× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
অবশেষে ১৮টি ঘরের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ
google_news print-icon

ফিরিয়ে দেয়া ঘরে সমস্যা নেই, আপত্তি দূরত্বে

ফিরিয়ে-দেয়া-ঘরে-সমস্যা-নেই-আপত্তি-দূরত্বে
চুনারুঘাট উপজেলার ইকরতলী আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি: নিউজবাংলা
হবিগঞ্জে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮ জন উপকারভোগী ঘর ফিরিয়ে দিয়ে আবার গৃহহীন হয়ে যাওয়ার খবরে তোলপাড়। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ফাটল বা অন্য সমস্যা দেখা গেলেও সেখানে এ সমস্যা নেই। উপকারভোগীরা বলছেন, প্রকল্পটির আশপাশে দোকান বা বাজার নেই। এক নারী বলেছেন, তিন দিন ধরে তিনি পান খেতে পারছেন না বলে তার মুখ কেমন কেমন লাগছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বিনামূল্যের ঘর ফিরিয়ে আবার গৃহহীন হওয়ার ঘটনার পর প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করে মানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।

ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে নলকূপ স্থাপনে বিলম্ব হয়েছে। যদিও এখন সে কাজ শুরু হয়েছে।

ইকরতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সেখানে ঘর নির্মাণ হয়েছে মোট ৭৪টি। কিন্তু ১৮টি পরিবার সেখানে থাকবে না বলে জানিয়েছে। আর বাকিগুলোও সেখানে আছে এমন নয়।

আটটি ঘর ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানোর পর আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে জানা গেছে, আটজন নন, ঘর ফিরিয়ে দিতে চান মোট ১৮ জন।

এই মানুষগুলোর নিজেদের কোনো ঘর ছিল না। থাকতেন পরের ঘরে, তাও ভাঙাচোরা, কোথাও কোথাও ঝুপড়িঘর।

দুই ধাপে দেশে এক লাখের বেশি ঘর বরাদ্দ দেয়া নিযে উচ্ছ্বাস ছিল মানুষের মধ্যে। তবে গত কয়েক দিনে বেশ কিছু ঘরে ফাটল, কোথাও কোথাও প্রায় ধসে পড়ার দশা, কোথাও পানি পড়া, কোথাও দরজা-জানলার দুর্বল অবস্থার খবর এসেছে। আর অনিয়মের অভিযোগ খুঁজে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঁচটি দল গঠন করে জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জের এই খবরটি স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় তৈরি করে। তবে সেখানে ঘরে সমস্যা না থাকলেও তাহলে কেন তারা এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতে চাইছেন না- এই প্রশ্নটিও এখন বড় হয়েছে।

যারা ঘর ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের কারও নাম-ঠিকানা বা ফোন নম্বর দেয়া হয়নি।

তবে যারা সেখানে আছেন, তারা বলছেন দূরত্বের কথা। প্রকল্পটি এমন এক জায়গায়, যেখান থেকে মূল সড়কে যেতে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আর এই পথটি হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, যে কাঁচা সড়ক আছে, সেটি দুই হাতের মতো। একটি রিকশা কোনোভাবে হয়তো আসতে পারবে, কিন্তু রাস্তায় তখন আর কাউকে থাকলে চলবে না। তাকে নেমে যেতে হবে।

সবচেয়ে কাছের বাজারটি তিন কিলোমিটার দূরের। আর দেড় কিলোমিটার দূরে একটি হাট আছে, যেটি বসে প্রতি সপ্তাহে একবার।

প্রশাসন বলছে, একটি নিয়মে আবদ্ধ জীবন থেকে অন্য একটি জীবনে গেলে কিছুটা সমস্যা হবেই। আশপাশে লোকালয় যে নেই এমন নয়। তাদেরও একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই আশ্রয় প্রকল্পকে ঘিরেও সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। সেখানেই দোকান হবে। কেউ কেউ ব্যবসা করবেন। কেউ কেউ অন্য কাজ করবেন।

কিন্তু একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর ঘর পাওয়া অনেকেই সেই সময়টা অপেক্ষা করতে চাইছেন না।

ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয় প্রথম ধাপে গত ২৩ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ৭৪টি পরিবারের মধ্যে সেখানে ৪৯টি ঘরে লোকজন রয়েছেন। বাকি ঘরগুলোতে তালা ঝুলছে।

‘কয়দিন ধইরা আমি পান খাইতা পারতাছি না’

সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কেউই রাজি হননি। একপর্যায়ে কথা বলতে এগিয়ে আসেন কয়েকজন।

এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব নারী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রিকশা চালাইন। ইখান (এখানে) আওয়ার (আসার) রাস্তা বালা না। তাই অনেক সমস্যা হয়। এ ছাড়া ইখান কোনো কামকাজ নাই। অনেক কষ্ট কইরা আমরার চলন লাগে।’

তিনি বলেন, ‘যারার অন্য জায়গাত থাকার জায়গা আছে তারা ইখান থাইক্কা গেছে গা। আমরার যাওয়নের জায়গা নাই। এর লাগি যাই না। কিতা আর করমু, কষ্ট কইরা থাকি।’

নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘ইখান থাইকা বাজার অনেক দূর। তিন কিলোমিটার দূরে গিয়া বাজার করা লাগে। রাস্তাও বালা না। কয়দিন ধইরা আমি পান খাইতা পারতাছি না। মুখটা কেমন কেমন লাগে। অখন পান আনতে অমরোড বাজার যাওয়ন লাগে। ২০ টেকার পান আনতে ৪০-৫০ টেকা গাড়ি বাড়া লাগব।’

জনপ্রতিনিধিরা যা বলছেন

বৃহস্পতিবার আহম্মদাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন, ‘তিন কিলোমিটারের আশপাশে কোনো বাজার নেই। কাজ না থাকলে এখানে ঘর পেয়ে কী লাভ? এ কারণে তারা থাকতে চান না।’

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জায়গা সিলেকশনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসন একক সিদ্ধান্ত নিয়ে এই জায়গাটি সিলেকশন করেছে। জায়গা সিলেকশনে ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে।

তবে ঘরে কোনো সমস্যা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর। তিনি বলেন, ‘চুনারুঘাট উপজেলায় যে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে তা আর কোথাও হয়নি। কোথাও একটি ঘর নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে দেখাতে পারবেন না। এখন লোকজন না থাকলে আমাদের কী করার আছে?’

তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ এবং হস্তান্তর করতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের শর্ত ছিল শুধু ‘ক’ শ্রেণিভুক্তদের এখানে ঘর দেয়া হবে, যে কারণে ‘ক’ শ্রেণিভুক্তদের দিতে গিয়ে এই সমস্যাটা হয়েছে।

সরকারের কাছ থেকে ঘর চেয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে যারা আবেদন করেছেন এবং যাদের ঘর-জায়াগা কিছুই নেই, তারা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

কী বলছেন ইউএনও

ঘরগুলো নির্মাণে তত্ত্বাবধান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কতটি পরিবার ঘর ছাড়তে আবেদন করেছে সেটা বলা যাবে না। তবে যারা এখনও ঘরে ওঠেননি বা অনিয়মিত এমন ১৮টি পরিবারের বরাদ্দ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরে বলা হয়েছে নতুন করে ভূমিহীন ১৮টি পরিবারের তালিকা করতে। মন্ত্রণালয় এসব ঘরের বর্তমান বরাদ্দ বাতিলের অনুমতি দিলেই নতুনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সারা দেশে এই প্রকল্পের যতগুলো ঘর নির্মাণ হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের ঘর আমরাই নির্মাণ করেছি।‘

দূরত্ব আর আয়ের সুযোগ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হলে ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু সেখানে জনবসতি গড়ে উঠেছে, ধীরে ধীরে বাজার হাটও গড়ে উঠবে। নতুন গ্রাম হলে তো এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়।’

তিনি বলেন, ‘জায়গাটি খুবই সুন্দর এবং জনবসতির জন্য উপযুক্ত। ধীরে ধীরে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ এবং পানির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। রাস্তাটিও আমরা প্রশস্ত করার চেষ্টা করছি।’

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বাস করা পরিবারের পুরুষরা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। নারীরা যেন বেকার বসে না থাকেন, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ফিরিয়ে দেয়া ঘরে সমস্যা নেই, আপত্তি দূরত্বে
উপহারের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ 
ধসে পড়ছে দেখেও প্রতিনিধি দলের মূল্যায়ন, ‘অনিয়ম হয়নি’
পরিদর্শনে ঘরে অনিয়মের চিত্র উঠে আসছে কি?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
11 arrested in Jail in Golands Padma campaign to protect Hilsa

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

মা-ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লাখ বর্গমিটার অবৈধ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১১ জেলেকে আটক এবং ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর কলাবাগান ও অন্তার মোড় এলাকায় নৌপুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে

২৫ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল, ১১ জন জেলে আটক ও ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে আটককৃত ১১ জন জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা আইন ১৯৫০ খ্রি. সালের ৫ (২) (খ) ধারা মতে মিয়মিত মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও মাছগুলো এতিমখানা ও স্থানীয় অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌপুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে গত ৪ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে, মা-ইলিশ প্রজনন এই মৌসুমে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যেন কোনো জেলেরা নদীতে মা-ইলিশ না ধরে, যেন মা-ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে, আমাদের নৌপুলিশের অভিযান নদীতে অব্যাহত রয়েছে। এখানে জেলা মৎস্য অফিসের সাথে আমাদের নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, ম্যাজিস্ট্রেট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি থেকে চারটি মামলা রুজু হয়েছে, মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে, ৬০ জনের মতো আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, ২ কোটি ১০ লাখ বর্গমিটারের উপরে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, ২৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে গরিব ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্বসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Human chain to demand closure of brick kilns in Amtali

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের বিবিসি ইটভাটা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আঁকবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিবিসি (বিসমিল্লাহ ব্রিকস) ইটভাটার কারণে এলাকার অন্তত পাঁচশত একর তিন ফসলি জমি, গাছপালা, জীববৈচিত্র্য, প্রাণিসম্পদ ও গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে আব্দুল হান্নান মৃধা ফসলি জমির ওপর বিবিসি ইটভাটি স্থাপন করেন। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ইটভাটা নির্মাণের পর থেকে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে আগের মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। ওই ইটভাটার ৩০০ গজের মধ্যে রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, কৃষি জমি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে সেখানে ইটভাটা চালু রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাশির উদ্দিন, কবির গাজী, শাহীন প্যাদা ও খোকন হাওলাদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইটভাটার কারণে জমিতে আগের মতো ফলন হচ্ছে না, গাছে ফল ধরছে না এবং শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। তারা বরগুনা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তিন দিক ঘেরা ধান খেতের মধ্যে বিবিসি ইটভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে।

রায়বালা গ্রামের কৃষক কবির গাজী বলেন, ‘ইটভাটার কারণে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো ফসল ফলছে না। পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Pledge to stand united for rice grains in Faridpur

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা তাকেই জিতিয়ে নেওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করব। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে এবার ধানের শীষ প্রতীক হেরে গেলে আমরা শুধু হারবই না, চিরতরে হারিয়ে যাব। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ধানের শীষকে সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ী করে আনতে হবে।

গত বুধবার রাতে শহরের হাবেলি গোপালপুরে আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় রাজপথের অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশকে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি দেখতে চান বলেও নেতা-কর্মীরা জোরালো বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে আফজাল হোসেন খান পলাশের দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কী হবে, আমরা কী করব সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোনো আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না তা কখনোই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতীয় পর্যায়ে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন চলছিল, তেমনি ফরিদপুরেও একটা চক্রান্ত হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বিএনপির ধানের শীষকে বিজয়ী করব।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ সালাম লাল, ফরিদপুর সুগার মিলের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দার, জেলা যুবদলের সহসভাপতি কেএম জাফর, মোহসিনুল কবির রুবেল, টিটু খাঁন, শ্যামসুন্দরপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুতাওয়াল্লী আলহাজ ফরিদ শেখ, বিএনপির প্রবীণ নেতা আলমগীর মাস্টার, মো. রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার খান, শাহীন হক, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির, আলতাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজা, জিন্না মেম্বার, হায়দার হোসেনসহ অনুষ্ঠানে ৪৫ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
27 percent of people in Rangpur are carriers of thalassemia

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প
রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এছাড়া প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ থেকে ৮ হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়া রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাসহ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করে এমন নারী-পুরুষদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ যোগ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প’ উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের উদ্যোগে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন। তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার। রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম আল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার।

সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী এক নয়। বাহকের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না, তেমন কোনো চিকিৎসাও লাগে না। তবে একজন বাহক পরবর্তী প্রজন্মে রোগ বহন করতে সক্ষম। থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বিষয়ে সবাই সচেতন হলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
Tourists of Srimangal suffer from ticket shortage

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় সিট সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সপ্তাহ ১০ দিন আগেই সব টিকিট বুকিং হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয় যাত্রীরা।

গত শুক্রবার ঢাকা থেকে পরিবারের লোকজন নিয়ে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আসেন পর্যটক আরোফিন আহমেদ। বাসে যাতায়াত করা তার জন্য অস্বস্তিকর হওয়ায় তিনি ট্রেনে ফিরতে চাইলেও গত রোববার বা সোমবারের কোনো টিকিট পাননি। শেষমেষ ভোগান্তি নিয়ে তাকে বাসে করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক হুমায়রা সুলতানা বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পরেও ট্রেনের কোনো টিকিট পাইনি। ছোট্ট শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে যাত্রা করতে হয়েছে। এটি খুবই কষ্টদায়ক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।’

১৯১২ সালে চালু হওয়া শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন মৌলভীবাজার জেলার তিনটি উপজেলার যাত্রী ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল হওয়ায় এ স্টেশনের গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন; কিন্তু টিকিট সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় ভোগান্তি।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী শ্রীমঙ্গল থেকে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা কালনী এক্সপ্রেসে ৮১টি, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে ৭০টি, পারাবত এক্সপ্রেসে ১০৫টি, উপবন এক্সপ্রেসে ৬৫টি, পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ৪৭টি এবং উদয়ন এক্সপ্রেসে ৩০টি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী লিটন অধিকারী বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই ঢাকায় যেতে হয়। শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে টিকিট বরাদ্দ কম থাকায় সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করি।’

রাধানগর পর্যটন কল্যান পরিষদের যুগ্ম সভাপতি তাপস দাশ বলেন, ‘বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১০০টি হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসলেও ট্রেনের টিকিটের সংখ্যা এত কম যে সেগুলো ১০ দিন আগেই বুকিং হয়ে যায়। ফলে পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প ও স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ সুবিধা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ট্রেন চালু ও সিট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মা বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ফিরতি টিকিট নিয়ে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য কোনো কোটা নেই। রাত ২টার পর ঢাকা যাওয়ার ট্রেন ধরতে স্টেশনে পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হয়, অথচ স্টেশনের টয়লেট ব্যবস্থাও নাজুক এবং ভিআইপি রুম তালাবদ্ধ থাকে। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে নতুন ট্রেন চালুর পাশাপাশি সময়সূচি আপডেটের দাবি জানান।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবারে হাজারও পর্যটক আসেন। কিন্তু যাত্রী সংখ্যার তুলনায় বরাদ্দ টিকিট অপ্রতুল। আমাদের কিছু করার নেই। অনলাইনে আগেই টিকিট কেটে নেয় যাত্রীরা। কালোবাজারির সুযোগ নেই, কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকিট কাটা যায় না। তবে আমরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সিট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এই উপজেলার পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক সমস্যা সমাধান, ট্রেন ও টিকিট সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
3 out of 7 railway stations of Sarishabari are closed passengers are suffering

সরিষাবাড়ীর ৭ রেলস্টেশনের ৩টি বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস
সরিষাবাড়ীর ৭ রেলস্টেশনের ৩টি বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা অযত্ন-অবহেলায় বন্ধ থাকা সরিষাবাড়ীর বয়ড়া স্টেশনের মালপত্র নষ্ট হচ্ছে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নির্মিত ৭টি রেলস্টেশনের মধ্যে ৩টির সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব রেলস্টেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ যাত্রীদের। এছাড়া গরিবের ট্রেন খ্যাত ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস মেইল (৭৫-আপ, ৭৬-ডাউন) ট্রেনটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ময়মনসিংহ-ভূঞাপুর লাইনে চলাচল করা সকল যাত্রীদের প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারদিক জনশূন্য, ভূতুরে পরিবেশ। স্টেশনের সব কক্ষই তালাবদ্ধ। নেই বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা। প্রতিটি রেলস্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার ও সহকারী মাস্টার এবং চারজন করে পয়েন্টম্যান থাকার কথা থাকলেও এসব স্টেশনে কেউ নেই। ফলে যাত্রীদের সহায়তা করা ও টিকিট কাটার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলায় আন্তঃনগর যমুনা, অগ্নীবিনা ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস (বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ), চট্টগ্রাম মেইল ৩৭ আপসহ ৩টি লোকাল ট্রেনসহ মোট ৬টি ট্রেন চলাচল করে। বন্ধ এসব রেলস্টেশনগুলোতে ২টি লোকাল ট্রেন সামান্য সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি করলেও অন্য ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতি করে না।

এ উপজেলায় রয়েছে ৭টি রেলস্টেশন। তার মধ্যে ১৮৯৯ সালের ব্রিটিশ শাসনামলে চালু হওয়া বাউসী, বয়ড়া ও নবনির্মিত শহীদ নগর বারইপটল স্টেশনে জনবল সংকটের কারণে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বন্ধ থাকা এসব স্টেশনে চলে ধান মাড়াই, খড় শোকানো ও চুরি, জুয়া, মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। স্টেশন বন্ধ থাকায় পড়ে থাকা মূল্যবান সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। এসব রেলস্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল রেলপথে চলাচলকারী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০১২ সালের ৬ জুলাই উদ্বোধন করা হয়। ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর, টাঙ্গাইলে চলাচলকারী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনটি ইঞ্জিন সংকটের অজুহাতে ২০২৪ সালের ২৮ মে থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে জামালপুর এবং টাঙ্গাইলের হেমনগর, ভূঞাপুর ও ইব্রাহিমাবাদ (পূর্বের নাম বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব) রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করত। এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের ট্রেনের ভাড়ার থেকে ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাধ্য হয়ে অন্য যানবাহনে করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম, রিপন মণ্ডলসহ একাধিক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন মূলত নিম্ন আয়ের মানুষদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। ট্রেনে অন্য যানবাহনের থেকে কম ভাড়ায় যাতায়াত করা যায়। নিরাপদ ভ্রমণ হিসেবে ট্রেনে আমরা কম টাকায় যাতায়াত করি। আমাদের যাতায়াতের কষ্টের বিষয়টির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এই ট্রেনটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।’

বন্ধ থাকা নবনির্মিত শহীদ নগর বারইপটল স্টেশন এলাকার সুমন মিয়া, শাওন আহমেদ বলেন, ‘স্টেশনটি নির্মাণের পর স্টেশন মাস্টারসহ রেলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকত। বেশ মুখরিত ছিল এই স্টেশনটি। তবে স্টেশনটি উদ্বোধনের কয়েকদিন পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত রেল ভবন, কোয়ার্টার ও স্টেশনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, সরকারি আসবাবপত্র পরে পরে নষ্ট হচ্ছে।’

বন্ধ থাকা বয়ড়া স্টেশনের ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে এই বয়ড়া রেলস্টেশন ছিল। এক সময় জনপ্রিয় ও জনসমাগম ছিল প্রচুর এই বয়ড়া স্টেশনে। তখন সকল ট্রেন যাত্রাবিরতি করত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই স্টেশন বন্ধ থাকায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পরে আছে। আগের মতো লোকও আসে না ব্যবসাও নেই।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে (ঢাকা) অতি. মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, জনবল সংকটের কারণেই অনেক স্টেশন বন্ধ আছে। যমুনা সেতুর পূর্ব ইব্রাহীমাবাদ রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজের জন্য ময়মনসিংহ থেকে চলাচলকারী ধলেশ্বরী মেইল ট্রেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ইব্রাহীমাবাদ রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বন্ধ থাকা ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চালু করা হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Human chain of teachers in Sharsha and Benapole of Jessore

যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে শিক্ষকদের  মানববন্ধন

যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে শিক্ষকদের  মানববন্ধন

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারী ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

শার্শা উপজেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৬টি মাদ্রাসায় ক্লাস বর্জন করে গত সোমবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। তারি ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। বেনাপোলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, আমাদের দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবহেলিত। আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় । আমাদের যা বেতন দেওয়া হয় তা আমরা সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছি না। আমাদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারী ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে।

তবিবর রহমান সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আয়ুব হোসেন বলেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবিতে ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।

বেনাপোল মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আমিনূল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের মাদ্রাসায় কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) উপজেলার সব এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শাহাজান কবীর জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শার্শা উপজেলা ও‌ বেনাপোলের সকল এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীরা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।

মন্তব্য

p
উপরে