ভোলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর তার শিশুসন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই নারী ও তার স্বামীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন।
ওই নারীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা কেটে চারজন ঘরে ঢুকে ওই নারীকে হাত-পা, মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সন্তান কেঁদে উঠলে শিশুটির মুখ চেপে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলা হয়। তবে ঘটনার সময় ওই নারীর স্বামী ওই ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন।
দুর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় এক ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ওই নারীর গোঙানি শুনে পাশের ঘর থেকে শাশুড়ি এসে তার ছেলেকে ডেকে তোলেন। এরপর তারা ঘরের মেঝেতে তাকে হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় পান।
স্বামী ও শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তারা ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
ওসি এনায়েত হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা হবে। এরই মধ্যে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এমন স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।’
পরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ পরিবারের ১২ সদস্যের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দিয়েছে।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাই ওসমান গণি ও তার স্ত্রী ফারজানা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান এবং অজ্ঞাত মিশকাত আহমেদ।
এদিন দুদকের মো. নূর ই আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী আবেদনের ওপর সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রীকে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন জানান।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে সাবের চৌধুরীকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক দফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।
হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এ সময় মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
দুর্গাপূজার আগে দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, এ উৎসবে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা।
প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ উৎসব নিশ্চিত করতে আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিঘ্ন উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘সব পূজামণ্ডপে ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসব উদযাপন করা হবে।’
আইজিপি তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘পূজা সামনে রেখে আমরা প্রতিটি জায়গায় টহল বাড়িয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আনসার ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় ও নৌ অঞ্চল মনিটরিং করছে কোস্টগার্ড ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট।’
আইজিপি বাধাবিপত্তির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, বিশেষত সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধে সাইবার নজরদারি বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, ‘এখানে বিশৃঙ্খলার কোনো জায়গা নেই। কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ কর্মকর্তা আরও জানান, নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকরা উৎসব চলাকালীন যেকোনো ঘটনা বা উদ্বেগের কথা জানাতে পারেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে সোমবার সকাল ৯টার দিকে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মাসুদুল ইসলাম।
তিনি জানান, বেলা দেড়টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ মোহাম্মদ আসমাইন (১৩) কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার করিমুল হকের ছেলে। সে কক্সবাজার ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
নিখোঁজের স্বজনদের বরাতে মাসুদুল ইসলাম জানান, সকালে কক্সবাজার সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে মোহাম্মদ আসমাইনসহ ছয় বন্ধু সাগরে গোসলে নামে। একপর্যায়ে স্রোতের টানে তিনজন ভেসে যায়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত অন্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের উদ্ধারে নামেন।
লাইফগার্ড কর্মীরা দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অপর একজন ভেসে যায়। পরে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধানে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিচ কর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীদের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। বেলা দেড়টার দিকে নিথর অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ।
বৃষ্টি না হওয়ায় রোববার দুপুরের পর থেকে উন্নতির লক্ষণ স্পষ্ট হতে থাকে।
জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে।
পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী নদীর পানি ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল।
কমেনি দুর্ভোগ
জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ। এখনও প্রতিটি এলাকায় খাদ্য সংকট রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
জেলার অনেক দুর্গম এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি। আর বিশুদ্ধ পানির সংকট ও শৌচাগারের সমস্যা তো রয়েছেই।
ফসলহানি ও মাছের ঘেরের ক্ষতি
কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া এক হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলায় মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ছয় হাজারেরও বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে সব হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষক ও মৎস্যচাষিরা।
বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্যার কারণে অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলেজ বন্ধ রয়েছে।
জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যার শিকার হয়েছে ৩০১টি। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
‘যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।’
জেলায় মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি, কলেজসহ ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেজওয়ান বলেন, ‘বন্যার জন্য আমাদের শেরপুর জেলায় প্রায় ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। আমরা প্রতিনিয়ত সেগুলোর তথ্য রাখছি। পানি কমে গেলে সেগুলো খুলে দেয়া হবে।’
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সব জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এ কাজে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে আমরা এ দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।’
ডিসি জানান, এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়। আরও ২৫ হাজারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যে পাঁচ হাজার পাওয়া গেছে, তা বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন:খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় রোববার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে রোববার সন্ধ্যায় সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিছুদিন পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যু হলে তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
মন্তব্য