× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
Hilsa is not seen on the coast
google_news print-icon

ইলিশের দেখা নেই উপকূলে

ইলিশের-দেখা-নেই-উপকূলে
নদীতে ইলিশ মিলছে না। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর সব প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে নেমেও হাসি ফুটছে না জেলেদের মুখে। ছবি: নিউজবাংলা
‘হাঙ্গা বচ্ছর বইয়া রইছি সিজনে ইলিশ ধরমু। কিন্তু সিজনের শুরুতে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধ থাকে। মাছ আর ধরন যায় না। নিষেধাজ্ঞা শ্যাষ অইছে এহন নদীতে খ্যাও দিয়া মাছ পাইতে আছি না। মোগো গুরাগারা লইয়া খামু কী আর দাদনের টাহাই বা কেমনে দিমু।’

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে নেমেছিলেন জেলেরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণে অনেক জেলেই মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ঋণগ্রস্ত। আর এখন নদীতে ইলিশ মিলছে না। এখনকার পরিস্থিতিতে জেলেরা বলছেন, এই সময়ে নদনদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় তারা চরম হতাশ।

নদীবেষ্টিত বরগুনা জেলার নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস মাছ ধরা।
বরগুনার তিনটি প্রধান নদনদী বিশখালী, বলেশ্বর ও পায়রাকে ঘিরে হাজার হাজার প্রান্তিক জেলের বসবাস। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরের মোহনায়ও ছোট নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরেন কয়েক হাজার জেলে।

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলায় প্রায় ৪৩ হাজার জেলে রয়েছেন যাদের জীবিকার একমাত্র উৎস্য নদীতে মাছ ধরা। টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া এই জেলেদের উপায় থাকে না। আর এই সময়টাতে পরিবার নিয়ে চলতে মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিতে হয় তাদের।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ কুপদোন গ্রামের জেলে সিদ্দিক আকন। ছোট নৌকায় মোট চারজন জেলে মাছ শিকার করেন।

ইলিশের দেখা নেই উপকূলে
ইলিশ ধরতে নদীতে নামার অপেক্ষায় প্রস্তুত নৌকাগুলো। ছবি: নিউজবাংলা

সিদ্দিক বলেন, ‘হাঙ্গা বচ্ছর বইয়া রইছি সিজনে ইলিশ ধরমু। কিন্তু সিজনের শুরুতে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধ থাকে। মাছ আর ধরন যায় না। নিষেধাজ্ঞা শ্যাষ অইছে এহন নদীতে খ্যাও দিয়া মাছ পাইতে আছি না। মোগো গুরাগারা লইয়া খামু কী আর দাদনের টাহাই বা কেমনে দিমু।’

সিদ্দিকের মতোই বিশখালী তীরবর্তী এই গ্রামে আরও অনেক জেলের একই অবস্থা। পাথরঘাটার বলেশ্বর তীরবর্তী পদ্মা গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের আয়ের মূল উৎস মাছ শিকার। পেশাজীবী এসব জেলের দুর্দিন এখন চরমে।

এই গ্রামের জেলে আবদুল খালেকের বয়স এখন ৬৫ বছর। গোটা জীবনই নদীতে, সাগরে তিনি মাছ শিকার করেছেন। খালেকের তিন ছেলেও জেলে।

আবদুল খালেক বলেন, ‘ঋণে জর্জরিত মোরা, এহন সিজনে মাছ পাই না গাঙ্গে, কী দিয়া দাদন দিমু আর নিজেরাইবা কী খামু কন। কয়দিন পর আবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু অইবে, হেরপর সিজন শ্যাষ, মোগো কী উপায় অইবে।’

তালতলীর নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলে রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘পরপর চার দিন খ্যাও দিছি, ছোট জাটকা সাইজের তিন-চাইরডা ইলিশ ওডে খ্যাওতে। চাইরজন মাইনসের একটা নাওতে তিনডা জাটকা ইলিশ পাইলে নিজেরাই বা খামু কী আর দাদনই বা দিমু কিইদ্দা কন।’

পায়রা পাড়ের গ্রামের বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের গুলবুনিয়া এলাকার জেলে বাবুল বলেন, ‘পায়রায়ও ইলিশ নাই, গোনে (জোয়ারের পর) খ্যাও দি, ভাটিতে জাল টানি, ইলিশের দেহা নাই।’

ঠিক একই রকম অবস্থা বরগুনাসহ গোটা উপকূলের প্রান্তিক জেলেদের। উপকূলীয় জেলেদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ডোক্যাপ’র (DOCAP) হিসাবে উপকূলজুড়ে প্রায় এক লাখ প্রান্তিক জেলের বসবাস। যারা মূলত ছোট নৌকায় নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

ইলিশের দেখা নেই উপকূলে

খুদে এই জেলেদের নদীকেন্দ্রিক মাছ শিকারই একমাত্র জীবিকার মাধ্যম। ডোক্যাপের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রান্তিক জেলেদের প্রত্যেকেই দাদন নিয়ে নৌকা, জাল করে থাকেন। এ ছাড়া অলস সময়ে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য দাদন হিসেবে ঋণ নেন। মৌসুমের একটা বিরাট সময়জুড়েই নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকতে হয় জেলেদের। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা সাগরের জন্য হলেও এই জেলেদেরও এখন আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে এরপর আবার প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। সব মিলিয়ে এখন ইলিশ শিকারের মৌসুম এদের। কিন্তু ইলিশ নদীতে ধরা না পড়লে এই জেলেদের কোনো উপায় থাকে না।’
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার দেব বলেন, মৌসুমে সাগর থেকে ইলিশ নদনদীতে বিচরণ করতে আসে। এ সময় প্রায় সবখানেই এসব ইলিশ ধরা পড়ে। আমরা আশা করি, শিগগিরই নদীতে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করবে।’

‘এবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলার প্রায় ৪০ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Train derailed to break the closed southern railway for 12 hours

ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত ট্রেন, ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল

ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত ট্রেন, ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি কোচ ভাঙ্গা বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হওয়ায় ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল। পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং পয়েন্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ৯টা দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা- রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ যাত্রী। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে ২টি রিলিফ ট্রেন বা ক্রেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে ২টি ক্রেন এনে লাইন সচল করতে কাজ করছি।’

হাচিনা খাতুন বলেন, ‘পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলাম কতৃপক্ষ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগনাল বা পয়েন্ট পরিবর্তন করেছে। তার ভুল করার বিষয় সত্যতা পেয়েছি। একারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি দুপুর নাগাদ লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে।’

এ বিষয় ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, ঢাকা থেকে খুলনা গামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিন সহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সামনের ইঞ্জিন ও লাগেজ ভ্যান দুইটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পয়েন্টম্যান নজরুলের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

সুমন বাড়ৈ বলেন, এ দুর্ঘটনার পরে গতকাল (শুক্রবার) রাত নয়টা দশ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেন সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছেন। দুপুর পর্যন্ত লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গিয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Four Bangladeshi channels closed on YouTube in India

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ চার বাংলাদেশি চ্যানেল

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ চার বাংলাদেশি চ্যানেল ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করা হয়েছে। দেশটির সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে চ্যানেলগুলো জিও ব্লক করে দিয়েছে ইউটিউব।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন এবং মোহনা টেলিভিশন।

শুক্রবার (৯ মে) তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউটিউব থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়ার কথা ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেছে যমুনা টেলিভিশন। ভারত সরকারের অনুরোধে তাদের সব পুরোনো ও ভবিষ্যতের অনুষ্ঠান দেশটির দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ডিসমিসল্যাব এই চার চ্যানেলের ইউটিউব লিংক নয়াদিল্লি ও কলকাতাভিত্তিক দুইজন সাংবাদিককে পাঠায়। তারাও নিশ্চিত করেন যে চ্যানেল চারটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

জিও ব্লকিং মানে দর্শকের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কনটেন্ট অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করা। এই ক্ষেত্রে, ব্লক করা বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য (দেখা গেলেও) থাকলেও ভারতের ব্যবহারকারীরা দেখতে পাবেন না।

গত ২২ এপ্রিল ‌পে‌হেলগা‌মে সন্ত্রাসী হামল‌ার প্রতি‌ক্রিয়ায় ৬ মে দিবাগত রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পরিচালিত এই হামলা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করা হলো।

এর আগে এক্স জানায়, ভারত সরকার আট হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে মাক্তুব মিডিয়া, দ্য কাশ্মিরিয়াত ও ফ্রি প্রেস কাশ্মিরের মতো স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।

গত মাসে ভারতের নির্দেশে বেশ‌কিছু পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল এবং রাজনীতিবিদ ও তারকাদের ইনস্টাগ্রাম আইডি ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলেও ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, ভারতের এই পদক্ষেপে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক—যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কাজ ভোক্তা অধিকারের আন্তর্জাতিক রীতির পরিপন্থি।’

এ ব্যাপারে ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউটিউবের কাছে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইব। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাই, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Hasnat called for a mass rally

তিন দা‌বিতে গণসমাবেশের ডাক দি‌য়ে‌ছেন হাসনাত

তিন দা‌বিতে গণসমাবেশের ডাক দি‌য়ে‌ছেন হাসনাত ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিনদফা দাবিতে শাহবাগে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার ( ৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই কর্মসূচী ঘোষণা দেন তিনি। আজ (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানান হাসনাত।

দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচার সংক্রান্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করা।

এর আগে শুক্রবার ( ৯ মে) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আবদুল্লাহ বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন হাসনাত। পরে সেখানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Monday to submit an investigation report against Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

* জুলাই-আগস্টের গণহত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী সোমবার (১২ মে) তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
A League adviser about banning A League and going abroad to the former president

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় এলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।’

শুক্রবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর। যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্নআদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব এটা কিভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এনিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।’

তিনি বলেন, সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ।’

মন্তব্য

সারা দেশ
This country is not a person or party Tareq Rahman

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে হাসিনা পালিয়ে গেছেন সেভাবেই পালিয়ে গেছেন আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না! তাহলে তারা জানেন কী? তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জণগণের।

ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Selected new pope Robert Provost

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

রোমান ক্যাথলিক গির্জার নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভ্যাটিকানের কনক্লেভে কার্ডিনালদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ারে পেরুতে ধর্মপ্রচার করে বেড়িয়েছেন রবার্ট প্রভোস্ট। এছাড়া ভ্যাটিকানের প্রভাবশালী বিশপস অফিসেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্যাথলিক গির্জার দুই হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মার্কিন নাগরিক পোপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

৬৯ বছর বয়সী এই পোপ নতুন নাম নিয়েছেন লিও চতুর্দশ।

এরআগে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলের চিমন দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হওয়ায় সবাই জেনেছেন যে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন পোপকে স্বাগত জানাতে ভ্যাটিকান সিটিতে বিপুল মানুষের ভিড় জমেছে।

পোপ হওয়ার যোগ্য ১৩৩ কার্ডিনালকে নিয়ে গঠিত কলেজ অব কার্ডিনালস। কোনো ধরনের মনোযোগ নষ্ট হওয়া ছাড়াই যাতে প্রার্থনা ও ধ্যান করতে পারেন, পাশাপাশি পোপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সে কারণে ভ্যাটিকানের ভেতরে কার্ডিনালদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।

নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। ভোট হওয়ার পর একটি বিশেষ স্টোভে ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কালো ধোঁয়া বের হওয়ার অর্থ হচ্ছে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, অর্থা পোপ নির্বাচিত হননি। আর সাদা ধোঁয়া বের হলে বুঝতে হবে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রার্থী নেই। তবে বেশ কয়েকজন কার্ডিনাল আছেন, যারা পোপ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

আধুনিক সময়ে প্রথম দিনেই পোপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। তবে দ্বিতীয় দিনে নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস এবং ২০০৫ সালে পোপ বেনেডিক্ট দ্বিতীয় দিনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচনে এবার অংশ নিয়েছেন ৭০ দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এটি পোপ ফ্রান্সিসের অধীনে গির্জার বৈশ্বিক বিস্তারের ইঙ্গিত বহন করে।

মন্তব্য

p
উপরে