× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
Baby corpse Madrasa teachers do not match anything
google_news print-icon

শিশুর লাশ: কোনো কথাই মেলে না মাদ্রাসাশিক্ষকদের

শিশুর-লাশ-কোনো-কথাই-মেলে-না-মাদ্রাসাশিক্ষকদের
নিহত শিশু ইফতেখার মালেকুল মাশফিক। ছবি: নিউজবাংলা
মাশফির মামা মাসুদ খান বলেন, ‘জাফর হুজুর বলছেন, সাতটার দিকে আমার ভাগনেকে টয়লেটে যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আর সাড়ে সাতটায় মাদ্রাসা ছুটি দিয়েছেন। কিন্তু উনি সাড়ে সাতটায় ছিলেন আমাদের বাড়িতে। সময়ের একটা গরমিল হচ্ছে। … হুজুর বলছে যে চারজন ছাড়া একটা ছাত্রকে বের হতে দেয় না, কিন্তু এখন বলছে মাশফি একা গেছে। মাশফি একা কেমনে যাবে?’

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কওমি মাদ্রাসায় শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সেখানকার শিক্ষকরা পরিবারের কাছে যেসব কথা বলেছেন, তার সঙ্গে ছাত্রদের বর্ণনা মিলছে না। আরও নানা অসংগতি উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়।

মাদ্রাসা থেকে শিশু ইফতেখার মালিকুল মাশফিকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয় গত শনিবার। তার মৃত্যু কীভাবে হলো, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, সেই বিয়ষটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এরই মধ্যে এক শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সেদিনের ঘটনাপ্রবাহ জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। এ বিষয়ে তার পরিবার, মাদ্রাসাশিক্ষকসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়।

মাদ্রাসাপ্রাঙ্গণে কোন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান কোথায়

মাজারের মূল ফটক দিয়ে ঢুকে একটু এগোলেই হাতের বাম পাশে শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকীর রওজা (কবর)। বাম পাশে মাঝারি আকারের একটি পুকুর। সবকিছু গড়ে উঠেছে রওজাকে ঘিরেই।

রওজার সঙ্গে একই ভবনে মসজিদ, তার নাম গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি। মসজিদের উত্তর পাশে শাহ অছিয়র রহমান হেফজখানা ও এতিমখানা। হেফজখানা ও মাসজিদের সামনে একটি ছোট্ট খোলা মাঠ।

মাঠের উল্টো দিকে মাওলানা শাহ অছিয়র রহমানের বংশধরদের বসতবাড়ি। এর দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রয়েছে শাহ অছিয়র রহমান স্মৃতি অ্যাকাডেমি। তবে অ্যাকাডেমিতে যেতে হয় মূল রাস্তা দিয়ে ঘুরে।

মাশফির নিখোঁজ হওয়া

সময়- ভোর ৫টা ৩৫।

মাওলানা শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকীর মাজারসংলগ্ন মসজিদে হয় ফজরের নামাজ। প্রার্থনা শেষে মাজার জিয়ারত ও মুনাজাতে অংশ নেয় ছাত্ররা। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ছাত্রদের ছবক (তালিম) দেয়া হয়।

সেদিন ছবক দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ আবু জাফর।

মাশফির পরিবারের কাছে তার দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, সকাল ৭টায় মাশফি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ছুটি নেয়। তার সঙ্গে ছিল আরও তিনজন।

সকালের নাশতার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিরতি দেয়া হয় সকাল সাড়ে ৭টায় । এরপর মাশফির নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারেন জাফর হুজুর।


শিশুর লাশ: কোনো কথাই মেলে না মাদ্রাসাশিক্ষকদের


সে বাড়িতে গেছে কি না খোঁজ করতে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে দেড় কিলোমিটার দূরে ফকিরাখালী এলাকায় মাশফির নিজ বাড়িতে পাঠান তিনি। এর পরপরই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে চরণদ্বীপ পাঠান পাড়ায় মাশফির নানার বাড়িতে মাশফিকে খুঁজতে যান জাফর হুজুর নিজেই।

যদিও হুজুরের কাছে মাশফির মা ও ভাইয়ের মোবাইল নম্বর ছিল। কিন্তু তিনি কাউকে ফোন না দিয়ে নিজেই ছুটে যান।

মাশফির নানাবাড়িতে কী কথা

জাফর হুজুর মাশফির নানাবাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন শিশুটির ছোট মামা মাসুদ খানকে। ভাগনের নিখোঁজের কথা শুনে হুজুরের সঙ্গে তিনিও মাদ্রাসায় গিয়ে খোঁজা শুরু করেন।

এর মধ্যে মোবাইল ফোনে মাশফির বড় ভাই ইমতিয়াজ মালেকুল মাজেদকে জানান মাসুদ। তিনি বিষয়টি শুনে মাদ্রাসার কাছাকাছি দুই বন্ধুকে মাদ্রাসায় পাঠান এবং নিজেও রওনা দেন।

যেভাবে মাদ্রাসায় পাওয়া গেল মরদেহ

তারা মাদ্রাসায় যখন এসে পৌঁছান, তখন সময় ৮টা ১৪ মিনিট।

মাশফির মামার ফোনে ওই সময়ে একটি কল আসায় সময় জানাতে পারেন তিনি। মূল ফটক দিয়ে মাদ্রাসায় ঢোকার সময় শুনতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে ‘পা দেখেছি’, ‘পা দেখেছি’।

এরপর মাদ্রাসার দোতলায় যান মাসুদ খান। সেখানে দুই ছাত্রের সঙ্গে রুস্তম হুজুর ও শাহাদাত হুজুরকে দেখতে পান। তখন হুজুরের হাতে ছিল লোহার রড।

সেই হুজুর জিনের সমস্যার কথা বলে সবাইকে আজান দিতে বললে দুই ছাত্র ও মাসুদ খান আজান দেয়া শুরু করেন।

পরে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ দিকে লেপ মোড়ানো অবস্থায় পা দেখতে পান দুই ছাত্র। লেপ উল্টে মাশফিকে দেখে চিৎকার দেয় তারা।

এর মধ্যে মাশফির ভাই ও আশপাশের আরও বেশ কয়েকজন যান মাদ্রাসায়।

এরপর মাসুদ মাশফিকে কোলে নিয়ে নিচে নেমে গলা কাটা দেখতে পান। দ্বিতীয় তলায় অন্ধকার হওয়ায় শুরুতে মাশফির গলা কাটা খেয়াল করেননি তিনি।

এলো পুলিশ, মেলে না হুজুরের বর্ণনা

এর বেশ কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। জাফর হুজুর ও রুস্তম হুজুর পুলিশকে জানান, ঘটনার পর থেকে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছে, তারাই ঘটনাটি ঘটাতে পারে।

কিন্তু পরে জানা যায়, ওই দুজন শিক্ষার্থীকে দেড় কিলোমিটার দূরের মাশফির বাড়িতে তাকে খোঁজার জন্যই পাঠিয়েছিলেন জাফর হুজুর। কিন্তু হুজুরের বর্ণনার সঙ্গে শিক্ষার্থীর বর্ণনায় কিছু অমিল খুঁজে পায় পুলিশ।

ওই মাদ্রাসার অপেক্ষাকৃত সিনিয়র চার শিক্ষার্থীর একজন ইদু আলম সাকিব। যে দুই শিক্ষার্থীকে মাশফির বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল, তাদের একজন এই সাকিব। তার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার।

সাকিব জানায়, নামাজের পর জিয়ারত শেষে ছবক দেয়ার ৩ থেকে ৪ মিনিট পর মাশফি বাথরুমে যাওয়ার জন্য ছুটি নেয়। তখন ঘড়িতে সময় ভোর ৬টা ৩৫ মিনিট।

মাশফিকে রুম থেকে বের হয়ে মাদ্রাসার বারান্দা পর্যন্ত যেতে দেখেছে সে। তবে এ সময় মাশফি একাই ছিল, সঙ্গে আর কেউ ছিল না।

পরে খাবারের ছুটি দেয়া হলে কয়েকজন সহপাঠী সাকিবকে জানায়, মাশফি নেই। তখন বিষয়টি জাফর হুজুরকে জানায় সাকিব।

হুজুর তখন মাদ্রাসায় দুই তলায় ওঠার সিঁড়ির মুখে চেয়ারে বসে ধূমপান করছিলেন। এর মধ্যে আরও একাধিক ছাত্র বাথরুমে গিয়েছিল। সেখান থেকে এসে মাশফিকে না দেখার কথাও হুজুরকে বলেছিল তারা।

তখন হুজুর বিষয়টা নিয়ে কিছু বলেননি। খাবারের ছুটিতে মাশফিকে না পাওয়ার বিষয়টি জেনে সাকিব ও আবু তাহের নামের এক ছাত্রকে তার বাড়িতে খুঁজতে পাঠান হুজুর।

সাকিব মাশফির বাড়ি ও বাড়ির কাছাকাছি একটি স্কুলে খুঁজে ফের মাদ্রাসায় এসে জানতে পারে, শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে। ততক্ষণে পুলিশও চলে এসেছে। এ সময় সে ভেতরে যেতে চাইলেও পুলিশ তাকে ভেতরে যেতে দেয়নি।

বাচ্চাকে জিনে ধরেছে বলে আজান

মাদ্রাসার পরিচালক সানাউল্লাহ ফারুকী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরু থেকে শিক্ষকরা বলছিলেন কোনো বাচ্চাকে জিনে পেয়েছে- এ রকম । তারপর আজানও দেয়া হয়। পরে আমরা গিয়ে দেখি মাশফির লাশ পড়ে আছে।

‘আমাদের শিক্ষক আছেন তিনজন, এর মধ্যে দুজন হেফজ বিভাগের ও একজন অ্যাকাডেমির। অ্যাকাডেমির যে শিক্ষক, তিনি কেবল হেফজখানায় অবস্থান করেন।’

মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় একটি বিছানা রয়েছে বলে জানান মাশফির ভাই ইমতিয়াজ মালেকুল মাজেদ।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার পরিচালক সানাউল্লাহ ফারুকী বলেন, ‘আমরা এটা বলতে পারছি না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটা তদন্ত করছে। আশা করি ভালো একটা প্রতিবেদন দেবে।’


শিশুর লাশ: কোনো কথাই মেলে না মাদ্রাসাশিক্ষকদের


শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে হয়তো হেফজখানায় কোনো বাচ্চাকে শাস্তি দিয়েছে। এ রকম অভিযোগ মাঝে মাঝে আসত। শিক্ষকদের যেভাবে শাসন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়, তারা সেভাবেই করতেন। কখনও বড় সমস্যা হয়নি। বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যৌন হেনস্থার কোনো অভিযোগ আমরা কখনও পাইনি।

‘অনেক আগে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ পাওয়ায় আমরা তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করেছি। বর্তমান তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ কখনই ছিল না।’

শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মারধর করার সুযোগ নেই, যদিও হেফজখানা ও মাদ্রাসাগুলোতে আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের মারধর করার প্রথা চলে আসছে। কিন্তু আমরা হুজুরদের কাউন্সেলিং করতাম। শিক্ষার্থীদের বলে-বুঝিয়ে পড়াতে হবে, মারধর করা যাবে না- এসব আমরা সব সময় শিক্ষকদের বোঝাতাম।’

মাশফির ভাইয়ের অভিযোগ মাদ্রাসায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হতো।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেখানে থাকে, সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন হলে তারা ঝাড়ু দেয়া বা এই ধরনের কাজগুলো সাধারণত করত।’

তবে এসব কাজের জন্য মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

কথায় অনেক গরমিল: মাশফির ভাই

মাশফির বড় ভাই ইমতিয়াজ মালেকুল মাজেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কখনও মাদ্রাসায় মারধরের কথা আমাদের বলেনি। তবে মৃত্যুর কয়েক দিন আগে দুষ্টুমি করায় তাকে একটু মেরেছে বলে জানায় সহপাঠীরা। এ রকম একটা ঘটনা হবে কল্পনাও করিনি।’

সন্দেহের তালিকায় কারা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক তিনজন আর মাদ্রাসার বড় ছেলেরা। সবচেয়ে বেশি জাফর হুজুর। কারণ, উনিই দুই তলায় সিগারেট খেতে যেতেন। ওই জায়গাটাতে তিনি সিগারেট খেতেন। এখনও সিগারেটের প্যাকেট পড়ে আছে সিঁড়ির নিচে।’

মাশফির মামা মাসুদ খান বলেন, ‘জাফর হুজুর বলছেন, সাতটার দিকে আমার ভাগনেকে টয়লেটে যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আর সাড়ে সাতটায় মাদ্রাসা ছুটি দিয়েছেন। কিন্তু উনি সাড়ে সাতটায় ছিলেন আমাদের বাড়িতে। সময়ের একটা গরমিল হচ্ছে।

‘সব দিকে খুঁজেটুজে যখন আমি মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম, তখন ৭টা ৫৪ বাজে। পরে বাইর থেকে যখন আবার মাদ্রাসায় আসি, তখন ৮টা ১৪ মিনিট। ওই সময় আমি একজনকে কল দিয়েছিলাম।

‘আমরা কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছি না, কিন্তু তাদের একটা ঘাটতি আছে। ওরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে, কিন্তু সচল না৷

‘তারপর বাচ্চারা যে পড়াশোনা করতেছে, তাদের জন্য বাথরুম ভেতরে থাকা দরকার। এখন বাথরুম মাদ্রাসা থেকে ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরে। হুজুর বলছে যে চারজন ছাড়া একটা ছাত্রকে বের হতে দেয় না, কিন্তু এখন বলছে মাশফি একা গেছে। মাশফি একা কেমনে যাবে? চারজন ছাড়া যে বের হতে দেয় না, এটা জাফর হুজুর বলেছেন, কমিটিও বলছে।’

গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে যারা


মাদ্রাসাছাত্র ইফতেখার মালিকুল মাশফিকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা করেছেন মামা মাসুদ খান। এ ঘটনায় তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সব কোশ্চেনের জবাব জানান চেষ্টা করছি: তদন্ত কর্মকর্তা


মামলাটি তদন্ত করছেন বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে জাফর রিমান্ডে আছেন। আমরা তার কাছ থেকে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না দেখছি।‘

জিজ্ঞাসাবাদে কী জানা গেল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা তদন্তাধীন, তাই আমি এখন খোলাখুলি সেভাবে কিছু বলতে পারছি না। এতটুকু বলি যে আপনাদের যা যা কোয়েশ্চেন, সেসব কোয়েশ্চেনের উত্তর আমরাও বের করার চেষ্টা করছি। দ্রুতই সবকিছু বের হবে আশা করি।’

আরও পড়ুন:
বিডিআর সদস্য হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ১৪
মাদ্রাসায় ছাত্রের গলাকাটা দেহ: শিক্ষক ২ দিনের রিমান্ডে
মিতুর বাবার নারাজি আবেদন ফেরাল আদালত
আকাশি গাছে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
মাদ্রাসায় ছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

সারা দেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে