× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
শাডডাউন জেলায় জেলায় অভিযান জরিমানা
google_news print-icon

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

শাটডাউন-জেলায়-জেলায়-অভিযান-জরিমানা
বৃহস্পতিবার শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধি নিষেধ মানাতে সারা দেশেই তৎপর ছিল প্রশাসন। ছবি: নিউজবাংলা
শাটডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে প্রথম দিনে সারা দেশেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে করা হয় মামলা, আদায় কর হয় নানা অঙ্কের জরিমানা।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়কে বেরিয়েছিলেন চালক মহিদুল ইসলাম। সিলেট নগরে কোর্টপয়েন্ট এলাকায় অটোরিকশার গতিরোধ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়।

মহিদুলের কাছে শাটডাউনের মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে জরিমানা করা হয় ৫০০ টাকা।

শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ মানাতে সারা দেশেই এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে এক সপ্তাহের শাটডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখা, গণপরিবহন বন্ধসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তবে প্রথম দিনে নির্দেশনা অমান্য করে অনেককেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়। গণপরিবহন নিয়েও সড়কে বের হন কেউ কেউ। অনেকে দোকানপাটও খুলে বসেন।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

এসব কর্মকাণ্ড রোধে দেশজুড়েই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শাটডাউন কার্যকরে দেশের সর্বত্র তাদের তৎপরতা দেখা গেছে। এ দিন দেশের ৩৫ জেলায় ২ হাজার ৮২৯টি মামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

নিউজবাংলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে সারা দেশে শাটডাউনের প্রথম দিনের চিত্র-

সিলেট: দোকান খোলা রাখা, যানবাহন সড়কে বের করা, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ শাটডাউনের বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্য করায় সিলেট বিভাগে ৬০২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা।

জেলার সব উপজেলায় ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিনভর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তারা ১৭২টি মামলা এবং ২ লাখ ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশ ৪৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০৪টি যান আটক করে। এ ছাড়া বিধিনিষেধ অমান্য করায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৫ জনকে ১১ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (কোভিড-১৯ ও মিডিয়া সেল) শাম্মা লাবিবা অর্ণব বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউন যারা মানছেন না তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই অভিযান শাটডাউন যতদিন চলবে ততদিন অব্যাহত থাকবে।’

লকডাউন কার্যকরে সিলেটের মৌলভীবাজারেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। নির্দেশনা অমান্য করায় জেলায় ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

শপিং মল, মার্কেট খোলা রাখা, গণপরিবহন ও সিএনজি চালানো, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে অবস্থান করায় এসব জরিমানা করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক।

হবিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় ১২টি। এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন, অযথা মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরিসহ নানা অপরাধে ৬৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৬১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সুনামগঞ্জে ১৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত দিনভর অভিযান চালায়। এ সময় ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বরিশাল: বিভাগের ভোলা জেলায় শাটডাউন কার্যকরে কাজ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭টি দল। লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এ সময় ৯৯টি মামলা করা হয়।

এসব মামলায় ১০৪ জনকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করা হয়। দুইজনকে দেয়া হয় পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহি চৌধুরী জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই ভোলার সাত উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

ঝালকাঠিতে লকডাউন অমান্যকারী ৪৩ জনকে ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ১৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘জনসাধারণকে লকডাউন মানাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি আমরা।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লকডাউন অমান্য করায় মামলা হয়েছে ১২৫টি। এসব মামলায় ৭৩ হাজার ৭৮০ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

বরিশাল জেলায় শাটডাউন কার্যকরে সকাল থেকে মাঠে নামে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্দেশনা অমান্য করায় এ জেলায় ৫৬টি মামলায় ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে জেলাজুড়ে। যারা অহেতুক বাইরে বের হচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’

রংপুর: শাটডাউনের প্রথম দিন বিভাগের আট জেলাতেই কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। যারা কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা।

নির্দেশনা কার্যকরে দিনভর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করেছে।

শাটডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে এই বিভাগের চার জেলায় মামলা হয়েছে ১০০টি। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৫ টাকা।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ৩৮টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২২ হাজার ৬৪৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গাইবান্ধায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন অপরাধে মামলা করে ৪৬টি। জরিমানা করে ২৫ হাজার ২৫০ টাকা। জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামে ৪ প্লাটুন সেনা, ২ প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিলেন।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

জেলায় তিন অটোরিকশাচালককে দুই দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মাস্ক না পরা এবং দোকান খোলা রাখায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ঠাকুরগাঁওয়ে ১২টি হোটেলকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জেলাতেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।

নীলফামারী জেলার এডিএম মিরাজ মুরাদ হাসান জানান, নির্দেশনা উপেক্ষা করায় ৪৭টি মামলা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রাজশাহী: কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সবখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

রাজশাহী শহরে জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ ছাড়া ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে দুটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছিল।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে মোট ৫০টি মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধির ১৮৬০; সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮-এর ধারায় এসব মামলা হয়।

এ সময় ৫০ জনের কাছ থেকে ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রাজশাহী মহানগর ও জেলা পুলিশও দিনভর অভিযান চালায়। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শহর থেকে ২৮টি যানবাহন জব্দ করা হয়। বিধি ভঙ্গ করে রাস্তায় বের হওয়ায় জব্দ করা এসব যানের মধ্যে রয়েছে একটি মোটরসাইকেল, দুটি পিকআপ ও ২৫টি অটোরিকশা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় ১৫টি মামলা ও ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বগুড়ায় জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। সারা দিনে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫টি মামলা করে। আদায় করা হয় ৪৯ হাজার ৯৫০ টাকা জরিমানা।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা। নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য এবং দোকানপাট খোলা রাখায় ২০ মামলায় ৯ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে ১৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ জেলায় ৭৯টি মামলায় ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসনের ১৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৯ মামলায় ১২৬ জনকে জরিমানা করে। এ সময় ১৯ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় দুটি করে মোট ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করে। সদরে এক প্লাটুন বিজিবি ভেঙে দুটি দল করা হয়। প্রতি দলে ছিলেন একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট। একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দল ছিল তিনটি। তবে এ জেলায় কাউকে আটক বা জরিমানার খবর পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ সদর, সাপাহার, নিয়ামতপুর, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা, মাস্ক না পরা ও দোকানপাট খোলা রাখায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এ সময় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলায় ৩৭টি মামলায় ১৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত সাত মামলায় ৭০০ টাকা, মুহাম্মদ ইনামুল হাসান একটি মামলায় ৫০০ টাকা, মো. উমর ফারুক ছয় মামলায় ১ হাজার ৬০০ টাকা, মো. মাসুদ রানা চার মামলায় ৪ হাজার ৭০০ টাকা, মো. জিল্লুর রহমান চার মামলায় ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেন।

এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন এক মামলায় ১ হাজার টাকা, নূরজাহান আক্তার সাথী ৯ মামলায় ১ হাজার ১০০ টাকা, ফাহমিদা আফরোজ ও প্লাবন কুমার বিশ্বাস সাত মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কুমিল্লা জেলাজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে মামলা হয়েছে ৩১১টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ না মানায় দুইজনকে তিন মাসের জন্য কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

নোয়াখালীতে মাঠে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ জেলায় প্রশাসনের ২১টি দল ১৪৭ মামলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করে।

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৫৬ জনের কাছ থেকে ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে লকডাউন নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে মাঠে ছিল জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, এ জেলায় ৭০টি মামলা হয়েছে। তবে এসব মামলার বিপরীতে কত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

রাঙামাটিতে ১২টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ টাকা।

ময়মনসিংহ: শাটডাউনের প্রথম দিনে ময়মনসিংহে মামলা হয়েছে ২৭৭টি। এসব মামলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অভিযানে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলায় ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররাও (ভূমি) অভিযান চালিয়েছেন।

এ ছাড়া ৫ প্লাটুন সেনা, ২ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ, আনসার এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সার্বক্ষণিক টহল ছিল। এ ছাড়া বিধিনিষেধ কার্যকরে মাঠে ছিল সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বের হওয়া ব্যক্তিগত যান থামিয়ে কারণ জানতে চেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদুত্তর দিতে পারলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অহেতুক চলাচলকারীদের মামলা দিয়ে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।

শাটডাউন: জেলায় জেলায় অভিযান, জরিমানা

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। যারা নির্দেশনা অমান্য করছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।’

নেত্রকোণায় প্রথম দিনে বিধিনিষেধ না মানায় ১৭৯ মামলায় ১৭৯ জনকে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অর্থদণ্ড দেয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান, জেলা শহরসহ ১০ উপজেলায় ২৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

শেরপুরেও সকাল থেকে মাঠে তৎপর ছিল ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও বাইরে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় ১৭৬টি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৮৬ জনের কাছ থেকে ৫২ হাজার ২০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৩৯, শ্রীবরদী ছয়, নালিতাবাড়ীতে ১১, ঝিনাইগাতী ১১ ও নকলায় ১৯ জনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

খুলনা: বিভাগের মাগুরা জেলা সদরসহ তিনটি উপজেলায় ৫৬ জনকে মামলা ও জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথক অভিযানে জরিমানা করা হয় ৩৬ হাজার টাকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২৫ মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযানে মামলা করা হয়েছে ৪০টি। এসব মামলায় ৩২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবির।

যশোরে শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ৩০ জনকে।

কুষ্টিয়ায় ৩৬ মামলায় অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে ৩৯ জনকে। তাদের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করা হয়।

বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৬ জনকে ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করে। এই জেলায় মামলা করা হয়েছে ৭৩টি।

মেহেরপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির বাইরে মাচায় বসে আড্ডা দেয়ার সময় ছয়জনের ২০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ তথ্য জানিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল আলম।

আরও পড়ুন:
শাটডাউনে আটকদের ছাড়াতে থানায় ভিড়
শাটডাউনে বাইরে এসে রাজধানীতে আটক ৪৯৭
লকডাউনে ঘোরাঘুরি: রাজধানীতে আটক ২৪৯
চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই
শাটডাউন: অলিগলিতেও পুলিশি টহল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The Holy Prophet PBUH is the role model of mankind Tariq Rahman

মহানবী (সা.) মানব জাতির অনুকরণীয় আদর্শ: তারেক রহমান

মহানবী (সা.) মানব জাতির অনুকরণীয় আদর্শ: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে এক বাণীতে তারেক রহমান মহানবীর (সা.) শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। বিশ্বনবীর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীতে তারেক রহমান মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

একইসঙ্গে তিনি আখেরি নবী সাইয়্যেদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানান।

আরও পড়ুন:
শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান
স্বৈরাচার সরকার প্রধান পালালেও তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে: তারেক রহমান
জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা চায় বিএনপি: তারেক রহমান
আমাদের পরিচয় একটাই, সবাই বাংলাদেশি: তারেক রহমান
টানা দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না: তারেক রহমান

মন্তব্য

সারা দেশ
Bangladesh US comprehensive dialogue is the foundation of a meaningful relationship
পররাষ্ট্র সচিবের ব্রিফিং

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্তরে এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

দেশের আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনাকে দ্বিপক্ষীয় অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সূত্র: ইউএনবি

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় একাধিক বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থবহ সম্পর্কের একটি ভিত্তি। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্তরে এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি ভালো ভিত্তি।’

জসীম উদ্দিন বলেন, তারা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন এবং প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষতা ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘সবে শুরু হয়েছে আলোচনা। চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ আর্থিক খাতে সংস্কারের জন্য কিছু খাত চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এসব খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’

আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে জসীম বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে শ্রম ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে জানিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।’

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে। তাদের সম্মানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।

ভারত সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তাই এ ধরনের কোনো বিষয় এখানে আলোচিত হয়নি।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আগতদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন না।

‘সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময়সূচি মিলে গেলে তাদের একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেন্ট নেইম্যান, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগছে। আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমনে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রতিনিধি দলটি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে। তারা বাংলাদেশের নতুন গতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির পথে সমর্থন করে বলে জানায়।

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততাসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা।’

গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে এটিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফর।

যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে শ্রম সংস্কার, বাণিজ্য সহজীকরণ, রোহিঙ্গা সংকট এবং জিএসপি সুবিধা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

সারা দেশ
Listing of those employed in Freedom Fighters Quota Advisers

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজনের চাকরি হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ না করে যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজনের চাকরি হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ না করে যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি

ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘বিগত আন্দোলনে প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজনের চাকরি হয়েছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।’

রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না- বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। তিন হাজার সাত শ’র মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে। সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে না হবে- সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিত। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত।

‘এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন একটা পর্যায়ে যাব তখন আপনাদের ডেকে জাতিকে জানিয়ে দেয়া হবে।’

মুক্তিযোদ্ধার তালিকা রিভিউ হবে কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই হবে, যেন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। আমরা হাসি-মশকরা বা অবহেলা দিয়ে তা নষ্ট করতে পারি না।

‘এরকম গৌরবোজ্জ্বল ও ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওটাই ফিরে পেতে চান। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন নেব না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।’

আরও পড়ুন:
শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা ফারুক

মন্তব্য

সারা দেশ
Former Public Administration Minister Farhad on five day remand
গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে ফরহাদ হোসেনকে শনিবার রাতে ইস্কাটন থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ফাইল ছবি
গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে শনিবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

ফরহাদ হোসেনকে রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রুবেলসহ কয়েক শ’ ছাত্র-জনতা আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ও সাবেক এমপি ফেরদৌস এবং সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

আরও পড়ুন:
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ৭ দিনের রিমান্ডে
তৌফিক-ই-ইলাহী চার দিনের রিমান্ডে
তৃতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে ইনু
হত্যা মামলায় শাজাহান খান সাত দিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

সারা দেশ
Hasina ran away leaving the leaders to avenge her fathers death Mamunul Haque

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের রেখে পালিয়েছেন হাসিনা: মামুনুল হক রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন মামুনুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।

রোববার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে মামুনুল হক একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কীভাবে তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া যায় সেই চিন্তা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন।’

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেননি। কারণ দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিলো না। তার চিন্তায়ই ছিলো বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন।

‘প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিলোনা। তিনি দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আরেক দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেন। কারণ তিনি এ দেশের উন্নতি চাননি। দেশটাকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিলো হাসিনার রাজনীতি।’

বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা।

বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।

আরও পড়ুন:
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
আওয়ামী লীগ নাটকবাজ দল: মামুনুল হক
দুই মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুলের জামিন বহাল
দুই মামলায় হেফাজতের মামুনুলের জামিন স্থগিত
আরও ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

মন্তব্য

সারা দেশ
A case of attempted murder of Yunus and Khaleda against Hasina
পদ্মা সেতুর নিচে চুবানো ও নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি

হাসিনার বিরুদ্ধে ইউনূস ও খালেদাকে হত্যাচেষ্টার মামলা

হাসিনার বিরুদ্ধে ইউনূস ও খালেদাকে হত্যাচেষ্টার মামলা শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন- ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত। আর ড. ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত। এসব মন্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তৎকালীন সরকার প্রধান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতুর নিচে চুবানো ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতু থেকে ফেলে দেয়ার হুমকির ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে রোববার মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।’ একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে চেষ্টার অভিযোগ তুলে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন তৎকালীন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।

আরও পড়ুন:
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
নড়াইলে মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা
ফাইয়াজ হত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা
নোয়াখালীতে সাবেক এমপি একরামসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মন্তব্য

সারা দেশ
The chief adviser asked for the help of the United States in the reconstruction of the country

দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দল বৈঠকে মিলিত হয়। ছবি: পিআইডি
অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির এক গভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত ছিলাম। স্বৈরাচার সরকারের ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা আত্মসাৎকৃত ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন।

রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সফররত উচ্চ পর্যায়ের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই সহায়তা চান।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার দ্রুততার সঙ্গে অর্থনীতি পুনর্গঠন, সংস্কার ও পুনরায় সচল করার পাশাপাশি আর্থিক খাতে সংস্কার এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সময়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত বিপ্লব বাংলাদেশে নতুন আশা জাগানিয়া যুগের সূচনা করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভোট কারচুপি প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে।’

স্বৈরাচার সরকারের ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা আত্মসাৎকৃত ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির এক গভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত ছিলাম।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওয়াশিংটন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারলে আনন্দিত হবে।’

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ড. ইউনূস সরকারের বাস্তবায়নাধীন সংস্কার কর্মসূচিতে তারা প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে আর্থিক খাতের সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন নিউ ইয়র্ক সফর নিয়ে আলোচনা হয়।

ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ এবং ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জেরড ম্যাসন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

p
উপরে