নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে পাকিস্তানের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ আমিরের। সেই বেদনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানিয়ে দিলেন তারকা এই বোলার।
আমির বলছেন, পাকিস্তান দলের ম্যানেজমেন্টের অধীনে খেলা সম্ভব না তার। মানসিক যন্ত্রণা আর নিতে পারছেন না তিনি।
পাকিস্তানের সাংবাদিক শোয়েব ভাটকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে অবসরের কথা জানান ২৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
আমির বলেন, ‘আমি ক্রিকেট থেকে দূরে যাচ্ছি না৷ কিন্তু এখানকার পরিবেশটা ঠিক নেই৷ যেভাবে আমাকে সাইডলাইন করা হচ্ছে তাতে করে আমি বুঝতে পারছি, এটাই আমার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়৷’
সম্প্রতি নিউ জিল্যান্ড সিরিজ সামনে রেখে ৩৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখানে জায়গা হয়নি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করা আমিরের।
পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর ভরসা হারিয়ে ফেলা আমির বলেন, ‘৩৫ জনের স্কোয়াডেও আমার জায়গা হল না৷ মনে হয় না, এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব৷’
স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ফিরেই পাকিস্তানকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন আমির।
ম্যানেজমেন্টের উদাসীনতা স্পট ফিক্সিংয়ের কাণ্ডের চেয়ে বেশি মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে জানিয়ে আমির বলেন, ‘২০১০-২০১৫ পর্যন্ত অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি৷ আমি খেলা থেকে দূরে ছিলাম৷ নিজের ভুলের শাস্তিও ভোগ করেছি৷ কিন্তু এই মানসিক যন্ত্রণা আর নিতে পাচ্ছি না আর৷’
দল থেকে বাদ পড়ার পর সম্প্রতি লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিয়ে গল গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে ১১ উইকেট নেন আমির। তার দল রানার্স আপ হয় টুর্নামেন্টে।
গত বছর জুনে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন আমির।
দেশের জার্সিতে ৩৬টি টেস্ট, ৬১টি ওয়ানডে ও ৫০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে আড়াই শ’র বেশি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
বিভিন্ন সময় সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।
ওই দেশে দায়ের করা মামলায় সেখানে কারাভোগ শেষ হওয়ায় তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ-২ বিজিবি উপঅধিনায়ক মেজর মাসুদ রানা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন সময় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও নৌ-বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হয়েছে। বিজিবির উদ্যোগে মঙ্গলবার তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
মাসুদ রানা বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের মংডুতে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থায় বাধাদানকারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশ মোটেও চিন্তিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন নবনিযুক্ত কমিশনার।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশে আতঙ্ক রয়েছে বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এমন বাস্তবতায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশের মধ্যে কোনো অস্থিরতা আছে কি না।
জবাবে ডিএমপির প্রধান বলেন, ‘একটি দেশের ভিসা নীতি কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই।’
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হাবিবুর রহমান। তার প্রতি আস্থা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান ধন্যবাদ।
ডিএমপির দায়িত্বের বিষয়ে কমিশনার বলেন, ‘ঢাকার দুই কোটি ২৪ লাখ লোকের নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। ঢাকা সবচেয়ে বড় মেগা শহর। এই শহরের নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও যোগ্যতার সাথে এই শহরের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ঢাকা বদলে গেছে। অপরাধের নতুন সংস্করণ হিসেবে সাইবার ক্রাইম বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকার এখনকার চিত্র ভিন্ন। যানজটের নগরী ঢাকার রাস্তার পরিমাণ অনেক কম।
‘কাজেই যানজট বড় সমস্যা। এ ছাড়া মাদক, সাইবার ক্রাইম ও নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’
ডিএমপির সক্ষমতা নিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপি অত্যন্ত দক্ষ। এমনকি বিদেশের সাথে তুলনা করলেও আমরা আমাদের পুলিশিংয়ে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছি। এই মেগা শহরকে নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। এ জন্য বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং ঠিক রেখে বেটার ঢাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করব। যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ প্রস্তুত থাকবে।’
বিভিন্ন অপরাধে পুলিশের জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ হোক, পুলিশের বাবা হোক, অপরাধী অপরাধীই। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, নেব।’
আরও পড়ুন:দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশজুড়ে কমতে পারে তাপমাত্রা।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক যোদ্ধা শাহ আলী। তিনি একজন দিনমজুর। দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন একটি হাত। পুরো পরিবার এখন নির্ভরশীল তার এক হাতের ওপর।
ঘরে চার মেয়ে ও স্ত্রী আকলিমা বেগমকে নিয়ে আলীর সংসার। তার আয়ে কোনোরকম চলছে পরিবারটি।
এলাকায় কাজ না থাকলে ছুটতেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষিকাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে ভালোই চলছিল পরিবারটি।
দুই বছর আগে বগুড়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহ আলী হারিয়ে ফেলেন তার বাম হাতটি। একই বছর একমাত্র সম্বল বসতভিটা তলিয়ে যায় নদীতে, তবে এমন বাস্তবতায় তিনি থেমে থাকেননি। এক হাত নিয়েই ধরেন সংসারের হাল।
যদিও আগের চেয়ে তার উপার্জন কমেছে, তবুও পরিবারকে বাঁচাতে দিন রাত পরিশ্রম করে চলছেন শাহ আলী।
আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামে। বর্তমানে চরখিতাব গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
শাহ আলী বলেন, ‘আমার জায়গা জমি বলতে ১৬ শতক ভিটেমাটি ছাড়া কিছু ছিল না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলতো। এলাকায় কাজ না থাকলে জেলার বাইরে ধান কাটতে যেতাম।
‘২০২১ সালে বগুড়ায় ধান কাটতে যাই সিএনজিতে করে। পথে ট্রাক আর সিএনজির ধাক্কায় আমার বাম হাতটি রাস্তায় পড়ে যায়। আমি তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয়রা আমাকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এক মাস চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষত না শুকাতেই শুরু হয় নদী ভাঙন। এক রাতেই তিস্তা নদী আমার ভিটেমাটি কেড়ে নেয়। এরপর চলে যাই দ্বীপ চরে।
‘বছরে পাঁচহাজার টাকা ভাড়ায় ১০ শতক জমিতে এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।’
কৃষিকাজের বিষয়ে আলী বলেন, ‘আমি এই এক হাত দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই, মাটি কাটা, ইট ভাঙাসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকি। তবে আমার এক হাত নেই বলে আগের মতো কেউ আর কাজে নিতে চায় না। তাই এ চরের মধ্যেই কাজ করে খেয়ে না খেয়ে দিন চলছে।
‘শরীরে যতক্ষণ দম আছে এক হাতেই কাজ করে যাব, তবুও ভিক্ষার মতো নিচু কাজ করব না।’
শাহ আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, ‘আগে মোটামুটি ভালো ছিলাম। স্বামীর হাত হারানোর পর প্রায় তিন বছর ধরে আমরা কষ্টে আছি। সরকার তিন মাস পর দুই হাজার দুই শ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়। আর এলাকায় কৃষিকাজ করে চলছে সংসার।
‘কষ্ট হলেও ওই মানুষটার এক হাতের ওপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নাই। সংসারের খরচ বাড়ছে। আল্লাহ জানেন ভবিষ্যতে আমাদের ভাগ্যে কী আছে?’
প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শাহ আলী ও তার পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এক হাতের ওপর চলছে পুরো সংসার। মেয়ের লেখাপড়া খরচ ও পরিবারের খরচ যোগান দিতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।’
এ বিষয়ে ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বলেন, ‘দুর্ঘটনায় এক হাত হারিয়ে শাহ আলী পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। সরকারি-বেসরকারি ভাবে পরিবার চলার মতো সাহায্য পেলে হয়তো তাদের কষ্ট কিছুটা কমবে।’
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আরও খোঁজখবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তাসহ তাকে কীভাবে স্বাবলম্বী করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সদর, রামু ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের কক্সবাজার-৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে ইতোমধ্যে মাঠে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দলের মনোনয়ন পেতে দলের একাধিক নেতা মাঠে রয়েছেন।
কক্সবাজার-৩ আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন নিতে চান তিনি, তবে এ আসনে তার বড় ভাই সোহেল সরওয়ার কাজল ও ছোট বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী হাল ছাড়ছেন না। নৌকা প্রতীকের মনোয়ন পাওয়ার জন্য তারাও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজারের এ আসনে পারিবারিক রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। দলীয় কোন্দলও রয়েছে।
আওয়ামী লীগ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমল ছাড়াও মনোনয়ন পেতে মাঠে তৎপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।
১৯৯১ সাল থেকে (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া) এ আসনে তিনবার আওয়ামী লীগ ও তিনবার বিএনপির প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির খালেকুজ্জামান। ২০০১ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে খালেকুজ্জামান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তার ভাই প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক চৌধুরীকে হারিয়ে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে হারিয়ে বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালে বিএনপির কাজলকে হারিয়ে পরপর দুইবার এমপি নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তিনি হ্যাটট্রিক করতে চান।
এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেলের কাজ সম্পন্ন, বেতার, টেলিভিশন, মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকখালী নদীর ওপরে বড় বড় চারটি সেতু নির্মাণসহ সব কিছু মিলিয়ে আমাদের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে এবং শহর আধুনিক হয়েছে।
‘এইসব কিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও আমার প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমি মানুষের সেবা করেছি, বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ছিলাম। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। এ সমস্ত কারণে মনোনয়ন বাছাই কমিটির কাছে আমার নাম এগিয়ে থাকবে।’
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো মানুষের সেবা করা, নিজেদের কথা আমরা কোনোদিনই ভাবি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলেও মানুষের পাশে থাকব, না পেলেও থাকব, তবে মনে করি, সদর-রামু আসনের জন্য আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী যোগ্য।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। দুঃসময়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বুকে আগলে রেখেছি। তাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি নেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব।
‘তা ছাড়াও মেয়র থাকাকালীন ৫ বছরে রেকর্ড উন্নয়ন করেছি আমি। সেই কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে শতভাগ আশাবাদী।’
কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০ বছর ধরে আমি কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি আশাবাদী।
‘এ ছাড়াও আমি যেহেতু কৃষক লীগ করি সে হিসেবে প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। যদি আমি মনোনয়ন বা নির্বাচিত হই তাহলে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করব।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হলের আবাসিক ছাত্ররা।
হলের প্রধান ফটকের সামনে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ওই সময় হল অফিসে তালা মেরে দেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো আগামী দুই দিনের ভেতর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যান কুমার কুন্ডুর পদত্যাগ করা ও হলের সব সমস্যা সমাধান করা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র সাজ্জাদ সৌভিক বলেন, ‘আমাদের হলের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না। হলের সামনে পানি জমে থাকে। সিয়াম চত্বরে পানির কারণে বসা যায় না। খেলার মাঠের অবস্থা ভালো না। বিদ্যুতের সমস্যা তো আছেই। আমরা এ প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই।’
দর্শন বিভাগের ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘যে প্রভোস্টের কাছে ছাত্ররা সমস্যার কথা নিয়ে গেলে তার সময় নষ্ট হয় বলে মনে করেন, সে প্রভোস্টকে আমাদের হলে দরকার নেই। আমাদের দাবি হলো দুই দিনের ভেতর প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে ও হলের সব সমস্যা সমাধান করতে হবে।’
ওই সময় বিক্ষোভ সমাবেশে হলের প্রায় দুই শ ছাত্র উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যান কুমার কুন্ডু বলেন, ‘আমি হলের সমস্যাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু সেখান থেকে বাজেট দেয়া হয়নি। তাই হলের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বাড়ি থেকে চুরি হওয়ার পাঁচ দিন পর দুই মাসের শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেশীর বাড়ির পেছন থেকে সোমবার সকাল ৬টার দিকে ডোবার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশু আযান মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার গোপালনগর এলাকায় মো. শরীফ মিয়ার ছেলে।
আযানের মামা মো. মোক্তার জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির কিছু অংশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ টেনে তোলেন তারা এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহটি হেফাজতে নেয়।
এদিকে শিশু আযানের মামা ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, পাশের বাড়ির ফারুক এবং তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। সকাল থেকে ঘরে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনার জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দুই মাসের শিশু আযানকে ঘরে রেখে টয়লেটে যান তার মা শ্রাবণী বেগম। সে সুযোগে কে বা কারা ঘর থেকে চুরি করে আযানকে। পরে অনেক খোঁজখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে শিশু আযানের মামা মোক্তার হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য