× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
কাজ হারিয়ে দিশেহারা মানুষ
google_news print-icon

কাজ হারিয়ে দিশেহারা মানুষ

কাজ-হারিয়ে-দিশেহারা-মানুষ
চা-শ্রমিক রাশেদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। ছেলেমেয়ে মিলে ছয়জনের সংসার। আমিসহ দুই ছেলেও রোজগার করে। করোনায় ছেলেদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। আমার সামান্য আয় দিয়ে স্বামীর ওষুধ এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেয়া সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।

উত্তরের এই জেলায় বিপুলসংখ্যক মানুষ নদী থেকে ও ভূগর্ভস্থ পাথর সংগ্রহ করে জীবন-জীবিকা চালান। এ ছাড়া চা-বাগানের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পাথরভাঙা শিল্পের ওপরে নির্ভরশীল। এ ছাড়া সমতলের চা-বাগানে কাজ করেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা এলাকার চা-শ্রমিক রাশেদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। ছেলেমেয়ে মিলে ছয়জনের সংসার। আমিসহ দুই ছেলেও রোজগার করে। করোনায় ছেলেদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। আমার সামান্য আয় দিয়ে স্বামীর ওষুধ এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে।’

জেলার হতদরিদ্র মানুষের একটি বড় কর্মক্ষেত্র ছিল তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।

সেখানে আমদানি করা পাথর ভাঙার কাজ করতেন কয়েক হাজার মানুষ। করোনার কারণে বন্দরে পাথর-বাণিজ্য সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে বড় পরিসরের কাজ হারিয়েছেন এসব মানুষ।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে গেছে। তাই সীমিত পরিসরে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। কোয়ারিতে ৪০০ শ্রমিকের জায়গায় এখন ৫০ জন কাজ করছেন।’

তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা বলেন, ‘বাংলাবান্ধা থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নদীপাড়ের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা নদীর পাথর সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে। করোনার কারণে পরিবহন সমস্যা এবং ব্যবসায়ীদের আর্থিক সমস্যার কারণে পাথর উত্তোলন, কেনাবেচা বর্তমানে সীমিত হয়ে গেছে।’

তেঁতুলিয়া সদরের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান বলেন, ‘দরিদ্র এই অঞ্চলের মানুষের আয়ের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে মহামারির কারণে। এই অঞ্চলের সমতলের চা-বাগানে কাজ করে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক। মহানন্দা নদীর পাথর উত্তোলন করতে আসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ১০ হাজার শ্রমিক। এ ছাড়া বন্দরে পাথর ভাঙার কাজ করে নারী-পুরুষ মিলিয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক। ভারতীয় সীমান্ত হওয়ার কারণে এই এলাকায় করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সব কর্মক্ষেত্র প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে অভাবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।’

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার এই দুর্যোগের সময় জেলার পাঁচটি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন অভাবী এবং কর্মহীন মানুষের তালিকা করে প্রত্যককে অর্থ এবং খাদ্যসহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বতিভাবে এ বিষয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য কেউ ৩৩৩ নম্বরে কল করলে দ্রুত খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার ৩২০
শাস্তির চেয়ে সচেতনতায় মনোযোগী সেনাবাহিনী
অমান্য শাটডাউন, ফরিদপুরে একদিনে ৯ মৃত্যু
সড়ক ফাঁকা, বাজারে গাদাগাদি
শাটডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য: ঢাকায় আটক বেড়ে ৫৫০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Pavement on damaged road culverts

ক্ষতবিক্ষত সড়ক, কালভার্টে সাঁকো বানিয়ে চলাচল

দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ
ক্ষতবিক্ষত সড়ক, কালভার্টে সাঁকো বানিয়ে চলাচল

ইটের খোয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারদিকে। বিধ্বস্ত সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কোনো চিহ্ন নেই। সড়কের বহু স্থান ভেঙে মিশে গেছে পাশের জমির সঙ্গে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি কালভার্ট। সেখানে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন মানুষজন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে মদুনা জঙ্গল সড়কের এমন দশা। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে তীব্র বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর স্রোতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাকা সড়ক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ মাস আগেও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। চলাচল করত ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা সবই। সড়কটি চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া এবং উরকিরচর ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। নোয়াপাড়া, উরকিরচর ও হাটহাজারীর মদুনাঘাটের মানুষজন এই সড়ক ব্যবহার করতেন। সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার তিন মাস পার হলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। কালভার্টটিও পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে কোনো রকমে হেঁটে চলাচল করেন গ্রামের শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষজন। তবে কালভার্ট ভাঙা থাকায় ওই পথে গাছ ফেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। গত সপ্তাহে টানা দুদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে ভাঙা কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপারের উপযোগী করেছেন স্থানীয় গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষসহ গ্রামবাসী যাতায়াত করছেন। অসমান খোয়া ছড়ানো সড়কে হেঁটে চলাচলও কষ্টকর। সড়কে কথা হয় মুহাম্মদ ইব্রাহিম নামের স্থানীয় একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু, নারী এবং বয়স্করা চলাচল করতে ভয় পান। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। একরকম অবরুদ্ধ হয়ে বসবাস করছি আমরা।’ স্বেচ্ছাশ্রমে কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানানোর কাজে অংশ নেন গাউসিয়া কমিটির তানভীর আলম ও মুহাম্মদ জাবেদ। তারা বলেন, ২৫ জন গাউসিয়া কমিটির সদস্য দুদিন কাজ করে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। দীর্ঘ তিন মাস এই সড়কে চলাচল বন্ধ ছিল। নিরুপায় হয়ে নিজেরাই সাঁকো তৈরির কাজে হাত দেন। তাদের কাজে গ্রামের মানুষও বাঁশ, গাছ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।’ সড়কের এই দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন। গত ৩ অক্টোবর দুপুরে কয়েকশ গ্রামবাসী সড়ক সংস্কার ও ভাঙা কালভার্টে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। তারা বলেছেন, সরকার ১৫ বছরে সড়ক ও সেতুর উন্নয়নে তাদের এলাকায় কিছু করেনি। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ পারভেজ বলেন, মদুনা জঙ্গল উপজেলার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এলাকা। এখানকার সড়কটি উরকিরচর ইউনিয়ন ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। এটি দ্রুত সংস্কার হওয়া জরুরি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা সড়কে আরসিসি ঢালাইসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। তবে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই মদুনা জঙ্গল সড়কও সংস্কার হয়নি বরাদ্দ অনুমোদন হলে শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে।’

মন্তব্য

সারা দেশ
A colorful rally and gathering in Rangamati on the occasion of the 47th anniversary of the Juba Dal

যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ

যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহরের পৌরসভা চত্ত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি শহরের কাঁঠালতলী, বনরুপাসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর নবীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম পরিচালনায় সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম পনির, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউছুপ, পৌর বিএনপির সভাপতি শফিউল আজম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল মোস্তফা, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তুলে ধরে বক্তারা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবদলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রকমের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে জেলা যুবদলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Workers protest demanding opening of closed factories of Uttara EPZ

উত্তরা ইপিজেডের বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

উত্তরা ইপিজেডের বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) এর বন্ধ চারটি কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইপিজেডের সামনে আসেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এক পর্যায়ে তারা ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না। অসুস্থতার কারণে ছুটি চাইলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ (ওভারটাইম) করলেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের। শ্রমিকরা জানান, আজ তারা শুধুমাত্র ইপিজেডে কারখানাগুলো পুনরায় চালুর দাবিতে একত্রিত হয়েছেন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বহিরাগতরা তাদের উপর হামলা চালায়।

এর আগে গত রোববার শ্রমিক অসন্তোষের জেরে উত্তরা ইপিজেডের দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে কর্তৃপক্ষ।

নোটিশে বলা হয়,গত গত শনিবার কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্যান্য শ্রমিকদেরও কাজে বাধা দিয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। এর ফলে উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে এবং যেকোনো দাবি–দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও তারা নির্দেশ অমান্য করে কাজ বন্ধ রাখেন। শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় আইন অনুযায়ী চারটি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

সারা দেশ
The 47th anniversary of Jubo Dal was celebrated in Nilphamari

নীলফামারীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নীলফামারীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নীলফামারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের পৌর সুপার মার্কেটস্থ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি। এরপর বেলা ১১টায় পৌর সুপার মার্কেট চত্বরে জেলা যুবদলের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। জেলা যুবদলের সভাপতি এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল পারভেজ, মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু ও রিয়াজুল ইসলাম কালু বক্তৃতা দেন। সভা পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী তরুণ সমাজই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে, আর তাই আসন্ন নির্বাচনে যুবদলের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দায়িত্বশীল, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান তিনি।’

আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপিসহ যুবদলের সকল ইউনিটের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Keshavpur Ramchandrapur road is submerged in water and the locals are suffering

কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

কাজে আসছে না ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ
কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদরের সাথে কেশবপুর-ভায়া রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করলেও নদী দুপাড়ের সংযোগ সড়কটি বন্যার পানির পানিতে ভেসে যাওয়ায় ১০টি গ্রামের শত শত পরিবারের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গত ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই বাইপাস সড়কের হরিহর নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের বন্যায় কেশবপুর উপজেলা সদর ৬নং ইউনিয়নের কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানির তোড়ে ভেসে যায়। এতে গত ১০ বছর ধরে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় ১০টি গ্রামের মানুষ ও যান চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার মানুষের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা সদরে যেতে তাদের প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর বাইপাস সড়কসহ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যার সুফল ভোগ করছিল কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রহ্মকাটি এবং সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, বেলকাটি, ব্যাসডাঙ্গাসহ মনিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ, মুজগুন্নী ও বাডবিলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে খাল ও নদী খননসহ ঘের নির্মাণ করার ফলে গত ১৫ বছর ধরে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এরমধ্যে কেশবপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ড ৬ মাস জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। এতে এলাকার রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। বর্তমানে কেশবপুর ভায়া রামচন্দপুর সড়কটির সিংহভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে সড়কের ওপর মাছ ও হাঁস চাষ করছে এলাকার লোকজন। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যকুল গ্রামের শাহীন দফাদার ও আব্দুস সোবাহান ড্রাইভার বলেন, বিগত বন্যায় কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি ভেসে গিয়ে গত ১০ বছর যাবত মানুষ চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারসহ উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য তারা দাবি জানান।

কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. নাযিমুল হক বলেন, ‘কেশবপুরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেশবপুর ভায়া রামচন্দ্রপুর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ লক্ষ্যে হরিহর নদীর ওপর ২০২৩ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় এলাকার মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত। এছাড়া সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করার জন্য যশোর উন্নয়ন প্রকল্প ডিপিপি ভুক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। যার অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সারা দেশ
In Kurigram a public signature was held to implement Kachakata Thana as an upazila

কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবিতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবিতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানাকে প্রশাসনিক উপজেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে কচাকাটা উপজেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে কচাকাটা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, কৃষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবী মানুষ গণস্বাক্ষরে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কচাকাটা থানাকে উপজেলা করার দাবিতে আন্দোলন করছে স্থানীয়রা।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আলোচনা সভায় সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মেদ বাচ্চু ব্যাপারীর সভাপত্বিতে বক্তব্য দেন কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আ.খ.ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ, কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, সমাজকর্মী আনিসুর রহমান তোলা ব্যাপারী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে কচাকাটা থানাকে ৪টি নদ-নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ, শংকোশ, দুধকুমার, গঙ্গাধর নদী পাড়ি দিয়ে অথবা সড়ক পথে নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পথ অতিক্রম জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

কচাকাটা ইউনিয়নের আয়তন ২৬.৪০ বর্গকিলোমিটার, বল্লভেরখাস ইউনিয়ন-৩৩.৩৯ বর্গকিলোমিটার, নারায়ণপুর ইউনিয়ন ০৭.৮৪ বর্গকিলোমিটার, কেদার ইউনিয়ন-২৪.৪৭ বর্গকিলোমিটার, বলদিয়া ইউনিয়ন ৩৫.৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং বামনডাঙ্গা, কালীগঞ্জ ইউনিয়ন অংশ নিয়ে কচাকাটা থানা ২০০৩ সালে গঠিত হয়। এই থানার অধীনে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।

মন্তব্য

সারা দেশ
Farmers dream of eating green rice in Narsingdi

নরসিংদীতে সবুজ ধানের খেতে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

নরসিংদীতে সবুজ ধানের খেতে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

নরসিংদী জেলার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু আমনের খেত, এ যেন সবুজের সমারোহ। আর এই সবুজ ধান গাছে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সোনালি ধানের শীষ ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষক-কৃষাণির শূন্য গোলা। পাশাপাশি তাদের মুখে ফুটে উঠবে হাসির ঝিলিক।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৬ হাজার ৯০৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখানে ৪১ হাজার ৬৯ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১৬০ হেক্টর বেশি। তার মধ্যে ৩৬ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে উফশী এবং ৪ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৬ টন।

উপজেলাওয়ারী হিসেবে নরসিংদী সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৬০ হেক্টর, শিবপুরে ৯ হাজার ৩৪৯ হেক্টর, পলাশে ৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর, বেলাবতে ৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর, মনোহরদীতে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর এবং রায়পুরায় ৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, নরসিংদী জেলার ৭ হাজার ৫০০ জন কৃষকের মধ্যে প্রণোদনাস্বরূপ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ ও রোগবালাই কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। প্রতিটি ধান খেতে ধানের শীষ উঁকি দিচ্ছে। কৃষকরা তাদের ধানের জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আমিরগঞ্জ গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুল রশিদ জানান, এ বছর তিনি তার ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। এ সময় তিনি তার জমির সুস্থ-সবল সবুজ ধান গাছে হাত নাড়াচাড়া করছিলেন। এমন সুন্দর ধান খেত দেখে তার মন খুশিতে ভরে উঠেছে।

হাসনাবাদ গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা উপকৃত।’ নরসিংদী সদর উপজেলার মহিষাশুড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক দেলোয়ার হোসেন, করিমপুর গ্রামের কৃষক রাজু মিয়া, রসুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেক কৃষকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমন ধান গাছের চেহারা অনেক সুন্দর হয়েছে। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে।

নরসিংদী সদর এবং রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকের নিচু জমিগুলো আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, বাজারে ধানের পর্যাপ্ত মূল্য না থাকায় তারা হতাশ। তারা জানান, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, যে পরিশ্রম করা হয়, সে তুলনায় ধানের মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে অনেক চাষি তাদের জমিতে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সরকারের কাছে তাদের দাবি, যেমন করে সার, বীজ ও কীটনাশকের ঘাটতি মেটানো হয়েছে, তেমনি করে তাদের উৎপাদিত ধানের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করলে প্রান্তিক চাষিদের দুঃখ-দুর্দশা মুছে যাবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

মন্তব্য

p
উপরে