× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
google_news print-icon

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি

ঢাকা-থেকে-বের-হওয়ার-মুখে-যানজট-চট্টগ্রামের-রাস্তায়-স্বস্তি
ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে সড়কে গাড়ির চাপ। ছবি: নিউজবাংলা
‘মাত্র ২ ঘণ্টা থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা-কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়িগুলো গন্তব্যের শুরুতেই যানজটে আটকা পড়ছে। সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে থেমে থেমে চলছে গাড়ির চাকা। রাজধানী ঘেঁষা এসব এলাকায় দেখা গেছে পরিবহন-সংকটও। একসঙ্গে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তবে টাঙ্গাইল অংশে যানবাহনের চাপ কমে গেছে। এতে মহাসড়কের এই অংশে গন্তব্যমুখী গাড়িগুলো চলছে স্বাভাবিক গতিতে।

একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা।

সড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, তারা যানজট নিরসনে কাজ করছেন। পশু ও যাত্রীবাহী গাড়িগুলো যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেই চেষ্টায় দিনরাত কাজ চলছে।

সাভারের সড়কে যানজট

ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে সাভারে মহাসড়ক ও শাখা সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। সোমবার দুপুরে একযোগে শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ার পর থেকে সড়কে চাপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কসহ শাখা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে সাভারের সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে ধউর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে সিগন্যালের কারণে বাইপাইল থেকে ডিইপিজেড পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ও বিরুলিয়া-আকরান শাখা সড়কে খাগান থেকে আকরান প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ।

সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে সাভারের সবগুলো সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল। শুধু টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইনকামিংয়ে গাড়ির ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। তবে দুপুরের পর থেকে সাভারের সবগুলো সড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আমরা যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।’

সাভার-আশুলিয়ার সব শিল্পকারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা শিল্পাঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ঘরমুখী শ্রমিকদের জটলা দেখা গেছে। অনেককেই ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে বেশি ভাড়ায় ট্রাকে রওনা হতে দেখা গেছে।

পরিবহন-সংকটে উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ব্যস্ততম স্থানগুলোতে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। সে তুলনায় পরিবহন কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

বিশেষ করে গাজীপুর শিল্প এলাকা হওয়ায় রোববার বেশকিছু পোশাক কারখানা ছুটি হয়ে গেছে। দুপুরের পর প্রায় সব কারখানাই ছুটি হবে। তাই সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দুটিতে বিকেল থেকে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ টঙ্গী, চান্দনা চৌরাস্তা ও চন্দ্রা ত্রিমোড়ে। গণপরিবহনের স্বল্পতার কারণে অনেকেই গরুবাহী ট্রাক ও পিকআপে যাচ্ছেন। বেলা যত বাড়ছে, যাত্রীর চাপও বেড়েই চলছে। যানবাহনের আধিক্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। ওই এলাকায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যানবাহনের শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোরে যানজট এবং ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক থেকে কালিহাতী উপজেলার পুংলী এলাকা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ন যাত্রী ও চালকরা।

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ কম

ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী লে‌নে এই চিত্র দেখা গেলেও বিপরীত অবস্থা দেখা গেছে ঢাকামুখী লে‌নে। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চল‌েছে প‌রিবহন। ঘরমুখী মানুষকে যেতে দেখা গেছে খোলা ট্রাকে করে।

টাঙ্গাইল ট্রাফিকের সার্জেন মিটুন চক্রবর্তী জানান, সকালের দিকে একটু রাস্তায় যানজট ছিল, এখন রাস্তা একদম ফাঁকা । কোনো প্রকার কোথাও কোনো জটলা নেই।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তি

বিভিন্ন মহাসড়কে গণপরিবহনের তীব্র চাপে যানজট থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ রয়েছে পুরোপুরি স্বস্তিতে।

মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার এলাকা যানজটমুক্ত থাকায় যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। পাশাপাশি পণ্য ও পশুবাহী গাড়িও চলাচল করছে স্বস্তিতে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। হাইওয়ে পুলিশের ১০টি টিম, দুটি কন্ট্রোল রুম এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রাখা হয়েছে পাঁচটি রেকার।

এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

তিনি জানান, ‘আমরা মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে দাউদকান্দির গৌরপুর, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, নিমসার বাজার, সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে যাতে যানবাহনের জট না লাগে সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি মহাসড়কের যানজট তো দূরের কথা, কোথায়ও যেন জটলাও না বাঁধে।

ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট, চট্টগ্রামের রাস্তায় স্বস্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে গাড়ির চাকা ঘুরছে স্বাভাবিক গতিতে

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসচালক সোবহান তালুকদার বলেন, ‘দাউদকান্দি থাইক্কা আলেহারচর আইছি। রাস্তাত কোনো জাম নাই। একটানে আইছি। এরুম থাকলে চিটাং যাইতে দেড় ঘণ্টা লাগবো।’

মাত্র সোয়া ২ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ব্যাংকার সাইফুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে বলেন, দুপুর ১টায় বাসে উঠছি। সোয়া ৩ টায় কুমিল্লা আসছি। কী যে ভালো লাগছে। মুন্সিগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের কাছে যানবাহনের কিছুটা চাপ ছিল। তবে যানজট ছিল না।

ঢাকা-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের বাসচালক দেলোয়ার হোসেন, এশিয়া পরিবহনের বাসচালক আবুল কাসেম বলেন, ‘মাত্র ২ ঘণ্টা থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা-কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Mitfords murder is very sad Home advisor

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড খুবই দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যবসায়ী হত্যা ও মব সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, ‘ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকালও র‌্যাব দুজন ও ডিএমপি দুজনকে ধরেছে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।’

বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মোটামুটি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোটখাট ঘটনায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি। এই জিনিসটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে চাঁদপুরে, খুলনা ও চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

পুলিশের মিল ব্যারাক এলাকা পরিদর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা। তাদের থাকা ও খাবারের মান দেখা। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে তাদের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এখানে।’

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, সেটা আমরা জানি না। সেটা জানাবে নির্বাচন কমিশন।’

মন্তব্য

সারা দেশ
IMO recognizes the Coast Guard for the glorious contribution

গৌরবময় অবদানের জন্য কোস্টগার্ডকে আইএমও’র স্বীকৃতি

গৌরবময় অবদানের জন্য কোস্টগার্ডকে আইএমও’র স্বীকৃতি

অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘প্রশংসাপত্র’ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)।

শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকালে গত বছর ৫ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুত ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা রাখে।

ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তৎক্ষণাৎ জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সাহসী নাবিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে ৪৮ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণরোধ করা হয়।

এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘লেটার অব কমান্ডেশন' দিয়েছে।

আইএমও এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইএমও’র এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের জন্য বড় অর্জন। এটি শুধু কোস্টগার্ড নয়, পুরো দেশের জন্যই গর্বের। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, কোস্টগার্ড একটি আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোন দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সর্বদা সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Water is down in Noakhali

নোয়াখালীতে পানি নামছে ধীর গতিতে

প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি
নোয়াখালীতে পানি নামছে ধীর গতিতে

টানা চার দিনের মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর টানা দুদিন নোয়াখালীতে রোদ্রৌউজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে অধিকাংশ উপজেলায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর, দুর্গাপুর ও লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ফেনীর পানি ঢুকে বৃষ্টি না থাকলে এ অঞ্চলে পানি বেড়েছে।

শনিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা জানায় তাদের এলাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। এজন্য বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি জমে রয়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, পানি নিষ্কাশনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Mitfords hellish murder in the fast trial of the government Law Advisor

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করা হবে।

উপদেষ্টা শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং ধারা ১০-এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের আঘাতে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা উঠে এসেছে।

মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ চাঁদাবাজি। নিহত লাল চাঁদ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এদিকে, অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
 Bangladeshi youth killed BSF again at the border

 সীমান্তে আবার বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি যুবক নিহত

 সীমান্তে আবার বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি যুবক নিহত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসকর আলী হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আসকর আলী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার মরদেহ ভারতের প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের সীমান্তেও অতিরিক্ত বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে। নিহত যুবকের লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৪২ বিজিবি জানিয়েছে, "আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladesh welcomed WHOs move on an indefinite vacation

অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ, ডব্লিউএইচও’র পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে সায়মা ওয়াজেদ, ডব্লিউএইচও’র পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, আমরা এটিকে জবাবদিহিতার পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সরকারের এই বক্তব্য তুলে ধরেন।

সায়মা ওয়াজেদকে পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যেখানে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে, তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে এবং এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বের সততা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের আবির্ভাবে আনন্দিত।

মন্তব্য

p
উপরে