খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি পাটকল ইজারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজিএমসি) এর চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ পাটকল পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যক্তি ও বেসরকারিখাতে ইজারা দিতে ১৪টি পাটকলের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে খুলনার ৯টি পাটকল রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ন, দৌলতপুর, জেজেআই ও কার্পেটিং মিলের জন্য ভারতের মোহন জুট ও প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র জমা দিয়েছে। ৯৯ বছর মেয়াদে এসব মিল ইজারা দেয়া হবে।
তবে খুলনার প্লাটিনাম জুবিলী, খালিশপুর ও স্টার জুট মিলের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাড়া মেলেনি। আর আলিম জুট মিল নিয়ে মামলা চলায় দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
গত ১৭ জুন দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। সারা দেশের ১৪টি পাটকল ইজারা নেয়ার জন্য ৫১টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দরপত্র জমা পড়ে।
আব্দুর রউফ আরও জানান, বন্ধ পাটকলগুলো পুনরুজ্জীবিত করতেই এগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হবে। তবে এগুলোর মালিকানা থাকবে সরকারের হাতেই থাকবে। ইজারা গ্রহিতারা চালু করতে না পারলে মিলগুলো তাদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হবে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পাঁচটি মিল লিজ (ইজারা) নিতে ভারতের মোহন জুট ও প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি দরপত্রের শর্ত পূরণ করলে তাদের ইজারা দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছর মিলগুলো উৎপাদনে যাবে।’
বিজেএমসির খুলনা জোনের মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ গতবছর অক্টোবরে প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল লিজ নেয়ার জন্য চীনের একটি প্রতিষ্ঠান এবং ক্রিসেন্টসহ অন্য জুট মিলগুলো লিজ নেয়ার জন্য করিম গ্রুপের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে। কিন্তু পরে তারা পিছিয়ে যায়। বন্ধ মিলগুলোর শ্রমিকদের এক হাজার দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। মিলগুলোর উৎপাদিত সব পাটজাতপণ্য বিক্রি হয়ে গেছে।’
ক্রিসেন্ট জুট মিলের প্রকল্প প্রধান খান কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র মিলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, পানি ও কর্মচারীর বেতন বাবদ প্রতি মাসে এক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। রূপলী ব্যাংকের শামস ভবন শাখায় এ মিলের দেনা চার শ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরে (বশেমুরবিপ্রবিপি) ২০২৩-২৪ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. অলক কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বশেমুরবিপ্রবিপিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে প্রথম ব্যাচে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস (প্রথম ক্লাস) আগামী ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ, সোমবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পরবর্তী সময়ে ২০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ২২ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিরোজপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
উপজেলার এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় হতাহত লোকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে গতকাল রাত দুইটার দিকে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের চার যাত্রী।
তিনি আরও জানান, আহত যাত্রীদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন ঘাসিয়া চরে দিনদুপুরে হঠাৎই বাড়িতে হানা দিয়েছে বিশাল এক কুমির। বাড়ির খোঁয়াড়ের হাঁস-মুরগির লোভে প্রাণীটি সেখানে আসে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এরপর আতঙ্কিত লোকজনের চিৎকারে কুমিরটি বাড়ির লাগোয়া পুকুরে নেমে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চরঘাসিয়া গ্রামের চর ঘাসিয়ায় মজিবুল পাঠান বাড়ির পুকুর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন বিভাগের কর্মীরা কুমিরটি উদ্ধার করেন।
বাড়ির কর্তা শাহ আলম মাঝি জানান, কুমিরটিকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে কুমিরটি বসতবাড়ির পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। পরে রাতে কুমিরটি তাদের হাঁস-মুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটি ধরে ফেলা হয়। বন বিভাগের লোকজন এসে কুমিরটি নিয়ে যায়।
উপজেলা বন বিভাগের রেঘ্হ সহকারী মতিয়ুর রহমান জানান, কুমিরটি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সাম্প্রতিক বন্যার সময় থেকে দু’মাস ধরে কুমিরটি মেঘনা নদীর চান্দারখাল এলাকায় বিচরণ করছিলো। নদীতে আরও কয়েকটি কুমির আছে বলে স্থানীয় জেলেরা দাবি করেছেন।
রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি জেলার সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। রাতে কুমিরটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
সুনামগঞ্জের ছাতকে আশি বছরের বেশি বয়সী এক পীর খুন হয়েছেন। সকালে নিজ গ্রাম সৈদেরগাঁওয়ের (ধারণ) বাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওই পীরের নাম সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওরফে আব্দুল হান্নান পীর।
গ্রামের লোকজন জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ এই পীর বাড়ির সামনের দিকের একটি ঘরে প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে এসে বসতেন। অনেকে তার কাছ থেকে এসে পানিপড়াও নিতেন।
আব্দুল হান্নান পীর প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ফজরের নামাজের পর ওই ঘরে এসে বসেছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল হান্নান পীরের মৃত্যুর খবর শুনে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়ির সামনে ভিড় জমান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন জানান, ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আব্দুল হান্নান পীর। কারা, কেন তাকে হত্যা করলো এ বিষয়ে জানার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন:সিলেটের বিয়ানীবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক শায়লা শারমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ, ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া, মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন ও হরমুজ আলীর ছেলে রুহল আমিন। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালেন ১৭ আগস্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারে যান। সেখানে রাত ১১টার দিকে কৌশলে তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরদিন নিহতের ভাই শুক্কুর আলী বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ দশ বছর পর বৃহস্পতিবার পাঁচজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
হযরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার জাহাঙ্গীর নগর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ সুরমা থানার আলমপুর এলাকায় বসবাস করতেন। তার পেটসহ শরীরের ১৭ জায়গায় জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শুক্কুর আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর পর ভাই হত্যার বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আসামিরা এখনও পলাতক। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এই রায় সিলেটের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই এই রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী জায়েদা বেগম জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ দেয়া হয়েছে। নিহত হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। সে সময় তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে যান। আদালত যুক্তি-তর্ক শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় এ রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আনলোডিং ড্রেজার দিয়ে যুবলীগ নেতার বালু উত্তোলনের কারণে পানির চাপে একটি সড়ক ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, বাঁশগাঁও-নয়ানগর সড়কের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ভুলু মুন্সীসহ আরও কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা করার কারণে রাস্তাটি ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশগাঁও-নয়ানগর সড়কের বাঁশগাঁও কবরস্থানের আনুমানিক ১৫০ ফুট সামনে সড়কটির ৩০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে পাশের খালে পড়েছে। ওই সময় কয়েকজন মানুষকে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে দেখা যায়।
মেরামতে আসা লোকজন জানান, ভুলু মুন্সী তাদের রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পাঠান।
সড়কটি মেরামতের কাজ করা শ্রমিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভুলু ভাই আমাদের রাস্তাটি মেরামত করতে বলেছেন। তিনি যাবতীয় সকল মালামাল কিনে দিয়েছেন।
‘আমরা শুধু তার হুকুম বাস্তবায়ন করছি। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না।’
খবর নিয়ে জানা যায়, গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর, বালুরচর, মিয়াবাড়ী, গজারিয়া ও গোসাইরচর গ্রামের অন্তত ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ প্রতিদিন সড়কটি ব্যবহার করত। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের গজারিয়া ডকইয়ার্ড ও বেইজ এবং গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও এটি। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীরা।
কী বলছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ভুলু মুন্সীসহ আরও কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা শুরু করেন। গজারিয়া গ্রামের বেনজিরসহ আরও কয়েকজনের জমিতে বালু ফেলার পর পানির চাপে সড়কটির একাংশে ফাটল ধরে। পানির চাপ আরও বাড়তে থাকলে শনিবার রাতে সড়কের অংশটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন প্রধান বলেন, ‘শনিবার রাতের কোনো এক সময় পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে যায়। তারপর থেকে কয়েকটি গ্রামের মানুষ রীতিমতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
‘রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে কাদা-পানি মাড়িয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করা দরকার।’
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা ও গজারিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সিয়াম বলে, ‘রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প পথে গজারিয়া বাজার ঘুরে স্কুলে যেতে ভাড়া ও সময় বেশি লাগে।’
যুবদল নেতা ও এলজিইডির ভাষ্য
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা ভুলু মুন্সী বলেন, ‘ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত না।’
ভেঙে যাওয়া সড়ক কেন সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে আমার কিছু পাথর যাবে। রাস্তা ভেঙে পড়েছে। পাথর নিতে পারছি না। তাই নিজের স্বার্থে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে মিলে রাস্তাটি সংস্কার করছি।’
ভাঙা সড়কের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন বলেন, ‘সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছিলাম। এরপর সেই সড়কটি সংস্কার করার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে, তবে সড়কটি বালু ভরাটের পানির কারণে রাস্তাটি ভেঙেছে, এমনটা আমাদের জানা ছিল না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টির আবহ সহসাই বন্ধ হচ্ছে না। আরও সাতদিন অর্থাৎ চলমান অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত মোটামুটি সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া বার্তায় আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য