× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
জীবনের ভয়ে সরকারের দেয়া বাড়িতে উঠতে পারিনি
google_news print-icon

‘জীবনের ভয়ে সরকারের দেয়া বাড়িতে উঠতে পারিনি’

জীবনের-ভয়ে-সরকারের-দেয়া-বাড়িতে-উঠতে-পারিনি
বগুড়ায় ধসে পড়ছে সরকারের দেয়া উপহারের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা
শুধু বর্ষার বৃষ্টিতে ঘর ভেঙে পড়া নয়, দেয়া হয়নি বিদ্যুৎ-সংযোগও। বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকটও রয়েছে। পুরো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২টি পরিবারের জন্য চালু আছে মাত্র একটি হস্তচালিত নলকূপ। প্রকল্পের বাকি ১৫টি ঘর ঠিক থাকলেও এসব ঘরে কেউই থাকছেন না ধসে পড়ার আশঙ্কায়।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্যোগ-সহনীয় ঘর বসবাস শুরুর আগেই ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। একই সঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলার কিছু ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল।

বর্ষা মৌসুমে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ভূমিহীনদের দেয়া এসব বাড়ির এক পাশের মাটি খালে ধসে গেছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ঘরে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। মেরামত করলেই বসবাসের উপযোগী হবে।

বাড়ি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, প্রতিটি ঘরের সঙ্গে টয়লেট দেয়ার কথা থাকলেও ২২ ঘর মিলে দেয়া হয়েছে তিনটি। আর ঘরগুলো ভেঙে পড়ার ভয়ে তারা সেখানে বসবাস করছেন না।

শেরপুর উপজেলায় তড়িঘড়ি করে খালের কিনারায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। খালের মাটি কেটে বাড়ির চারপাশে দেয়া হয়। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই মাটি খালে ধসে যাওয়ায় ঘরগুলোর এই হাল হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় অতিদরিদ্র ভূমিহীনদের জন্য সরকারিভাবে আধা পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে মোতাবেক শেরপুর উপজেলায় ২ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

পরে দুই শতক করে খাসজমি বন্দোবস্ত দিয়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে অতিদরিদ্র ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে একটি করে আধা পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়। দুই কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেটসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর কয়েরখালি বুড়িগাড়ি এলাকায় খালের কিনারায় ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। পরে সুফলভোগীদের হাতে এসব বাড়ির জমির দলিল ও বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এসব নতুন বাড়িতে ওঠার আগেই ঘটছে নানা বিপত্তি। বর্ষা মৌসুমের টানা দুই দিনের বৃষ্টিতেই দুর্যোগ-সহনীয় সাতটি ঘর ভেঙে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হায়দার আলী, আব্দুল কাদের, ছালমা বেগম, শেফালী বেগম, নদীয়ার চাঁদ, মোকছেদ আলী, সোনা উদ্দিন ও গোলাপী বেগমের বাড়ির পেছনে টয়লেট ও মাটি খালে ধসে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে দেয়ালও। খালটিতে বাঁশের পাইলিং করে প্রকল্পের বাড়িগুলো রক্ষার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি।

ছাবেদ আলী বলেন, ‘আমরা জীবনের ভয়ে সরকারের দেয়া বাড়িতে উঠতে পারিনি। যেকোনো সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাকি ঘরগুলোও ভেঙে পড়তে পারে।’

শুধু বর্ষার বৃষ্টিতে ঘর ভেঙে পড়া নয়, দেয়া হয়নি এখনও বিদ্যুৎ-সংযোগ। বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকটও রয়েছে। পুরো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২টি পরিবারের জন্য মাত্র একটি হস্তচালিত নলকূপ চালু রয়েছে। প্রকল্পের বাকি ১৫টি ঘর ঠিক থাকলেও এসব ঘরে কেউই থাকছেন না ধসে পড়ার আশঙ্কায়।

‘জীবনের ভয়ে সরকারের দেয়া বাড়িতে উঠতে পারিনি’

আরেক সুবিধাভোগী ছালমা বেগম বলেন, ‘বসবাস শুরুর আগেই বাড়ির একটি ঘর ছাড়া সবই ভেঙে পড়েছে। বাকি ঘরটির দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মেঝের প্লাস্টার উঠে যাচ্ছে। এটিও যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।’

খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরগুলো রক্ষায় খালের ধারে বাঁশের পাইলিং দেয়া হয়েছে। ভেঙে পড়া কয়েকটি টয়লেট ও রান্নাঘর পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘর তো ভেঙে যায়নি। এ কারণে নতুন করে নির্মাণ করা লাগবে না। ঘরের কাছ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। সেগুলো পূরণ করা হচ্ছে। আর ঘরে যে আপাতত সমস্যা হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করা হলে বসবাসের উপযোগী হবে।’

নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কয়েকটি ঘরেও দেয়ালে, মেঝে ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আশ্রয় নেয়া সুবিধাভোগী নিম্নবিত্ত মানুষগুলো আছেন আতঙ্কে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এমন হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পায়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। উপজেলার গোছন ও গোপালপুর পুকুরপাড়ের কয়েকটি ঘরে দেয়াল, মেঝে ও বারান্দার পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন, ‘আমাদের এখানে দুয়েকটা ঘরে হালকা ফাটল দেখা দিয়েছে। সেগুলো আমরা মেরামত করে দিচ্ছি। এটা মেজর কোনো সমস্যা হয়।’

আরও পড়ুন:
উপহারের ঘর: অনিয়ম খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দল মাঠে
উপহারের ঘর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টিম
দ্বিতীয় ধাপে উপহারের ঘরে বাড়ল বরাদ্দ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The formal investigation of the A League as a party begins

দল হিসেবে আ.লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু

দল হিসেবে আ.লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

এর আগে, এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গত বছরের (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করছি। এটি পুরোদমে শুরু হলে বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তা আমরা তখন জানাতে পারব।

মন্তব্য

সারা দেশ
International Veteran Day in Pirojpur is celebrated 2021

পিরোজপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৫ পালিত

পিরোজপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৫ পালিত

"একদিন এই পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গরবো,সযত্নে তোমায় রাখবো আগলে"
এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় পিরোজপুরের আয়োজনে ৩৫ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর)সকাল দশটায় পিরোজপুর জেলা সার্কিট হাউস এর সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে এসে শেষ হয়।
র‍্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাইফ মিজান স্মৃতি সভাকক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ ইকবাল কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি,জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম খলিল, সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন হাওলাদার,সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন,রিসোর্ট ইমিগ্রেশন সেন্টার(রিক) এর আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ,প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী খায়রুল আলম, নবীনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গাজী বেনজীর সাইয়্যেদা।

বক্তারা বক্তব্যে প্রবীনদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার ও তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবীণদের এই সমাজের গুরুত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন এবং নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন সব সময় প্রবীণদের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দিতে।
এছাড়াও তিনি বলেন ইতিমধ্যে জেলায় প্রবীনদের জন্য একটি প্রবীণ পার্ক নির্মান করেছি,ভবিষ্যতে তাদের জন্য সেখানে একটি পাঠাঘারের ব্যবস্থা করা হবে, এছাড়াও যাদের বয়স ৭০ বছরের উর্ধ্বে তাদের প্রত্যেককে একটি করে স্বাস্থ্য কার্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করা হবে যাতে এরা সুন্দরভাবে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে।

উল্লেখ্য উক্ত দিবসটি ছিলো ০১ অক্টোবর কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ০৭ অক্টোবর পালন করা হয়।

মন্তব্য

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযুক্ত যুবক

কুমিল্লার চান্দিনায় সুদের টাকা আদায়ের জন্য আলী আকবর (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। খবর পেয়ে মূল হোতা বোরহান উদ্দিন (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ৬ অক্টোবর সকালের ঘটনা ঘটে।

পরে রাত ১১ টায় বৃদ্ধকে নির্যাতনকারী সুদের কারবারি বোরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ইমাম হোসেন।

বোরহান উদ্দিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আবুল কালাম এর ছেলে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান- চান্দিনা থানার রসুলপুর গ্রামে সুদের টাকা আদায়ের জন্য এক বৃদ্ধকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বোরহান দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় সুদে টাকা বিনিয়োগ করেন। আলী আকবর তার ছেলে কে বিদেশে পাঠাতে বোরহানের কাছ থেকে টাকা নেয়। নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে রাস্তার পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Kanipukur village

জয়পুরহাটে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য কানাইপুকুর গ্রাম

জয়পুরহাটে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য কানাইপুকুর গ্রাম পাখির অভয়ারণ্য কানাইপুকুর গ্রাম। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামটি শামুকখোল পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বিরল প্রজাতির পাখি শামুকখোল। গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছে বাসা বেঁধেছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি। নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রায় দুই দশক ধরে বছরের নির্দিষ্ট সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করে। সে জন্য গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে পাখির গ্রাম হিসেবে। সকালে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ পাখিগুলোকে দেখতে আসেন। বলছি, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের কানাইপুকুর গ্রামের কথা। আর এখানে পাখি দেখতে প্রতিবছর ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

জানা যায়, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পাশে রয়েছে একটি পুকুর। সেই পুকুরের চারপাশে প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর বট, নিম, তেঁতুল, আম, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। এসব গাছে একটা সময় রাতচরা পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর সাদা বকের পর ধীরে ধীরে সেখানে রাজত্ব চলে আসে শামুকখোল পাখির দখলে। প্রায় দুই দশক ধরে শামুকখোল পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি।

এই শামুকখোল পাখিগুলো গাছের মগডালে নিজেদের আপন খেয়ালে বাসা বেঁধে আসছে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বক, কানা বক, শঙ্খ চোরা, পানকৌড়ি ও হরিয়াল। তবে এর মধ্যে শামুকখোল রয়েছে সবচেয়ে বেশি। পাখির কিচিরমিচির ডাক সবসময় মুখরিত করে রাখে গ্রামবাসীকে। তাই নিজের সন্তানের মতো লালন করেন তারা পাখিদের। অন্যদিকে গাছে গাছে পাখিরা ডিম থেকে ফুটাচ্ছে বাচ্চাও।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা থেকে পাখি দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আসাদুজ্জামান রাশেদ। তিনি বলেন, একসঙ্গে এত পাখি অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে হাজার হাজার পাখি দেখলাম। দেখে মনটা ভরে গেল।

কালাই উপজেলা থেকে দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আবুল বাশার লাইফ। তিনি বলেন, শামুকখোল পাখি এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এখানে পাখি কলোনির কথা শুনে দেখতে আসছি। কাছ থেকে এত পাখি দেখে খুব ভালো লাগছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। সরকারের উচিত পাখিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।

কানাইপুকুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তামিম আহম্মেদ বলেন, পাখিগুলো আমাদের গ্রামকে মুখরিত করে রাখে। কেউ যেন পাখিগুলোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করি। এপ্রিল মাসের দিকে পাখিগুলো এখানে এসে গাছে গাছে বাসা বাঁধে। এরপর জুন মাসের দিকে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায়। সেই বাচ্চাগুলো বড় হয়ে উড়াল শিখতে শিখতে শীত চলে আসে। তখন তারা এখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। পাখিগুলো চলে গেলে আমাদের অনেক খারাপ লাগে।

এই পাখি কলোনির পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অতিথি পাখিগুলো এখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করে আসছে। এরা সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে অবস্থান করে। পাখিগুলোকে কেউ কখনো বিরক্ত করে না। এ জন্য এরা এখানে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বাসা বাঁধতে পারে। আমরা পারিবারিকভাবে এই পাখি কলোনি দেখাশোনা করি। এই পাখিগুলো সাধারণত সব জায়গায় বাসা বাঁধে না। এরা আমাদের এখানে বাসা বেঁধেছে এটা আমাদেরও একটা গর্বের বিষয়। এজন্য আমার ভালো লাগা কাজ করে।

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, অতিথি পাখি কলোনিটি পরিদর্শন করেছি। পাখিগুলো যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বা কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমরা সহযোগিতা করব।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিনা বেগম বলেন, শামুকখোল পাখি বাংলাদেশে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে। বাচ্চা বড় হয়ে উড়তে শিখলে তারা চলে যায় রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের দিকে। এরা সাধারণত কলোনিয়াল ভাবে বাস করে। নিরাপদ আশ্রয় ও পরিমিত খাবার পেলে এরা অনেক দিন থেকে যায়। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

মন্তব্য

সারা দেশ
EC dialogue with election experts and women leaders today

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিনব্যাপী এ সংলাপ দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।

ইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সংলাপগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এতে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সকালের অধিবেশনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

বিকেলের অধিবেশনে নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি। দুটি অধিবেশনে মিলিয়ে মোট ৪০ জন অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ হয়। গত ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছে ইসি।

আগামী দিনে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গেও বসবে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সংলাপ থেকে পাওয়া গঠনমূলক পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
If there is a complaint in the tribunal cannot be a Member of Parliament

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ থাকলে সংসদ সদস্য হওয়া যাবে না

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ থাকলে সংসদ সদস্য হওয়া যাবে না

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিম্ন লিখিত অবস্থানগুলোতে থাকার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা থাকার যোগ্য হবেন না। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে বা থাকতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। এছাড়া অন্য কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।

এতে আরও বলা হয়েছে, উপধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে, উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না।

মন্তব্য

সারা দেশ
Tareq Rahman told how the future BNP would be like

ভবিষ্যত বিএনপি কেমন হবে, জানালেন তারেক রহমান

ভবিষ্যত বিএনপি কেমন হবে, জানালেন তারেক রহমান

ভবিষ্যত বিএনপি সম্পর্কে তারেক রহমান বলেছেন, আমরা দুটো বিষয় নিয়ে খুব গর্ব ও অহংকার করি। একটি হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে, অপরটি হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এ দুটিই বিএনপি শুরু করেছিলো। গার্মেন্টস শিল্পের প্রসার বিএনপির আমল থেকেই শুরু হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে যদি আমার দেখি। যখন সব দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলো। বিএনপি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হবে গণতন্ত্রের শক্তিশালী বুনিয়াত তৈরি করা।

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক আগে তারেক রহমান প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তিনি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সে প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, আমি যখন একথাটা বলেছিলাম তখন তারা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি, স্বাভাবিক ভাবেই সবার মনেই এই প্রশ্না জেগেছিল। তবে ড. ইউনূস যখন মোটামোটিভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেন তখন সন্দেহ অনেটাই কেটে গেল।

মন্তব্য

p
উপরে