ম্যাচের পুরো আলো ছিল সাকিব আল হাসানের ওপর। ৪০৮ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তার ফেরার দিনে আলো কেড়ে নেন আরিফুল হক। মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি হতে পারতেন জেমকন খুলনার খলনায়ক। ম্যাচ শেষে নায়কের আসনে দেখা গেল তাকেই।
১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন হয় ২২। পুরো ইনিংস মন্থর ব্যাটিং করা আরিফুল দাঁড়িয়ে ২৯ বলে ২৪ রানে। বাজির পাল্লা ভারি ছিল ফরচুন বরিশালেরই।
দিনের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে নয় রান পুঁজি করে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে জেতান অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান। সেই ভরসাতেই বোধহয়, আরেক অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে শেষ ওভার করতে দেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
কিন্তু দুই মেহেদির ভাগ্য হলো দুই রকম। আগের ম্যাচে যেখানে মেহেদি করলেন দারুণ এক ডেথ ওভার। মেহেদি মিরাজ সেখানে স্মৃতি ফেরালেন ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ফাইনালে বেন স্টোকসের। আর আরিফুল যেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট।
প্রথম বলে আরিফুল ছয় হাঁকান লং-অন দিয়ে। দ্বিতীয়টিও তাই। তৃতীয় বলটা লং-অফে ঠেলে দিয়ে সুযোগ ছিল সিঙ্গেলের, নেননি। ডট বল নিয়ে ভুল করেননি, সেটি প্রমাণ করেন পরের দুই বলে। আবারও ছয়। এবার মিড-উইকেট দিয়ে। ওভারের পঞ্চম বলটা মিরাজ করেন গুড লেংথে। সেই উপহার আরিফুল নেন দু'হাত ভরে। মিডউইকেট দিয়ে আরেকটি ছয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এক বল হাতে রেখেই। ২৯ বলে ২৪ থেকে আরিফুল ইনিংস শেষ করলেন ৩৪ বলে ৪৮ করে।
অথচ ম্যাচটি এরকম টানটান হবার কথাই নয়। টসে জিতে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সিদ্ধান্ত নেন ফিল্ডিংয়ের। সিদ্ধান্তটি যে ভুল নয়, সেটি প্রমাণ করতেই যেন প্রথম বলেই শফিউল ইসলাম আউট করেন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজকে। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে ফেরেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ইনিংস জুড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। তপারভেজ হোসেন ইমনের ৫১, সঙ্গে তৌহিদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ছোট ছোট অবদানে বরিশাল শেষ করে ১৫২ রানে।
খুলনার হয়ে সেরা বোলার ছিলেন শহিদুল ইসলাম। তুলে নেন চার উইকেট। নিজের ফেরার ম্যাচে সাকিব পান এক উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও হাসান মাহমুদ।
জবাবে তাসকিন আহমেদের গতির ঝড়ে খুলনা প্রথম ওভারেই হারায় দুই ওপেনার আনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসকে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু সে চেষ্টা শেষ হয় মাহমুদুল্লাহর বাজে শটে।
অধিনায়ক ফিরে যাবার পরের ওভারেই ১৫ রান করে ফিরে যান সাকিবও। খুলনা তখন ৩৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে।
সেখান থেকে জহুরুল ইসলাম ও আরিফুল হক মিলে বিপর্যয় সামাল দিলেও, মন্থর ব্যাটিংয়ে আস্কিং রেট বাড়ছিল দ্রুত। বিশেষ করে আরিফুলের ব্যাটিং ছিল চোখে লাগার মত মন্থর।
আরিফুল সেই ধীর ব্যাটিংয়ের ধার শোধ করেন শেষ ওভারে। শামিম পাটোয়ারির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে এগুলেও আস্কিং রেট ছাড়িয়ে যায় ১২। শামিম আউট হবার পর সমীকরণ নেমে আসে দুই ওভারে ২৯ এ।
তাসকিনের ওভারে শহিদুল-আরিফুল মিলে নিতে পারেন মাত্র সাত। শেষ ওভারে তাই প্রয়োজন হয় ২২।
শেষ ওভারে মিরাজের পাঁচ বলে আরিফুল মারেন চার ছয়। তাতেই ম্যাচ খুলনার।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ী ক্রিকেট দল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এছাড়া বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন সেখানে ছিলেন।
ড. ইউনূস ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানান। তিনি প্রত্যেকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো খেলার জন্য তাদেরকে উৎসাহ দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের দল। টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের ২৪ বছর পর এই সিরিজেই এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও এসেছে ৬ উইকেটের অসামান্য এক জয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐতিহাসিক ওই জয়ের পরপরই জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ফোনে করে তাকে এবং দলকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বুধবার বিসিবিতে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সুজন ২০১৩ সালে নির্বাচনে গাজী আশরাফ হোসেনকে হারিয়ে বিসিবি পরিচালক হন। তারপর থেকে গত ১১ বছরে বিসিবির বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সবশেষ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার। সঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের সহ-সভাপতির ভূমিকায়ও দেখা গেছে তাকে।
বিসিবিতে খালেদ মাহমুদ সুজনের মেয়াদকালে ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এছাড়া চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপও জিতেছে যুবাদের দল।
বোর্ড পরিচালক থাকাকালে সুজন আরও কিছু দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ও ম্যানেজারের ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি।
পরিচালক হিসেবে বোর্ডের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তবে, বহুদিন ধরে বিসিবির একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তাকে নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। একজন ব্যক্তি একসঙ্গে এতগুলো দায়িত্ব কীভাবে পালন করছেন, এ নিয়ে নানা সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিসিবিতে পদত্যাগের মিছিল চলছে। সুজনের আগে পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
আরও পড়ুন:হারারে বোল্টসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জিম আফ্রো টি-টেনে জায়গা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
গত সপ্তাহে বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) জন্য হোবার্ট হারিকেন্সও রিশাদকে দলে নিয়েছিল।
সাকিব আল হাসানের পরে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিবিএল দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
গত বছর জিম আফ্রো টি-টেনেও অংশ নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও তাসকিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন রিশাদ।
অভিষেক বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়ে অনন্য পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেট কিংবদন্তিদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এ লেগ স্পিনার।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর আজ বুধবার রাতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সঙ্গে দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সূত্র: ইউএনবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের একাংশ রাত ১১টায় দেশে পৌঁছবে। অন্য অংশ আসবে রাত ২টার দিকে।
সাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তিনি দেশে ফিরছেন না। পরিবারের কাছে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন সাকিব। তবে আসন্ন ভারত সিরিজে দলে রাখা হলে সেখান থেকেই ভারত সফরে যাবেন তিনি।
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। তাই দেশে ফিরলেও বেশি দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা।
আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে ভারত সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। এরপর ৬, ৯ ও ১২ অক্টোবর যথাক্রমে গোয়ালিওর, দিল্লি ও হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন:আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি রাউন্ডের (২০২৩-২৫) ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত করা হয়েছে দিনক্ষণও। প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে আগামী বছরের ১১ জুন।
মঙ্গলবার ফাইনালের সূচি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
আগামী বছরের ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডস স্টেডিয়ামে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় রাউন্ডের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জুন রিজার্ভ ডে হিসেবে রাখা হয়েছে।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ স্ট্যান্ডিং অনুসারে, ৯ ম্যাচে ৬টি জয়, ১টি ড্র ও ২টি হারে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত; ৬৮.৬২ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৭৪। আর ২ ম্যাচে ৮টি জয়, ১টি ড্র ও ৩টি হারে দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া; ৬২.৫০ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৯০। ফাইনালে এই দুই দলের খেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৫০ শতাংশ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাটের তিনটিতে জয় ও তিনটিতে হেরে ৪৫.৮৩ শতাংশ হারে টাইগারদের পয়েন্ট ৩৩।
টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফাইনালের আয়োজক ইংল্যান্ডের নামের পাশে ১৫ ম্যাচে রয়েছে ৪৫ শতাংশ পয়েন্ট।
পরের চারটি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ ম্যাচে ৩৮.৮৯ শতাংশ পয়েন্ট), শ্রীলঙ্কা (৬ ম্যাচে ৩৩.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট), পাকিস্তান (৭ ম্যাচে ১৯.০৫ শতাংশ পয়েন্ট) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯ ম্যাচে ১৮.৫২ শতাংশ পয়েন্ট)।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারায় কিউইরা।
এরপর ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ফাইনালেও কপাল পোড়ে ভারতের। লন্ডনের ওভালে রোহিত শার্মার দলকে ২০৯ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দুবছর ধরে চলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একেকটি রাউন্ড। পয়েন্টের শতকরা হারে টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে অংশগ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তার দলকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটে বাংলাদেশের জয়ের পর প্রধান উপদেষ্টা শান্তকে ফোন করে বলেন, ‘সরকার এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সফরের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। আর সিরিজের শেষ ও দ্বিতীয় টেস্ট মঙ্গলবার ৬ উইকেটে জিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ হোয়াইটওয়াশের মধ্য দিয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে প্রায় পৌনে ৩০০ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল বিবর্ণ। বাংলাদেশি বোলারদের নৈপুণ্যে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ একাই নেন পাঁচ উইকেট। বাকিদের মধ্যে নাহিদ রানা চার উইকেট ও তাসকিন আহমেদ একটি উইকেট শিকার করেন।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫৮ রানে প্রথম এবং ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে দলীয় ১২৭ রানে তৃতীয় এবং ১৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।
অপরাজিত দুই ব্যাটারের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ২২ ও সাকিব আল হাসান করেন ২১ রান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য