× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ফুলগাজী ও পরশুরামে ১০ গ্রামে এখনো পানি
google_news print-icon

ফুলগাজী ও পরশুরামে ১০ গ্রামে এখনো পানি

ফুলগাজী-ও-পরশুরামে-১০-গ্রামে-এখনো-পানি
পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার নদী দুটির পানি বিপৎসীমার প্রায় ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও পরশুরামে কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে আমনের বীজতলা, মাছের ঘেরসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফুলগাজী উপজেলায় ৯টি এবং পরশুরামে একটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

গ্রামগুলো হচ্ছে, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, জয়পুর, বৈরাগপুর, উত্তর বরইয়া, উত্তর শ্রীপুর এবং পরশুরামের সাতকুচিয়া গ্রাম।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার নদী দুটির পানি বিপৎসীমার প্রায় ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তপন বৈদ্য জানান, তার ঘর থেকে এখনো পানি নামেনি। প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে এভাবেই ভেসে যায় ঘর, বাড়ি, ফসলি জমি। এর স্থায়ী সমাধান চান তারা।

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, বারবার বাঁধ ভাঙার বিষয়টি দুঃখজনক। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
৩৭৫ কোটি টাকার বাঁধ, সংস্কারেই গেছে ১৮০ কোটি
মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধের ৩ জায়গায় ভাঙন
২৩ বছরে পাঁচবার ধস শতবর্ষ স্থায়িত্বের বাঁধে
মেঘনায় চাঁদপুর শহর বিলীন হওয়ার শঙ্কা
ডিমলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে চার শ পরিবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

সারা দেশ
Matabari Power Plant Project Luxury

মাতাবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রকল্প বিলাস’

মাতাবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রকল্প বিলাস’ শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ছবি: নিউজবাংলা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মাতারবাড়ি প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্র বন্দর, শিল্প-কারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার, যাতে তা মানুষের কাজে আসে।

ফাওজুল কবির খান জানান, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ দিনের কয়লা মজুদ আছে। খুব শিগগির এ সংকটের সমাধান করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছান। পরে তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসটিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন:
গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
পল্লী বিদ্যুতের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার: পুলিশ
খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬ গেট
কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব গেট খোলা হবে যেকোনো সময়
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আপাতত বাড়ছে না

মন্তব্য

সারা দেশ
Former Home Ministers son Jyoti is on remand for four days

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চারদিনের রিমান্ডে

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চারদিনের রিমান্ডে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতি। ছবি: সংগৃহীত
আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে শনিবার ভোরে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ড চাইলে চারদিন মঞ্জুর করা হয়।

ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।

শনিবার তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ৪ নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন সাফি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

মন্তব্য

সারা দেশ
BNP wants to show the strength of the field in Sylhet
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম সমাবেশ কাল

সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি

সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি
আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সিলেটে একেবারেই কোণঠাসা ছিলো বিএনপি। হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজপথে কর্মসূচিতেও আসত বাধা। মামলা-গ্রেপ্তারের ভয়ে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে পদধারী নেতারাও থাকতেন অনুপস্থিত।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এসব প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাকর্মী-সমর্থকরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন কারাবন্দি নেতারা। ফলে দীর্ঘদিন পর সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। বিকেলে নগরে শোভাযাত্রা ও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।

ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি।

শেখ হাসিনার পতনের সিলেটে বিএনপির এটিই প্রথম সমাবেশ।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে চায় দলটি। এছাড়া মাঠ নিজেদের দখলে রাখাও লক্ষ্য। সমাবেশ থেকে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবি জানানো হতে পারে।

জানা যায়, রোববার বেলা ২টায় শুরু হবে শোভাযাত্রা। সেটি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য দেবেন।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, সমাবেশ সফল করতে সিলেট শহরজুড়ে ছয়টি টিম প্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও বিভাগের প্রতিটি উপজেলা, মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলটির নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সিলেট জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলরা কাজ করছেন।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে জেলা ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি সভা করেছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা-সমাবেশ সফল করতে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতন্ত্রকামী দল। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। এই ধারাবাহিক লড়াই ও ছাত্র-জনতার বিস্ফোরণের মুখে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা। দ্রততম সময়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন৷ গণতন্ত্র দিবসে আমরা এসব দাবিই জানাব।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমরা সিলেটের রাজপথে সবসময়ই সক্রিয় ছিলাম। তবে এখন ফ্যাসিস্টরা পালিয়েছে, পুলইশ নির্যাতনের ভয়ও নেই। তাই রোববারের সমাবেশে বিপুল জমায়েতের আশা করছি আমরা।’

এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বড় জমায়েত করে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে নভেম্বরে নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বড় সমাবেশ করে দলটি। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এটি ছিলো প্রায় নয় বছর পর সিলেটে বিএনপির বড় সমাবেশ। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর নির্বাচনের আগে সিলেটে মহাসমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নেতাদের গাড়িবহর পরিহারের নির্দেশ বিএনপির
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
নির্বাচন কমিশন ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

মন্তব্য

সারা দেশ
The bodies of two more fishermen washed up on Inani beach

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ ফাইল ছবি।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে।

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় কক্সবাজারে উখিয়ার ইনানী সৈকতে ভেসে এসেছে আরও দুই জেলের মরদেহ। এ নিয়ে দুদিনে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে বলে জানান ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম।

তাদের মধ্যে আব্দুল করিম নামের এক জেলের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

আব্দুল করিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বাঁশখালীর বাসিন্দা আবুল বশরের মালিকানাধীন এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারের জেলে ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ পয়েন্টে ভেসে আসা দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট থেকে অপর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, শনিবার দুপুরে ইনানী সৈকতে দুটি মরদেহ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

ট্রলারটির মালিকের বরাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে ১১ জন জেলে ছিল। ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ইনানী সৈকত সংলগ্ন সাগরে ডুবে যায়। এতে ৯ জন জীবিত উদ্ধার হলেও দুজন নিখোঁজ ছিলেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Death toll rises to 6 in Sitakunda shipyard blast

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ৬

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ৬
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় তেলের ট‍্যংকার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতুল্লাহ মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোরের দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় তেলের ট‍্যংকারে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতুল্লাহ মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোরের দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে আল-আমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জন।

বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া জাহাঙ্গীরের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালি থানার বেতকা গ্রামে। তার বাবার নাম আবেদ আলী হাওলাদার। আর বরকতুল্লাহ বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আলমগীর সওদাগর গ্রামে। তিনি মোহাম্মদ আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা জাহাজ কাটার শ্রমিক ছিলেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার ভোরে বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউ-তে মারা যান দু’জন। জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ওই বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন বার্ন ইউস্টিটিউট চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির তেঁতুলতলার এসএম শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে আটজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসার পথেই আহমাদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এর আগে বার্ন ইনস্টিটিউটে গত রোববার খাইরুল, সোমবার হাবিব ও পরে আল-আমিন নামে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একজনের মৃত্যু
দগ্ধ ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, সাতজনকে ঢাকায় প্রেরণ
চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে ১২ শ্রমিক দগ্ধ

মন্তব্য

সারা দেশ
The young man was walking around with blood on his body after killing his friend

বন্ধুকে খুন করে গায়ে রক্ত নিয়ে ঘুরছিলেন যুবক

বন্ধুকে খুন করে গায়ে রক্ত নিয়ে ঘুরছিলেন যুবক এক কৃষক শনিবার সকালে শালবনের পাশে ধানক্ষেত পরিচর্যার জন্য গিয়ে মরদেহের সন্ধান পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানক্ষেত থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে। ছবি: সংগৃহীত
ওসি খায়রুল আনাম জানান, রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক সাহেদকে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

উপজেলার থুমনিয়া শালবনের পাশে একটি ধানক্ষেত থেকে শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রাসেল ইসলাম সদর উপজেলার কাকডোব গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় আনিছুরের বন্ধু সাহেদকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, বন্ধুকে খুন করে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে ঘুরছিলেন সাহেদ। পরে স্থানীয়রা আটক করে গায়ে রক্তের কারণ জানতে চাইলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন। পরে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয় তাকে।

আটক সাহেদের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থুমনিয়া শালবাগানে দুই বন্ধু নেশা করতে আসেন। নেশা করা অবস্থায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সাহেদ তার বন্ধু রাসেলকে ছুরি দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ রাতেই সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহের সন্ধানে শালবনে যায়। অনেক খোাঁজাখুজির পরও মরদেহ না পেয়ে ফিরে আসে পুলিশ।

এক কৃষক শনিবার সকালে শালবনের পাশে ধানক্ষেত পরিচর্যার জন্য গিয়ে মরদেহের সন্ধান পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানক্ষেত থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি খায়রুল আনাম জানান, রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক সাহেদকে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে তিন গাড়ির দুর্ঘটনায় দুজন নিহত, আহত ৮
‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না’
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, লাঠিচার্জের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভা বয়কট সাংবাদিকদের

মন্তব্য

p
উপরে