× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
Case of vandalism of Syed Ashrafs mural Arrest 1
google_news print-icon

সৈয়দ আশরাফের ম্যুরাল ভাঙচুরে মামলা: গ্রেপ্তার ১

সৈয়দ-আশরাফের-ম্যুরাল-ভাঙচুরে-মামলা-গ্রেপ্তার-১
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: নিউজবাংলা
শহরের কালীবাড়ী সড়কে নরসুন্দা নদীর তীরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় ভাঙচুর করা হয়।

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।

এ ঘটনায় সদর উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্তর থেকে শুক্রবার বিকেলে ৪টার দিকে পারভেজ চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পারভেজের বাড়ি ইটনা উপজেলার রায়টুটী ইউনিয়নে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের বনানী মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীনকে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গ্রেপ্তার পারভেজনকে থানায় রাখা হয়েছে।

শহরের কালীবাড়ী সড়কে নরসুন্দা নদীর তীরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালটি নির্মাণ করে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় এটি ভাঙচুর করা হয়।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ও পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া।

রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন রাষ্ট্রপতিপুত্র কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি ম্যুরাল ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত জড়িতদের শানাক্তের আহ্বান জানান।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগমসহ আরও অনেকে।

ম্যুরাল ভাঙচুরের প্রতিবাদে সকাল ১১ টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চ। সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবীরের নেতৃত্বে মানববন্ধনে অংশ নেন কিশোরগঞ্জের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

আরও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফের ম্যুরাল ভাঙচুর
ময়মনসিংহে কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর: নুরুকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
ঝালকাঠিতে জাতির পিতার ম্যুরাল উন্মোচন
খুলনায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭২ ফুট ম্যুরাল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Jaksu had all the attention to win one team Teacher Network

জাকসুতে এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

জাকসুতে এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপরই বর্তায় উল্লেখ করে তারা বলেছে, ‘জাকসু নির্বাচনে যেকোনো প্রকারে একটি দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সব মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করি এবং মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব কারসাজি উন্মোচন হওয়া জরুরি।’

গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের একটি অংশের সংগঠন শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর নির্বাচন হয়। দুই দিন ধরে ভোট গণনার পর গত শনিবার বিকেলে ফল ঘোষণা করা হয়। ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে জিএস ও দুটি এজিএসসহ ২০টি পদে জিতেছে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।

জাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর এই নির্বাচন ভীষণ আগ্রহ ও উদ্দীপনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বাস্তবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি একদিকে যেমন ছিল ত্রুটিপূর্ণ, তেমনি বিতর্কিত। অব্যবস্থাপনায় ভরা নির্বাচনটির এই প্রক্রিয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছে আমাদের একজন তরুণ শিক্ষককে তার জীবন দিয়ে। নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই এর অদক্ষতা, লোকবল বাড়াতে অনীহা, সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব, প্রার্থীবিশেষের প্রতি বিরূপতা ইত্যাদি বিবেচনা করলে সহকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পটভূমিতে মারাত্মক অদক্ষতার একটা পরিবেশ আমরা দেখতে পাই। মরহুম জান্নাতুল ফেরদৌসের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অদূরদর্শী কর্মপরিকল্পনারহিত নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করি।’

জাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১৬টি গুরুতর সমস্যা চিহ্নিত করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের বিবৃতিতে এই সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর প্রথমটি হলো ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা ও ত্রুটিপূর্ণ ব্যালট। দ্বিতীয় সমস্যা হিসেবে বলা হয়, ‘ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়কে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ও নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে দেখিয়ে নির্বাচনের চার দিন আগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। অমর্ত্যর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত উচ্চতর আদালত স্থগিত করলেও চেম্বার আদালতে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে যাওয়ার যুক্তিতে ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়। প্রশাসন উচ্চতর আদালতের রায় মেনে নিয়ে অমর্ত্যর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে পারত, কিন্তু তারা সেটা করেনি। প্রশাসনের এই আচরণ এবং একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটিকে আমাদের কাছে প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট দুরভিসন্ধি বলে মনে হয়েছে।’

জাকসু নির্বাচনের তৃতীয় সমস্যা হিসেবে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের দিন ধার্য করা হয়। ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে যাওয়ার পর ডোপ টেস্টের প্রাসঙ্গিকতা জানতে চাইলে বলা হয়, ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী কথা নির্বাচন কমিশনকে খেলো করে তোলে। চতুর্থ সমস্যা, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স হলে হলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে, অথচ এই ক্যাম্পাসে ব্যালট বাক্স নির্বাচনের দিন সকালে পাঠানোয় কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

প্রথমে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রাখতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে জাকসু নির্বাচনের আগের রাত আড়াইটার দিকে পোলিং এজেন্ট রাখা যাবে বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এটি প্রার্থীদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র দিতে গড়িমসি করা এবং সকালে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভোট চললেও কোনো কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট না থাকা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টিকে নির্বাচনের পঞ্চম সমস্যা বলেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের দৃষ্টিতে জাকসু নির্বাচনে ষষ্ঠ সমস্যা ছিল, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া এবং ছাত্রীদের হল পরিদর্শনে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া।

নির্ধারিত ভোটারের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করার ঘটনা বড় রকমের সংশয় তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা বলেছে, কোনো কোনো হলে মাটিতে ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টিকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক জাকসু নির্বাচনের সপ্তম সমস্যা বলেছে। অষ্টম সমস্যা ছিল, অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়ার ঘটনা, যা ভোট কারচুপির সুযোগ সৃষ্টি করে।

ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় বৈধ শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ভোট দিতে পারেননি ও জাল ভোটের প্রমাণ পাওয়া গেছে—শিক্ষক নেটওয়ার্কের দৃষ্টিতে এটি জাকসু নির্বাচনের নবম সমস্যা। দশম সমস্যা ছিল কোনো কোনো হলের একাধিক প্রার্থীর নাম ছাপা না হওয়া বা কয়েকজন সদস্যকে ভোট দিতে হবে সেই নির্দেশনায় ভুল অঙ্ক লেখা থাকা। নির্ধারিত সময়ে সব হলে ভোট দেওয়া শেষ না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পরও ভোট গ্রহণ চলতে থাকাকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে একাদশ সমস্যা।

জাকসু নির্বাচনের দ্বাদশ সমস্যা হিসেবে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনায় প্রশ্ন ওঠায় হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্তের পর বাস্তব পদ্ধতি অনুসরণ না করা। এ ব্যাপারে তাদের পর্যবেক্ষণ হলো এতে ধীরগতিতে ভোট গণনা চলে এবং ৪৮ ঘণ্টা পর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এত দীর্ঘ সময় ব্যালট বাক্সগুলো নিশ্ছিদ্র থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচনে নানা দায়িত্বে থাকা তিনজন সহকর্মী (শিক্ষক) নির্বাচনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ ও অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়ার অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে সরে যান—বিষয়টিকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে নির্বাচনের ত্রয়োদশ সমস্যা। চতুর্দশ সমস্যা হিসেবে তারা নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচনের দিন দুপুরের পর অংশগ্রহণকারী ৮টি প্যানেলের মধ্যে ৫টি প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের কথা উল্লেখ করেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব খাবারের দোকান ও চায়ের দোকান বন্ধ রেখে জাকসু নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে দমবদ্ধ দশায় পরিণত করা হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী, নির্বাচন কমিশন, তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাসিন্দার ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে দেখা যায়। বিষয়টিকে তারা বলছে জাকসু নির্বাচনের পঞ্চদশ সমস্যা। শিক্ষক নেটওয়ার্কের দৃষ্টিতে এই নির্বাচনের ষোড়শ ও শেষ সমস্যাটি হলো পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুজনের নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ সত্ত্বেও তিনজন কমিশনারের স্বাক্ষরে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।

১৬টি সমস্যার কথা উল্লেখ করার পর শিক্ষক নেটওয়ার্ক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে যেকোনো প্রকারে একটি দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সব মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনারদের বর্জন, পদত্যাগ ও সব অভিযোগকে উপেক্ষা করা হয়েছে। দুজন কমিশন সদস্যের পদত্যাগকে আমরা নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনের সর্বাত্মক ব্যর্থতা হিসেবে দেখি।’

নেটওয়ার্ক বলেছে, নির্বাচনের প্রাক্কালে ওএমআর যন্ত্রের দরপত্রবিষয়ক অভিযোগ ওঠে। একাধিক দল পরস্পরকে দোষারোপ করে। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের রাস্তা হিসেবে ওএমআর ব্যবহার না করে সনাতনী ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে গণনা শুরু করে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নেহাত প্রশাসনের দুর্বলতাকেই তুলে ধরে। এই বিপুল টাকা লগ্নির পর যন্ত্র ব্যবহার করতে না পারা নিছকই লজ্জাজনক। উপরন্তু সহকর্মীদের (শিক্ষক) ওপর অকথ্য পরিশ্রম চাপানোর কারণ তৈরি করেছে এটা। তখনই প্রশাসনের তাৎক্ষণিক জনবলবৃদ্ধি আবশ্যক ছিল।

বিবৃতির শেষাংশে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে নির্বাচনটি পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপরই বর্তায়। একই কারণে আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করি এবং মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব কারসাজি উন্মোচন হওয়া জরুরি।’

মন্তব্য

সারা দেশ
EU waiting to work with elected government in Bangladesh Miller

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ: মিলার

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ: মিলার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাইকেল মিলার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (এওএফএ) বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক নিয়ে ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এওএফএর সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।

ইইউ রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। সেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করেছি। বাংলাদেশের সামনে এখন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে। তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগীসহ সব পক্ষের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।’

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক উত্তরণের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যেকোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের সুরক্ষার পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়।

বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি মানবাধিকার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতা। ভবিষ্যতেও আমরা এই বিষয়গুলোতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে যাব।’

ইইউ সব সময় বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিশেষ করে কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন। তবে এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।

সারা দেশ
ACC operations at Sirajganj Government College on charges of irregularities

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার সকালে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় দুদকের প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান ও বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন।

কলেজ সূত্র জানা যায়, পরিবহন খাত নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পরিবহন বাবদ অর্থ নেওয়া হলেও কলেজে বাস্তবে কোনো পরিবহন ক্রয় করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে একটি হাইচ গাড়ি কিনলেও এ গাড়ি মূলত অধ্যক্ষ ও কিছু শিক্ষক ব্যবহার করেন এবং ওই গাড়ির ব্যয়ভার চাপানো হয় শিক্ষার্থীদের ওপর। শুধু পরিবহন খাত নয়, শিক্ষার্থী কল্যাণ তহবিল, খাদ্য বাবদ অতিরিক্ত ব্যয়, সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়েও নানামুখী অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেন, ফি বাবদ যে অর্থ তোলা হয়, তার সঠিক ব্যবহার হয় না।

অভিযান পরিচালনাকালে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির প্রেক্ষিতে আজকে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা পরিবহন খাতের লগবুক পরীক্ষা করছি। কোথাও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের প্রমাণ নেই। বরং শুধু অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা ব্যবহার করেছেন এবং অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে। এছাড়া অভিযানে প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে। এরপর সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আমরা তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করি নাই।

মন্তব্য

সারা দেশ
Bill of Naogaon Bill

নওগাঁয় বিলের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

নওগাঁয় বিলের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গুটারবিলে সোমবার বিকালে এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ।

বিলের মাঝে ভাসমান মঞ্চ স্থাপন করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্যজীবী।

হাঁসাইগাড়ী, শৈলগাছী, শিকারপুর ও দুবলহাটি ইউনিয়নের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম ধলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম ভিপি রানা, যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল হোসেন শাহানা প্রমুখ।

প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, ‘দেশের প্রাণিজসম্পদ রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ একটি কার্যকর ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

পরে অতিথিরা গুটারবিলের পানিতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত করেন।

আয়োজকরা জানান, এ ধরনের কর্মসূচি শুধু প্রাণিজ সম্পদ সংরক্ষণে নয়, বরং মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুরক্ষা এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দঘন সাংস্কৃতিক পর্ব। দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজন করা হয় গ্রামীণ জনপ্রিয় খেলা হাঁস ধরা, নৌকাবাইচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী এ আয়োজন প্রাণ পায় স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

এ উদ্যোগকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে মৎস্যজীবীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে এবং বিল ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক সম্পদও সুরক্ষিত থাকবে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Last minute preparations are underway in Jhenaidah on the occasion of Durga Puja

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহের ৪৫৫টি মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহের ৪৫৫টি মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

এগিয়ে আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবের আমেজে ভরে ওঠেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি উঠোন। জেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। এ বছর জেলায় ৪৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। পূজা উদযাপনকে নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব কয়টি ইউনিট।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৪৫৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৯টি, কালীগঞ্জে ১০১টি, কোটচাঁদপুরে ৪৬টি, শৈলকূপায় ১২৫টি, হরিণাকুণ্ডুতে ২৭টি ও মহেশপুর উপজেলায় ৪৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়, পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে একের পর এক সভা করছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতিনিধিরা মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মহল্লায় মহল্লায় দলীয় কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের ব্যাপারীপাড়া জোড়াপুকুর সংলগ্ন সার্বজনীন মন্দির, কেন্দ্রীয় বারোয়ারি মন্দির ও চাকলাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে প্রতিমার সাজসজ্জার কাজ।

প্রতীমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যথাসময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই দুর্গা দেবীর আরাধনার জন্য মণ্ডপগুলো প্রস্তুত করা হবে।

শহরের চাকলাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রনজিৎ শাখারী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর মতো এবারও আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে দারুণ উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’

সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মালা রাণী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের গ্রামে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। এবারও প্রস্তুতি শেষের দিকে। এখন সবাই মিলেমিশে আনন্দের সঙ্গে প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করছে।’

জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চন্দন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার মণ্ডপগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বড় রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা পূজার আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে, গণমাধ্যমকর্মীরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরছেন। আমাদের সঙ্গে তারাও এই পূজা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া একটি গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ও সাইবার টিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল ইউনিট জেলাব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ চলমান। পূজা চলাকালীন সকল মণ্ডপে পুলিশের কঠোর নজরদারি রাখা হবে। গত বছর ঝিনাইদহে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। এ বছর নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য

সারা দেশ
In Joypurhat more than 500 poor patients are free of charge

জয়পুরহাটে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা

জয়পুরহাটে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির উদ্যোগে এই চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ, চশমা ও ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া ক্যাম্প থেকে শতাধিক রোগী বাছাই করে বগুড়ায় গাক চক্ষু হাসপাতালে বিনা খরচে ছানি অপারেশন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী হোসেন শাহ, বগুড়া ব্র্যাক ডিভিশনাল কোঅর্ডিনেটর লিড জেনারেশন মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়কারী আরিফুল ইসলাম, এলাকা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও বগুড়া রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর লিড জেনারেশন হাসান উল কবিরসহ বিভিন্ন ডাক্তার ও নার্সরা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Dispute over land journalists mother in law injured in an opponents attack

জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকের মা-ভাই আহত

জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকের মা-ভাই আহত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।

সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ব্রি-কালিয়াকৈর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিক আজিজুল হাকিম সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহত নান্ন মিয়া ও সম্পি বেগমকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে আজিজুল হাকিমের পরিবারের সাথে চাচাতো ভাইয়ের বউ মধুমালার বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সোমবার সকালে মধুমালা বেগম, তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, বোন রংমালা আক্তার, বোন জামাই মবজেল ও মধুমালার বাবা তোতা মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও কয়েকজন বাঁশের লাঠি নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর অভিযুক্তরা ঘরে ঢুকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় ভুক্তভোগীর ভাই নান্ন মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলার সময় তাদের মা সম্পি বেগম বাধা দিতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মেরে জখম করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে