× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ
google_news print-icon

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ

বরিশালে স্বাস্থ্যবিধি
বরিশালে লঞ্চে ওঠার আগে প্রতিটি যাত্রীর হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ এমভি ঈগলের মাস্টার হারুন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমরা লঞ্চে যাত্রী উঠিয়েছি। চারজনের সিটে দুই প্রান্তে দুজনকে বসিয়েছি। এমনিতেই আজকে যাত্রীর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’

ঈদ উপলক্ষে শাটডাউন শিথিলের প্রথম দিন চাঁদপুর থেকে অধিকাংশ লঞ্চকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আটটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপও কমে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে ঢাকা থেকে চাঁদপুর এসেছে দুটি লঞ্চ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও এই দুই লঞ্চে ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি যাত্রী।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক জেলা বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এখন ঘাটে বাড়িফেরত মানুষের ভিড় বেশি। ঢাকায় যাওয়ার যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম।

তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। লঞ্চগুলোতে অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে যাত্রীদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সকাল থেকেই ঘাটে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।

বরিশালের লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীর খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি। সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে।

অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ এমভি ঈগলের মাস্টার হারুন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমরা লঞ্চে যাত্রী উঠিয়েছি। চারজনের সিটে দুই প্রান্তে দুজনকে বসিয়েছি। এমনিতেই আজকে যাত্রীর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ

বরিশাল থেকে ভোলাগামী আলেয়া বেগম জানান, লঞ্চে ওঠার আগেই তাদের মাস্ক পরতে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষই সবার হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করেছে।

ঘাটে সরকারি বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তাই সকাল থেকেই লঞ্চ ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে শ্রমিকদের।

আরও পড়ুন:
সদরঘাটে লঞ্চযাত্রা শুরু, যাত্রী কম
ঈদে বাড়ি পৌঁছে দিতে সদরঘাটে প্রস্তুত লঞ্চ
ঈদে বাড়ি পৌঁছে দিতে সদরঘাটে প্রস্তুত লঞ্চ
লঞ্চের ডেকে বসতে হবে মার্কিং মেনে
নৌযান: মাস্ক না পরলে জরিমানা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Obaidul Quaders younger brother arrested

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত সহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরের সহোদর শাহাদাতসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তবে তাদের কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

মন্তব্য

সারা দেশ
The statement of the 16th witness in the case of burning 6 bodies is going on

৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় চলছে ১৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি

৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় চলছে ১৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চলছে ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আজ ১৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন সিআইডির ফরেনসিক শাখার আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ ওমর ফারুক খান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

ট্রাইব্যুনালে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার ও সাইমুম রেজা তালুকদার।

গতকাল বুধবার এ মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ৯ অক্টোবর দশম দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ওমর ফারুকের বাবা চান মিয়া। ১৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে গত বছরের ৫ আগস্টের বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক আট আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন— ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুলসহ আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন।

গত ২ জুলাই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, সাক্ষী ৬২, দালিলিক প্রমাণাদি ১৬৮ পৃষ্ঠা ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়। পরে এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
After 44 long years under the leadership of Chaksu the camp has won 24 out of 26 seats

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে শিবির,  ২৬ পদে ২৪ টিতেই শিবিরের জয়

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে শিবির,  ২৬ পদে ২৪ টিতেই শিবিরের জয়

ডাকসু ও জাকসুতে ভূমিধস বিজয়ের পর এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদেও (চাকসু) ভিপি-জিএসসহ বেশিরভাগ পদেইসলামী ছাত্রশিবির জয়ী হয়েছে। শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে চারটায় সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবিরের মো. ইব্রাহিম হোসেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্যানেলের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চাকসুর মোট ২৬টি পদে মধ্যে মাত্র একটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান। তিনি এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট। এ ছাড়া সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হছেন তামান্না মাহবুব।

বেশিরভাগ হল সংসদে ভোটের ফলাফলেও ছাত্রশিবিরের জয়জয়কার। এফ রহমান, আলাওল, সোহরাওয়ার্দী , শাহজালাল, ফয়জুন্নেসা ও শামনুননাহার হলে ভিপি-জিএসসহ বেশিরভাগ পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীর জয় অনেকটািই নিশ্চিত। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো নিজেদের নেত্রী নামে যে হলটি, সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলেও নিজেদের জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি ছাত্রদলের প্রার্থীর।সব মিলিয়ে ঢাকসু ও জাকসুর ধারাবাহিকতায় চাকসুতেও আরেকটা ভূমিধস বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

এদিকে সিংহভাগ পদে হেরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারচুপির নাানা স্লোগানে তার উত্তপ্ত করে তুলেছে ক্যাম্পাস। যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত চাকসু নিয়ে কোনো অনিয়ম, কারচুপি বা জালিয়াতি অভিযোগ ওঠেনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটাররা নির্বাচনে অসাধারণ উৎসবমুখর অংশগ্রহণ করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়।এই উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিয়োগ তিনি সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিহ করেছেন। ভোট গণনার পুনরায় দাবি তুলে তারা তাকে প্রকৌশল অনুষদের (আইটি বিল্ডিং) ৩১২ নম্বর কক্ষে আটকে রাথেস। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে উপ-উপাচার্যকে প্রকৌশল অনুষদ থেকে বের করে নিয়ে যায়।

সবমিলিয়ে নির্বাচনী আমাজে উৎসবে জমজমাট ক্যাম্পাসে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পুর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেনি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেল মধ্যে ৯টি হল ও ১টি হলের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি হলগুলোর ভোটের ফলাফল কি হবে, সেই আভাস এরই মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী পেয়ে গেছে।

চাকসুতে বড় জয় পেলেও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা বেশ সংযত আচরণ করছেন। নিজেদের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ ছাড়া বিজয় মিছিল বা শ্লোগান দেওয়া থেকে তারা বিরত রয়েছেন। ক্যাম্পাসে যে কোনোধরনে গোলোযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এরই মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপািশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Save the country will no longer create division Mirza Fakhrul

দেশটাকে বাঁচান, এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না: মির্জা ফখরুল

দেশটাকে বাঁচান, এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। এখন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশটাকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবেন না। যারা বিভিন্ন দাবি তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তারা নির্বাচনটাকে বন্ধ করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। দয়া করে এসব আন্দোলন বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করতে দিন।’
গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের গড়েয়া ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, আর কোনো নতুন দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট ও পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দেন, দেশের মানুষ বাঁচুক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে, সেটা পরবর্তী সংসদে আলোচনা করতে পারেন। কিন্ত এ জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই। দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচন হতে দেন।’
তিনি বলেন, ‘আর কোনো হিংসার রাজনীতি আমরা চাই না। শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রই বিএনপির চাওয়া। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হয়। সংস্কারের মাধ্যমের দেশটাকে সুন্দর, সমৃদ্ধ করতেই তো ছুটছি আমরা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনি সংসদে গিয়ে আপনাদের জন্য কথা বলবেন সেটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সে নিয়মে ভোট হয়ে এসেছে। তবে এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন, যেখানে পার্লামেন্টে দুটা কক্ষ থাকবে, উচ্চ ও নিম্নকক্ষ। নিম্নকক্ষে দল থেকে মনোনীত ও আপনাদের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। আর উচ্চকক্ষে যারা প্রতিনিধি হবেন, সেখানে আলেম সমাজের মানুষ, বিজ্ঞ সমাজ, হিন্দু-বৌদ্ধ সবাই থাকবেন। যারা আপনাদের নিয়ে কাজ করবেন, আপনাদের পক্ষে কথা বলবেন। সবাই মিলে থাকাটাই বাংলাদেশ। শত ফুল ফুটতে দাও। সকল ফুল ফুটলে সৌরভ ছড়িয়ে যাবে।’
জুলাই সনদ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীকাল শুক্রবার এ সনদে স্বাক্ষর করা হবে। কঠিন শব্দ জনগণ কম বোঝে, তারপরও এটা করা হবে। সবাই যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, তা নিয়ে সনদ হবে। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, সেগুলো স্বাক্ষরিত হবে। আর যেগুলোতে সম্মত হয়নি, সেগুলো জনগণের মতামত লাগবে।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট টানতে নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগ করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত মঙ্গলবার থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।
জনসংযোগের সময় বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Fire The chemical warehouse is illegal

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড; রাসায়নিক গুদামটি অবৈধ

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড;
রাসায়নিক গুদামটি অবৈধ ছবি: সংগৃহীত
* ওই গুদামে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল: ফায়ার সার্ভিস * নিহত প্রতি পরিবারকে ২ লাখ টাকা দেবে সরকার * তদন্ত কমিটি গঠন

ফায়ার সার্ভিসের তৈরি করা অবৈধ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া রাসায়নিক গুদাম আলম ট্রেডার্সও ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি তিনবার ওই গুদামে নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। এখন ওই গুদাম অভিযান চালানোর পর্যায়ে ছিল।
পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে প্রতিষ্ঠান দুটির মালিকদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের পোশাক কারখানার তৈরি কাপড় স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত নয়।
মূলত কারখানাটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পোশাক তৈরি হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সেফটি-সিকিউরিটি কিছুই ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এর মালিক আনোয়ারের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাশের রাসায়নিক গুদামটির নাম আলম এন্টারপ্রাইজ এবং এর মালিক আলমেরও খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের কোনোটিরই লাইসেন্স ছিল কি না, তা-ও নিশ্চিত করা যায়নি।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। এই আগুন বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মিরপুরের রূপনগরে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আরএন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। ১০ জনের মরদেহ শনাক্তের দাবি করেছেন স্বজনেরা।
কেমিকেল গোডাউনের আগুন প্রায় ২৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কেমিকেল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান বলেছেন, সকালে আমরা কেমিকেল স্যুট পরে, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাসায়নিক গুদামের দরজা খুলেছি। ভেতরের অবস্থা দেখেছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে ধোঁয়ার কারণে এখন আমাদের অভিযান চালানো নিরাপদ নয়। অভিযান শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন কেমিকেল থেকে টক্সিক গ্যাস তৈরি হয়েছে। এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে গেলে মানুষের ত্বক, ফুসফুস, হার্টের সমস্যা হতে পারে। আমরা মাইকিং করে স্থানীয়দের বলছি- সবাই দূরে থাকুন, নিজেদের নিরাপদে রাখুন। আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি, যখন নিরাপদ হবে তখন এটি খুলে দেওয়া হবে। রাসায়নিকের বিষয়টি খুবই বিপদজনক। রাসায়নিক সামগ্রী গুদামজাত করার যে নীতিমালা রয়েছে, সেটি না মানা হলে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের মিশ্রণে বড় ধরনের বিক্রিয়া হতে পারে। এই কারণে একটু বেশি সময় লাগবেই।
এদিকে মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। এছাড়া আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে এ সহায়তা দেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ ও ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি, পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে এ কমিটি। আগামী এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে একটি সুপারিশ দেবে তারা।

মন্তব্য

সারা দেশ
The July Certificate will be signed clearly Salahuddin

জুলাই সনদে সই করব, ভিন্নমত স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে: সালাহউদ্দিন

জুলাই সনদে সই করব, ভিন্নমত স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘এই সংস্কার সারা জাতি চায়, আমরাও চাই। যে দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক, তাদের এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব, যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে, ওগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে- কী কী বিষয়ে, কীভাবে নোট অব ডিসেন্ট আছে। কারণ নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ-আলোচনা করেছি।’ গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় যে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে, তার আগে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত হতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সবাই অংশগ্রহণ করে এবং এটাকে একটা ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে আমরা সংরক্ষণ করি, স্বাক্ষর করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সম্মত হয়েছি। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়নি। কয়েকজন বক্তব্য রেখেছেন, সব দল অংশগ্রহণ করেনি। আমি আমার বক্তব্যে বলেছি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই আমরা যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন হোক, অন্যান্য কর্মকাণ্ড হোক, সব কিছুর লক্ষ্য হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা- সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং একটা ক্রেডিবল ইলেকশন।’

‘এখন সেটা করার লক্ষ্যে আমরা জুলাই জাতীয় সনদ যেটা প্রণয়ন করছি তার সঙ্গে সম্পর্ক কী? আমি মনে করি, জুলাই জাতীয় সনদের সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই,’ যোগ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এই সংস্কার সারা জাতি চায়, আমরাও চাই। যে দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক, তাদের এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে। গণভোটের কথা আমরা বলেছি, সেই গণভোটে যাতে জনগণের পক্ষ থেকে একটা সার্বভৌম এখতিয়ার, কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়। যাতে সেটা ম্যান্ডাটরি হয় জাতীয় সংসদের ওপর, সমস্ত সংসদ সদস্যদের ওপরে। যাতে এই সংস্কারগুলো, যেগুলো জনগণ পক্ষে রায় দেবে সেটা যেন গ্রহণ করি।’

‘কথা থাকল জুলাই জাতীয় সনদে কি কোনো প্রশ্ন থাকবে গণভোটের ব্যাপারে? একটাই প্রশ্ন থাকতে হবে, আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব, যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে, ওগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে- কী কী বিষয়ে, কীভাবে নোট অব ডিসেন্ট আছে। কারণ নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ-আলোচনা করেছি।’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার উদ্দেশ্যই ছিল যে সমস্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত, সেগুলো সংকলিত করা। যে সমস্ত বিষয়ে দ্বিমত অথবা ভিন্ন মত সেগুলো সংকলিত করা। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে উইথ নোট অব ডিসেন্ট। যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, সেগুলো স্পষ্ট উল্লেখ করে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেভাবেই জুলাই জাতীয় সনদ প্রণীত হলে, স্বাক্ষরিত হলে গণভোটে একটাই প্রশ্ন থাকতে পারে যে, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, জনগণ তার পক্ষে আছে কি নাই; হ্যাঁ অথবা না বলুন।’

‘আমরা আশা করি, এই গণভোটে না ভোটের পরিমাণ হাতে গোনা যাবে। কারণ সমগ্র জাতি তো সংস্কারের পক্ষে। সুতরাং আমরা ধরেই নিতে পারি জনগণ সংস্কারের পক্ষে আছে। আমরা সবাই আছি। সকল রাজনৈতিক দল আছে। এভাবে গণভোটে যে ফলাফল আসবে, তার একটা কারণ হলো- সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণ যাতে গণভোটের মধ্য দিয়ে এমন একটা এখতিয়ার-কর্তৃত্ব দেয় সংসদকে, যাতে করের সেটা বাধ্যবাধকতা থাকে প্রতিপালনে-বাস্তবায়নে,’ বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সেটাকে বলা হচ্ছে গাঠনিক ক্ষমতা। সেই সংসদকে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটার অনুবলে যখন কোনো সংস্কার বা সংশোধনী গৃহীত হবে, সেটা চাইলেও জুডিশিয়ারি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারবে না। এটাই হচ্ছে গণভোটের ভিত্তি। আমরা অপেক্ষায় আছি আগামীকাল শুক্রবার (১৭ তারিখ) আমাদের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং সেটার পরে সেই স্বাক্ষরিত দলিল সবার কাছে দেওয়া হবে। জাতির জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তার পরে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কাছে ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন প্রক্রিয়াসহ সুপারিশ করবে।’

‘সেই সুপারিশ হিসেবে আমরা বলেছি যে, গণভোটের মধ্য দিয়ে একইদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সেই সম্মতিটা নেওয়া যায়। যার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের সমস্ত প্রস্তাবগুলো যেগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে, নোট অব ডিসেন্টসহ সেটা বাস্তবায়ন হবে,’ যোগ করেন তিনি।

মন্তব্য

সারা দেশ
Election in February Chief Advisor

ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে
ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই অংশ এখন। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি। ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো- সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য তিনি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
জুলাই সনদ রচনাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান, এই অভ্যুত্থানের এটাই আমার মনে হয় পরবর্তী অধ্যায় সঠিকভাবে রচিত হলো। যে সংস্কারের কথা আমরা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংস্কার, প্রকৃতপক্ষে যে সংস্কার হবে, তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কাজেই আমরা এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সারা জাতি বড় রকমের উৎসবের মধ্যে আমরা শরিক হব।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে, সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না। এটা এমন একটা ঘটনা যে ঘটনার ভেতরে থেকে এর বিশালত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মাসের পর মাস বৈঠক করে হতাশা এসেছে, মনে হয়েছে, এটা হয়তো অসমাপ্ত থেকে যাবে। তবে এটা অসমাপ্ত থেকে যায়নি। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ জাতির জন্য একটা মস্ত বড় সম্পদ হয়ে রইল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেসব দলিল তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো হারিয়ে যাবে না। এগুলো জনসাধারণের মধ্যে সহজ ভাষায় প্রচার করা হবে। যাতে করে সবার মনের মধ্যে থাকে, কেন একমত হয়েছি।’ সরকার হিসেবে জুলাই সনদ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যেসব বিতর্ক হয়েছে, সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে ও বই করে রাখা হবে, যেন এগুলো সম্পদ হিসেবে থাকে, হারিয়ে না যায়। যাতে করে সবাই জানতে পারে, কেমন জাতি গড়ার জন্য এগুলো করা হয়েছে।
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামীকাল শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যারা প্রকৃত সই করছেন। সারাদেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

মন্তব্য

p
উপরে