গ্রামটিতে প্রবেশ করলেই কানে ভেসে আসে বাঁশির মিষ্টি সুর। ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’, কিংবা ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নেই, সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’; কারিগররা কাজের ফাঁকে নিজেদের তৈরি বাঁশিগুলোতে তোলেন এমন সুর। সুরের মূর্ছনায় দূর হয় ক্লান্তি।
বাঁশির সুরের সে গ্রাম শ্রীমদ্দি। কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। ২০০ বছর ধরে এ গ্রামে বাঁশের বাঁশি বানানো ও বিক্রি করা হয়। এই গ্রামের বাঁশি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে ইউরোপ আমেরিকাতেও।
বছরজুড়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাঁশি বানায় গ্রামটির ৪০ পরিবারের সাড়ে তিন শ সদস্য।
শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশি তৈরির কারিগর আবুল কাশেম। ৪০ বছর ধরে বাঁশি তৈরি করছেন তিনি।
আবুল কাশেম বলেন, বংশ পরম্পরায় এই বাঁশি তৈরি ও বিক্রি করে সন্তানদের লালনপালন করেছেন৷ গত ২০০ বছর ধরে চলে আসছে বাঁশি তৈরি ও বিক্রির কাজ।
আবুল কাশেম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ এলে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। রাত দিন সমানে চলে বাঁশি তৈরি ও রং করার কাজ৷ পাইকাররা ভোরবেলা বাড়িতে এসে বসে থাকেন অর্ডার করা বাঁশি নেয়ার জন্য।’
বাঁশ কোথা থেকে সংগ্রহ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কাশেম বলেন, ‘চট্টগ্রাম, মিরসরাই, বান্দরবান থেকে বাঁশ সংগ্রহ করি। সংগ্রহ করা বাঁশগুলো প্রথমে রোদে দিতে হয়। তারপর আকার আকৃতি দিয়ে বাঁশগুলো কাটি। এরপর সেগুলো গরম পানিতে সেদ্ধ করা হয়। বাঁশ সেদ্ধ না করলে ঘুনে ধরে বাঁশি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
‘সেদ্ধ করার পর সেগুলো কেটে বাঁশি বানানো হয়। বাঁশির ছিদ্র করা হয় ব্যবহার হয় কয়লার আগুন ও লোহার শিক। আমাদের ঘরের বউ ঝিরাও বাঁশি তৈরির কাজে সহযোগিতা করে।’
শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশির আরেক কারিগর আবদুল করিম জানান, শ্রীমদ্দি গ্রামে তৈরি হয় মোহন বাঁশি, বীণ বাঁশি, ক্যালেনর বাঁশি, পাখি বাঁশি, নাগিন বাঁশি, আড় বাঁশি, সোহন বাঁশি।
৫ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে এসব বাঁশি বিক্রি করা হয়।
কারিগর আবুল কাশেম জানান, হোমনার শ্রীমদ্দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের শিল্পীরা যান পছন্দ করে বাঁশি কিনতে।
আবুল কাশেম স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে বাঁশি কিনে নিয়ে গেছেন শিল্পী বারী সিদ্দিকীসহ আরও বহু গুনি শিল্পীরা।’
বাঁশি কিনতে আসা জামালপুর জেলার ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘আমরা যেমন বাঁশি চাই ঠিক তেমন বাঁশি শ্রীমদ্দিতে পাই। বাঁশ সংগ্রহ থেকে শুরু করে বানানো পর্যন্ত সবকিছুতে গুনগত মান অক্ষুন্ন রাখেন এখানকার কারিগররা।’
ঢাকার সাভার থেকে বাঁশি কিনতে যাওয়া ব্যবসায়ী লুৎফুর বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখ এলেই আমি চলে আসি শ্রীমদ্দিতে। এখানকার বাঁশি ঠোঁটে নিলেই যেন সুর বের হয়।’
শ্রীমদ্দি গ্রামের বাবুল বিশ্বাস বলেন, ‘গত ১৫-২০ বছর যাবৎ বেশ কয়েক বার এনজিওর মাধ্যমে শ্রীমদ্দির বাঁশি পৌঁছে গেছে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, কানাডা, আমেরিকা, জার্মান, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশে।
‘সেখানে বসবারত বাঙালিরা নিজেরা কেনেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অর্কেস্ট্রাতেও বাংলাদেশের হোমার বাঁশি বাজানো হয়।’
শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশির কারিগর যতীন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস জানান, বাঁশি শিল্পটাকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সহযোগিতা লাগবে। সরকার যদি জ্বালানির খরচটা সরবরাহ করতো অথবা সহজ শর্তে ঋণ সরবরাহ করতো তাহলে বাঁশি শিল্পটাকে তারা আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে পারতেন।
বাঁশি শিল্পীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন যদি জ্বালানি হিসেবে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তাহলে খুব ভালো হয়। আমি বাখরাবাদ গ্যাসের সাথে কথা বলেছি। হোমনায় লাইন আছে। এখন বাখরাবাদের ডিজিএমের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি খুব শিগগিরই ফিডব্যাক পাব।’
আরও পড়ুন:আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ ডিজিটালাইজড হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি সবাইকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার আহ্বান জানান। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর নেভী কনভেনশনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো উদযাপিত বিশ্ব নৌদিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘দেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই নদীকেন্দ্রিক বাণিজ্যে জড়িত।
সবাই মিলে দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের সঞ্চালনায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহামুদুর মালেক প্রেরিত ভিডিও বার্তাও অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ব নৌদিবস উদযাপন উপলক্ষে মেরিটাইম সেক্টরে সাহসী ভূমিকা এবং বিশেষ অবদানের জন্য দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। (ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড) পান সংগঠনের সদস্য ক্যাপ্টেন আমির মো. আবু সুফিয়ান, ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল ইসলাম এবং ক্যাপ্টেন মো. ফারহান উল্লাহ আনসারি।
এছাড়া মেরিটাইম সেক্টরে এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (এ্যক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড)-এ ভূষিত হন সংগঠনের অপর দুইজন সদস্য ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির এবং নৌপ্রকৌশলী মো. গোলাম সরওয়ার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক কামরুল ইসলাম মজুমদার, পোর্টসার্ভ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য খায়রুল আলম সুজন, বিএমএমওএ এর সদস্যবৃন্দ, মেরিটাইম সেক্টরের অন্যান্য অংশীজন এবং নাবিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর একক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) বাংলাদেশি নাবিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড ইউনিয়ন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর অধিভুক্ত।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবির) নবনির্বাচিত কাউন্সিল সদস্য এম নূরুল আলম, এফসিএস-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
এ উপলক্ষে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডাঃ আরিফুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. ফোরকান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে এম নূরুল আলমকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয় এবং আইসিএসবির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে তার সফল নেতৃত্বের জন্য অগ্রিম শুভকামনা জানানো হয়।
রাজশাহীতে ট্রাফিক মামলার জরিমানা আদায় আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা পুলিশ এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি এর উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বিনিময় করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার জনাব ফারজানা ইসলাম এবং কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত।
এখন থেকে নগদ অর্থের পাশাপাশি কমিউনিটি ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশের মাধ্যমে জরিমানা প্রদান করা যাবে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল হবে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব কার্ড জনাব জাহির আহমেদ; হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম জনাব মোঃ মামুন উর রহমান; রাজশাহী মালোপাড়া উপশাখার ইনচার্জ জনাব আব্দুল আজিজসহ উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
শুরু হলো ওয়ালটন কম্পিউটারের ডাবল ধামাকা অফার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতারা ওয়ালটন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ট্যাবলেট, প্রিন্টার ও স্পিকার কিনলেই পাচ্ছেন নিশ্চিত উপহার। সেইসঙ্গে অন্যান্য কম্পিউটার এক্সেসরিজে থাকছে ৫০% পর্যন্ত মূল্যছাড়। এছাড়াও বিশেষ উপহার হিসেবে রয়েছে প্রতি মাসেই একাধিক ব্র্যান্ড নিউ ওয়ালটন তাকিওন ইলেকট্রিক বাইক পাওয়ার সুযোগ।
ওয়ালটন প্লাজা, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং ডিলার আউটলেট থেকে কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ে অফারটি উপভোগ করা যাবে চলতি বছরের শেষদিন পর্যন্ত। শনিবার বিকেলে (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন ডিজি-টেক দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিপণ্যে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে ওয়ালটন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, বিশ্বমানের কারিগরি দক্ষতা, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকার ওয়ালটনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার পাশাপাশি প্রযুক্তিপণ্যে মান, উদ্ভাবন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ওয়ালটনের অব্যাহত প্রচেষ্টা তাদেরকে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি সম্প্রতি আমেরিকায় সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড বা পিসিবিএ রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন।
বর্তমানে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪৪ ধরনের আইটি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। যার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ইলেকট্রিক বাইক, ট্যাব, প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে, প্রিন্টার, টোনার, ইউপিএস, সিসিটিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ওয়াই-ফাই রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, স্পিকার, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি, এক্সটার্নাল এসএসডি, র্যাম, কুলার, পাওয়ার সাপ্লাই, পিসিবিএ, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ফিটনেস স্কেল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইউএসবি, টাইপ সি ও এইচডিএমআই ক্যাবল, কনভার্টার ইত্যাদি।
ডাবল ধামাকা অফার গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন রবি আজিয়াটার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেকের এমডি ও সিইও স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আদিল হোসেন নোবেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হানসহ ওয়ালটনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে আদিল হোসেন নোবেল বলেন, বিশ্বের একটি সেরা ও নামকরা ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটনকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। ওয়ালটন সারাবিশ্বের সেরা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো স্মার্ট পণ্য তৈরি করছে। বর্তমান প্রযুক্তিবিশ্বে বাংলাদেশে তৈরি উন্নত প্রযুক্তি ও পণ্যকে ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করছে। ওয়ালটন আরো এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে প্রযুক্তিপণ্যের দেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, এর আগে আমরা ক্রেতাদের জন্য এক্সক্লুসিভ অফার, এক্সচেঞ্জ অফারসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছি। আমাদের এসব উদ্যোগ সহজলভ্য মূল্যে আইটি পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ে ক্রেতাদের কাছে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরই প্রেক্ষিতে ডাবল ধামাকা অফার দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো ওয়ালটনের একটি কম্পিউটার পণ্য কিংবা এক্সেসরিজ কিনে গ্রাহক নিশ্চিত উপহার কিংবা আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পাবেন। একইসঙ্গে ডাবল ধামাকা হিসেবে প্রতি মাসে থাকবে একাধিক ইলেকট্রিক বাইক জেতার সুযোগ। আইটি পণ্যে বাংলাদেশে এই প্রথম ক্রেতাদের এ ধরনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আশা করি বরাবরের মতো এই অফার ক্রেতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলবে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ র্যাডিসন ব্ল্যু, ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন-এ উত্তরা ব্যাংক পিএলসি.-এর “ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব আজহারুল ইসলাম। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব মো: আবুল হাশেম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সম্মানিত পরিচালক জনাব বদরুন্নেছা শারমিন ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মাকসুদুল হাসান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ সর্বজনাব মো: রেজাউল করিম ও খন্দকার আলী সামনুন। ব্যাংকের সর্বস্তরের নির্বাহীবৃন্দসহ সকল শাখা-উপশাখার প্রধানগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
এনআরবি ব্যাংক পিএলসি. ‘এনআরবি প্রতিদিন’ এবং ‘অটো ফিক্সড লোন’ নামে দুটি উদ্ভাবনী পণ্য চালু করেছে।
গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্রথম ব্যাংক হিসেবে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি. দৈনিক মুনাফাভিত্তিক এনআরবি প্রতিদিন শীর্ষক পণ্য চালু করেছে। এটি ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি স্মার্ট ব্যাংকিং সমাধান, যা প্রতিদিনের মুনফা/ইন্টারেস্ট সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অটো ফিক্সড লোন হলো প্রি-রেজিস্টার্ড বা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ী ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ লোন সুবিধা। গ্রাহকরা এখন থেকে ব্যবহৃত গাড়ী ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে লোন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তারেক রিয়াজ খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ জনাব মোঃ শাহীন হাওলাদার, জনাব মোঃ আলী আকবর ফরাজী, জনাব আনোয়ার উদ্দিন এবং জনাব এম. রাশিদুল হুদাকে সাথে নিয়ে ব্যাংকের প্রধান প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পণ্যদুটি উদ্বোধন করেন। অন্যান্যদের মধ্যে রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান জনাব মোঃ রেজাউল শাহরিয়ার ও টান্সজেকশান ব্যাংকিং বিভাগের জনাব মো: আরিফুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশের রাজধানী কোটাকিনাবালুতে আয়োজিত ‘সাবাহ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড এক্সপো ২০২৫’ শীর্ষক মেলায় প্রথমবারের মতো অংশ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
সাবাহ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (এসআইসিসি) ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজক ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ডাস্ট্রিজ (এফএসআই)।
শনিবার এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবাহ রাজ্যের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার দাতুক শাহেলমে ইয়াহিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বুথ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ও পানীয়, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস সামগ্রী, প্লাস্টিকপণ্য, তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত হ্ইাকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা বাংলাদেশ বুথে অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান এবং বুথে প্রদর্শিত বাংলাদেশের বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। তিনি সাবাহ রাজ্যে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ পণ্যসামগ্রীর বাজার সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান।
দাতুক শাহেলমে ইয়াহিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
মেলার দ্বিতীয় দিন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহানারা মনিকা ফেডারেশন অব সাবাহ ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি প্রেসিডেন্ট নাটালি ফাং, সদ্য সাবেক সভাপতি দাতুক রিচার্ড লিম এবং ফেডারেশনের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথে সভা করেন।
এছাড়া, তিনি ফেডারেশনকে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানালে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মন্তব্য