নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুনের পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
কারখানার নিরাপত্তামান তদারকির দায়িত্বে থাকা এসব সংস্থা বলছে, তাদের কর্মকর্তারা নিয়মিত হাশেম ফুড কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন। অথচ এরপরেও সেখানে আগুন নেভানোর সরঞ্জামের অভাবসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা কেন ছিল, সে বিষয়ে কারও পরিষ্কার ব্যাখ্যা নেই।
রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ৫২ শ্রমিকের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে প্রশাসন।
দুর্ঘটনার পর বেরিয়ে আসে কারখানাটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ছিল নানান অনিয়ম। ভবনের নকশা ছিল অনুমোদনহীন। মানা হয়নি ইমারত নির্মাণবিষয়ক বিধি। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও ছিল চরম অবহেলা।
আগুনের ঘটনা তদন্তে জড়িত একাধিক ব্যক্তি নিউজবাংলাকে বলেছেন, শুধু যাত্রার শুরু থেকে নয়, উৎপাদনে এসেও একের পর এক লঙ্ঘন করা হয়েছে নিয়মকানুন। ছিল না নিরাপদ কর্মপরিবেশ। শ্রমিকদের কাজ করার জায়গাতেই রাখা হতো ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ। ফায়ার অ্যালার্ম, ইমারজেন্সি এক্সিট ডোর, হাইড্রেন্ট সিস্টেমের মতো পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের ঘাটতি ছিল।
বিশাল ভবনে দুটি সিঁড়ি ছিল, তবে প্রতিটি ফ্লোরে সিঁড়ি লোহার জালের পার্টিশনে ঘেরা এবং তা তালাবদ্ধ রাখার কারণে কর্মঘণ্টা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই সিঁড়ি দিয়ে কখনোই নামতে পারত না শ্রমিকেরা।
কারখানার পরিবেশ ও নিরাপত্তামান তদারকিতে সরাসরি জড়িত সরকারি তিনটি সংস্থার কর্মকর্তাদের দাবি, ওই কারখানা তাদের নিয়মিত পরিদর্শনের আওতায় ছিল। প্রতি মাসেই সেখানে যেতেন কর্মকর্তারা।
আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, কারখানার নিচতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত রেজিন, বাটার, বাটার অয়েল, প্লাস্টিক, পবিলিস, হিট ফোম, পলিথিন, মবিল, ডিজেল, প্যাকেটিং, কাগজের রোলসহ খাদ্যপণ্য তৈরির প্রচুর দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যালের মজুত ছিল। এ কারণে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগেছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, কারখানাটি নিয়মিত পরিদর্শন করতেন সরকারের তিনটি সংস্থার কর্মকর্তারা। এই সংস্থাগুলো হলো, পরিবেশ অধিদপ্তর, কলকারখানা অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস।
তবে এখন প্রতিটি সংস্থাই দায় এড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা প্রতি মাসে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পরিদর্শন করতেন। যেহেতু ফুড তৈরি করা হতো, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার ছিল।’
তিনি বলেন, ‘হাশেম কারখানার ঘটনাটি ফায়ার থেকে সৃষ্ট। তাদের পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স পাওয়ার পরেই তাদের সনদ দিয়েছি। কারখানা পরিদর্শনের সময় আমাদের কর্মকর্তারা মূলত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিয়ে থাকেন।’
অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিসের দাবি, তারা দুর্বল অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে অনেকবার সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছে। তবে রাসায়নিক দ্রব্য দেখভালের দায়িত্ব তাদের নয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (রূপগঞ্জ) তানহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেমিক্যাল দেখার দায়িত্ব অন্য সংস্থার। আমরা পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রতিটি কারখানাকে নোটিশ করে থাকি। এই কারখানা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার নোটিশ করা হয়েছিল। আর শ্রমিকদের বিষয়টি কলকারখানা অধিদপ্তরও তদারকি করে।’
কলকারখানা অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের উপমহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারখানায় আমাদের কর্মকর্তারা প্রায় প্রতি মাসে পরিদর্শন করতেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ফায়ার সেফটি ও কেমিক্যালের বিষয়গুলো পরিবেশ অধিদপ্তর দেখে। আমরা অন্য বিষয়গুলো দেখি।’
ভয়াবহ আগুনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি আড়াল করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, আমরা বলব এটা হত্যা। কারখানার মালিক লাভের জন্য পুরোপুরি অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কারখানাটি চালিয়েছেন।’
সুজনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি সরকারের তিনটি সংস্থাও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি। তারা যদি এভাবে দায়িত্বে অবহেলা করে তাহলে এ ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি হবে।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য রাখা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার নানুপুরবাজারে মেসার্স কামাল ষ্টোরের গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব সয়াবিন তেল জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় দোকান মালিক মোঃ ইকবাল (৩৮)কে আটক করা হয়। সে ধর্মপুর ইউনিয়নের রায়দার বাড়ির খায়রুল বশরের পুত্র।
জানা যায়, খোলা বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ টিসিবির সয়াবিন তেল দীর্ঘদিন ধরে মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল নানুপুর বাজারের মেসার্স কামাল ষ্টোর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে দোকানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিক্রির জন্য রাখা ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে প্রশাসন। এসময় দোকান মালিক ইকবালকে আটক করে পুলিশ হেফাজত দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের একটি টিম ও নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা নানুপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির দায়ে দোকান মালিককে আটক পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর মাঠ থেকে জাইমা খাতুন (৫৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাইমা খাতুন ওই গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঠের মধ্যে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকা মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা থানায় খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, “মরদেহের পায়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি এবং একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
এদিকে, এই রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ও নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও সবুজায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলার নারী, যুব ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগে আজ সকালে সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল চাকমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবার মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন।
সুনীল চাকমা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় নারীদের পাশাপাশি যুবক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নিজেরাই এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তাদের ব্যক্তিগত বসতভিটা, ঝিরি, ঝর্ণা ও চড়ার পাড়ে চারা রোপণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই কর্মসূচি পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করলিয়া প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা পরিচিতা খীসা, বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকেতন চাকমা, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কানাডা সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ইউএনডিপির ব্যবস্থাপনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নারী এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে এ কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সদরের ৩ হাজার ৭৯টিসহ সারা জেলায় ১৬ হাজার ৮শ ৮৪ টি চারা বিতরণ করা হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিখোঁজের দুই দিন পর মিনহাজ (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (২৫ আগষ্ট) তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের খালে মরদেহটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা।
মিনহাজ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলাম সেন্টুর পুত্র।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানাযায়, মিনহাজ গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশেষে সোমবার সকালে বাড়ির পাশের খালে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের ও বোরহানউদ্দিন থানায় খবর দেন। পরে স্থানীয়রা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, শিশু মিনহাজের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।শিশুটি দুইদিন আগে নিখোঁজ হয়েছিল। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছ।
এতে আরও জানানো হয়, সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে রাঙ্গামাটিতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় পিকআপের চাপায় ইজিবাইক-চালক ও দুইজন যাত্রীসহ মোট ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত পাঁচজনর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌঁনে ৯টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাঙ্গা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ইজিবাইক যাত্রী রিনা খাতুন (৩৬) ও মোহাম্মদ রুস্তম আলী খান (৬৫) এবং ইজিবাইকের চালক মোহাম্মদ জাহিদুর মোড়ল (২৫)।
এরমধ্যে রিনা খাতুন ডুমুরিয়ার উত্তর কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বাগদাড়ি গ্রামে বাস করতেন রুস্তম আলী খান। অন্যদিকে নিহত জাহিদুর মোড়ল ডুমুরিয়ার খরসন্ডা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল ও ডুমুরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চুকনগরগামী একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের জিলেরডাঙ্গা নামক স্থানে খুলনাগামী যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রিনা খান ও রুস্তম আলী খান নিহত হন। আর খুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান জাহিদুর।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সিনিয়র ফায়ার ফাইটার সুবোধ মন্ডল জানান, ইজিবাইক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
মন্তব্য