× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
সারা দেশে শাটডাউন
google_news print-icon

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

চলাচল-ঠেকাতে-কঠোর-অবস্থান-সারা-দেশেই-
‘আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিনা কারণে যারাই বের হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’ শাটডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্যের প্রতিফলন ছিল সারা দেশেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। গণপরিবহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পোশাকশ্রমিকরা।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলা শাটডাউনের প্রথম দিনে বেশির ভাগ বিভাগীয় শহর ও জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাসদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কে গণপরিবহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল কম।

যানবাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বিধিনিষেধের কারণে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, প্রথম দিনে তারা সতর্ক করেছেন। এর পরও যারা নির্দেশনা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

নির্দেশনা অমান্য করায় চট্টগ্রামসহ বেশ কিছু স্থানে অনেকে আটকও হন। পরে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন।

রাজশাহী

করোনায় রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত এক মাসে প্রায় প্রতিদিনই অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এ অবস্থায় এই বিভাগে শাটডাউন বেশ কঠোরভাবেই চলছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

রাজশাহীতে বুধবার সকালে বেশির ভাগ সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। সাহেববাজার, রেলগেট, নিউমার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের। বিধিনিষেধ মানাতে এসব রাস্তায় ঘুরছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমও।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, শহরে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি মোবাইল টিম কাজ করছে। আর প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।

একই চিত্র ছিল নাটোরে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই জেলার কানাইখালি, নিচাবাজার, চকরামপুর, মাদ্রাসা মোড়ে টহল দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

শহরের প্রবেশমুখ বড়হরিশপুর বাইপাস এলাকায় বরাবরের মতোই ছিল তল্লাশি। এখানে আসা সব গাড়ি ও পথচারীকে থামিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ ও গন্তব্য জিজ্ঞাসা করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

শাটডাউন দেখতে জয়পুরহাটে সকালে অনেকেই রাস্তায় বের হন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা ফিরে যান। লোকসমাগম দেখা যায়নি বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে। বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে। সরব উপস্থিতি ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

খুলনা

খুলনা বিভাগে গত এক সপ্তাহে করোনায় ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর পর এই বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

জেলার বিভিন্ন সড়কে সকালে বাঁশ দিয়ে অবরোধ করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। বেলা ১১টা থেকে টহলে নামেন সেনাসদস্যরা। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম।

সাতক্ষীরায় শাটডাউনের নির্দেশনা মেনে সব ধরনের কার্যালয়, বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। ফাঁকা রাস্তায় চলাচল করছে কেবল জরুরি ও পণ্যবাহী যান।

যশোরে রাস্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল সত্ত্বেও দিনভর চলাফেরা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। কুষ্টিয়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল টানা বৃষ্টি। এ কারণে মানুষের চলাচল ছিল কম। রাস্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে শেডের নিচে অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বৃষ্টি ছিল মেহেরপুরেও। জেলা শহর ও উপজেলায় ছিল পুলিশের তল্লাশি। বাইরে বের হওয়া মানুষকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে সকাল থেকে সড়কে কড়া নজরদারি ছিল সেনাসদস্যদের। তৎপরতা দেখা গেছে পুলিশ ও প্রশাসনেরও।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে কোনো গণপরিবহন চলছে না। রাস্তায় বা নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জনসমাগম নেই তেমন। তবে সকাল থেকে রিকশা চলতে দেখা গেছে।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার রিকশাচালক নাছির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেইন্নেত্তুন দুই-তিনবার পুলিশর দৌড়ানি খাই। পুলিশে দৌড়াইলিও ক্যান গইজ্জুম, পেড়র জ্বালায় ত রাস্তাত থাহন পরের।’

শাটডাউনের মধ্যে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে ২১ জনকে আটক করে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আটক ব্যক্তিদের দাবি, তারা লকডাউন দেখতে বের হয়েছেন। দোষ স্বীকার করায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়কে সেনা ও পুলিশের টহলের পাশাপাশি ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতও। অন্য যানবাহন না চললেও রিকশার আধিক্য ছিল বিভিন্ন এলাকায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিনা কারণে যারাই বের হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

ফেনীর বেশির ভাগ রাস্তা প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শুরুতে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করতে জেলা-উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান।

সড়ক ফাঁকা লক্ষ্মীপুরেও। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে। যারা বের হচ্ছেন, তারা পড়ছেন জেরার মুখে।

সিলেট

সিলেট বিভাগেও শাটডাউনের প্রথম দিন ছিল তুমুল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। মাঝেমধ্যে চলতে দেখা গেছে রিকশা ও মোটরসাইকেল। মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও র‌্যাবের কয়েকটি গাড়িতে মাইক লাগিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। বিভাগের অন্য তিন জেলারও প্রায় একই চিত্র।

সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় রিকশায় থাকা দুই আরোহীকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। সেখানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। সেখানে পথচারীদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

বিধিনিষেধে বিপাকে পড়েছে দিনমজুররা। নগরের আম্বরখানা এলাকায় কাজ পেতে অপেক্ষায় থাকা দিনমজুর ইর্শাদ মিয়া বলেন, ‘ঘরে থাকলে তো আমরার পেট চলত নায়। তাই ঘর থাকি বার অইতে অয়। কিন্তু আইজ বার অইয়াও কোনো লাভ অইছে না। কামকাজ মিলছে না।’

সুনামগঞ্জ শহরে বাজার করতে বের হওয়া লোকজন ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ফরিদা বেগম বলেন, ‘লকডাউন দিয়া আমরার কষ্ট ভারি গেছে। আগে বাসার সামনে উবাইলে গাড়ি পাওয়া যাইত, এখন সকাল থকি নাই।’

মৌলভীবাজারে সকালে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের একটি বিশাল বহর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মহড়া দেয়। শহরের কুসুমবাগ মোড়ে পৌর মেয়র ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনাররা বাইরে বের হওয়া লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

রংপুর

শাটডাউনে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সড়কে যানবাহনের তেমন দেখা যায়নি। তবে অলিগলিতে কিছু রিকশা চলেছে। শহরকেন্দ্রিক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে কিছু দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষজন খুব একটা বাইরে বের হয়নি।

রংপুর জেলার আট উপজেলায় আটটি ও সিটি করপোরেশনে একটি সেনাবাহিনীর টহল দল কাজ করছে। পুলিশ ও র‌্যাব জনসচেতনতায় বিভিন্ন রাস্তায় মাইকিং করেছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

কুড়িগ্রামে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি লোকজনকে। তবে গ্রামের দিকে মানুষ হাটবাজারে বের হচ্ছেন। নীলফামারী শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দেখা গেছে পুলিশের চেকপোস্ট। পঞ্চগড়েও রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা।

তবে ঠাকুরাগাঁও ও গাইবান্ধায় শাটডাউনের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কগুলো ছিল অটোরিকশার দখলে। বেলা বাড়তে থাকলে অটোরিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেলও বাড়তে থাকে সড়কে।

বরিশাল

শাটডাউনের প্রভাব সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে।

বরিশাল জেলায় গণপরিবহন না থাকলেও রিকশা ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সড়কে লোকজনের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় টহল দিলেও অলিগলিতে রীতিমতো ছোট ছোট দলে আড্ডা দিতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সবারই এক কথা- শাটডাউন দেখতে তারা বের হয়েছেন।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনায় কঠোর অবস্থানে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। তাদের নজর এড়িয়েই অনেকে বের হয়েছেন রাস্তায়। শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাজারগুলোতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও লক্ষ্মীপুর থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে শত শত যাত্রী ভোলায় ইলিশাঘাট ভিড়েছেন। ভোলা শহরে দুপুরে নিষেধ না মেনে বের হওয়ায় দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং ২৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শাটডাউন: অলিগলিতেও পুলিশি টহল
শাটডাউন দেখতে বেরিয়ে রাজধানীতে শতাধিক আটক
রাজপথে সেনাদের টহল
বাজারে ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধি
ফেরিতে পার হচ্ছে পণ্যবাহী যান, অ্যাম্বুলেন্স

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Order to file murder case after 29 years of Salman Shahs death

সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়েরের আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা মডেল থানা পুলিশকে।

সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবিদ হাসান জানিয়েছেন।

এদিন চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় তার মায়ের রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

এ বিষয়ে সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিনের অভিযোগ এবং ঘটনায় জড়িত রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদের জবানবন্দি সংযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়েরের আদেশ দেয় আদালত।

মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা মডেল থানা পুলিশকে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Those who create sabotage and anarchy are enemies of the country and the people Prince

নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশ ও জনগণের শত্রু: প্রিন্স

নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশ ও জনগণের শত্রু: প্রিন্স সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশ ও জনগণের শত্রু, কেউ যদি ভেবে থাকেন, এসব করে নির্বাচন বিলম্বিত বা ঠেকানো যাবে বা ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনা যাবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে ওরা খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।

তিনি সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের জয়িতা মহিলা মার্কেট চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন ইউনিটের হালুয়াঘাট নিবাসী অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীদের জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যোগদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানান। যোগদানকারীরা এমরান সালেহ প্রিন্সকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী, হতেই হবে। অন্যথায় দেশ মহা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। নির্বাচনকে সফল, সার্থক ও অর্থবহ করতে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। নির্বাচনবিরোধী শক্তির মুখোশ উন্মোচন করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা কোনো কিছু ঘটা মাত্রই বলে, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নোই’, তাদের ভিন্ন মতলব আছে। আসলেও তারা নির্বাচন চায় না। আওয়ামী লীগের মতো তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়। নিজেদের ভরাডুবির আশঙ্কায় এবং বিএনপির অবশ্যম্ভাবী বিজয় ঠেকাতে কিছু দল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের মালিক মোকতার সেজে রেজিস্ট্রেশন ও মার্কা বিহীন দলের নেতারা যখন জিয়া পরিবারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয় , তখন পাগলও হাসে। জিয়া পরিবারের সাথে বিএনপি ও জাতির আবেগ জড়িত। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়া পরিবারের কয়েকজন ক্ষমতায় যাবে, একথা বলে বিএনপি ও জাতির আবেগে আঘাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়া পরিবার এই দেশ ও জাতিকে যা দিয়েছে, ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ক্ষমতার জন্য জিয়া পরিবার লালায়িত নয়। নিজেরা লাভবান নয়, জিয়া পরিবার দেশ ও জনগণ লাভবান, ক্ষমতাবান করার রাজনীতি করে। স্বাধীনতার পর যা কিছু ভালো, কল্যাণকর, তার অধিকাংশই জিয়া পরিবারের হাত ধরে এসেছে। জিয়া পরিবার বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটের অধিকার, জনগণের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান তৈরি করেছে, স্বাধীনতার মূলমন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি দলে যোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামি ফ্যাসিবাদের নির্মম ও চরম দমন নিপিড়নের মুখে আন্দোলন যখন স্থবির হয়ে পড়ছিল, তখন তারেক রহমান ও বিএনপি গণঅভ্যুত্থানে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

সকল শ্রেণি পেশার ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করা বিএনপির প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের একক দাবিদার সেজে আওয়ামী লীগ যেমন নিজেদের মতো মুক্তিযুদ্ধের বয়ান তৈরি করত, এখন গণঅভ্যুত্থানের একক দাবিদার সেজে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের একাংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে অভ্যুত্থান নিয়ে নিজস্ব বয়ান দেওয়া শুরু করেছে। বিএনপিকে অভ্যুত্থানের বিপক্ষে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এসব কারণে ছাত্র অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে নেতা-কর্মীরা পদত্যাগ করছেন, কিংবা বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।

উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্র দলের সিনিয়র সহসভাপতি নাঈমুর আরেফিন পাপনের সভাপতিত্বে ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান আসিফ, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, উপজেলা ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, যোগদানকারীদের পক্ষে ময়মনসিংহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন রতন, সোহাগ মিয়া, রাকিব খান, হালুয়াঘাট উপজেলা এনসিপির সদস্য নাসির উদ্দিন বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The plot to destroy communal harmony has been foiled by the people

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে’

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে’ অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে জনগণ। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এই দেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ এখন অনেক সচেতন, তারা এসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।’

গত রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল মহানগরীর কাউনিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসবে অংশগ্রহণ করে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারও ভক্তের অংশগ্রহণে দীপাবলি উৎসবটি পরিণত হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মিলনমেলায়।

এ সময় রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি নেতা-কর্মী ও দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পাহারার মধ্য দিয়ে উৎসবের সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে। জনগণই অপকৌশলকারীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো একটি কুচক্রী মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা করছে। যারা এসব অপকর্মে জড়িত, তারা শুধু একটি ধর্মের নয়- তারা পুরো জাতির শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। বিএনপি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’

রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ব, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষ সমান অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবে। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই হবে আমাদের লক্ষ্য।’

দীপাবলি উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা, ধর্মীয়, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, মহানগর বিএনপির সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক সুলাইমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন টিটু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন চৌধুরী, নগর স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব, নগর ছাত্রদলের সহসভাপতি ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বলসহ বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসব শেষে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণে আলো প্রজ্জ্বলন করেন এবং শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের আহ্বান জানান।

মন্তব্য

সারা দেশ
Formation of committee to investigate irregularity in distribution of rice to fishermen in Amtali

আমতলীতে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম, তদন্ত কমিটি গঠন

আমতলীতে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম, তদন্ত কমিটি গঠন আমতলীতে কার্ড হাতে জেলেরা।

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলেদের অভিযোগ তাদের নাম তালিকায় থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন বয়াতি চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ভুক্তভোগী শতাধিক জেলে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ৬ হাজার ৯৬৯ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। গত ৪ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাল বরাদ্ধ দিয়েছেন সরকার। ওই চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা চাল বিতরণে নিবন্ধিত জেলেদের চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলার ৬ হাজার ৯৬৯ জন জেলেদের মধ্যে চাওড়া ইউনিয়নে ৬৪২ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। গত রোববার ওই জেলের মধ্যে ৩০০ জেলেকে চাল দিয়ে অবশিষ্ট চাল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন বয়াতি আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ জেলে ফরিদা বেগম. আম্বিয়া বেগম ও মামুন শরীফের। চাল না পেয়ে সোমবার দুপুরে অন্তত শতাধিক জেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, উপজেলা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা অলিউর রহমান ও উপজেলা ফ্যাসিলেটেটর মাইনুল ইসলাম। জেলে মোতালেব, নুর মোহাম্মদ, জুয়েল, আনোয়ার, সুনিল চন্দ্র ও কেরামত আলী আকন বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন বয়াতি তালিকাভুক্ত অর্ধেক জেলেদের চাল দিয়েছে। অবশিষ্ট জেলেদের চাল দেয়নি। তারা আরও বলেন, আমরা চাল আনতে গিয়ে ফেরত এসেছি। চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন আমরা চাল পাব না। তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন ডান হাত-বাম হাত দিয়ে টিপসহি দিয়ে চাল বিতরণের তালিকা প্রস্তুত করেছেন।

চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হারুন বয়াতি বলেন, ‘মাস্টার রোল তৈরি করেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, যে জেলেরা অভিযোগ করেছেন তারা তালিকাভুক্ত জেলে নয়।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাসেল বলেন, ‘কমিটির গঠনের চিঠি পাইনি। চিঠির মর্মানুসারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, ‘জেলেরা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে আমার দপ্তরে এসেছিল। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলার নিবন্ধিত ৬ হাজার ৯৬৯ জন জেলের জন্যই চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Violation of brokers at BRTA office in Rajbari

রাজবাড়ীতে বিআরটিএ অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য

রাজবাড়ীতে বিআরটিএ অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ঘুষ-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) রাজবাড়ী কার্যালয়। সেখানে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দুদক অভিযান চালিয়ে রাজবাড়ী বিআরটিএর কতিপয় অসাধু কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে একই চক্র ফের তাদের কার্যক্রম আগের মতই চালিয়ে যাচ্ছে। চাহিদামতো অর্থ ছাড়া এখানকার কোনো ফাইল নড়ে না। সেবাগ্রহিতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। টাকা নেওয়ার পরও কাজ না হলেও ফেরত দেওয়া হয় না কোনো অর্থ। প্রতিবাদ করলেই দালালদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় । এ যেন নিত্যদিনের ঘটনা। তবে প্রশাসনের চোখে পড়ে না এসব অনিয়ম-দুর্নীতি।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসের সিল কন্ট্রাক্টর মো. আক্রামুজ্জামান কাছে টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকার মো. সুমন শেখ।

মো. সুমন শেখ অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে কাগজের জন্য সাড়ে আট হাজার টাকা জমা দেই আকরাম হোসেনের নিকট। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার কাগজ নিতে বিআরটিএতে আসলে আক্রামুজ্জামান আমার কাছে ব্যাংক স্লিপ চায়। এ সময় এক বছর আগের স্লিপ, আপনার কাছে জমা দিয়েছি, এখন কোথায় পাব, বললে থাপ্পর মারে। এ সময় প্রতিবাদ করলে আকরাম হোসেনসহ তার সাথে থাকা ৪-৫ জন এলোপাথারীভাবে মারধর শুরু করে। টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে এভাবে মারতে পারে না। আমি এর বিচার চাই।

মো. বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভারী থেকে হালকা করার জন্য আকরাম হোসেন ৮ হাজার টাকা দাবি করে। তাকে ৬ হাজার টাকা প্রদান করার পরও আজ ২ বছর ধরে আজ-কাল করে ঘোরাচ্ছে।

জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসে গত ৭ মে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযানে দালাল চক্রের মূলহোতা রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসের সিল কন্ট্রাক্টর ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাজীবাঁধা বেথুলিয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আক্রামুজ্জামান, দালাল চরলক্ষীপুর

গ্রামের আব্বাস আলী খানের ছেলে আশিক খান, গোপিনাথদিয়া গ্রামের রহমত আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কাজীকান্দা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মুনছুর আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো, মোস্তাফিজ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বলেন, রাজবাড়ী বিআরটিএতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি ও নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে বিআরটিএ অফিসের সিল কন্ট্রাক্টর আকরামুজ্জামানের কাছ থেকে ২৫ হাজার ৮০ টাকা, দালাল আশিক খানের কাছ থেকে ৩৩ হাজার ১শত টাকা, দালাল লিয়াকত আলীর কাছ থেকে ১৪ হাজার ২শত ৪০ টাকাসহ মোট ৭২ হাজার ৪শত ২০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসের কতিপয়

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে ড্রাইভিং লাইসেন্সসেবা

নিতে আসা গ্রহিতাদেরকে নানাভাবে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। টাকা ছাড়া কেউ লাইসেন্স করতে পারে না। আর সিল কন্ট্রাক্টর আক্রামুজ্জামানের নেতৃত্বে লিয়াকত আলী জেলার প্রতিটি এলাকায় দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এ সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসলেও তাদেরকে ফেল করানো হয়। ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।

একজন লাইসেন্স সেবাগ্রহিতা বলেন, ৩বার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দেই। তিনবারই ফেল করানো হয়। পরে একজন দালাল আমার নিকট থেকে ১৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন প্রায় দেড় বছর যাবৎ ঘুরছি। আমার কাজও করে না, আবার টাকাও ফেরত দেয় না। টাকা চাইলে উল্টো হুমকি দেয়।

এদিকে, সিল কন্ট্রাক্টর আক্রামুজ্জামান রাজবাড়ী শহরের ২নং বেড়াডাঙ্গা এলাকায় গড়ে তুলেছেন দ্বিতীয় তলা জমিসহ আলিশান বাড়ি। জাপানি টয়োটা প্রাইভেটকার, সজ্জনকান্দায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকায় কেনা দ্বিতল ভবনসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। অভিযুক্ত রাজবাড়ী বিআরটিএর সিল কন্ট্রাক্টর আক্রামুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রাজবাড়ী বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আক্রামুজ্জামান বিআরটিএর কেউ নয়, তিনি একজন বহিরাগত।

সেবাগ্রহিতাকে মারধরের বিষয়টি এডিএম স্যার আমাকে অবগত করেছেন। আমি বাইরে আছি, পরে কথা বলবো।

মন্তব্য

সারা দেশ
PCCP protests demanding justice for gang rape of Marma woman in Kaptai

কাপ্তাইয়ে মারমা নারীকে গণধর্ষণের বিচারের দাবিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ

কাপ্তাইয়ে মারমা নারীকে গণধর্ষণের বিচারের দাবিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ কাপ্তাইয়ে পিসিসিপির বিক্ষোভ।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে স্বজাতি তিন যুবকের হাতে গণধর্ষণের অভিযোগে বিচারের দাবিতে ও স্থানীয় প্রথাগত বিচারের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।

সোমবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, ৩৫ কাঠুরিয়া স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন, পিসিএনপি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের চংড়াছড়ি মুখ এলাকায় এক প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে স্বজাতি তিন যুবক— অনুচিং মারমা (৫০), কালা মারমা (৫৫) ও মং উ মারমা (৩৫)—মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধারাবাহিক যৌন নির্যাতনের ফলে ওই নারী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১৭ অক্টোবর স্থানীয় প্রথাগত রীতিতে অনুষ্ঠিত সামাজিক বিচারে অভিযুক্তদের ভিকটিমের জন্য ৩ লাখ টাকা ও সমাজের নামে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয়, একই বিচারে ভিকটিমকেও ‘সমাজের নিয়ম ভঙ্গের’ দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, যা সম্পূর্ণ অবিচার।

পিসিসিপি সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন,

‘এই বাচ্চার দায় কে নেবে? এই বাচ্চার অভিভাবক কে হবে? প্রভাবশালী একটি আঞ্চলিক দলের নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকা থাকায় ভিকটিম পরিবার ভয় ও আতঙ্কে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বলেন,

‘এটি পাহাড়ে সামাজিক বিচারের নামে নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ উদাহরণ। অপরাধীদের অর্থদণ্ড দিয়ে দায়মুক্তি দেওয়া কোনো বিচার নয়, এটি অবিচার।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় পাহাড়ের প্রভাবশালী সংগঠনগুলো—জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফ—কেউই কোনো নিন্দা জানায়নি। অথচ, কোনো বাঙালির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এসব সংগঠন সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন ও প্রচারে নামে। এই দ্বিমুখী নীরবতা প্রমাণ করে, পাহাড়ে মানবাধিকারের প্রশ্নটি অনেক সময় রাজনীতির ছায়াতলে চাপা পড়ে যায়।’

বিক্ষোভ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও প্রতিবন্ধী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Inauguration of modern CCU in Shebachim

শেবাচিমে আধুনিক সিসিইউ উদ্বোধন

হৃদরোগীদের জন্য স্বস্তির বার্তা
শেবাচিমে আধুনিক সিসিইউ উদ্বোধন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর গত রবিবার শেবাচিমে সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন করেন।

মুমূর্ষু হৃদরোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা প্রদানে সুযোগ না থাকা কার্ডিওলজি বিভাগের কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরণ এখন দৃশ্যমান। করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) দুরবস্থার অবসান ঘটিয়ে ওয়ার্ডটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর আধুনিক সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন করেন।

সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল দোতলা বিশিষ্ট আইসিও নতুন ভবন উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বিভাগ। ৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া ইউনিটটি দীর্ঘ সময় ধরে দুরবস্থা ছিল। সেই সময় থেকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের সিসিইউ বিভাগে সরকারি খাতা কলমে মোট ৮টি শয্যা থাকলেও পরে তা ১২টিতে উন্নীত করা হয়। শয্যা সংকটের কারণে রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। হাসপাতালের মূল ভবন থেকে আলাদা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তরের পর ৮টি শীতাতপ মেশিন স্থাপন করা হয়। বছর দুয়েক পর সবগুলো বিকল থাকায় অসহ্য গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে শুরু করে রোগীরা। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসক ও নার্সদের অসহযোগিতা ও অব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্ধতা চরমে পৌঁছায়। দীর্ঘদিন পর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে চালু হলো। এটি বরিশালের মানুষের বহুদিনের দাবি পূরণ করেছে। বর্তমান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মশিউল মুনীরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। সোমবার হাসপাতালের আই ব্লকে আইসিইউ ভবনের ২য় তলার পশ্চিম পাশে আধুনিক সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন শেষে হাসপাতালের ৪র্থ তলার সার্জারি সেমিনার হলে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের সভাপতিত্বে সভায় সিসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. অসিম বিশ্বাস জানান, হাসপাতাল পরিচালক স্যারের একান্ত প্রজেক্ট অনুযায়ী আধুনিক মানে নতুন করে হৃদরোগ (কার্ডিওলজি) বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিট সাজানো হয়েছে। এখানে নতুন করে আধুনিক মানের ২৪টি বেড রাখা হয়েছে। প্রতিটি বেডের সাথে কার্ডিয়াক মনিটর, অক্সিজেন, সেন্ট্রাল এসি, ৪টি নতুন টয়লেট নির্মাণ, দেয়ালের পলেস্তারা ঠিক করাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিবর্তন করা হয়েছে। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. মুনজিবা শিরিন বলেন, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ণের রূপকার আমাদের পরিচালক স্যার। রোগীদের প্রযাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে তিনি একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আধুনিক মানের ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও হেমাটোলজি ল্যাবরেটরি বিভাগ এবং অটো মেশিন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ উদ্বোধন করা হলো আধুনিক সিসিইউ বিভাগ। আমরা পরিচালক স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সভায় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, আজ আমাদের একটি আনন্দের দিন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক সিসিইউ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই বিভাগের রোগীদের আর গরমে কষ্ট করতে হবে না।

সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানে সকল সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। সিসিইউ বিভাগটি আধুনিকায়ন করার জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। সিসিইউ বিভাগ আধুনিকায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. একেএম নজমূল আহসান, সিসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. অসিম বিশ্বাস, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মাদ মাহামুদ হাসান, কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এ বি এম ইমাম হোসেন (জুয়েল), ডা. মো. মাহামুদুল হাসান, ডা. মো. আফজাল হোসেন, বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খসরু, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, মো. নাসিমুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

মন্তব্য

p
উপরে