× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
সাবেক ইউপিডএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা
google_news print-icon

ইউপিডিএফের সাবেক কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ইউপিডিএফের-সাবেক-কর্মীকে-গুলি-করে-হত্যা
মরাটিলা গ্রামের প্রধান বাদশা কুমার ত্রিপুরা নিউজবাংলাকে জানান, সকালে এলাকার একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন হলো কুমার। হয়তো নাশতা করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় অনেকেই সেখানে ছিল। সে সময় কেউ একজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। 

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক যুবক। স্থানীয় গ্রামপ্রধান জানান, নিহত যুবক ইউপিডিএফের (মূল দল) সাবেক কর্মী ছিলেন।

উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের মরাটিলা এলাকায় রোববার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন।

নিহত যুবকের নাম কুমার ত্রিপুরা। তিনি এলাকায় কৃষিকাজ করতেন।

মরাটিলা গ্রামের প্রধান বাদশা কুমার ত্রিপুরা নিউজবাংলাকে জানান, ‘এলাকায় আমার একটি দোকান আছে। সেখানেই সকালে দাঁড়িয়ে ছিলেন হলো কুমার। হয়তো নাশতা করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় অনেকেই সেখানে ছিল। সে সময় কেউ একজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

‘খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। মরদেহ এখনও (সকাল ১০টা) দোকানের সামনে পড়ে আছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করবে।’

বাদশা জানান, ঘটনার আগের দিন থেকে ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) পক্ষের সশস্ত্র সদস্যরা আধিপত্য বিস্তারের জন্য অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

এ বিষয়ে ইউপিডিএফ প্রসিত খীসার দলের তথ্য ও প্রচার প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জেএসএস-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ গণতান্তিকের কর্মীরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’

পানছড়ি থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, এলাকায় সেনাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

পাহাড়ের দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী ও সেখানে সংঘাতের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে এমন বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় এ ধরনের সংঘাতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণ গেছে।

পাহাড়ের বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, অনৈতিক কার্যকলাপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত, হানাহানি বেড়েই চলেছে। আঞ্চলিক দলগুলোর স্বার্থের দ্বন্দ্ব, চাঁদা আদায়, ভাগবাঁটোয়ারাকেই সংঘাত-হানাহানির মূল কারণ বলে মনে করেন এলাকার লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর বাজারের এক বাসিন্দা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৃথক চারটি ধারার রাজনীতির কাছে আমরা জিম্মি। একটি দলের পক্ষে অবস্থান নিলে অন্য পক্ষগুলো ক্ষুব্ধ হয়। প্রায়ই আমাদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিবাদ করলে বা নীরব থাকলেও খুন, গুম বা অপহরণ হতে হয়।’

তবে আঞ্চলিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের হতাশা থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ত্রিদিব চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পার্বত্য এলাকায় সমস্যা সমাধান হবে না। পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্যই চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ২২ বছর হতে চললেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ে কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দল জড়িত ছিল না। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যাদের বেশি ক্ষতি হবে তারাই চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করছে। আমরাও চাই পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকুক। সবাই নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করুক।’

ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ মারমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাহাড়ে অশান্তির মূল কারণ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া। চুক্তি বাস্তবায়নে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো ন্যূনতম বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

সংঘাতের কারণ জানতে চাইলে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা বলেন, ‘প্রসীত খীসার ইউপিডিএফের জন্য আজ পাহাড়ে এত সংঘাত। তারা তখন চুক্তির বিরোধিতা না করলে হয়তো পাহাড়ে আজ চারটি আঞ্চলিক সংগঠন হতো না। পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ হোক, এটা আমরা সব সময় চাই।’

পাহাড়ের রাজনীতির মারপ্যাঁচ

পাহাড়ে একসময় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নামে একটিমাত্র আঞ্চলিক দল ছিল। এই দলের সঙ্গেই ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করেছিল সরকার। চুক্তির বিরোধিতা করে প্রথমে একটি অংশ জেএসএস থেকে বেরিয়ে ১৯৯৮ সালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে নতুন দল করে। পরে জেএসএস ভেঙে জেএসএস (সংস্কারপন্থি) নামে ২০০৭ সালে আরেকটি দল হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ ভেঙে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে নতুন দল হয়।

পার্বত্য চুক্তির এক বছরের মধ্যেই চুক্তির পক্ষের জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে ইউপিডিএফের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়। ২০০৭ সালে জনসংহতি সমিতি ভেঙে গঠিত হয় জনসংহতি সমিতি (লারমা) বা জেএসএস (লারমা) নামের নতুন দল। ২০১৭ সালে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হয়। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর তপনজ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে এই চারটি গ্রুপের বাইরেও আরও কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি)। এই দলের সদস্যদের অবস্থান বান্দরবানের গহিনে। ২০১৮ সালে এএলপি ভেঙে গঠিত হয় মগ পার্টি। তাদের অবস্থানও বান্দরবানে। তবে এই দুই দলের অবস্থান শুধু বান্দরবানে, রাঙামাটি কিংবা খাগড়াছড়িতে এদের কোনো তৎপরতা নেই।

কার শক্তি কোথায়?

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতির যে চারটি গ্রুপ রয়েছে, সেগুলোর একেকটি শক্ত অবস্থান একেক জায়গায়। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের দুটি অংশের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা ও পাহাড়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের শক্ত অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে বান্দরবানে জেএসএসের দুইটি অংশের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। সেখানে জেএসএস শক্তিশালী। বান্দরবানের ইউপিডিএফের তৎপরতা নেই বললে চলে। আর রাঙামাটিতে জেএসএস এবং ইউপিডিএফের চার পক্ষই শক্তিশালী।

আরও পড়ুন:
কীটনাশক সেবনে যুবকের মৃত্যু
কাউন্সিলর কালাম বহিষ্কার, সহযোগী নাঈমের স্বীকারোক্তি
নিকেতনে মেডিক্যাল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনও পলাতক কাউন্সিলর
সাবেক জামাতার ছুরিকাঘাতে খুন, আটক ১ 

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Rohingya birth certificate is getting money

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১৫/ ২০ হাজার টাকা দিয়েই রোহিঙ্গারা জন্ম সনদ নিচ্ছে। তিনি জালিয়াতি মাধ্যমে অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম নিবেদন সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন। পরে গত ৩ জুন বিকাল তিনটায় দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ওই জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনসহ স্থানীয় দুই দালাল আটক হয়।

পরে নির্বাচন অফিসের মা. ইউসুফ স্ক্যানিং এন্ড ইকুপমেন্ট মেইনটেনেন্স

অপারেটর এনআইডি বাদী হয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকনুরুল আমিন, নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ, ভাবপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজগর হোসেন, জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনসহ ৭ জন দালালকে বিবাদী করে থানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৫। এ মামলায় ইউপি সচিব হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আবারো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের নতুন জন্ম নিবন্ধন দিচ্ছে। আবার অন্য ইউনিয়ন ও উপজেলার বাসিন্দাদের এ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন দিচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ইউপি সচিব ইউসুফ পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মার্চ মাসের ২০১৮ সালে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের বদলি হয়ে আসেন। এখানে এসেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া এই ইউনিয়ন পরিষদে তিনি কোন কাজে করেন না। টাকা দিলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেন। গত ২ বছর পূর্বে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে সরকারি ফির চেয়েও ৩ গুণ বেশি নিয়েছেন।

এ নিয়ে তৎকালীন নদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সোনাইমুড়ী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অভিযোগ উপস্থাপন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন তাকে শোকজ করেন। এরপরও তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেননি। বর্তমানে তিনি রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন দেয়া ও অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধন করে বিপুল অঙ্গের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সচিবের নেতৃত্বে এই ইউনিয়নে ঝক্কি-ঝামেল মুক্ত সনদ পাইয়ে দিতে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট। ফলের সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন প্রতারিত।

অভিযোগ রয়েছে, সোনাইমুড়ীর চাষির হাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র আবুল কালাম স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তার নাগরিত্ব রয়েছে । কিন্তু সে ৩ মে ১৯৬২ ইং বয়স দিয়ে জন্মসূত্রে বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের পরকরা গ্রামে হলেও নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমানের জন্ম নিবন্ধন এই ইউনিয়নে রয়েছে। সে ২১ জুন ১৯৮৮ বয়স দিয়ে পার্শ্ববর্তী নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জন্ম নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর ছনগাঁও গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম নদনা ইউনিয়ন পরিষদের দালাল চক্রকে টাকা দিয়ে একইভাবে ১ জানুয়ারি ১৯৫৯ বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছেন।

সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র মামুন হোসেন তার ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন থাকলেও ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বয়স বৃদ্ধি করে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবেদন করেছেন। উপজেলা সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও খোরশেদ আলমের পুত্র খলিলুর রহমান গত ৩১ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে বয়স এক মেয়ে ২০০৩ সাল দেখিয়ে, একইভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বজরা ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবুল কালামের পুত্র সালমান খান ১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম সনদ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনাইমুড়ী বাজার, বজরা ইসলামগঞ্জ বাজার, কাশিপুর বাজার, নদনা বাজার, জয়াগ বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদারদের সাথে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফের সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে এসব জন্ম নিবন্ধন চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গাসহ অপরাধীদের হাতে। তৈরি হচ্ছে পাসপোর্টও। বাংলাদেশি পরিচয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আর এ সুযোগে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার মুঠো ফোনে জানান, বিষয়টি তার জান ছিল না।তবে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সোনাইমুড়ীর নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ জানান, জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ে তাকে টাকা দিলেই বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন করে দিয়ে থাকেন। এটা সত্য। তবে তার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক জন্ম সনদ করায় মামলা হয়েছে। তিনি ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The death of two brothers with disabilities drowned in the pond water in Raninagar

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম মন্ডলপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক প্রতিবন্ধী দুই সহোদরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই ভাই হলেন, মফিজ প্রামানিক (৬৫) ও হবিজ প্রামানিক (৪৫)। তারা উভয়েই একই গ্রামের মৃত হায়ের প্রামানিকের সন্তান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফিজ ও হবিজ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা দুপুরের আগে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎ করে কোনো এক সময় অসাবধানতাবশত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যান তারা।

দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে দ্রুত বাড়িতে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের মানুষ ছুটে এসে মফিজ প্রামানিকের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হবিজ প্রামানিককেও নিথর অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

নিহতদের ছোট ভাই বেলাল প্রামানিক জানান, ‘আমার দুই ভাই-ই জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা একে অপরের ছায়াসঙ্গী ছিল। কখন যে পুকুরে পড়ে গেল বুঝতেই পারিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকেই খবর পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি—সব শেষ।’

রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এই করুণ ঘটনায় গ্রামের মানুষ একসাথে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশীরা জানান, দুই ভাইয়ের মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো গ্রামেরই অপূরণীয় ক্ষতি।

মন্তব্য

সারা দেশ
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সি একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
If the two countries will jointly respond

আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধি দল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

ভারতের ওপর প্রভাব খতিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ভারত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান একটি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে দেখছে এবং এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের খবর দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বোঝাপড়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ভারত সরকার এই চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতিও লক্ষণীয় ছিল।
এই চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যখন কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ’ প্রদান করা হয়েছিল।

মন্তব্য

সারা দেশ
Reformation requires renovation in the process of reform Moin Khan

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, এক বছর ধরে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান থাকলেও কোনো ধরনের সমাধানে পৌঁছাতে পারছে না। মূলত কমিশন প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বের হতে পারছে না দেখে কোনো সমাধান আসছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন আবদুল মঈন খান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ওপর জোর করে একটা একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল যে বাংলাদেশে সবাইকে একইভাবে চিন্তা করতে হবে। কোনো ভিন্নমত থাকতে পারবে না।’ আজকেও কি সবাইকে ঐকমত্যে নিয়ে এসে আমরা গণতন্ত্র উদযাপন করব- এমন প্রশ্ন তোলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধারণায় বিশ্বাস করি না।’
চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে মতভেদ থাকতে পারে। প্রতিটি মানুষের ভিন্নমত থাকতে পারে। এ বৈচিত্র্যকে ধারণ করতে না পারলে আমি বিশ্বাস করি না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। আর ১০-২০টি বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। আমরা চিন্তিত হব সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ও ১৮ কোটি মানুষ একমত হয়- তাহলে আমি চিন্তিত হয়ে যাব, এটা ভেবে যে দেয়ার ইজ সামথিং রং (এখানে কোনো ঘাপলা আছে)।’
ইংরেজি একটা প্রবাদ উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যেই ঐক্য)। সব কাগজে সই করব, সবকিছু বাস্তবায়ন করব, সংবিধান ছুড়ে ফেলব, নতুন সংবিধান করব- এগুলো যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসে আসবে। তাতে আপত্তি করব না। কিন্তু জোর করে কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনুষ্যত্ব কেমন, সেটা তো জানেন। তারা এক দিকে অধৈর্য, আরেক দিকে ইমোশনাল। এ দুটো জিনিস এক হয়ে গেলে তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেটা হয়েছেও।’

মন্তব্য

সারা দেশ
North Koreas Drone Testing Instructions to Develop AI Kims AI

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি আক্রমণাত্মক ড্রোন পরীক্ষা তদারকি করেছেন এবং দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চালকবিহীন ড্রোনটি উড্ডয়নের পর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়া ‘কুমসং-সিরিজের কৌশলগত আক্রমণ ড্রোনের অসাধারণ যুদ্ধক্ষমতা’ প্রমাণ করেছে এবং কিম ‘ব্যাপক সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।

কিম বলেছেন, ড্রোনগুলো প্রধান সামরিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিপিআরকে সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এটি শীর্ষ অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি নতুনভাবে চালু হওয়া এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি ড্রোন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্লেষক হং মিন বলেছেন, কিম ড্রোন প্রযুক্তিকে দেশের ‘মহাশক্তি হিসেবে মর্যাদা’ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

ড্রোন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এগুলো কম খরচে বেশি কার্যকর হুমকি তৈরি করে; স্বয়ংক্রিয় মিশন সম্পাদন, নির্ভুলতা ও প্রাণঘাতী ক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাপক উৎপাদনের উপযোগিতা এবং কৌশলগত নমনীয়তা বাড়ায়।

রাশিয়া থেকে শিক্ষা:

পিয়ংইয়ং গত বছর প্রথমবার আক্রমণাত্মক ড্রোন উন্মোচন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সক্ষমতা রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা মৈত্রী সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

রাশিয়ার হয়ে লড়াই করা উত্তর কোরীয় সেনারা আধুনিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের কৌশল।

দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিম বলেছেন, এআই প্রযুক্তি ড্রোনগুলোকে এমনভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করে, যাতে জিপিএস বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলেও পূর্বপ্রশিক্ষিত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের ওপর জিপিএস জ্যামিং পরীক্ষা চালায়, যার ফলে বেশ কিছু জাহাজ ও বেসামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লিম আরও বলেন, রাশিয়ার প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ায় এআই চালিত প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে এবং গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে।

সিউল জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ উত্তর কোরীয় সৈন্য নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
BSF pushed 5 people through the Naogaon border

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁর পত্নীতলা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এরআগে ভোরে উপজেলার শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার মোতালেব শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), মজনু বিশ্বাস (৪৮), নয়ন খাঁ (২৫), মুকুল শেখ (২৫), মৃধুল শেখ (২০), সামির (১১), বিনা খাতুন (২৯), মিম (৮), মরিয়ম খাতুন (১০), রোজিনা খাতুন (১৮), মিরা খাতুন (৮ মাস), এলিনা খাতুন (২৮), জান্নাতুল সরকার (১০), জোছনা বেগম (৫০) এবং পাবনা জেলার মিরাজ শেখ (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ভোরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবির শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল ঘুরকী গ্রামের পাকা রাস্তা সংলগ্ন চা দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচ শিশু ও চার জন নারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। আটকের পর তাদেরকে পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে