× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
শাডডাউন জেলায় জেলায় অভিযান জরিমানা
google_news print-icon

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

শাটডাউন-জেলায়-জেলায়-অভিযান-জরিমানা
বৃহস্পতিবার শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধি নিষেধ মানাতে সারা দেশেই তৎপর ছিল প্রশাসন। ছবি: নিউজবাংলা
শাটডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে প্রথম দিনে সারা দেশেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে করা হয় মামলা, আদায় কর হয় নানা অঙ্কের জরিমানা।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়কে বেরিয়েছিলেন চালক মহিদুল ইসলাম। সিলেট নগরে কোর্টপয়েন্ট এলাকায় অটোরিকশার গতিরোধ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়।

মহিদুলের কাছে শাটডাউনের মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে জরিমানা করা হয় ৫০০ টাকা।

শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ মানাতে সারা দেশেই এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে এক সপ্তাহের শাটডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখা, গণপরিবহন বন্ধসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তবে প্রথম দিনে নির্দেশনা অমান্য করে অনেককেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়। গণপরিবহন নিয়েও সড়কে বের হন কেউ কেউ। অনেকে দোকানপাটও খুলে বসেন।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

এসব কর্মকাণ্ড রোধে দেশজুড়েই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শাটডাউন কার্যকরে দেশের সর্বত্র তাদের তৎপরতা দেখা গেছে। এ দিন দেশের ৩৫ জেলায় ২ হাজার ৮২৯টি মামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

নিউজবাংলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে সারা দেশে শাটডাউনের প্রথম দিনের চিত্র-

সিলেট: দোকান খোলা রাখা, যানবাহন সড়কে বের করা, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ শাটডাউনের বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্য করায় সিলেট বিভাগে ৬০২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা।

জেলার সব উপজেলায় ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিনভর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তারা ১৭২টি মামলা এবং ২ লাখ ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশ ৪৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০৪টি যান আটক করে। এ ছাড়া বিধিনিষেধ অমান্য করায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৫ জনকে ১১ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (কোভিড-১৯ ও মিডিয়া সেল) শাম্মা লাবিবা অর্ণব বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউন যারা মানছেন না তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই অভিযান শাটডাউন যতদিন চলবে ততদিন অব্যাহত থাকবে।’

লকডাউন কার্যকরে সিলেটের মৌলভীবাজারেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। নির্দেশনা অমান্য করায় জেলায় ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

শপিং মল, মার্কেট খোলা রাখা, গণপরিবহন ও সিএনজি চালানো, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে অবস্থান করায় এসব জরিমানা করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক।

হবিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় ১২টি। এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন, অযথা মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরিসহ নানা অপরাধে ৬৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৬১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সুনামগঞ্জে ১৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত দিনভর অভিযান চালায়। এ সময় ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বরিশাল: বিভাগের ভোলা জেলায় শাটডাউন কার্যকরে কাজ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭টি দল। লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এ সময় ৯৯টি মামলা করা হয়।

এসব মামলায় ১০৪ জনকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করা হয়। দুইজনকে দেয়া হয় পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহি চৌধুরী জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই ভোলার সাত উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

ঝালকাঠিতে লকডাউন অমান্যকারী ৪৩ জনকে ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ১৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘জনসাধারণকে লকডাউন মানাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি আমরা।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লকডাউন অমান্য করায় মামলা হয়েছে ১২৫টি। এসব মামলায় ৭৩ হাজার ৭৮০ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

বরিশাল জেলায় শাটডাউন কার্যকরে সকাল থেকে মাঠে নামে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্দেশনা অমান্য করায় এ জেলায় ৫৬টি মামলায় ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে জেলাজুড়ে। যারা অহেতুক বাইরে বের হচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’

রংপুর: শাটডাউনের প্রথম দিন বিভাগের আট জেলাতেই কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। যারা কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা।

নির্দেশনা কার্যকরে দিনভর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করেছে।

শাটডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে এই বিভাগের চার জেলায় মামলা হয়েছে ১০০টি। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৫ টাকা।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ৩৮টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২২ হাজার ৬৪৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গাইবান্ধায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন অপরাধে মামলা করে ৪৬টি। জরিমানা করে ২৫ হাজার ২৫০ টাকা। জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামে ৪ প্লাটুন সেনা, ২ প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিলেন।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

জেলায় তিন অটোরিকশাচালককে দুই দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মাস্ক না পরা এবং দোকান খোলা রাখায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ঠাকুরগাঁওয়ে ১২টি হোটেলকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জেলাতেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।

নীলফামারী জেলার এডিএম মিরাজ মুরাদ হাসান জানান, নির্দেশনা উপেক্ষা করায় ৪৭টি মামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রাজশাহী: কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সবখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

রাজশাহী শহরে জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ ছাড়া ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে দুটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছিল।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে মোট ৫০টি মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধির ১৮৬০; সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮-এর ধারায় এসব মামলা হয়।

এ সময় ৫০ জনের কাছ থেকে ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রাজশাহী মহানগর ও জেলা পুলিশও দিনভর অভিযান চালায়। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শহর থেকে ২৮টি যানবাহন জব্দ করা হয়। বিধি ভঙ্গ করে রাস্তায় বের হওয়ায় জব্দ করা এসব যানের মধ্যে রয়েছে একটি মোটরসাইকেল, দুটি পিকআপ ও ২৫টি অটোরিকশা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় ১৫টি মামলা ও ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বগুড়ায় জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। সারা দিনে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫টি মামলা করে। আদায় করা হয় ৪৯ হাজার ৯৫০ টাকা জরিমানা।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা। নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য এবং দোকানপাট খোলা রাখায় ২০ মামলায় ৯ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে ১৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ জেলায় ৭৯টি মামলায় ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসনের ১৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৯ মামলায় ১২৬ জনকে জরিমানা করে। এ সময় ১৯ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় দুটি করে মোট ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করে। সদরে এক প্লাটুন বিজিবি ভেঙে দুটি দল করা হয়। প্রতি দলে ছিলেন একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট। একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দল ছিল তিনটি। তবে এ জেলায় কাউকে আটক বা জরিমানার খবর পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ সদর, সাপাহার, নিয়ামতপুর, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা, মাস্ক না পরা ও দোকানপাট খোলা রাখায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এ সময় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলায় ৩৭টি মামলায় ১৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত সাত মামলায় ৭০০ টাকা, মুহাম্মদ ইনামুল হাসান একটি মামলায় ৫০০ টাকা, মো. উমর ফারুক ছয় মামলায় ১ হাজার ৬০০ টাকা, মো. মাসুদ রানা চার মামলায় ৪ হাজার ৭০০ টাকা, মো. জিল্লুর রহমান চার মামলায় ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেন।

এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন এক মামলায় ১ হাজার টাকা, নূরজাহান আক্তার সাথী ৯ মামলায় ১ হাজার ১০০ টাকা, ফাহমিদা আফরোজ ও প্লাবন কুমার বিশ্বাস সাত মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কুমিল্লা জেলাজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে মামলা হয়েছে ৩১১টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ না মানায় দুইজনকে তিন মাসের জন্য কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

নোয়াখালীতে মাঠে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ জেলায় প্রশাসনের ২১টি দল ১৪৭ মামলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করে।

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৫৬ জনের কাছ থেকে ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে লকডাউন নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে মাঠে ছিল জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, এ জেলায় ৭০টি মামলা হয়েছে। তবে এসব মামলার বিপরীতে কত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

রাঙামাটিতে ১২টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ টাকা।

ময়মনসিংহ: শাটডাউনের প্রথম দিনে ময়মনসিংহে মামলা হয়েছে ২৭৭টি। এসব মামলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অভিযানে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলায় ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররাও (ভূমি) অভিযান চালিয়েছেন।

এ ছাড়া ৫ প্লাটুন সেনা, ২ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ, আনসার এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সার্বক্ষণিক টহল ছিল। এ ছাড়া বিধিনিষেধ কার্যকরে মাঠে ছিল সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বের হওয়া ব্যক্তিগত যান থামিয়ে কারণ জানতে চেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদুত্তর দিতে পারলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অহেতুক চলাচলকারীদের মামলা দিয়ে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। যারা নির্দেশনা অমান্য করছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।’

নেত্রকোণায় প্রথম দিনে বিধিনিষেধ না মানায় ১৭৯ মামলায় ১৭৯ জনকে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অর্থদণ্ড দেয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান, জেলা শহরসহ ১০ উপজেলায় ২৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

শেরপুরেও সকাল থেকে মাঠে তৎপর ছিল ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও বাইরে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় ১৭৬টি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৮৬ জনের কাছ থেকে ৫২ হাজার ২০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৩৯, শ্রীবরদী ছয়, নালিতাবাড়ীতে ১১, ঝিনাইগাতী ১১ ও নকলায় ১৯ জনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

খুলনা: বিভাগের মাগুরা জেলা সদরসহ তিনটি উপজেলায় ৫৬ জনকে মামলা ও জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথক অভিযানে জরিমানা করা হয় ৩৬ হাজার টাকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২৫ মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযানে মামলা করা হয়েছে ৪০টি। এসব মামলায় ৩২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবির।

যশোরে শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ৩০ জনকে।

কুষ্টিয়ায় ৩৬ মামলায় অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে ৩৯ জনকে। তাদের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করা হয়।

বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৬ জনকে ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করে। এই জেলায় মামলা করা হয়েছে ৭৩টি।

মেহেরপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির বাইরে মাচায় বসে আড্ডা দেয়ার সময় ছয়জনের ২০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ তথ্য জানিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল আলম।

আরও পড়ুন:
শাটডাউনে আটকদের ছাড়াতে থানায় ভিড়
শাটডাউনে বাইরে এসে রাজধানীতে আটক ৪৯৭
লকডাউনে ঘোরাঘুরি: রাজধানীতে আটক ২৪৯
চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই
শাটডাউন: অলিগলিতেও পুলিশি টহল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The Islamic Movement Bangladesh organized the Ganasatha in Netrokona

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।

মন্তব্য

সারা দেশ
Six days after the disappearance the body of a young man was recovered from the Meghna river in Bhairab

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।

এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The accused in the robbery case including the murder of Bhairab arrested the accused

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।

সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
In Kurigram the people of Teesta Para are threatening to break the water even though the water is reduced

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।

সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Jhalakathi TTCs success to achieve third place across the country

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'

উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Villagers humanitarian demonstration rally to bring drug dealers under the law

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।

মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

p
উপরে