× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
A huge public meeting of A League candidates broke the shutdown
google_news print-icon

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা

শাটডাউনে-আ-লীগ-প্রার্থীর-জনসভা
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থনে নির্বাচনি জনসভা। ছবি: নিউজবাংলা
বিধিনিষেধের কারণে ঈদে বাড়িতে যাওয়া মানুষ যখন কর্মস্থলে ফিরতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, তখন ঢাকা থেকে সিলেটে এসে জনসভা করছেন নেতারা। হাবিবের সমর্থনে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক; প্রধান বক্তা সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। জনসভায় অংশ নিতে রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সিলেট আসেন তারা।

বিশাল সমাবেশ চলছে। খোলামাঠে জড়ো হয়েছেন হাজারখানেক লোক। গাদাগাদি করে আছেন সবাই। মিছিল নিয়ে আসছেন আরও অনেকে। মঞ্চেও নেতাদের উপচে পড়া ভিড়। মঞ্চ ও মঞ্চের সামনে সমবেত হওয়া বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক নেই।

এই দৃশ্য রোববার বিকেলের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে যখন শাটডাউন হিসেবে পরিচিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে তখন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় মাঠে চলছে এই জনসভা।

শাটডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে মামলা-জরিমানাও করা হচ্ছে। ২৩ জুলাই থেকে ঘোষিত এই শাটডাউন সবচেয়ে কঠোর হবে বলেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

এমন ‘কঠোর’ শাটডাউনের মধ্যে বালাগঞ্জের এই সমাবেশের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তার সমর্থনেই এই নির্বাচনি জনসভা। এমনকি শাটডাউনের নির্দেশনা ভেঙে ঢাকা থেকে এসে এই জনসভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

বিধিনিষেধের কারণে ঈদে বাড়িতে যাওয়া মানুষ যখন কর্মস্থলে ফিরতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, তখন ঢাকা থেকে সিলেটে এসে জনসভা করছেন নেতারা। হাবিবের সমর্থনে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক; প্রধান বক্তা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। জনসভায় অংশ নিতে রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সিলেট আসেন তারা।

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা
আ. লীগ প্রার্থী হাবিবের সমাবেশে হাজারো লোকের সমাগম

এই সমাবেশটি যেদিন আয়োজন করা হয়, সেদিনই, অর্থাৎ রোববার দুপুরে মারা গেছেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

উপনির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ইসরাইল হোসেন। তিনি এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। নির্বাচনি কার্যক্রম চালাতে গিয়ে তিনিসহ দুইজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হন। এ কারণে তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দুজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করে ইসি।

এমন অবস্থায়ও বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে শাটডাউন ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে ব্যাপক প্রচার। কেবল রোববার বিকেলে বালাগঞ্জের সমাবেশ নয়, গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই এই তিন উপজেলায় সভা-সমাবেশ, মিছিল-গণসংযোগ করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এসব প্রচারে ব্যাপক লোকসমাগমও হচ্ছে।

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা


করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে এই নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক চয়ন চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন মারা গেছেন। অথচ আইন ও সংবিধানের দোহাই দিয়ে চলমান শাটডাউনের মধ্যেই ভোট গ্রহণ করতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন আর কতজনের জীবন নেবে?’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভারতে নির্বাচন আয়োজন কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তা আমরা দেখেছি। ভোট গ্রহণ ও প্রচারে অংশ নিয়ে এখনও অসংখ্য মানুষ হুমকিতে আছেন।’

উপনির্বাচনের জন্য ভোটের দিন নির্বাচনি এলাকায় শাটডাউন শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে ২৮ জুলাই ছাড়া বাকি দিনগুলোতে শাটডাউনের নির্দেশনা বহাল রয়েছে।

২৪ জুলাই সিলেটে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাও নির্বাচনি কার্যক্রমে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন।

ওই দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন।

তবে এসব কঠোরতার কোনো বালাই নেই নির্বাচনি এলাকায়।

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা


রোববারের আগে শনিবারও হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থনে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে বিশাল সমাবেশ করা হয়। এতে কয়েক শ লোক অংশ নেন। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল।

এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই হাবিবের সমর্থনে নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, সমাবেশ, পথসভা ও গণসংযোগ করা হচ্ছে।

রোববার হাবিবের সমর্থনে বালাগঞ্জের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেছি। নিজেরা মাস্ক পরেছি। সমাবেশে আসা মানুষজনের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ছিল। তবে অনেক লোকের সমাগম হওয়ায় পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হয়নি।’

শাটডাউনের মধ্যে এমন সমাবেশের আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় তো প্রার্থীরা প্রচার চালাবেনই। তা ছাড়া নির্বাচনের কারণে এই এলাকায় বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিলও করা হয়েছে।’

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন। প্রচারে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিবই এগিয়ে রয়েছেন। তবে অন্য প্রার্থীরাও খুব পিছিয়ে নেই। বিশেষত জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক ও মোটরযান প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা শফি আহমদ চৌধুরীও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের প্রচারে মানা হচ্ছে না শাটডাউনের বিধিনিষেধ।

গত শনি ও রোববার দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার ও বালাগঞ্জের গৌরিপুরে নির্বাচনি জনসভা করেন শফি আহমদ চৌধুরী। তার জনসভায়ও শতাধিক মানুষ গাদাগাদি করে অংশ নিতে দেখা গেছে। যাদের অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধিও।

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা
বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা শফি আহমদ চৌধুরীর জনসভা

তবে শফি চৌধুরীর দাবি তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রচার চালাচ্ছেন।

একই দাবি করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘শাটডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমি প্রচারণা চালাচ্ছি। জনসমাগম এড়িয়ে চলছি। কিন্তু অন্য প্রার্থীরা তা মানছেন না। বিশেষত আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রতিদিনই নির্দেশনা অমান্য করে জনসমাগম করছেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি।’

ডাব প্রতীকে নির্বাচনে প্রার্থী হলেও তেমন প্রচার নেই বাংলাদেশের কংগ্রেসের নেতা জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া।

করোনার সময়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এই ধরনের জনসভা সম্পর্কে জানতে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সঙ্গে রোববার রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শাটডাউনে আ. লীগ প্রার্থীর জনসভা


তবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, নির্বাচনি বিধিবিধান ও সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখভাল করার জন্য নির্বাচনি এলাকায় বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো অনিয়ম পেলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।’

সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলে যেখানে জরিমানা করা হচ্ছে, সেখানে কীভাবে বিশাল জনসভা করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল ইসলাম বলেন, ‘তারা উঠান বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এটাকে সমাবেশ করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।

‘নির্বাচনের কারণে আমাদেরও কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হচ্ছে। শাটডাউনের বিধিনিষেধ পালনে কঠোর হতে পারছি না। তারপরে সমাবেশস্থলে আমাদের একাধিক মোবাইল টিম ছিল। যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে উৎসাহিত করেছি।’

এ বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

২৮ জুলাই ইভিএম পদ্ধতিতে এই আসনে ভোট হবে। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।

আরও পড়ুন:
ভোট হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে: সিলেটে সিইসি
২৮ জুলাই সিলেটে শাটডাউন শিথিল
সিলেট-৩ উপনির্বাচন: হাবিব দ্বৈত নাগরিক, অভিযোগ আতিকের
সিলেট-৩ আসন: আওয়ামী লীগের ‘হকল খাড়া’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Six members of Lao pushing teenage gang

'লও ঠেলা' কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

'লও ঠেলা' কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে 'লও ঠেলা' কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজধানীতে 'লও ঠেলা' নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় ৯ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজারের মেকাপ খান রোডে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেফপ্তাররা হলেন— মো. জোবায়ের ওরফে যুবরাজ (২২), মো. হাসান (১৯), মো. রায়হান (২৭), মো. ওয়াসিম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন রাজু (৩২), মো. নুরুল আমিন (১৮), মো. কামাল হোসেন (২২), মো. শাহিন (২৮) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চাপাতি ও চারটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার মেকআপ খান রোডে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দ করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর থানা এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় ছিনতাইসহ ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

মন্তব্য

সারা দেশ
The chief adviser called for students to dream of creating a new world

শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন কিছু গড়ার সক্ষমতা রাখি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়।

সমাবর্তন ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাইলে আমাদের মতো করে এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’ তবে, তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকা দরকার- কেমন পরিবেশ ও সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেই সম্পর্কে।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি তা মানুষের জন্য নয়, বরং ব্যবসার জন্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসাকেন্দ্রিক এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি বিভাগে।

অনুষ্ঠানে, চবি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট সনদ তুলে দেন।

সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজসহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন।

চবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চবি আজ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করে, যেখানে ২২,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
JB teachers declared to stay on the highway until the demands were collected

দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন।

বুধবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় এই ঘোষণা দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।

এসময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর চালানো হামলায় শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের এই হামলার বিচার করতে হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা, ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ান জেগেছে’; ‘আমার ভাই অনাহারে যমুনা কি করে’; ‘এসেছি যমুনায় যাবো না খালি হাতে’; ‘আমার ভাই আহত কেন ইন্টেরিম জবাব চাই’ এসব স্লোগান দেন।

এদিন বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ উপস্থিন হন।

এদিন, বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।

লং মার্চটি মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে গেলে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন প্রমুখ।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসে গুরুতর আহত হয়ে অন্তত ৩০ জন জবি শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের ওপরও পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না-হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Online GD service is being launched in Chittagong Range and CMP

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিএমপিতে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিএমপিতে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা

চট্টগ্রাম রেঞ্জের সকল জেলার সকল থানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সকল থানায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) থেকে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় না এসে ঘরে বসেই সকল ধরনের জিডি অনলাইনে করার সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানা এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল থানায় অনলাইন জিডি সেবা চালু হয়েছে।

ইতোপূর্বে অনলাইনে শুধুমাত্র হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যেত। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রেঞ্জ ও মেট্রোতেও অনলাইন জিডি সেবা চালু হবে।

অনলাইন জিডি সেবা পেতে গুগল প্লে স্টোর থেকে 'অনলাইন জিডি' অ্যাপ ডাউনলোডের পর রেজিস্ট্রেশন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। রেজিস্ট্রেশন অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু আছে।

বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা দ্রুততম সময়ে ও সহজে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Zobaida Rahman was granted bail in the ACC case

দুদকের মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান

দুদকের মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা ওই মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদনও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোবাইদা রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জোবাইদা রহমানকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) এই আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা চেয়ে জোবাইদা রহমানের করা আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে আপিল দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে গতকালই এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হয়। এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও করেন জোবাইদা রহমান।

আদালতে জোবাইদা রহমানের পক্ষে আজ (বুধবার) শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানি করেন।

পরে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার আপিল শুনানির জন্য যাবতীয় নথিও তলব করা হয়েছে।’

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট করা এই মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ওই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে এই মামলায় জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন জুবাইদা রহমান। এরপর থেকে লন্ডনেই ছিলেন তিনি।

সেখান থেকে ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান।

দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি মঙ্গলবার কার্যতালিকায় উঠলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য

সারা দেশ
Chittagong Port Bangladesh Economys heart Chief Advisor

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে ব্রিফিং করেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফরের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে তাঁর কাছে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ।’

তিনি বলেন, ‘যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। কিন্তু যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ সংস্থাগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হবো। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজের শৈশবস্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সফরের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি শৈশব থেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। এটি অনেক বদলেছে, তবে দুঃখের বিষয় হলো পরিবর্তন ধীর গতির। আমি যখন সুযোগ পেলাম, তখন থেকেই ভেবেছি কী করা যায়।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, আর আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে। আশা করি সবাই একদিন বুঝবে।’

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান উপদেষ্টার বন্দর উন্নয়নের আগ্রহের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আশেপাশে একাধিক টার্মিনাল নির্মাণ কনটেইনার জট কমাতে সাহায্য করবে। ‘আমি আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন,’ বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দর আধুনিকায়ন করার বিকল্প নেই।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এবং তার ৯৮ শতাংশ নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে সম্পন্ন হয়।

মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
DU student arrested in connection with the murder

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক ৩

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক ৩ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

বুধবার (১৪ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর ইউএনবিকে জানান, ঘটনার পরপরই শাহবাগ থানার বেশ কয়েকটি টিম দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই তিনজন সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি ওসি। এ ছাড়া, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাবি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

p
উপরে