× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
সারা দেশে শাটডাউন
google_news print-icon

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

চলাচল-ঠেকাতে-কঠোর-অবস্থান-সারা-দেশেই-
‘আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিনা কারণে যারাই বের হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’ শাটডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্যের প্রতিফলন ছিল সারা দেশেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। গণপরিবহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পোশাকশ্রমিকরা।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলা শাটডাউনের প্রথম দিনে বেশির ভাগ বিভাগীয় শহর ও জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাসদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কে গণপরিবহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল কম।

যানবাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বিধিনিষেধের কারণে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, প্রথম দিনে তারা সতর্ক করেছেন। এর পরও যারা নির্দেশনা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

নির্দেশনা অমান্য করায় চট্টগ্রামসহ বেশ কিছু স্থানে অনেকে আটকও হন। পরে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন।

রাজশাহী

করোনায় রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত এক মাসে প্রায় প্রতিদিনই অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এ অবস্থায় এই বিভাগে শাটডাউন বেশ কঠোরভাবেই চলছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

রাজশাহীতে বুধবার সকালে বেশির ভাগ সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। সাহেববাজার, রেলগেট, নিউমার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের। বিধিনিষেধ মানাতে এসব রাস্তায় ঘুরছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমও।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, শহরে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি মোবাইল টিম কাজ করছে। আর প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।

একই চিত্র ছিল নাটোরে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই জেলার কানাইখালি, নিচাবাজার, চকরামপুর, মাদ্রাসা মোড়ে টহল দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

শহরের প্রবেশমুখ বড়হরিশপুর বাইপাস এলাকায় বরাবরের মতোই ছিল তল্লাশি। এখানে আসা সব গাড়ি ও পথচারীকে থামিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ ও গন্তব্য জিজ্ঞাসা করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

শাটডাউন দেখতে জয়পুরহাটে সকালে অনেকেই রাস্তায় বের হন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা ফিরে যান। লোকসমাগম দেখা যায়নি বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে। বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে। সরব উপস্থিতি ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

খুলনা

খুলনা বিভাগে গত এক সপ্তাহে করোনায় ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর পর এই বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

জেলার বিভিন্ন সড়কে সকালে বাঁশ দিয়ে অবরোধ করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। বেলা ১১টা থেকে টহলে নামেন সেনাসদস্যরা। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম।

সাতক্ষীরায় শাটডাউনের নির্দেশনা মেনে সব ধরনের কার্যালয়, বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। ফাঁকা রাস্তায় চলাচল করছে কেবল জরুরি ও পণ্যবাহী যান।

যশোরে রাস্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল সত্ত্বেও দিনভর চলাফেরা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। কুষ্টিয়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল টানা বৃষ্টি। এ কারণে মানুষের চলাচল ছিল কম। রাস্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে শেডের নিচে অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বৃষ্টি ছিল মেহেরপুরেও। জেলা শহর ও উপজেলায় ছিল পুলিশের তল্লাশি। বাইরে বের হওয়া মানুষকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে সকাল থেকে সড়কে কড়া নজরদারি ছিল সেনাসদস্যদের। তৎপরতা দেখা গেছে পুলিশ ও প্রশাসনেরও।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে কোনো গণপরিবহন চলছে না। রাস্তায় বা নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জনসমাগম নেই তেমন। তবে সকাল থেকে রিকশা চলতে দেখা গেছে।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার রিকশাচালক নাছির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেইন্নেত্তুন দুই-তিনবার পুলিশর দৌড়ানি খাই। পুলিশে দৌড়াইলিও ক্যান গইজ্জুম, পেড়র জ্বালায় ত রাস্তাত থাহন পরের।’

শাটডাউনের মধ্যে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে ২১ জনকে আটক করে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আটক ব্যক্তিদের দাবি, তারা লকডাউন দেখতে বের হয়েছেন। দোষ স্বীকার করায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়কে সেনা ও পুলিশের টহলের পাশাপাশি ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতও। অন্য যানবাহন না চললেও রিকশার আধিক্য ছিল বিভিন্ন এলাকায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিনা কারণে যারাই বের হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

ফেনীর বেশির ভাগ রাস্তা প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শুরুতে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করতে জেলা-উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান।

সড়ক ফাঁকা লক্ষ্মীপুরেও। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে। যারা বের হচ্ছেন, তারা পড়ছেন জেরার মুখে।

সিলেট

সিলেট বিভাগেও শাটডাউনের প্রথম দিন ছিল তুমুল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। মাঝেমধ্যে চলতে দেখা গেছে রিকশা ও মোটরসাইকেল। মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও র‌্যাবের কয়েকটি গাড়িতে মাইক লাগিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। বিভাগের অন্য তিন জেলারও প্রায় একই চিত্র।

সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় রিকশায় থাকা দুই আরোহীকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। সেখানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। সেখানে পথচারীদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

বিধিনিষেধে বিপাকে পড়েছে দিনমজুররা। নগরের আম্বরখানা এলাকায় কাজ পেতে অপেক্ষায় থাকা দিনমজুর ইর্শাদ মিয়া বলেন, ‘ঘরে থাকলে তো আমরার পেট চলত নায়। তাই ঘর থাকি বার অইতে অয়। কিন্তু আইজ বার অইয়াও কোনো লাভ অইছে না। কামকাজ মিলছে না।’

সুনামগঞ্জ শহরে বাজার করতে বের হওয়া লোকজন ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ফরিদা বেগম বলেন, ‘লকডাউন দিয়া আমরার কষ্ট ভারি গেছে। আগে বাসার সামনে উবাইলে গাড়ি পাওয়া যাইত, এখন সকাল থকি নাই।’

মৌলভীবাজারে সকালে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের একটি বিশাল বহর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মহড়া দেয়। শহরের কুসুমবাগ মোড়ে পৌর মেয়র ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনাররা বাইরে বের হওয়া লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

রংপুর

শাটডাউনে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সড়কে যানবাহনের তেমন দেখা যায়নি। তবে অলিগলিতে কিছু রিকশা চলেছে। শহরকেন্দ্রিক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে কিছু দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষজন খুব একটা বাইরে বের হয়নি।

রংপুর জেলার আট উপজেলায় আটটি ও সিটি করপোরেশনে একটি সেনাবাহিনীর টহল দল কাজ করছে। পুলিশ ও র‌্যাব জনসচেতনতায় বিভিন্ন রাস্তায় মাইকিং করেছে।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

কুড়িগ্রামে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি লোকজনকে। তবে গ্রামের দিকে মানুষ হাটবাজারে বের হচ্ছেন। নীলফামারী শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দেখা গেছে পুলিশের চেকপোস্ট। পঞ্চগড়েও রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা।

তবে ঠাকুরাগাঁও ও গাইবান্ধায় শাটডাউনের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কগুলো ছিল অটোরিকশার দখলে। বেলা বাড়তে থাকলে অটোরিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেলও বাড়তে থাকে সড়কে।

বরিশাল

শাটডাউনের প্রভাব সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে।

বরিশাল জেলায় গণপরিবহন না থাকলেও রিকশা ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সড়কে লোকজনের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় টহল দিলেও অলিগলিতে রীতিমতো ছোট ছোট দলে আড্ডা দিতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সবারই এক কথা- শাটডাউন দেখতে তারা বের হয়েছেন।

চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থান সারা দেশেই

ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনায় কঠোর অবস্থানে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। তাদের নজর এড়িয়েই অনেকে বের হয়েছেন রাস্তায়। শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাজারগুলোতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও লক্ষ্মীপুর থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে শত শত যাত্রী ভোলায় ইলিশাঘাট ভিড়েছেন। ভোলা শহরে দুপুরে নিষেধ না মেনে বের হওয়ায় দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং ২৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শাটডাউন: অলিগলিতেও পুলিশি টহল
শাটডাউন দেখতে বেরিয়ে রাজধানীতে শতাধিক আটক
রাজপথে সেনাদের টহল
বাজারে ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধি
ফেরিতে পার হচ্ছে পণ্যবাহী যান, অ্যাম্বুলেন্স

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The Islamic Movement Bangladesh organized the Ganasatha in Netrokona

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।

মন্তব্য

সারা দেশ
Six days after the disappearance the body of a young man was recovered from the Meghna river in Bhairab

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।

এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
The accused in the robbery case including the murder of Bhairab arrested the accused

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।

সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
In Kurigram the people of Teesta Para are threatening to break the water even though the water is reduced

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।

সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Jhalakathi TTCs success to achieve third place across the country

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'

উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Villagers humanitarian demonstration rally to bring drug dealers under the law

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।

মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

p
উপরে