আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির দেয়া প্রথম হলেও, তার ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় নিষেধাজ্ঞা। এর আগে দুই বারই সাকিব নিষিদ্ধ হন ২০১৪ সালে।
প্রথমবার তিন ম্যাচের জন্য। পরের বার প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য হলেও পরে তা কমিয়ে আনা হয় তিন মাসে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বার মিলিয়ে সাকিব খেলতে পারেননি মোট পাঁচ ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত না হলে সংখ্যাটি হতো ছয়।
এরপর ২০১৯ সালে। পুরো এক বছরের জন্য হলেও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সাকিব খুব বেশি ম্যাচ মিস করেননি।
আরও পড়ুন: সাকিব হওয়া কঠিন
এবারের নিষেধাজ্ঞায় সাকিব ম্যাচ খেলতে পারেননি সব মিলিয়ে ১৫টি। ভারতের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি টোয়েন্টি। পাকিস্তানের সঙ্গে একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি।
সব মিলিয়ে ২৩ ম্যাচ। এই ২৩ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
২০১৪: সাকিব নেই তিন ম্যাচে
২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় টিভি ক্যামেরায় অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হন সাকিব। এই তিন ম্যাচ ছিল শ্রীলংকা, ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শেষ দুটি ম্যাচ ২০১৪ এশিয়া কাপের।
তিন ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। এমনকি তখন নবাগত আফগানিস্তানের কাছেও! প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে হারের পর ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভালো করলেও বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে হেরে যেতে হয় টাইগারদের। এর পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হারে তিন বিভাগেই। মেনে নিতে হয় ৩২ রানের পরাজয়।
পরের ম্যাচে ফেরেন সাকিব। তারপরও হেরে যায় বাংলাদেশ। ফেরার ম্যাচে সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ১৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ করে ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ ৩২৯। তবে শহীদ আফ্রিদি ঝড়ে সে ম্যাচেও জেতা হয়নি স্বাগতিক দলের।
২০১৪: সাকিবকে ছাড়াই উইন্ডিজ সফর
বাংলাদেশ হেড কোচ চণ্ডিকা হাতুড়ুসিংহের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের জন্য সাকিবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিষিদ্ধ করে ছয় মাসের জন্য। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ওয়ানডেতে টক্কর দিতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সাক্ষী হয় লজ্জার। ১৭৭ রানের পরাজয়ের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৭০ রানে। তামিম ইকবাল ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই সে ম্যাচে দুই অংকের রান পাননি। শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের ভাগ্যে জোটে ৯১ রানের বড় হার।
প্রথম টেস্ট ম্যাচে, ফলো অনে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ের ফল হিসেবে ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম দিনে। ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ফলো অনে না পড়লেও ম্যাচ শেষ হয় চার দিনে। বাংলাদেশের ভাগ্যে জোটে ২৯৬ রানের বিশাল পরাজয়।
সিরিজের পর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনা হয় তিন মাসে। সাকিব ফেরেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
২০১৯-২০: সাকিবকে ছাড়া এক বছর
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই ভারতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। দিল্লির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাত উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। সাকিবের নিষিদ্ধাবস্থায় বাংলাদেশের প্রথম জয়। বাকি দুই ম্যাচ হেরে হারতে হয় সিরিজ। তবে সেই সিরিজজুড়েই বাংলাদেশ সমানে সমান টক্কর দিয়েছে ভারতের সঙ্গে।
টেস্টে ছিল পুরো উল্টো ছবি। সাকিবের জায়গায় অধিনায়কত্ব পাওয়া মুমিনুল হকের অধীনে দুই টেস্টই বাংলাদেশ হারে ইনিংস ব্যবধানে। দুটি ম্যাচই শেষ হয় তিন দিনে।
ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচই জিতে নেয় স্বাগতিক দল। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় তৃতীয় ম্যাচ।
পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম টেস্টের ফলাফলে থাকে ভারত সফরের রেশ। হারতে হয় ইনিংস ও ৪৪ রানের ব্যবধানে। জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন একমাত্র টেস্ট জিতে নেয় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে লিটন দাস ও তামিম ইকবালের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩-০ তে সিরিজ জেতে টাইগাররা। লিটনের ব্যাট ছন্দে থাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। সেখানেও জিম্বাবুয়েকে ২-০ তে হারায় বাংলাদেশ।
এরপরই করোনাভাইরাসের কারণে থেমে যায় ক্রীড়া বিশ্ব। বাংলাদেশ আর কোনো সিরিজ খেলেনি, সাকিবকে ছাড়াও আর খেলতে হয়নি বাংলাদেশকে।
হার-জিতের খতিয়ান
তিন দফায় সাকিব না থাকাকালীন বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে মোট ২৪টি। ছয়টি টেস্ট, নয়টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। বৃষ্টিতে পণ্ড হয় দুটি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ জেতে তিনটি। বাকি চারটিতে জুটেছে পরাজয়। ছয় টেস্টের পাঁচটিতেই হেরেছে টাইগাররা।
এর মধ্যে তিনটিই ইনিংস ব্যবধানে। নয় ওয়ানডেতে জয় তিনটিতে, বাকি ছয়টিতে হার।
এই পরিসংখ্যান থেকে র্যাংকিংয়ে নিচে থাকা জিম্বাবুয়েকে বাদ দিলে বাংলাদেশ সাকিব নিষিদ্ধ থাকাবস্থায় জেতেনি একটি টেস্টও। ওয়ানডেতেও সংখ্যাটি শূন্য। টি-টোয়েন্টি জিতেছে মাত্র একটি।
বিশ্বখ্যাত স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদকে জাতীয় দলে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার ও বিশ্বকাপজয়ী এই খেলোয়াড়ের এ পদে কাজ করার প্রচুর অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে।
৫৩ বছর বয়সী মুশতাক এর আগে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানসহ বিখ্যাত ক্রিকেট দলের দেশগুলোর স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তার চিত্তাকর্ষ জীবনবৃত্তান্ত পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা হিসাবেও গর্বিত।
নিয়োগের বিষয়ে মুশতাক বলেন, ‘স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি এই ভূমিকার জন্য আগ্রহী এবং আমার অভিজ্ঞতা খেলোয়াড়দের দিতে চাই। কারণ, তারা খুব কোচিং যোগ্য এবং আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দলগুলোর মধ্যে একটি।’
চলতি মাসের শেষের দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্পের আগে মুশতাককে নিয়োগ দেয়া হলো। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সমাপ্তি পর্যন্ত দলের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ ফর্মে আছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ ম্যাচ থেকে ১০ উইকেট নিয়ে আছেন উইকেট শিকারিদের তালিকার ৩ নম্বরে। প্রথম ম্যাচেই হয়েছিলেন ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ও। বোলারদের শ্মশানঘাটখ্যাত আইপিএলে মুস্তাফিজের এমন পারফরম্যান্স বেশ ভালোভাবেই দেখছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। ফিজের এমন পারফরম্যান্স এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কাজে দেবে বলে মত তাদের।
তবে বিপত্তি বেঁধেছে আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর দেশে ফিরে ফিজকে খেলতে হবে জাতীয় দলের হয়ে। তবে অনেকেই মনে করেন বিশ্বকাপের জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে মুস্তাফিজকে জিম্বাবুয়ে নয় আইপিএলে খেলতে দেওয়া উচিত। সেজন্য এ বাঁহাতি পেসারের অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানো উচিত বিসিবির।
যদিও একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে ফিজের ছুটি। তবে মুস্তাফিজকে পুরো সময়ের জন্যই আইপিএলে খেলানোর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। তার মতে, মোস্তাফিজ আইপিএলে থাকলে বাংলাদেশই লাভবান হবে। গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমকে বলেন আকরাম খান।
তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, সে চেন্নাইয়ের হয়ে যত ম্যাচ খেলবে, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে, তার সঙ্গে বাংলাদেশও লাভবান হবে। কারণ, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার চেয়ে সেখানে খেললে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ড্রেসিংরুমের ব্যাপার আছে, বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলবে। সেখানকার মান ভালো, বিভিন্ন উইকেট, বিভিন্ন মানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলবে। আমার মনে হয়, ওর সুযোগ পাওয়া উচিত।’
আকরাম খান আরও বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, সে গত এক বছর ধরে ধুঁকছিল। আইপিএলে কিন্তু ওর পারফরম্যান্স ভালোর দিকেই যাচ্ছে, একদম যে ভালো হচ্ছে, তা না।’
সাবেক এ অধিনায়কের মতে, ‘যেহেতু সে (মুস্তাফিজ) লঙ্গার ভার্সনে খেলে না, আইপিএলে গিয়ে যদি এ রকম ভালো করতে থাকে তাহলে বিশ্বকাপে আমরা বেশি লাভবান হব। এই জিনিসটা চিন্তা করতে পারে বোর্ড। তারপরও এটা নির্ভর করছে কোচিং স্টাফ, নির্বাচকদের চিন্তা-ভাবনার ওপর। কিন্তু সে যে ভালো করছে, এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন:দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ২০২৭ সালের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট শুরুর তিন বছর আগেই নিজেদের ৮ ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী ফোলেতসি মোসেকি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকান নিউজ ২৪ ওয়েবসাইটকে মোসেকি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক কারণ বিবেচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার আট ভেন্যু বাছাই করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ও হোটেল রুমের সহজলভ্যতা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।’
দেশটির নিয়মিত টেস্ট ভেন্যু জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স, সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক, কেপটাউনের নিউল্যান্ডস, ডারবানের কিংসমিড ও গেবেরার সেন্ট জর্জে’স পার্কে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচ।
অন্য ভেন্যুগুলো হচ্ছে, ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভাল, পার্লের বোল্যান্ড পার্ক ও ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্ক।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের আসর আয়োজন করতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল তারা। তবে এ টুর্নামেন্টের আয়োজনে নামিবিয়া এবারই প্রথম।
আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও আসরের টিকিট পেতে আফ্রিকান কোয়ালিফায়ারে খেলতে হবে নামিবিয়াকে।
তিনজন স্বাধীন নারী পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ইতিহাস গড়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লুআই)। ক্রিকেট বিশ্বে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।
নিয়োগ পাওয়া তিন নারী পরিচালক হলেন- ডায়ান ক্যাম্পবেল, লুইস ভিক্টর-ফ্রেডেরিক ও ডেবরা করিয়াট-প্যাটন। এক বছরের মেয়াদে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত কাজ করবেন তারা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিডব্লুআই জানিয়েছে, ক্যাম্পবেল, ভিক্টর-ফ্রেডেরিক ও করিয়াট-প্যাটনকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বোর্ড। আপাতত তাদের মেয়াদ এক বছর, যা শেষ হবে আগামী বছরের মার্চ।
তিনজনের মধ্যে প্রথমবার পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ক্যাম্পবেল ও ভিক্টর-ফ্রেডেরিক। অন্যদিকে ২০১৯ থেকে ২০২১ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন করিয়াট-প্যাটন।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।
বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে হারের পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টেও বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এ ম্যাচের পঞ্চম দিন বুধবার ১৯২ রানের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ছয় ব্যাটারের অর্ধশতকে ৫৩১ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে সাড়ে তিন শর বেশি লিড নেয়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয়টিতে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ৫১১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।
বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো হতাশাজনক ব্যাটিং না করলেও বিজয় থেকে অনেক দূরেই থেমে যায় টাইগারদের রানের চাকা। মমিনুল হক ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া অর্ধশতকে ৩১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারী।
এ জয়ের মধ্য দিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কামিন্দু মেন্ডিস।
আরও পড়ুন:সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৩৫৩ রানের লিডকে সাথে নিয়ে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। খবর বাসসের
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১০২ রান সংগ্রহ ছিল শ্রীলঙ্কার।
মঙ্গলবার চতুর্থ দিন ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
৩৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হবার আগে ৫টি চারে ৫৬ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৩ রানে শুরু করা প্রবাথ জয়সুরিয়া ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে বিশ্ব ফার্নান্দো অপরাজিত ৮ রান করেন।
বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ৬৫ রানে ৪টি, খালেদ আহমেদ ৩৪ রানে ২টি ও সাকিব ৩৯ রানে ১টি উইকেট নেন।
মন্তব্য