× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
অবশেষে ১৮টি ঘরের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ
google_news print-icon

ফিরিয়ে দেয়া ঘরে সমস্যা নেই, আপত্তি দূরত্বে

ফিরিয়ে-দেয়া-ঘরে-সমস্যা-নেই-আপত্তি-দূরত্বে
চুনারুঘাট উপজেলার ইকরতলী আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: নিউজবাংলা
হবিগঞ্জে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮ জন উপকারভোগী ঘর ফিরিয়ে দিয়ে আবার গৃহহীন হয়ে যাওয়ার খবরে তোলপাড়। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ফাটল বা অন্য সমস্যা দেখা গেলেও সেখানে এ সমস্যা নেই। উপকারভোগীরা বলছেন, প্রকল্পটির আশপাশে দোকান বা বাজার নেই। এক নারী বলেছেন, তিন দিন ধরে তিনি পান খেতে পারছেন না বলে তার মুখ কেমন কেমন লাগছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বিনামূল্যের ঘর ফিরিয়ে আবার গৃহহীন হওয়ার ঘটনার পর প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করে মানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।

ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে নলকূপ স্থাপনে বিলম্ব হয়েছে। যদিও এখন সে কাজ শুরু হয়েছে।

ইকরতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সেখানে ঘর নির্মাণ হয়েছে মোট ৭৪টি। কিন্তু ১৮টি পরিবার সেখানে থাকবে না বলে জানিয়েছে। আর বাকিগুলোও সেখানে আছে এমন নয়।

আটটি ঘর ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানোর পর আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে জানা গেছে, আটজন নন, ঘর ফিরিয়ে দিতে চান মোট ১৮ জন।

এই মানুষগুলোর নিজেদের কোনো ঘর ছিল না। থাকতেন পরের ঘরে, তাও ভাঙাচোরা, কোথাও কোথাও ঝুপড়িঘর।

দুই ধাপে দেশে এক লাখের বেশি ঘর বরাদ্দ দেয়া নিযে উচ্ছ্বাস ছিল মানুষের মধ্যে। তবে গত কয়েক দিনে বেশ কিছু ঘরে ফাটল, কোথাও কোথাও প্রায় ধসে পড়ার দশা, কোথাও পানি পড়া, কোথাও দরজা-জানলার দুর্বল অবস্থার খবর এসেছে। আর অনিয়মের অভিযোগ খুঁজে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঁচটি দল গঠন করে জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জের এই খবরটি স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় তৈরি করে। তবে সেখানে ঘরে সমস্যা না থাকলেও তাহলে কেন তারা এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতে চাইছেন না- এই প্রশ্নটিও এখন বড় হয়েছে।

যারা ঘর ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের কারও নাম-ঠিকানা বা ফোন নম্বর দেয়া হয়নি।

তবে যারা সেখানে আছেন, তারা বলছেন দূরত্বের কথা। প্রকল্পটি এমন এক জায়গায়, যেখান থেকে মূল সড়কে যেতে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আর এই পথটি হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, যে কাঁচা সড়ক আছে, সেটি দুই হাতের মতো। একটি রিকশা কোনোভাবে হয়তো আসতে পারবে, কিন্তু রাস্তায় তখন আর কাউকে থাকলে চলবে না। তাকে নেমে যেতে হবে।

সবচেয়ে কাছের বাজারটি তিন কিলোমিটার দূরের। আর দেড় কিলোমিটার দূরে একটি হাট আছে, যেটি বসে প্রতি সপ্তাহে একবার।

প্রশাসন বলছে, একটি নিয়মে আবদ্ধ জীবন থেকে অন্য একটি জীবনে গেলে কিছুটা সমস্যা হবেই। আশপাশে লোকালয় যে নেই এমন নয়। তাদেরও একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই আশ্রয় প্রকল্পকে ঘিরেও সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। সেখানেই দোকান হবে। কেউ কেউ ব্যবসা করবেন। কেউ কেউ অন্য কাজ করবেন।

কিন্তু একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর ঘর পাওয়া অনেকেই সেই সময়টা অপেক্ষা করতে চাইছেন না।

ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয় প্রথম ধাপে গত ২৩ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ৭৪টি পরিবারের মধ্যে সেখানে ৪৯টি ঘরে লোকজন রয়েছেন। বাকি ঘরগুলোতে তালা ঝুলছে।

‘কয়দিন ধইরা আমি পান খাইতা পারতাছি না’

সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কেউই রাজি হননি। একপর্যায়ে কথা বলতে এগিয়ে আসেন কয়েকজন।

এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব নারী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রিকশা চালাইন। ইখান (এখানে) আওয়ার (আসার) রাস্তা বালা না। তাই অনেক সমস্যা হয়। এ ছাড়া ইখান কোনো কামকাজ নাই। অনেক কষ্ট কইরা আমরার চলন লাগে।’

তিনি বলেন, ‘যারার অন্য জায়গাত থাকার জায়গা আছে তারা ইখান থাইক্কা গেছে গা। আমরার যাওয়নের জায়গা নাই। এর লাগি যাই না। কিতা আর করমু, কষ্ট কইরা থাকি।’

নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘ইখান থাইকা বাজার অনেক দূর। তিন কিলোমিটার দূরে গিয়া বাজার করা লাগে। রাস্তাও বালা না। কয়দিন ধইরা আমি পান খাইতা পারতাছি না। মুখটা কেমন কেমন লাগে। অখন পান আনতে অমরোড বাজার যাওয়ন লাগে। ২০ টেকার পান আনতে ৪০-৫০ টেকা গাড়ি বাড়া লাগব।’

জনপ্রতিনিধিরা যা বলছেন

বৃহস্পতিবার আহম্মদাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন, ‘তিন কিলোমিটারের আশপাশে কোনো বাজার নেই। কাজ না থাকলে এখানে ঘর পেয়ে কী লাভ? এ কারণে তারা থাকতে চান না।’

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জায়গা সিলেকশনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসন একক সিদ্ধান্ত নিয়ে এই জায়গাটি সিলেকশন করেছে। জায়গা সিলেকশনে ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে।

তবে ঘরে কোনো সমস্যা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর। তিনি বলেন, ‘চুনারুঘাট উপজেলায় যে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে তা আর কোথাও হয়নি। কোথাও একটি ঘর নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে দেখাতে পারবেন না। এখন লোকজন না থাকলে আমাদের কী করার আছে?’

তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ এবং হস্তান্তর করতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের শর্ত ছিল শুধু ‘ক’ শ্রেণিভুক্তদের এখানে ঘর দেয়া হবে, যে কারণে ‘ক’ শ্রেণিভুক্তদের দিতে গিয়ে এই সমস্যাটা হয়েছে।

সরকারের কাছ থেকে ঘর চেয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে যারা আবেদন করেছেন এবং যাদের ঘর-জায়াগা কিছুই নেই, তারা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

কী বলছেন ইউএনও

ঘরগুলো নির্মাণে তত্ত্বাবধান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কতটি পরিবার ঘর ছাড়তে আবেদন করেছে সেটা বলা যাবে না। তবে যারা এখনও ঘরে ওঠেননি বা অনিয়মিত এমন ১৮টি পরিবারের বরাদ্দ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরে বলা হয়েছে নতুন করে ভূমিহীন ১৮টি পরিবারের তালিকা করতে। মন্ত্রণালয় এসব ঘরের বর্তমান বরাদ্দ বাতিলের অনুমতি দিলেই নতুনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সারা দেশে এই প্রকল্পের যতগুলো ঘর নির্মাণ হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের ঘর আমরাই নির্মাণ করেছি।‘

দূরত্ব আর আয়ের সুযোগ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হলে ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু সেখানে জনবসতি গড়ে উঠেছে, ধীরে ধীরে বাজার হাটও গড়ে উঠবে। নতুন গ্রাম হলে তো এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়।’

তিনি বলেন, ‘জায়গাটি খুবই সুন্দর এবং জনবসতির জন্য উপযুক্ত। ধীরে ধীরে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ এবং পানির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। রাস্তাটিও আমরা প্রশস্ত করার চেষ্টা করছি।’

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বাস করা পরিবারের পুরুষরা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। নারীরা যেন বেকার বসে না থাকেন, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ফিরিয়ে দেয়া ঘরে সমস্যা নেই, আপত্তি দূরত্বে
উপহারের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ 
ধসে পড়ছে দেখেও প্রতিনিধি দলের মূল্যায়ন, ‘অনিয়ম হয়নি’
পরিদর্শনে ঘরে অনিয়মের চিত্র উঠে আসছে কি?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
No discussion on setting up humanitarian corridors in Rakhine has not yet been discussed Press Secretary

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ কিংবা অন্যকোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে জানান, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো— যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে যৌক্তিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তথ্যমতে, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিদ্যমান।

শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করে এসেছে, সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পরও সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের দেওয়া মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’

শফিকুল আলম জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে যৌক্তিক সহায়তা দিতে সম্মত।

তবে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট স্বত্বভোগীদের (স্টকহোল্ডার) সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

রাখাইন রাজ্যে যোগাযোগের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The High Court to suspend the decide to set up animal huts in Maradia

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত হাইকোর্টের

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত হাইকোর্টের

মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে খালপাড়ের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী লিটন আহমেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসললাম।

আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খুররাম শাহ মুরাদ। তিনি বলেন, ‘যে স্থানকে চিহ্নিত করে এই হাট বসানোর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। কারণ ওই স্থানে হাট বসানোর কোন পর্যাপ্ত খালি জায়গা নেই। এই হাট বসানোর ইজারা গৃহীত হলে ঈদ-উল আযহার সময় আবাসিক এলাকার মানুষের বাসা-বাড়ির গেটের সামনে পশুর হাট বসে যায়। ফলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এছাড়া পশুর হাট বসানো হলে আবাসিক এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। সবকিছু বিবেচনা করে হাইকোর্ট মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।’

গত ২১ এপ্রিল ১১টি স্থানকে চিহ্নিত করে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর লক্ষ্যে ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন লিগ্যাল রাইটস এর পক্ষে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সিকদার।

মন্তব্য

সারা দেশ
After the passage from the underdeveloped country technical education will be the main topic Do Devpriya

স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয় : ড. দেবপ্রিয়

স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয় : ড. দেবপ্রিয়

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার জন্য নাগরিক প্ল্যাটফর্ম (এসডিজি) এর আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা হবে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মূল বিষয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অফিসে ‘বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা: বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার চিন্তাভাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি বৈষম্যমূলক নীতির পরিবর্তন করা উচিত। এই ক্ষেত্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি, আমাদের মানব সম্পদের বিকাশ করতে হবে।’

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সিটিজেনস প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি’স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সম্ভাব্য নীতিগত পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়ে জাতীয় উদ্যোগসমূহকে ত্বরান্বিত করার জন্য এই মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সরকারকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন বিভিন্ন দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। দুর্ভাগ্যবশত, নীতিনির্ধারকরা তাদের কথা যথাযথভাবে শুনছেন না এবং তাদের বিষয়গুলো পর্যাপ্ত মিডিয়া কভারেজ পাচ্ছে না।’
গত বছর সিপিডি নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতায় তৃণমূল পর্যায়ে একটি সামাজিক নিরীক্ষা পরিচালনা করে। এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেন বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষণার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সরকারি কর্মকর্তা এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা।

গবেষণায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান পদ্ধতি, তাদের কার্যকারিতা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কারিগরি শিক্ষা সনদের গ্রহণযোগ্যতা এবং শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি নেতিবাচক সামাজিক মনোভাব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এই গবেষণার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকায় একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনরোষের শিকার হয়েছেন।’

পুলিশ জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, পুলিশ বাহিনীকে সেই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
Feni illegally lifted sand in the case of 12 people

ফেনীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীর পরশুরামে মুহুরি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে আওয়ামী লীগ নেতা মিরু চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে এবং নাগরিক কমিটির সংগঠক ইমাম হোসেন সজীবসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

পরশুরাম পৌর ভ‚মি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধিত) ৪/৫/১১/১৫ ধারায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, মুহুরী নদীর বিলোনীয়া খেয়াঘাটের ১০০ গজ দক্ষিণ থেকে বাউরখুমা মৌজার দক্ষিণ সীমানা পর্যন্ত মুহুরি নদীর বালুমহাল (প্রথম অংশ) ১৪৩০ বাংলা সনে পূর্ণ মেয়াদে শাপলা টেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মিরু চৌধুরীর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ইজারাদারদেরকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র জমা দেবেন এই শর্তে মিরু চৌধুরীকে ইজারা চুক্তি সম্পাদন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মিরু চৌধুরী ছাড়পত্র জমা না দেওয়ায় তাকে ওই বালুমহালের কার্যাদেশ ও দখল দেয়নি জেলা প্রশাসক। এরপর ১৪৩২ বাংলা সনে ইজারার লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হলেও অদ্যাবধি চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৪৩১ বাংলা সনের শুরু হতে অদ্যাবধি ওই বালুমহাল ইজারাবিহীন অবস্থায় আছে।

বালু মহালের কার্যাদেশ ও দখল প্রদান না করা সত্ত্বেও আইন অমান্য করে মিরু চৌধুরী ইমাম হোসেন সজিবের সঙ্গে একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বালুমহাল সাবলীজ দেয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এরপর সজিবের নেতৃত্বে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুহুরি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বেআইনিভাবে দুই কোটি পচিশ লাখ টাকার নয় লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে নদীর উভয় পাড়ে বিক্রির উদ্দেশে স্তুপ করে রাখে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে নদীর পাড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং নদীর পাড়ের জমি ও বসতঘর ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মীর আহমেদ চৌধুরী (৬০), মো. ইমাম হোসেন সজীব (৩৫), হাবিব উল্যা (৫০), পিংকু ভুঞা (৩৮), মো. হারুন ভুঞা (৩৫), ছায়দুল হক হাজারী (৩৫), আলী হোসেন (৪০), আবদুল মুনাফ (৪৮), আবদুল কাদের (৩৭) আবদুস সামাদ (৩৪), মো. মোস্তফা আবদুল হামিদ (৩৩), মো. রিপন (৪০), মো. এমরান (৪২), স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর (২৮), মির্জানগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. ফারুক (২৭), মো. শিশু (৩৮), মির্জানগর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. শাহজালাল (৩৩), মো. ছিদ্দিক (৩৫), মো. আলম (২৯), মোহাম্মদ বাবুল (২৯), মনছুর আলী (৫০), মাহবুল হক (৫১), উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বাহার সর্দার (৪৫), বাবুল মিয়া (৩৯), আবদুর রহিম (৪০), হারেছ মিয়া (৩৮), জাহিদুল করিম (৩৯), মোহাম্মদ বাবু (২৫), মোহাম্মদ কাইয়ুম (৩৬), নুরুন্নবী (হোনা মিয়া) (৪৫), আমির হোসেন (৪২), জাকির হোসেন (৪০),

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, নুরুল হাকিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladeshs first Hajj flight has arrived in Saudi Arabia

সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট

সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে এবছরের হজের প্রথম ফ্লাইট পৌঁছলে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ থেকে বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট (ইএ-৩৫০১) সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে পৌঁছেছে।

আজ সকাল ৭.৩০ টায় ৪১৪ জন হজযাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মো. মাইনুল কবির ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন সৌদি সিভিল এভিয়েশনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সালমান আল বেলাবী ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে। সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১শ’ জন পবিত্র হজ পালন করবেন ।

মন্তব্য

p
উপরে