× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
শাটডাউন বিয়ে বাড়ির খাবার পেলেন দুস্থরা
google_news print-icon

শাটডাউন: বিয়েবাড়ির খাবার পেলেন দুস্থরা

শাটডাউন-বিয়েবাড়ির-খাবার-পেলেন-দুস্থরা
‘৪০০ মানুষকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, যা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু বিয়েটি পূর্বপ্রস্তুতিমূলক এবং সব দিক বিবেচনা করে শুধু ছেলেপক্ষ এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে, এমন সুযোগ দিয়ে বিয়ে করতে বলা হয়েছে। খাবার রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। তাই সেগুলো যেন নষ্ট না হয়, তাই আশপাশের গরিব দুস্থদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিতে বলা হয়েছে।’ 

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে একটি বিয়ের ভোজ বন্ধ করে খাবার দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে বিয়েতে বাধা দেয়া হয়নি। সংক্ষিপ্ত আয়োজনে বিয়ে পড়িয়ে কনেকে নিয়ে বাড়ি যায় বরপক্ষ।

শুক্রবার দুপুরে পাটাভোগ ইউনিয়নের জশুরগাঁও গ্রামে নিমাইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পাটাভোগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই মো. বাবু ও স্থানীয় বাসিন্দা বাঁধন আক্তারের বিয়েকে কেন্দ্র করে সেখানে ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধে এ ধরনের আয়োজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বাইরে আসতে বলেছে প্রশাসন। আর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে এলে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

এবার সরকার যে কঠোর অবস্থানে, তা সেনাবাহিনী মোতায়েনেই স্পষ্ট। আর প্রথম দিন কেবল রাজধানীতে ৫৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, ‘৪০০ মানুষকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, যা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু বিয়েটি পূর্বপ্রস্তুতিমূলক এবং সব দিক বিবেচনা করে শুধু ছেলেপক্ষ এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে, এমন সুযোগ দিয়ে বিয়ে করতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কনেপক্ষ তাদের প্যান্ডেল নিজেরাই খুলে ফেলেছে। আর খাবার রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। তাই সেগুলো যেন নষ্ট না হয়, তাই আশপাশের গরিব-দুস্থদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিতে বলা হয়েছে।’

লকডাউনের সময় আর কোথাও যেন কোনো অনুষ্ঠানে রান্না না করেন, সে জন্য বাবুর্চিকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে জুমায় মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি
শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা
শাটডাউনে আটকদের ছাড়াতে থানায় ভিড়
শাটডাউনে বাইরে এসে রাজধানীতে আটক ৪৯৭
লকডাউনে ঘোরাঘুরি: রাজধানীতে আটক ২৪৯

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

সারা দেশ
Matabari Power Plant Project Luxury

মাতাবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রকল্প বিলাস’

মাতাবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রকল্প বিলাস’ শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ছবি: নিউজবাংলা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মাতারবাড়ি প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্র বন্দর, শিল্প-কারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার, যাতে তা মানুষের কাজে আসে।

ফাওজুল কবির খান জানান, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ দিনের কয়লা মজুদ আছে। খুব শিগগির এ সংকটের সমাধান করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছান। পরে তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসটিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন:
গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
পল্লী বিদ্যুতের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার: পুলিশ
খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬ গেট
কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব গেট খোলা হবে যেকোনো সময়
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আপাতত বাড়ছে না

মন্তব্য

সারা দেশ
The murder case against journalists is a violation of the interim governments promise

‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’

‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। এই প্রবণতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সম্পাদক পরিষদ। একইসঙ্গে বলেছে, এই প্রবণতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

শনিবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের এখনও অব্যাহত। সম্পাদক পরিষদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতিরও লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

সম্পাদক পরিষদ আরও জোর দিয়ে বলে, পেশাদারত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। যেসব সাংবাদিক বিগত সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার নামে সমর্থন দিয়েছেন, প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান হতে পারে।

দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তাদের সাজা হতে পারে। তাদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে বিচার চলতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময়ে ডিএসএ বা সিএসএসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন ও হয়রানিমূলক আটক-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের যে প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।

যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেয়ার আহ্বান জানায় সম্পাদক পরিষদ।

মন্তব্য

সারা দেশ
A long way to go to build a strong democracy Tariq Rahman

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনও অনেক দূর এগুতে হবে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার বিকল্প নেই।

‘আমরা এ ধরণের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ- যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। এর ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপোষহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণআকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে বার বার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপর দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।’

‘সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা’- এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৬/১৭ বছরে কোটি কোটি ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হয়েছে ভুয়া ভোটার দিয়ে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

‘দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কতৃর্ত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক, মানসিক বিকাশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে নস্যাৎ করা হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

‘ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’

আরও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে: তারেক রহমান
বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল: তারেক রহমান
গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ: তারেক
গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আইনগত বাধা দূর
নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

মন্তব্য

সারা দেশ
Donald Lu has arrived in Dhaka

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিনদিনের ভারত সফর শেষে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

কূটনৈতিক সূত্র ‌এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের পরিচালক সামিয়া ইসরাত রনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড লু’কে স্বাগত জানান।

এর আগে শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটিই ঢাকায় কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের প্রথম সফর।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আগামীকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে প্রতিনিধি দল প্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে লু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কর ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন
লুর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে আজ, আলোচনা হবে বহুমাত্রিক
বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল
ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

সারা দেশ
Reforms will continue in future under interim government Moin Khan

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুসরণে ভবিষ্যতেও সংস্কার চলবে: মঈন খান

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুসরণে ভবিষ্যতেও সংস্কার চলবে: মঈন খান শনিবার নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তবে ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’

সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কার করবে, আগামী দিনে সেগুলো আবার সংস্কার করা হবে।

শনিবার নরসিংদীর ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চার শহীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।

‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠিয়ে তারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা এদেশে হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।’

মঈন খান বলেন, ‘মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে তারা। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেকে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এ দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এই মানুষগুলো তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে।’

মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা ও নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ আজ ডামি সোনার বাংলা: মঈন খান
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে আ.লীগ সরকার: মঈন খান
নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান
প্রহসনের নির্বাচন করে আ.লীগ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না: মঈন খান
দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করা হয়েছে: মঈন খান

মন্তব্য

সারা দেশ
Former Home Ministers son Jyoti is on remand for four days

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চারদিনের রিমান্ডে

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চারদিনের রিমান্ডে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতি। ছবি: সংগৃহীত
আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে শনিবার ভোরে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ড চাইলে চারদিন মঞ্জুর করা হয়।

ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।

শনিবার তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ৪ নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন সাফি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

মন্তব্য

p
উপরে