× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
google_news print-icon

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি

ঢাকা-থেকে-বের-হওয়ার-মুখে-যানজট-চট্টগ্রামের-রাস্তায়-স্বস্তি
ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে সড়কে গাড়ির চাপ। ছবি: নিউজবাংলা
‘মাত্র ২ ঘণ্টা থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা-কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়িগুলো গন্তব্যের শুরুতেই যানজটে আটকা পড়ছে। সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে থেমে থেমে চলছে গাড়ির চাকা। রাজধানী ঘেঁষা এসব এলাকায় দেখা গেছে পরিবহন-সংকটও। একসঙ্গে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তবে টাঙ্গাইল অংশে যানবাহনের চাপ কমে গেছে। এতে মহাসড়কের এই অংশে গন্তব্যমুখী গাড়িগুলো চলছে স্বাভাবিক গতিতে।

একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা।

সড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন। পশু ও যাত্রীবাহী গাড়িগুলো যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেই চেষ্টায় দিনরাত কাজ চলছে।

সাভারের সড়কে যানজট

ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে সাভারে মহাসড়ক ও শাখা সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। সোমবার দুপুরে একযোগে শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ার পর থেকে সড়কে চাপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কসহ শাখা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে সাভারের সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে ধউর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে সিগন্যালের কারণে বাইপাইল থেকে ডিইপিজেড পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ও বিরুলিয়া-আকরান শাখা সড়কে খাগান থেকে আকরান প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ।

সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে সাভারের সবগুলো সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল। শুধু টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইনকামিংয়ে গাড়ির ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। তবে দুপুরের পর থেকে সাভারের সবগুলো সড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আমরা যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।’

সাভার-আশুলিয়ার সব শিল্পকারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা শিল্পাঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ঘরমুখী শ্রমিকদের জটলা দেখা গেছে। অনেককেই ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে বেশি ভাড়ায় ট্রাকে রওনা হতে দেখা গেছে।

পরিবহন-সংকটে উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ব্যস্ততম স্থানগুলোতে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। সে তুলনায় পরিবহন কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

বিশেষ করে গাজীপুর শিল্প এলাকা হওয়ায় রোববার বেশকিছু পোশাক কারখানা ছুটি হয়ে গেছে। দুপুরের পর প্রায় সব কারখানাই ছুটি হবে। তাই সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দুটিতে বিকেল থেকে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ টঙ্গী, চান্দনা চৌরাস্তা ও চন্দ্রা ত্রিমোড়ে। গণপরিবহনের স্বল্পতার কারণে অনেকেই গরুবাহী ট্রাক ও পিকআপে যাচ্ছেন। বেলা যত বাড়ছে, যাত্রীর চাপও বেড়েই চলছে। যানবাহনের আধিক্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। ওই এলাকায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যানবাহনের শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোরে যানজট এবং ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক থেকে কালিহাতী উপজেলার পুংলী এলাকা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ন যাত্রী ও চালকরা।

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ কম

ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী লে‌নে এই চিত্র দেখা গেলেও বিপরীত অবস্থা দেখা গেছে ঢাকামুখী লে‌নে। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চল‌েছে প‌রিবহন। ঘরমুখী মানুষকে যেতে দেখা গেছে খোলা ট্রাকে করে।

টাঙ্গাইল ট্রাফিকের সার্জেন মিটুন চক্রবর্তী জানান, সকালের দিকে একটু রাস্তায় যানজট ছিল, এখন রাস্তা একদম ফাঁকা । কোনো প্রকার কোথাও কোনো জটলা নেই।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তি

বিভিন্ন মহাসড়কে গণপরিবহনের তীব্র চাপে যানজট থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ রয়েছে পুরোপুরি স্বস্তিতে।

মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার এলাকা যানজটমুক্ত থাকায় যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। পাশাপাশি পণ্য ও পশুবাহী গাড়িও চলাচল করছে স্বস্তিতে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। হাইওয়ে পুলিশের ১০টি টিম, দুটি কন্ট্রোল রুম এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রাখা হয়েছে পাঁচটি রেকার।

এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

তিনি জানান, ‘আমরা মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে দাউদকান্দির গৌরপুর, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, নিমসার বাজার, সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে যাতে যানবাহনের জট না লাগে সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি মহাসড়কের যানজট তো দূরের কথা, কোথায়ও যেন জটলাও না বাঁধে।

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে গাড়ির চাকা ঘুরছে স্বাভাবিক গতিতে

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসচালক সোবহান তালুকদার বলেন, ‘দাউদকান্দি থাইক্কা আলেহারচর আইছি। রাস্তাত কোনো জাম নাই। একটানে আইছি। এরুম থাকলে চিটাং যাইতে দেড় ঘণ্টা লাগবো।’

মাত্র সোয়া ২ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ব্যাংকার সাইফুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে বলেন, দুপুর ১টায় বাসে উঠছি। সোয়া ৩ টায় কুমিল্লা আসছি। কী যে ভালো লাগছে। মুন্সিগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের কাছে যানবাহনের কিছুটা চাপ ছিল। তবে যানজট ছিল না।

ঢাকা-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের বাসচালক দেলোয়ার হোসেন, এশিয়া পরিবহনের বাসচালক আবুল কাসেম বলেন, ‘মাত্র ২ ঘণ্টা থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা-কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Ansar and VDPs constant commitment to protect the law and order and sustainable environment in the hills Director General

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বাহিনীর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সফরকালে তিনি বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অপারেশনাল সক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত রাখতে আনসার ও ভিডিপির সমন্বিত দায়িত্ব ও কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

বান্দরবানের সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন (১০ বিএন)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক স্বাধীনতা-পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে আনসার ব্যাটালিয়নের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আনসার বাহিনী ১৯৭৬ সাল পূর্বকাল থেকেই মাতৃভূমির স্বার্থরক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় ও সামঞ্জস্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ফলে বাহিনী অর্জন করেছে দেশবাসীর অবিচল আস্থা।” “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, সবুজ বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন আয়োজিত গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মহোদয়ের হাত থেকে বান্দরবানের সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছের চারা গ্রহণ করে। আনসার সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত অংশগ্রহণ কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই নয়, বরং টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা গঠনে বাহিনীর দীর্ঘদিনের দায়বদ্ধতাকে পুনর্ব্যক্ত করে।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

রুমা আনসার ব্যাটালিয়ন (১৬ এবিএন) পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানদণ্ডে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বহিঃশত্রু বা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকি, সামাজিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা কিংবা নিরাপত্তা পরিধি স্খলনের যেকোনো ঝুঁকি প্রতিহত করতে আনসার বাহিনীর ভূমিকা হবে শক্তিশালী ও অবিচল।” মহাপরিচালক দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, “বর্তমানে আনসার বাহিনীর অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হলো সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জন।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা প্রদান, যৌথ টহল কার্যক্রম (এসআরপি, এলআরপি) এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আনসার বাহিনীর সক্রিয়, সহনশীল ও পেশাদার ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সফরের শেষাংশে মহাপরিচালক চট্টগ্রামের পটিয়া আনসার ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিএন)-এর চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের প্রতি দেশ ও জাতির কল্যাণে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও টেকসই পরিবেশ রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবিচল অঙ্গীকার- মহাপরিচালক

উল্লেখ্য, আগামীকাল মহাপরিচালক চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চলমান ভিডিপি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। মহাপরিচালকের এ সফরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) ড. সাইফুর রহমানসহ বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

সারা দেশ
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Agriculture and Home Advisor has joined the World Food Forum

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।

উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

সারা দেশ
Life of a former UP member in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা
কিশোরগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসলাম উদ্দিন (৫৫) তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের তেওরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি ধলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তর ধলা চকেরবাড়ির ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও তেওরিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইসলাম উদ্দিন কামরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করেন।

তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে কামরুলের ভাতিজা আনোয়ার ফকির ওরফে আনার (৩৭) এর বুকেও ছুরিকাঘাত করেন ইসলাম উদ্দিন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ার ফকিরকে উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আখলাকুল ফকির বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইসলাম উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Meeting on the role of the media in the formation of the modern state in Magura

মাগুরায় আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক বৈঠক

মাগুরায় আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক বৈঠক

মাগুরায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘তওহিদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার মাগুরা প্রেসক্লাব হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। মাগুরা জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম মিলনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আলিম শেখ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান মিলন এবং খুলনা বিভাগীয় রাজনৈতিক যোগাযোগ সম্পাদক ফিরোজ মেহেদী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে কোন মতবাদ বা ব্যবস্থা মানবজাতির জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আজ পৃথিবীতে গভীর সংকট বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

বক্তারা আরো বলেন, কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে না পারলে সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ব্যর্থ। তাই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের শান্তিপূর্ণ ভূমিকা অপরিসীম।

গোলটেবিল বৈঠকে মাগুরার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সংগঠনের নেতারা ও সুধীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Nasirabad train stopped

নাসিরাবাদ ট্রেন থামিয়ে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

নাসিরাবাদ ট্রেন থামিয়ে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শুম্ভপুর রেল গেইট এলাকায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। বুধবার দুপুরে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শুম্ভপুর রেল গেইট এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, ভৈরবকে জেলা বাস্তবায়ণের দাবিতে ছাত্রজনতা জড়ো হয়ে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের পূর্বে শুম্ভপুর রেল গেইটে এলাকায় রেল লাইনের ওপর লাল কাপড় টাঙিয়ে ট্রেনটি বেলা ১.২১ মিনিটে থামিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্র জনতা তাদের দাবি জানিয়ে ৫-৭ মিনিট পর ভৈরব থানার পুলিশের সহযোগিতায় শুম্ভপুর এলাকা থেকে ভৈরব স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় হঠাৎ চলতি ট্রেন থাকতে দেখে পথচারীদের মধ্য নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়।

এ সময় স্থানীয় ছাত্র-জনতার নেতা রাজীব বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ভৈরবকে দেশের ৬৫ তম জেলায় রূপান্তর করা। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বিগত সরকার আমাদের দাবি পূরণ করেননি। তাই বর্তমান সরকারের কাছে দাবি থাকবে অতি দ্রুত ভৈরবকে জেলা ঘোষণাসহ বাস্তবায়ন করবে। তা না হলে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে ভৈরবে সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, জেলার দাবিতে ছাত্র-জনতা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন। ট্রেনটি শুম্ভপুর এলাকায় ৫-৭ মিনিটের মত থেমে ছিল বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

সারা দেশ
Ershad Alis wrong treatment in Naogaon is increasing the fear of death

নওগাঁর এরশাদ আলীর ভুল চিকিৎসায় বাড়ছে মৃত্যুর শঙ্কা

এরশাদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন অনেকেই
নওগাঁর এরশাদ আলীর ভুল চিকিৎসায় বাড়ছে মৃত্যুর শঙ্কা

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় একসময় অবৈধ কারখানায় ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির দায়ে জেল খাটা এরশাদ আলী (৫৫) এবার শিশু চিকিৎসক সেজে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

‘ডাক্তার’ সেজে তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার আহসানগঞ্জ এলাকায় মেহেদী মেডিকেল হল ফার্মেসিতে শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। অথচ তার কোনো বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি বা সনদ নেই, এমনকি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকও নন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এরশাদ আলীর ভুল চিকিৎসায় শিশুরা মারাত্মক শারীরিক জটিলতায় পড়ছে, এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাত্র ৯০০ মিটার দূরে আহসানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মার্কেটে অবস্থিত ‘মেহেদী মেডিকেল হল ফার্মেসিতে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভিড় করেন। সপ্তাহে মাত্র একদিন এখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিধান কুমার শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। বাকি ছয় দিন ফার্মেসির মালিক এরশাদ আলী নিজেই চিকিৎসকের ভূমিকায় শিশুদের নানা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করেন।

স্থানীয়রা জানায়, এরশাদ আলী রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের গাদু শেখের ছেলে। অতীতে তিনি ঢাকার চানখারপুল এলাকায় বাসায় অবৈধ ওষুধ কারখানা স্থাপন করে ভেজাল ওষুধ তৈরি করতেন এবং তা বিভিন্ন ফার্মেসিতে সরবরাহ করতেন। এ ঘটনায় একটি গোপন অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত তার কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ জব্দ করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরশাদের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন অনেকেই।

উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের হযরত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ১৩ মাস বয়সি কন্যাশিশু শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। লোকমুখে শোনে এরশাদ আলীর কাছে নিয়ে গেলে তিনি একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকসহ সাতটি ওষুধ দেন। পরে জানতে পারি তিনি কোনো বৈধ চিকিৎসক নন।’

জাত আমরুল গ্রামের আরিফুল ইসলাম জানান, ‘তার মেয়ের জন্য প্রকৃত চিকিৎসক যে ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন, মেহেদী মেডিকেল হল ফার্মেসিতে গেলে এরশাদ আলী তা পরিবর্তন করে ইনজেকশন দেন। ইনজেকশনটি ভুলভাবে প্রয়োগ করায় তার মেয়ের হাত ফুলে যায় এবং পরবর্তীতে রাজশাহীতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাকে নিজের জমি বন্ধক রাখতে হয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা রওনক রাজীব বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ঔষধ প্রশাসন যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এরশাদের মতো ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এরশাদ আলী দাবি করেন, আমি ফার্মেসিস্ট কোর্স সম্পন্ন করেছি, ফলে আমি চিকিৎসা দিতে পারি। সরকারের পক্ষ থেকে আমার ড্রাগ লাইসেন্সও রয়েছে। হ্যাঁ আমি কিছু দিন জেলে ছিলাম। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আর আপনাদের কোনো সনদ দেখাতে বাধ্য নই।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে