× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
Landslide 2000 people in safe shelter
google_news print-icon

পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ

পাহাড়ধস-নিরাপদ-আশ্রয়ে-২-হাজার-মানুষ
আশ্রয়কেন্দ্রে আনা মানুষগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা, শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পাহাড় ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে অন্তত ৫০০ পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারে পাহাড়ধসের শঙ্কায় অতি ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,‌ ‘ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাহাড়ের ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

‘জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আড়াই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

তিনি জানান, এরই মধ্যে বন্যা, প্লাবন ও পাহাড়ধসে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারে ৫ লাখ টাকা ও ১৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পাহাড় ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে অন্তত ৫০০ পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুকে সরিয়ে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, এসব প্রান্তিক মানুষকে স্থায়ী আবাসনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে।

গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পানি ঢুকেছে ৪৫ ইউনিয়নের ৪২০ গ্রামে। পাহাড়ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে প্রাণ গেছে ২০ জনের।

এ অবস্থায় ভূমিধসের আশঙ্কায় শহরের লাইট হাউস, ফাতের ঘোনা, সৈকত পাড়ার ৫১ একর সংলগ্ন বাঘঘোনা, ঘোনারপাড়া, বৈদ্য ঘোনা, বাদশা ঘোনা, ‌‌কলাতলী, খাজা মন্দির, রুমালিয়া ছড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে প্রায় ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়।

পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ

ডিসি মামুনুর রশিদ জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে আনা মানুষগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা, শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।

এদিকে দুই হাজার পরিবারের ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও তাদের নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনা হবে।’

ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে বনভূমির পরিমাণ ৭৩ হাজার ৩৫৮ হেক্টর। এর মধ্যে অবৈধ দখলে ৯ হাজার ৬৫৭ হেক্টর। পাহাড়ি জমিতে বসবাস করছে ১৩ হাজার ৮২৬ পরিবার।

কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, কক্সবাজারে দক্ষিণ বন বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে ৩ হাজার ৫২৫টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। তার মধ্যে কক্সবাজার শহরে ৯৪৫টি পরিবার। তাদের দিনে উচ্ছেদ করলে রাতে ফের দখল করে।

পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ

প্রাণহানি নিয়মিতই

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল আট বছরে (২০১৩-২০২১) পাহাড়ধসের ঘটনায় অন্তত ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

২০১০ সালের জুনে কক্সবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় সাত সেনা সদস্যসহ ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়াছড়ায় ভয়াবহ পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিনজনসহ প্রাণ হারান পাঁচজন।

সর্বশেষে জুলাইয়ে মহেশখালী, উখিয়া ও টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গাসহ ১৩ জন প্রাণ হারান।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে সরানো হলো ১৩০ পরিবার
চট্টগ্রামে অতিভারী বর্ষণ, জলাবদ্ধতা শহরে
৯ হাজার রোহিঙ্গা নিরাপদে
পাহাড় কাটার কারণেই ধস
পাহাড়ধসের শঙ্কা, আশ্রয়কেন্দ্রে ৯২ পরিবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

‘৭১-এর গণহত্যার’ জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

* ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের এফওসি
‘৭১-এর গণহত্যার’ জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ছবি: সংগৃহীত
* দুদেশের সম্পর্ক জোরদারে অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান চায় বাংলাদেশ ** ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতা ও গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া আর্থিক দাবি নিষ্পত্তিসহ অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলো সমাধান করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি ‘দৃঢ় দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মায়’ আয়োজিত এফওসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন। প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণের পরিমাণের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যানের দেওয়া হিসাব মতে, ৪ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আরেকটা হিসাবে ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আমরা আজকের আলোচনা এই ফিগারটা বলেছি। ১৯৭০ সালে যে ভয়াবহ বন্যা হয়; এতে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র ও এজেন্সি ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করেছিল, আমরা তার হিস্যাও চেয়েছি।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Full support of the United States in the interim governments reform initiative

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা এ সমর্থন জানায়।

বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এ. চুলিক এবং অ্যান্ড্রু হেরাপ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিশনপ্রধান ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং এই সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা জানান।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমার সরকারের ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন।

চুলিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুকে আপনি বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে পুরো মিয়ানমার প্রসঙ্গের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন- এটা আমরা প্রশংসনীয় বলে মনে করি।’ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আঞ্চলিক সহযোগিতা, সংযোগ বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রশংসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় সহায়তা চালু করা এবং পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিন স্থগিতের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা তার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নে সমর্থন দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Committee is being formed to prosecute economic criminals Syeda Rizwana Hassan

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রিজওয়ানা বলেন, বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের কিছু বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ। এছাড়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে এবং গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশগুলো নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে, তাদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছি।’

জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সইয়ের সিদ্ধান্ত

পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম এই কনভেনশনে সই করতে যাচ্ছি।

‘আর আমাদের অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সবসময় বলি, আমরা আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে কেন সই করছি না। এই অভিন্ন জলরাশির পানির ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটো আইন আছে জাতিসংঘে। একটি হচ্ছে জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭, আরেকটি হচ্ছে ১৯৯২ কনভেনশন,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ কনভেনশন কার্যকর হয় ১৯১৪ সালে। অর্থাৎ উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬টি দেশের সই লাগত। সেই সই পেতে ১৭ বছরেরও বেশি লেগে যায়। আরেকটি আইন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টার্গেট করে ১৯৯২ সালে আরেকটি আইন করা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

‘এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের প্রায় ১১টি দেশ আইনটিতে সই করেছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ দেশ আফ্রিকান। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করবো,’ বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে যত প্রক্রিয়া ছিল, সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করা, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা—সবই আমাদের হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কনভেনশন অব দ্য প্রটেকশন এন্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লেক ১৯৯২-এ সই করবো। বাংলাদেশকে দিয়েই এশিয়ার দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
DMP recovered 20 mobile phones

২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ডিএমপি

২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ডিএমপি

হারানো, চুরি ও ছিনতাইকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার উপ-পুলিশ কমিশনারের (তেজগাঁও বিভাগ) কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজানের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, হারিয়ে যাওয়া, চুরি ও ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মোবাইল ফোন মালিকরা বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত একমাসে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ৬৩টি, হাতিরঝিল থানা পুলিশ ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ ৩২টি, আদাবর থানা পুলিশ ৩২টি ও তেজগাঁও থানা পুলিশ ৩০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Former MP Bahauddins land house seized bank account blocked

সাবেক এমপি বাহাউদ্দিনের জমি-বাড়ি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক এমপি বাহাউদ্দিনের জমি-বাড়ি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন ও মেয়ে সাবেক মেয়র সূচনা। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিনের কুমিল্লার মনোহরপুরে ১৫ শতক জমি ও একটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এ ছাড়া বাহার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আবেদনে জব্দ হওয়া বাড়ি নির্মাণে বিনিয়োগ ১৬ কোটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া জমির মূল্য ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত্রের স্বার্থে সম্পত্তিগুলো ক্রোক এবং অবরুদ্ধকরণ করা প্রয়োজন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Arif arrested the robber of the robber in Chittagong

চট্টগ্রামে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা ডাকাত চক্রের হোতা আরিফ গ্রেফতার

চট্টগ্রামে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা ডাকাত চক্রের হোতা আরিফ গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরের বারেক বিল্ডিং মোড়ে ডাকাতের আস্তানায় চালানো অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় ডাকাত চক্রের মূলহোতা আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৫০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সে একজন পেশাদার অপরাধী এবং অস্ত্রসহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়াত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ডবলমুরিং থানার আওতাধীন বারেক বিল্ডিং মোড়ের একটি ফাঁকা প্লটে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তখন পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ঘিরে ধরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চক্রের মূল হোতা আরিফ হোসেন ছুরি দিয়ে পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকেই আরিফ হোসেন আমাদের নজরে ছিল। সে একজন পেশাদার অপরাধী এবং অস্ত্রসহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়াত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ব্যবহার করে সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলবে বলেও জানান ওসি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Murshidabad Violence Bangladesh rejected allegations of involvement in Bangladesh

মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার

মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনও চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সহিংস হামলায় মুসলমানদের প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই।’

‘সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার আহ্বান জানাচ্ছে,’ বলেন প্রেস সচিব।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রাথমিক তদন্তে কিছু ‘বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীর’ সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএইচএ) সূত্র।

তবে এসব দাবি নাকচ করে বাংলাদেশ বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মন্তব্য

p
উপরে