ্গে মিল রেখে যে ছেলের নাম রেখেছিলেন বাবা, তাঁর নামটা তাই প্রতি বছরই নিয়ম করে উচ্চারিত হয় এমসিসিতে।

শুভ জন্মদিন, মাইকেল কলিন কাউড্রে! স্যরি, স্যরি! শুভ জন্মদিন, এমসিসি!

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
Pakistans Mushtaq appointed spin bowling coach by BCB

পাকিস্তানের মুশতাককে স্পিন বোলিং কোচ নিয়োগ দিল বিসিবি

পাকিস্তানের মুশতাককে স্পিন বোলিং কোচ নিয়োগ দিল বিসিবি ছবি: সংগৃহীত
৫৩ বছর বয়সী মুশতাক এর আগে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানসহ বিখ্যাত ক্রিকেট দলের দেশগুলোর স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।

বিশ্বখ্যাত স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদকে জাতীয় দলে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার ও বিশ্বকাপজয়ী এই খেলোয়াড়ের এ পদে কাজ করার প্রচুর অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাক এর আগে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানসহ বিখ্যাত ক্রিকেট দলের দেশগুলোর স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তার চিত্তাকর্ষ জীবনবৃত্তান্ত পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা হিসাবেও গর্বিত।

নিয়োগের বিষয়ে মুশতাক বলেন, ‘স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি এই ভূমিকার জন্য আগ্রহী এবং আমার অভিজ্ঞতা খেলোয়াড়দের দিতে চাই। কারণ, তারা খুব কোচিং যোগ্য এবং আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দলগুলোর মধ্যে একটি।’

চলতি মাসের শেষের দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্পের আগে মুশতাককে নিয়োগ দেয়া হলো। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সমাপ্তি পর্যন্ত দলের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।

আরও পড়ুন:
মুস্তাফিজকে আইপিএলেই দেখতে চান আকরাম খান

মন্তব্য

ক্রিকেট
Akram Khan wants to see Mustafiz in IPL not against Zimbabwe

মুস্তাফিজকে আইপিএলেই দেখতে চান আকরাম খান

মুস্তাফিজকে আইপিএলেই দেখতে চান আকরাম খান চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এবারের আইপিএলে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা হন মোস্তাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
আকরাম খানের মতে, মোস্তাফিজ আইপিএলে থাকলে বাংলাদেশই লাভবান হবে।

চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ ফর্মে আছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ ম্যাচ থেকে ১০ উইকেট নিয়ে আছেন উইকেট শিকারিদের তালিকার ৩ নম্বরে। প্রথম ম্যাচেই হয়েছিলেন ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ও। বোলারদের শ্মশানঘাটখ্যাত আইপিএলে মুস্তাফিজের এমন পারফরম্যান্স বেশ ভালোভাবেই দেখছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। ফিজের এমন পারফরম্যান্স এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কাজে দেবে বলে মত তাদের।

তবে বিপত্তি বেঁধেছে আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর দেশে ফিরে ফিজকে খেলতে হবে জাতীয় দলের হয়ে। তবে অনেকেই মনে করেন বিশ্বকাপের জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে মুস্তাফিজকে জিম্বাবুয়ে নয় আইপিএলে খেলতে দেওয়া উচিত। সেজন্য এ বাঁহাতি পেসারের অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানো উচিত বিসিবির।

যদিও একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে ফিজের ছুটি। তবে মুস্তাফিজকে পুরো সময়ের জন্যই আইপিএলে খেলানোর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। তার মতে, মোস্তাফিজ আইপিএলে থাকলে বাংলাদেশই লাভবান হবে। গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমকে বলেন আকরাম খান।

তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, সে চেন্নাইয়ের হয়ে যত ম্যাচ খেলবে, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে, তার সঙ্গে বাংলাদেশও লাভবান হবে। কারণ, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার চেয়ে সেখানে খেললে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ড্রেসিংরুমের ব্যাপার আছে, বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলবে। সেখানকার মান ভালো, বিভিন্ন উইকেট, বিভিন্ন মানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলবে। আমার মনে হয়, ওর সুযোগ পাওয়া উচিত।’

আকরাম খান আরও বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, সে গত এক বছর ধরে ধুঁকছিল। আইপিএলে কিন্তু ওর পারফরম্যান্স ভালোর দিকেই যাচ্ছে, একদম যে ভালো হচ্ছে, তা না।’

সাবেক এ অধিনায়কের মতে, ‘যেহেতু সে (মুস্তাফিজ) লঙ্গার ভার্সনে খেলে না, আইপিএলে গিয়ে যদি এ রকম ভালো করতে থাকে তাহলে বিশ্বকাপে আমরা বেশি লাভবান হব। এই জিনিসটা চিন্তা করতে পারে বোর্ড। তারপরও এটা নির্ভর করছে কোচিং স্টাফ, নির্বাচকদের চিন্তা-ভাবনার ওপর। কিন্তু সে যে ভালো করছে, এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো।’

আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় টেস্ট রেখে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন হাথুরুসিংহে

মন্তব্য

ক্রিকেট
South Africa has finalized 8 venues for the 2027 World Cup

২০২৭ বিশ্বকাপের ৮ ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

২০২৭ বিশ্বকাপের ৮ ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইল ছবি
আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও আসরের টিকিট পেতে আফ্রিকান কোয়ালিফায়ারে খেলতে হবে নামিবিয়াকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ২০২৭ সালের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট শুরুর তিন বছর আগেই নিজেদের ৮ ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী ফোলেতসি মোসেকি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকান নিউজ ২৪ ওয়েবসাইটকে মোসেকি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক কারণ বিবেচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার আট ভেন্যু বাছাই করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ও হোটেল রুমের সহজলভ্যতা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।’

দেশটির নিয়মিত টেস্ট ভেন্যু জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স, সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক, কেপটাউনের নিউল্যান্ডস, ডারবানের কিংসমিড ও গেবেরার সেন্ট জর্জে’স পার্কে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচ।

অন্য ভেন্যুগুলো হচ্ছে, ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভাল, পার্লের বোল্যান্ড পার্ক ও ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্ক।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের আসর আয়োজন করতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল তারা। তবে এ টুর্নামেন্টের আয়োজনে নামিবিয়া এবারই প্রথম।

আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও আসরের টিকিট পেতে আফ্রিকান কোয়ালিফায়ারে খেলতে হবে নামিবিয়াকে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Windies make history in cricket by appointing three women directors

তিন নারী পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেটে উইন্ডিজের ইতিহাস

তিন নারী পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেটে উইন্ডিজের ইতিহাস ছবি: সংগৃহীত
ক্রিকেট বিশ্বে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।

তিনজন স্বাধীন নারী পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ইতিহাস গড়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লুআই)। ক্রিকেট বিশ্বে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।

নিয়োগ পাওয়া তিন নারী পরিচালক হলেন- ডায়ান ক্যাম্পবেল, লুইস ভিক্টর-ফ্রেডেরিক ও ডেবরা করিয়াট-প্যাটন। এক বছরের মেয়াদে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত কাজ করবেন তারা।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সিডব্লুআই জানিয়েছে, ক্যাম্পবেল, ভিক্টর-ফ্রেডেরিক ও করিয়াট-প্যাটনকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বোর্ড। আপাতত তাদের মেয়াদ এক বছর, যা শেষ হবে আগামী বছরের মার্চ।

তিনজনের মধ্যে প্রথমবার পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ক্যাম্পবেল ও ভিক্টর-ফ্রেডেরিক। অন্যদিকে ২০১৯ থেকে ২০২১ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন করিয়াট-প্যাটন।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Prime Minister gave gifts to women cricketers

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী ছবি: ফোকাস বাংলা
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল।

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’

তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।

গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Sri Lanka won the series by defeating the Tigers by 192 runs
চট্টগ্রাম টেস্ট

টাইগারদের ১৯২ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার

টাইগারদের ১৯২ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে উইকেট উদযাপন লঙ্কানদের। ছবি: গেটি ইমেজেস
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো হতাশাজনক ব্যাটিং না করলেও বিজয় থেকে অনেক দূরেই থেমে যায় টাইগারদের রানের চাকা। মমিনুল হক ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া অর্ধশতকে ৩১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারী।

সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে হারের পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টেও বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এ ম্যাচের পঞ্চম দিন বুধবার ১৯২ রানের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ছয় ব্যাটারের অর্ধশতকে ৫৩১ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে সাড়ে তিন শর বেশি লিড নেয়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয়টিতে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ৫১১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো হতাশাজনক ব্যাটিং না করলেও বিজয় থেকে অনেক দূরেই থেমে যায় টাইগারদের রানের চাকা। মমিনুল হক ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া অর্ধশতকে ৩১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারী।

এ জয়ের মধ্য দিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কামিন্দু মেন্ডিস।

আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরলেন সাকিব ও হাসান মাহমুদ
সিলেট টেস্টে শোচনীয় হার বাংলাদেশের
আড়াই শ ছাড়াল শ্রীলঙ্কার লিড
প্রথম ইনিংসে দুই শর আগে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের

মন্তব্য

ক্রিকেট
Sri Lanka gave Bangladesh a target of 511 runs

বাংলাদেশকে ৫১১ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ৫১১ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৩৫৩ রানের লিডকে সাথে নিয়ে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।

প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৩৫৩ রানের লিডকে সাথে নিয়ে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। খবর বাসসের

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১০২ রান সংগ্রহ ছিল শ্রীলঙ্কার।

মঙ্গলবার চতুর্থ দিন ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।

৩৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হবার আগে ৫টি চারে ৫৬ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৩ রানে শুরু করা প্রবাথ জয়সুরিয়া ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে বিশ্ব ফার্নান্দো অপরাজিত ৮ রান করেন।

বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ৬৫ রানে ৪টি, খালেদ আহমেদ ৩৪ রানে ২টি ও সাকিব ৩৯ রানে ১টি উইকেট নেন।

মন্তব্য

p
উপরে