× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

টেন্ডুলকার-ওয়াকারের অভিষেক: উদযাপনের উপলক্ষ, আফসোসেরও!

টেন্ডুলকার-ওয়াকারের-অভিষেক-উদযাপনের-উপলক্ষ-আফসোসেরও
শচীন টেন্ডুলকার আর ওয়াকার ইউনিসের টেস্ট অভিষেক শুধু একই দিনে নয়, একই টেস্টে। আজ থেকে ৩১ বছর আগে করাচিতে একই সঙ্গে অমরত্বের দিকে যাত্রা শুরু হয়েছিল এক ব্যাটসম্যান আর এক ফাস্ট বোলারের।

বিশেষ কোনো উপলক্ষের দশক পূর্তির উদযাপন করাই যায় বা বিভিন্ন জয়ন্তীর - রজত, সুবর্ণ....। কিন্তু ৩১ বছর পূর্তি মোটেই স্মৃতিচারণা করার মতো উপলক্ষ নয়। তবে সেই বিশেষ উপলক্ষটা বিশেষ কারও হলে এই নিয়ম আর খাটে না। এই যেমন শচীন টেন্ডুলকার।

প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর দিনটি এলেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অবধারিতভাবে মনে করিয়ে দেবে, এত বছর আগে এই দিনে শচীন টেন্ডুকারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ‘এত’ শব্দটার জায়গায় যে শুধু সংখ্যাটা বদল হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন। শুধু ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমই বা বলছি কেন, আজ বিশ্বের যেকোনো ক্রিকেট পোর্টালে গেলেই দেখবেন, নিয়মকে প্রমাণ করা দুয়েকটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে ১৫ নভেম্বর দিনটির এই আলাদা মহিমার কথা বলা আছে। সঙ্গে পাদটীকার মতো করে আরেকটা তথ্যও, একই দিনে টেস্ট অভিষেক আধুনিক ক্রিকেটের আরেক ‘গ্রেট’ ওয়াকার ইউনিসের।

শুধুই দিনটিকে হিসাবে নিলে অনেক গ্রেটের টেস্ট অভিষেকই মিলে যাবে। শচীন টেন্ডুলকার আর ওয়াকার ইউনিসের ব্যাপারটা সম্ভবত অনন্যতাই দাবি করে। এই দুজনের টেস্ট অভিষেক তো শুধু একই দিনে নয়, একই টেস্টে। আজ থেকে ৩১ বছর আগে করাচিতে একই সঙ্গে অমরত্বের দিকে যাত্রা শুরু হয়েছিল এক ব্যাটসম্যান আর এক ফাস্ট বোলারের।

দুজনই তখন টিন এজার। করাচি টেস্ট শুরুর দিন টেন্ডুলকারের বয়স ১৬ বছর ২০৫ দিন। ওয়াকারের ১৭ বছর ৩৬৪ দিন। ব্যাটসম্যান-বোলার বলে অভিষেকে দুজন সরাসরি প্রতিপক্ষও। সেই লড়াইয়ে জয়ীর নাম ওয়াকার ইউনিস। টেস্টে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে চোখেমুখে কেমন আঁধার দেখেছিলেন, তা টেন্ডুকার নিজেই অনেকবার বলেছেন। ২৪ বছর পর যাঁর ক্যারিয়ার শেষ হবে টেস্ট খেলার ডাবল সেঞ্চুরি করার অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়ে, তাঁর নাকি মনে হয়েছিল, জীবনের প্রথম টেস্টটাই না শেষ টেস্ট হয়ে যায়! সেই ‘যন্ত্রণা’ থেকে টেন্ডুলকারকে মুক্তি দিয়েছিলেন ওয়াকার। খুব দ্রুতই ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠা ইনসুইঙ্গারে টেন্ডুলকারকে বোল্ড করে। ২৪ বলে ১৫ রানের ইনিংসেও অবশ্য টেন্ডুলকারীয় অন ড্রাইভে দুটি চার ছিল।

টেস্ট অভিষেক একই সঙ্গে, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় ধরলে ওয়াকার মাসখানেকের সিনিয়র। বাবার কর্মসূত্রে যে শারজায় কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে তাঁর, সেখানেই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে। এমনই গতির ঝড় তুলে যে, আম্পায়ার ডিক বার্ড তাঁকে দিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের দ্রুততম বোলারের স্বীকৃতি। দাবানলের মতো যা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। সবচেয়ে বড় কারণ, সেই টুর্নামেন্টেরই এক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে তখন খেলছেন ম্যালকম মার্শাল, ইয়ান বিশপ, কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালশ।

টেস্ট অভিষেকের আগে ওয়াকারের ৮টি ওয়ানডে খেলা হয়ে গেছে। শারজার ওই টুর্নামেন্টের পর নেহরু কাপ খেলতে ঘুরে এসেছেন ভারতও। এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলারদের ছায়াসঙ্গী ইনজুরিও উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছে। যে কারণে টেস্ট অভিষেকের পর সেই সিরিজের পরের দুই টেস্টে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে। টেন্ডুলকার সেই দুটি টেস্টেই খেলেছেন এবং দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন। টেন্ডুলকারের সঙ্গে ওয়াকারের আবার দেখা শিয়ালকোটে সিরিজের শেষ টেস্টে। প্রথম তিন টেস্ট ড্র হয়েছে বলে নিজেদের পেস আক্রমণকে লেলিয়ে দিতে পাকিস্তান যেখানে তৈরি করেছে ঘাসে ঢাকা সবুজ উইকেট। শচীন টেন্ডুলকার নামের অত্যাশ্চর্য গল্পের প্রথম অধ্যায়টাও সেখানেই লেখা। যাতে আছেন ওয়াকার ইউনিসও। যাঁর বাউন্সার টেন্ডুলকারের নাকে ছোবল দিয়ে রীতিমতো রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। সেই রক্ত মুছে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেন্ডুলকার এবং পরের বলটিতেই মেরেছেন বাউন্ডারি!

ওয়াকারও বুঝে গেছেন, প্রথম দর্শনে যাঁকে মোটেই 'বিশেষ কিছু' মনে হয়নি, মুখে বেবি ফ্যাটের চিহ্ন বয়ে বেড়ানো সেই ব্যাটসম্যান অন্য ধাতুতে গড়া। ভবিষ্যতে আরও অনেকবারই এর সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হবে। কেই-বা তখন ভেবেছিল, টেস্ট ম্যাচে দুজনের আবার দেখা হবে দশ বছর পর!

আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে আফসোসটার কথা বলার সময় হলো এখন। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় শচীন টেন্ডুলকার বনাম দুই ডব্লিউ, ওয়াসিম আকরাম আর ওয়াকার ইউনিস। যে লড়াইয়ের কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। ওই সিরিজের পরই আরও অনেকবারের মতো দুই দেশের সম্পর্ক ভেঙে পড়ায় যা আসলে কখনো আমাদের দেখাই হয়নি। শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটে যখন রানের ফল্গুধারা বইছে, একই সময়ে রিভার্স সুইংয়ে ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন তুলছেন দুই ডব্লিউ; কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তাঁদের দেখাই হচ্ছে না। আবার যখন তা হলো, টেন্ডুলকার তখনো দেদীপ্যমান, কিন্তু ওয়াকারের ক্যারিয়ার-সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে। প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে দিনের পর দিন গতির ঝড় তোলার ধকল নিতে নিতে ক্লান্ত শরীর, যেটির ছাপ পড়ছে বোলিংয়েও। এমনই যে, ১৯৯৯ সালের সেই ভারত সফরে প্রথম দুই টেস্টে মাত্র ২ উইকেট নেওয়ার পর তৃতীয় টেস্টে দল থেকেই বাদ পড়ে গেছেন ওয়াকার।

ওয়াকারের বাউন্সারে টেন্ডুলকারের রক্তাপ্লুত নাকের সেই শিয়ালকোটের পর চেন্নাইয়ে আবার যখন দুজনের দেখা হয়েছে টেস্টে, আরও ৫৩টি টেস্ট খেলে ফেলেছেন ওয়াকার, টেন্ডুলকার খেলেছেন ৬৪টি। ৫৫ টেস্টে ২১.৫৭ গড়ে ২৭৫ উইকেট ওয়াকারকে সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলারদের দলে ঢোকার ছাড়পত্র একরকম দিয়েই দিয়েছে। ৬৪ টেস্টে ৫৪.৭৭ গড়ে ৪৮২০ রান শচীন টেন্ডুলকারকেও তুলে দিয়েছে অমরত্বের হাইওয়েতে।

কিন্তু ওই যে আফসোসটা, একই সঙ্গে শুরুর পর সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলা দুই গ্রেটের টেস্ট ক্যারিয়ার পরস্পরকে ছেদ করেছে কিনা আর মাত্রই একবার! ১৯৮৯ সালে দুই টেস্টের পর ১৯৯৯ সালেও দুই টেস্ট- মাত্র এই চার টেস্টেই শেষ টেন্ডুলকার-ওয়াকারের টেস্ট লড়াইয়ের গল্প। এত সব অর্জনের পরও টেন্ডুলকারেরও তাই হয়তো আফসোস হয়, সেরা ফর্মের দুই ডব্লিউকে তাঁর জয় করা হয়নি। গত শতকের নয়ের দশকে টেন্ডুলকার-লারা দ্বৈরথে ক্রিকেট বিশ্ব যখন দ্বিধাবিভক্ত, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যে তখন ব্রায়ান লারাকেই এগিয়ে রাখতে দেখেছি, এর কারণও হয়তো এটাই। সঙ্গে আরেকটি নাম এসেছে, সেটিও রিভার্স সুইং সামলানোর দক্ষতাকে মানদণ্ড ধরেই। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো। যে পরীক্ষা টেন্ডুলকারকে দিতেই হয়নি, সেটিতে তাঁকে 'ফেল' বলে দেওয়াটা অন্যায়, আবার পাসই বা করাবেন কিভাবে!

ওয়ানডেতে অবশ্য সেরা ফর্মের দুই ডব্লুর সঙ্গে টেন্ডুলকারের মাঝে মধ্যেই দেখা হয়েছে। তাতে আফসোসটা বরং আরও বেড়েছে। ওয়ানডে কি আর ব্যাটসম্যান-বোলারের ক্ল্যাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চ হতে পারে! টেস্ট ক্রিকেট, একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটই যেটি ধারণ করার মতো কলোসিয়াম। তারপরও নিছক কৌতুহল মেটানোর জন্য হলেও পরিসংখ্যানের আয়নায় ওয়ানডেতে টেন্ডুলকার-ওয়াকার লড়াইটা দেখে নেওয়া যেতেই পারে। টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও দুজনের প্রথম লড়াইয়েও জিতেছিলেন ওয়াকার। টেস্ট ক্রিকেটে টেন্ডুলকারকে প্রথম আউট করেছিলেন, ওয়ানডেতেও তা-ই। ১৯৮৯ সালের সেই সিরিজেই ওয়ানডে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়ার যন্ত্রনা উপহার দিয়েছিলেন টেন্ডুলকারকে। প্রায় সাত বছর পর ওয়াকারকে দ্বিতীয়বারের মতো উইকেট দেওয়ার পর অবশ্য টেন্ডুলকার খুব বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন বলে মনে হয় না। কারণ ১৯৯৬ সালে শারজায় পেপসি কাপের ওই ম্যাচে এর আগেই ১১৪ রান করা হয়ে গেছে তাঁর।

২৩টি ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলে টেন্ডুলকারকে পেয়েছেন ওয়াকার। আউট করেছেন চারবার। এই হিসাবটা সহজেই পাওয়া যায়, কিন্তু ওয়াকারের বলে টেন্ডুলকার কত রান নিয়েছেন, তা জানার কোনো উপায় নেই। তবে ওই ২৩ ম্যাচে দুজনের পারফরম্যান্স তো জানাই যায়। ২টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরিসহ টেন্ডুলকারের রান ৭৮০। ওই ২৩ ম্যাচের স্ট্রাইক রেট আর ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট প্রায় সমান (৮৬.৩৭/৮৬.২৩), তবে অ্যাভারেজ প্রায় সাড়ে সাত কম (৩৭.১৪/৪৪.৮৩)।

প্রতিপক্ষ দলে টেন্ডুলকার, এমন ম্যাচের একটিতে ৫ উইকেট নিয়েছেন ওয়াকার, একটিতে ৪ উইকেট, মোট উইকেট ৩৬। ওই ২৩ ম্যাচের অ্যাভারেজ-স্ট্রাইক রেট-ইকনমি রেটের সঙ্গে ক্যারিয়ার রেকর্ডের আশ্চর্য সমতা (২৩.৯১/২৩.৮৪, ৩০.৫/৩০.৫ ও ৪.৭০/৪.৬৮)। নিছক তথ্য হিসাবেই সংখ্যার এই কচকচানি। প্রতিপক্ষ দলে ওয়াকার থাকলে টেন্ডুলকারের পারফরম্যান্স একটু খারাপ হয়েছে আর ওয়াকারের একই থেকেছে- এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে যতই প্ররোচনা থাকুক এতে, তা হবে অতি সরলীকরণ।

এ সবের দরকারই কি! ৩১ বছর আগে আজকের এই দিনে টেস্ট ক্রিকেটে একই সঙ্গে আবির্ভূত হয়েছিলেন দুই ক্ষণজন্মা ক্রিকেটার- আমরা বরং সেটিরই উদযাপন করি।

লাইনটা লিখতে লিখতে ওই আফসোসটা আবারও হচ্ছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্রিকেট
Asia Cup in Pakistan may be a separate venue for India

পাকিস্তানে হতে পারে এশিয়া কাপ, ভারতের জন্য আলাদা ভেন্যু

পাকিস্তানে হতে পারে এশিয়া কাপ, ভারতের জন্য আলাদা ভেন্যু
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ফরম্যাটের ছয় দলের এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রয়েছে দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। অন্য গ্রুপে রয়েছে- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। ফাইনালসহ ১৩ দিনে মোট ১৩টি ম্যাচ হবে।

পাকিস্তানের মাটিতেই হতে পারে আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তবে ভারত তার ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। এ ভেন্যুর তালিকায় শ্রীলংকা, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইংল্যান্ডের নাম রয়েছে।

ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য একত্রে কাজ করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

ভারতীয় দলের ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ফরম্যাটের ছয় দলের এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রয়েছে দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। অন্য গ্রুপে রয়েছে- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। ফাইনালসহ ১৩ দিনে মোট ১৩টি ম্যাচ হবে।

২০২২ সালের এশিয়া কাপের নিয়মনুসারে, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’টি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার ফোরের শীর্ষ দু’দল ফাইনালে ওঠে। এতে আসরে তিনবার দেখা হবার সম্ভাবনা থাকছে ভারত ও পাকিস্তানের।

এমন জটিল পরিস্থিতির কারণে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেয়ার আগে সম্প্রচার ও ভ্রমন পরিকল্পনার জন্য সংক্ষিপ্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। পাকিস্তানের বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আবহাওয়া বড় ভূমিকা রাখবে। তাই পাকিস্তানের বাইরের ম্যাচগুলোর জন্য এশিয়ার ভেন্যুকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে।

মন্তব্য

ক্রিকেট
Hesekhel wins the series

হেসেখেলে সিরিজ জয়

হেসেখেলে সিরিজ জয় সুইপ শট খেলছেন তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
লিটন দাসের ৫০ আর তামিম ইকবালের ৪১ রানের ওপর ভর করে ১৩.১ ওভারেই আইরিশদের দেয়া ১০২ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় টাইগাররা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তামিমবাহিনী। 

বোলারদের পর ওপেনারদের দাপটে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ।

লিটন দাসের ৫০ আর তামিম ইকবালের ৪১ রানের ওপর ভর করে ১৩.১ ওভারেই আইরিশদের দেয়া ১০২ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় টাইগাররা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তামিমবাহিনী।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী আয়ারল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।

বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।

হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।

পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।

২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।

এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।

আরও পড়ুন:
দুই সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই আউট তামিম
লিটনের ঝড়ো ব্যাটিং দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ
‘বাংলাওয়াশ’ এড়াতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৫৯

মন্তব্য

ক্রিকেট
Bangladesh need 102 to win the series

সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের দরকার ১০২

সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের দরকার ১০২
সিলেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে আইরিশ ব্যাটসম্যান। ছবি: ক্রিকইনফো
শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু তাতে সফরকারীদের অবস্থা বেহাল। বাংলাদেশের পেস ব্যাটারির তোপে সফরকারীরা ২৮ ওভার ১ বলে ১০১ রান তুলেছে। ৫ উইকেট পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০২ রান।

সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ দল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ ওভার ৪ বলে ২৩ রান তুলেছে। উদ্বোধনী জুটি হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।

বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।

হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।

পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।

২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।

এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।

দ্বিতীয় ওয়ানডে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটার ইয়াসির আলির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের। আয়ারল্যান্ড একাদশ অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নেমেছে।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড এ পর্যন্ত ১২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আটটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে দু’টিতে জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম।

আরও পড়ুন:
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই আউট তামিম
লিটনের ঝড়ো ব্যাটিং দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ
‘বাংলাওয়াশ’ এড়াতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৫৯
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দল থেকে বাদ মাহমুদউল্লাহ

মন্তব্য

ক্রিকেট
India also lost the top spot with the series

সিরিজের সঙ্গে শীর্ষস্থানও হারাল ভারত

সিরিজের সঙ্গে শীর্ষস্থানও হারাল ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২১ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে বুধবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ২১ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। এর ধাক্কাটা পড়েছে আইসিসির দলগত ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়েও। সিরিজ হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট কমেছে ভারতের। ফলে এক থেকে দুয়ে নেমে গেছে তারা। আর তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।

চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরেই নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি ৫২৯৪। তালিকায় তিনে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৩২২৯।

বুধবার চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওয়ানডের আগে সিরিজে সমতা ছিল ১-১-এ। অলিখিত ফাইনালের রূপ নেয়া শেষ ওয়ানডেতে ভারত ‌ফাইনালের মতো খেলতে ব্যর্থ। প্রথমে ব্যাট করে কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়াই ২৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

জবাবে ব্যাট করতে এসে বিরাট কোহলি ৫৪, হার্দিক পান্ডিয়া ৪০ করলেও ২৪৮ রানে অলআউট ভারত।

আসছে অক্টোবরেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তার আগে এই সিরিজ হার স্বাগতিকদের জন্য বড় একটা ধাক্কাই।

ভারত যে ফর্মে নেই তার বড় একটা উদাহরণ হতে পারে সূর্যকুমার যাদব। যার ব্যাটিং বুকে কাঁপন ধরায় বিশ্বসেরা সব বোলারদের, সেই সূর্যকুমার আগের দুই ম্যাচের মতো গতকালও ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন।

আরও পড়ুন:
লিটনের ঝড়ো ব্যাটিং দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ
‘বাংলাওয়াশ’ এড়াতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৫৯
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দল থেকে বাদ মাহমুদউল্লাহ
ইংলিশদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের

মন্তব্য

ক্রিকেট
Shakib is the brand ambassador of Biman

বিমানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব

বিমানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে বিকেলে সাকিব বলাকায় পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তার সৌজন্যে কেকও কাটা হয়।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে বিমান ও সাকিবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে সাকিব আল হাসান বলাকায় এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় সাকিবের সৌজন্যে একটি কেক কাটা হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকিব আল হাসান বিমান নিয়ে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, ‘শৈশবে খেলার মাঠে মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করত।

‘বিমানের অসংখ্য ভালো দিক আছে। এগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিমানের সক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিমান কখনও আপোষ করে না। এ ধরনের ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার।’

মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বিমানের ব্র্যান্ডিং ও খেলাধুলা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসানকে ধন্যবাদ জানান।

শফিউল আজিম বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের কার্যক্রম আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা সততা, দক্ষতা ও উন্নত সেবার মাধ্যমে এভিয়েশন খাতে বিমানকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে একযোগে কাজ করব।’

বিমান জানায়, সাকিব আল হাসান এক সময় বিমান ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক চারজন সদস্য বর্তমানে বিমানে বিভিন্ন পদে কর্মরত। বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো জোবেরা রহমান লিনু এক সময় বিমানের হয়ে খেলতেন।

আরও পড়ুন:
পড়াশুনায় সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট পাওয়ার স্বপ্ন সব সময়ই ছিল: সাকিব
সাকিবকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা হচ্ছে: বিসিবি
সাকিব আমাকে মারতে এসেছিল, কিছু বলিনি: ব্যারিস্টার সুমন
সাকিবকে দুবাইয়ে নিমন্ত্রণ জানানো আসামিকে নিয়ে কী জানা গেল
হঠাৎ বলাকায় সাকিব, কাটলেন কেকও

মন্তব্য

ক্রিকেট
Liton is impressed with Mushfiq

মুশফিকে মুগ্ধ লিটন

মুশফিকে মুগ্ধ লিটন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি মুশফিকুর রহিমের। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ইনিংস নিয়ে প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘আমি যতদিন ধরে খেলছি, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই এমন শেষের দিকে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কোনো দলে কেউ এমন সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো লাগে, আর সেটা যদি সিনিয়র কেউ করেন, তখন তো আরও বেশি ভালো লাগে।’

সিলেটে সোমবার মুশফিকুর রহিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ইনিংস খেললেন, তাতে মুগ্ধতা সহজে কাটবে না কারও। মুশফিকের এমন ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশও গড়েছে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ আছে, তবে মুশফিকের মুগ্ধতা কাটছে না। ম্যাচ শেষে লিটন দাসের কথায় বোঝা গেল, তিনিও মুগ্ধ মুশফিকের এমন ইনিংসে।

৬০ বল, ১৪ চার, ২ ছক্কা, অপরাজিত ১০০ রান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নেমেও ইনিংসের শেষ বলে পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। তাও যে-সে সেঞ্চুরি নয়, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিই এটি।

সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ইনিংস নিয়ে প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘আমি যতদিন ধরে খেলছি, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই এমন শেষের দিকে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কোনো দলে কেউ এমন সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো লাগে, আর সেটা যদি সিনিয়র কেউ করেন, তখন তো আরও বেশি ভালো লাগে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন, কিন্তু সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানে আউট হয়ে গেছেন।

সোমবার সেঞ্চুরির প্রশংসায় লিটন আগের ইনিংসের প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস শুধু সোমবারের না, আগের ইনিংসটিও অসাধারণ ছিল। যদিও রান অত বেশি না, ৪০ এর মতো। তবে সেটা কিন্তু অনেক পার্থক্য গড়ে দেয় ৩০০ রান তোলার জন্য। সোমবারেও মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস একদম খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’

শেষে আরেকবার গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের দাপুটে ব্যাটিং নিয়ে যখন প্রশ্ন হলো, আবার মুশফিকের ইনিংসের প্রসঙ্গ লিটনের কণ্ঠে।

সোমবার নিজের আর শান্তর ৭০-ঊর্ধ্ব দুই ইনিংসের কথা টেনে লিটন বলেন, ‘মুশফিক ভাই যে ইনিংসটা খেলেছেন, এটা দেখার মতো ছিল। শান্ত এবং আমার ইনিংস থেকেও বেশি ভালো ছিল।’

আরও পড়ুন:
‘হাইব্রিড’রা আমাদের কোণঠাসা করে রেখেছে: খায়রুজ্জামান লিটন
বিএনপি নির্বাচনে না এলে কিছু যায় আসে না: লিটন
রাজশাহীতে পুলিশের শরীরে লাগল ক্যামেরা
সিএমপিতে যুক্ত হলো বডি ওর্ন ক্যামেরা
করোনায় আক্রান্ত মুশফিকের মা-বাবা

মন্তব্য

ক্রিকেট
After the Mushfiqur storm the second ODI was washed away by the rain

মুশফিক ঝড়ের পর বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় ওয়ানডে

মুশফিক ঝড়ের পর বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় ওয়ানডে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। শুরু থেকেই ব্যাটারদের নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ২৩ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটি তুলে পেয়েছেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শেষটা রাঙিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেটিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রইলো টাইগাররা।

মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের ম্যাচটি সাড়ে আটটার দিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। ম্যাচটির কাট-অফ টাইম ছিল ৯টা ৩৩ মিনিট। তবে এর ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি চলছিল মাঠে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। শুরু থেকেই ব্যাটারদের নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ২৩ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটি তুলে পেয়েছেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শেষটা রাঙিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়।

প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচে ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন তাওহীদ। বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হতে শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে দুই রান নিলেন মুশফিক। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু ফুল টসকে স্কুপ করে সীমানাছাড়া করেন। ইনিংসের শেষ দুই বলে যথাক্রমে ২ এবং ১ রান নিয়ে দেশের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া হয়ে যায়।

মুশফিক যখন বীরের বেশে মাঠ ছাড়ছেন, স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের রান দেখাচ্ছে ৬ উইকেটে ৩৪৯।

এ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পেয়েছেন গ্রাহাম হিউম।

প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিতে মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশ এ ম্যাচে বিশ্রাম দেয় পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। তার স্থলাভিষিক্ত হন হাসান মাহমুদ।

আরও পড়ুন:
মুশফিকের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রানের নতুন রেকর্ড
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল আয়ারল্যান্ড
দুই সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই আউট তামিম
লিটনের ঝড়ো ব্যাটিং দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে