× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
ভালোবাসার টানে হলেন রোহিঙ্গা খাটলেন জেল
google_news print-icon

প্রেমের টানে বাঙালি তরুণীর ‘অভিশপ্ত’ রোহিঙ্গা জীবন   

প্রেমের-টানে-বাঙালি-তরুণীর-অভিশপ্ত-রোহিঙ্গা-জীবন-  
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত সিরাজ খাতুন। ছবি: নিউজবাংলা
মুক্তির পর সিরাজ বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বার বার বলছিলাম, আমি রোহিঙ্গা না, প্রতারণার শিকার হয়েছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। আমি ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছি। আমি বাংলাদেশি। আমি তার (স্বামী) বিচার চাই। রোহিঙ্গা তালিকা থেকে মুক্তি চাই।’

রোহিঙ্গা যুবককে ভালোবেসে ছেড়েছিলেন স্বজন, পরিবার। বাঙালি পরিচয় বদলে বেছে নেন রোহিঙ্গা জীবন। তবে যার জন্য ঘর ছাড়া সেই যুবকই এক সময় ছেড়ে যায় তরুণীকে। তত দিনে জন্ম নিয়েছে দুই সন্তান। দুই চোখে অন্ধকার দেখা তরুণী টিকে থাকার জন্য পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন মধ্যপ্রাচ্যে। তবে পাসপোর্ট করতে গিয়ে ‘মিথ্যা পরিচয়ের’ অভিযোগ ধরা পড়ে যেতে হয় কারাগারে।

সিনেমার কাহিনিকে হার মানানো এই তরুণীর নাম সিরাজ খাতুন। ২৫ দিন জেল খাটার পর মঙ্গলবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে।

মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপে জামিনে মুক্ত হয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি শোনান বিভীষিকাময় জীবনের গল্প।

স্থানীয় সংসদ সদস্যের জিম্মায় গত ১৬ জুন সিরাজ খাতুনকে জামিন দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন। এর পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

প্রেম যেভাবে পরিণত প্রতারণায়

রাঙ্গুনিয়ার উত্তর পদুয়া এলাকায় প্রায় এক যুগ আগে পরিচয় গোপন করে মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন রোহিঙ্গা যুবক মো. সিদ্দিক। পাশাপাশি অন্যের ফসলি জমিতে চাষাবাদও করতেন। সিদ্দিকের সঙ্গে ওই এলাকার সিরাজ খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১০ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর সিরাজ জানতে পারেন, তার স্বামী রোহিঙ্গা। শুরু হয় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জীবন।

প্রেমের টানে বাঙালি তরুণীর ‘অভিশপ্ত’ রোহিঙ্গা জীবন

সিরাজ জানান, চট্টগ্রামের নানা জায়গায় ঘুরেও কোথাও থিতু হতে পারছিলেন না তারা। ২০১৭ সালে পটিয়ায় থাকার সময় ধরা পড়েন পুলিশের কাছে। পুলিশ তাদের পাঠিয়ে দেয় উখিয়ার পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার ত্রাণের আশায় সিরাজকে রোহিঙ্গা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন সিদ্দিক। সিরাজের নতুন নাম তখন সালমা খাতুন।

ক্যাম্পে নতুন চেহারা পায় সিদ্দিকের, নিয়মিত সিরাজকে নির্যাতন করতেন তিনি। এরই মধ্যে জন্ম নেয় দুই সন্তান। ২০১৯ সালে সিদ্দীক স্ত্রী-সন্তানদের রেখে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। অসহায় সিরাজ দুই সন্তানকে নিয়ে ফিরে যান রাঙ্গুনিয়ায় বাবার বাড়িতে।

মিথ্যা পরিচয়ের অভিযোগে কারাবাস

সিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিবার জানত না আমি রোহিঙ্গাকে বিয়ে করেছি। সব শুনে তারা হতভম্ব হয়ে পড়ে। মানসম্মান রক্ষায় আমাকে ওমান পাঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।’

ওমান যাওয়ার জন্য ৩ জুন পাসপোর্ট বানাতে ডবলমুরিংয়ের মনসুরাবাদ কার্যালয়ে যান সিরাজ। তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। সিরাজের ফিঙ্গার প্রিন্টে দেখা যায়, তিনি একজন রোহিঙ্গা, নাম সালমা খাতুন।

এরপর এক বছর বয়সী সন্তানসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সিরাজকে সহায়তায় এগিয়ে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন বিএইচআরএফ। আইনি সহায়তা দিয়ে আদালতে বিষয়টি তুলে ধরে জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে সিরাজকে জামিন দেন।

বিএইচআরএফ চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফা আবেদন করেও সিরাজ খাতুনের জামিন হয়নি। তবে তৃতীয়বার আদালতের কাছে সিরাজ খাতুনের অসহায়ত্ব সম্পূর্ণ তুলে ধরলে বিচারক তা বুঝতে পারেন। অবশেষে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন।’

মুক্তির পর সিরাজ বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বার বার বলছিলাম, আমি রোহিঙ্গা না, প্রতারণার শিকার হয়েছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। পরে আমার পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে বিষয়টি তুলে ধরে।

‘আমি ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছি। আমি বাংলাদেশি। আমি তার (স্বামী) বিচার চাই। রোহিঙ্গা তালিকা থেকে মুক্তি চাই।’

আরও পড়ুন:
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ১৪ রোহিঙ্গা আটক
রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প করবেন শরণার্থী থেকে ফুটবলার নাদিয়া ‍
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭০ ভরি স্বর্ণ জব্দ
মিয়ানমারে কেন ফিরতে চান না রোহিঙ্গারা
জাতিসংঘের প্রস্তাবে হতাশ বাংলাদেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Saudi palm success in the hands of foreign farmers

বিদেশফেরত কৃষকের হাতে সৌদি খেজুরের সাফল্য

বিদেশফেরত কৃষকের হাতে সৌদি খেজুরের সাফল্য

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর সফলভাবে উৎপাদন করে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের আবদুল মোতালেব। এলাকায় তিনি এখন ‘খেজুর মোতালেব’ নামেই পরিচিত। সৌদি খেজুরের বাগান থেকে তিনি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন, যা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশের নানা প্রান্তের চাষিদের।

মোতালেব জানান, ১৯৯৮ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই খেজুর বাগানে কাজ করার সুযোগ পান। তিন বছর কাজ করার পর বুঝতে পারেন—অন্যের বাগানে মজুরের কাজ করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০১ সালের শেষ দিকে দেশে ফেরেন ৩৫ কেজি খেজুরের বীজ নিয়ে। নিজ বাড়ির উঠানে শুরু হয় তার খেজুর চাষের স্বপ্নযাত্রা।

শুরুর সময় ছিল দুঃখ-কষ্টে ভরা। বিদেশ থেকে টাকা বা স্বর্ণ না আনতে পারায় অভিমানে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। তার আনা বীজ থেকে জন্ম নেয় ২৭৫টি গাছ, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ছিল মাতৃগাছ। দীর্ঘ ১৮ বছরের গবেষণায় সেই মাতৃগাছগুলো থেকেই কাটিং করে চারা উৎপাদন শুরু করেন।

বর্তমানে তার সাত বিঘা বাগানে রয়েছে ৩ হাজারের বেশি সৌদি জাতের খেজুরগাছ। যার মধ্যে আজোয়া, শুক্কারি, আম্বার, লিপজেল ও মরিয়ম জাতের খেজুর অন্যতম। খেজুরের দাম জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। শুধু খেজুর নয়, বিক্রি হয় চারা—কাটিং করা চারা ১৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, আর বীজ থেকে উৎপাদিত চারা ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।

মোতালেবের ছেলে মিজানুর রহমান অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৩ সাল থেকে বাবার সাথে যুক্ত হয়ে খেজুর চাষে নতুন উদ্ভাবন করেছেন। দেশি ও সৌদি জাতের গাছ ক্রস করে এমন একটি জাত তৈরি করেছেন, যেটি থেকে প্রচুর রস পাওয়া সম্ভব। বাবা-ছেলে মিলে আট বিঘা জমিতে রস ও গুড় উৎপাদনের জন্য নতুন বাগান করেছেন।

মোতালেবের সাফল্যের খবরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন তার বাগান দেখতে ও চারা কিনতে। অনেকেই তার অনুপ্রেরণায় শুরু করেছেন সৌদি খেজুর চাষ।

ভালুকা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে সরকারিভাবে খেজুর প্রকল্প চালু হলে এ ধরনের উদ্যোক্তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন।

আবদুল মোতালেবের স্বপ্ন, একদিন তার খেজুর শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও রপ্তানি হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিন, যাতে সৌদি আরবের মতো প্যাকেটজাত করে খেজুর বাজারজাত করা যায়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Rit to the High Court to take action against the looters of white stone

সাদা পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

সাদা পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করা রিটের শুনানি হবে আগামী রোববার।

এ সংক্রান্ত রিটটি শুনানির জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।

রিটে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।

মন্তব্য

সারা দেশ
Municipal Home Owners Associations Human Rights to Eliminate Permanent Waterfall of Keshabpur Municipality

কেশবপুরের পৌরসভার স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির মানববন্ধন

কেশবপুরের পৌরসভার স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির মানববন্ধন

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ প্রতি বছর ছয় মাস পানি বন্দি থাকে। পৌর বাসির দীর্ঘদিনের সমস্যা জলবদ্ধতা। এই স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে, বুধবার(১৩ আগস্ট) বিকাল পাঁচ টায় ত্রিমোহিনমোড়ে পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের একটাই স্লোগান, কেশবপুর পৌরসভার সকল ঘের বন্ধ করো, স্থায়ী পানির সমস্যার সমাধান করো। পৌর সভা এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে মাছের ঘের করার কারণে প্রতি বছর এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা, শহরের মাছ বাজার, তরকারি বাজার, ধানের বাজার, চাউল পট্টি, সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে দুই / তিন ফুট পানি উঠে যায়। যার ফলে শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার মেইন রোড উপর বসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঘুকতে পারে না। বিষয় টি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা শর্তেও গুরুত্ব দেন না। তাই মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রশাসন কে জানিয়ে দেন অপরিকল্পিত ঘের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কেশবপুর পৌর বাসিকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবে পৌর বাড়ি মালিক সমিতি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ,

সহ-সভাপতি কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজেদ খান ডবলু, পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, ঔষধ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রভাষক মোঃ শাহাজাহান কবীর, সোহেল হাসান আইদ,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, এ্যাডঃ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার মোদক, শাহাজাহান কবীর, আব্দুল জলিল, আবু সালেহ মাসউদ হাসান, মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুল হালিম মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু প্রমুখ ।

মন্তব্য

সারা দেশ
12 people die every day

তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু

তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু

দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লাখের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৪৪২ জন মানুষ।

গতকাল বুধবার পল্টনের একটি হোটেলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

‘জনস্বার্থ বনাম তামাক কোম্পানির প্রভাব: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন তরান্বিতকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, তামাক হৃদরোগ, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায় এবং ৪ লক্ষাধিক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এখনই প্রয়োজন বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন।

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

মন্তব্য

সারা দেশ
Many people including self sufficient unemployed Mohsin to celebrate goats

ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিক্ষিত বেকার মোহসিনসহ অনেকেই

ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিক্ষিত বেকার মোহসিনসহ অনেকেই

রূপগঞ্জে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন মোহসিন মিয়া। কিনেছেন মালবাহী ২ টি পিকআপ, একটি সিএনজি ও নিজেদের থাকার বাড়ি। নিজে গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি দেশি জাতের ছাগলের খামার। তিনি উপজেলার উত্তরপাড়ার কানাবাড়ি গ্রামের বাছে মিয়ার ছেলে।
আজ থেকে বিশ বছর আগে ছাত্রজীবনে সখের বশেই দুটি ছাগল কিনে নিজ বাড়িতে পালন শুরু করেন মোহসিন। কয়েক মাস পর ৪ টি করে বাচ্চার জন্ম হয়। ছাগল পালনের এক বছরের মাথায় তিনি লাভ পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০টি ছাগল রয়েছে। যার বাজার মূল্যে ৫ লক্ষাধিক টাকা। ছাগল পালন করেই মোহসিন মাস্টার ডিগ্রি পাস করেন। চাকরির পেছনে না দৌড়িয়ে এখনও ছাগল পালনেই ব্যস্ত মোহসিন।
মোহসিন বলেন, প্রতিদিন ছাগলগুলোকে আমি সকাল বিকাল ঘাস খাওয়াই এবং দুপুরে ভুসি কিনে খাওয়াই। তাতে প্রতিদিন আমার ৫০০ টাকার ভুসি লাগে। দেশি জাতের এই ছাগলগুলো প্রতি বছর দুইবার বাচ্চা দেয়। একটি এক বছর বয়সের ছাগলের ওজন ১০০ কেজির মতো হয়ে থাকে। প্রতি মাসে ৫-১০টি ছাগল বিক্রি করি। আমার ফার্ম দেখাশুনা করার জন্য কোনো সহকারী রাখিনি। আমার পরিবারের সবাই দেখাশুনা করি। আমার এই খামার গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো ঋণ নেইনি।
পাঁচ বছর আগের কথা মনে পড়লেও গা হিম হয়ে যায় গৃহবধু হালিমা খাতুনের। অভাব ছিলো তার নিত্য সঙ্গী। তিন ছেলে মেয়ের ভরণ পোষণ আর লেখা পড়ার খরচ বহন করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হতো তার। মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতে হতো। এখন আর কারোর কাছে হাত পাততে হয় না তার। ছাগল পালনে বদলে গেছে তার জীবন চিত্র। তিনটি ছাগল দিয়ে তার ফার্মের যাত্রা শুরু হলেও এখন তার খোয়াড়ে আছে ৩৩টি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল। শুধু হালিমা নয় তার মতো অনেক স্বামীপরিত্যাক্তা বিধবা ও শিক্ষিত যুবক ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। বিশেষ করে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করছেন তারা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসেব মতে উপজেলায় ছোট বড় ৪৩২৮টি ছাগলের খামার আছে। খামার গুলিতে বেশ কয়েকটি জাতের ছাগল রয়েছে। তার মধ্যে ব্লাকে বেঙ্গল জাতের ছাগল বেশি। এছাড়াও রয়েছে বারবারি, ব্রম্মা ও রাম ছাগল।
উপজেলার নগর পাড়া গ্রামের ছালিমা বেগমের জীবনটা ছিল সংগ্রামের আর হতাশার গল্প। অষ্টম শ্রেণী পাশ করার পর দারিদ্র্যের কারণে থেমে যায় তার পড়াশোনা। স্বামী মোস্তফা মিয়ার দিনমজুরের আয়ে কোনোমতে চলত সংসার। জমিজমা না থাকায় চাষাবাদ করার সুযোগও ছিল না। এর মধ্যে স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে হালিমার জীবনে নেমে আসে আরেক দফা বিপর্যয়। পরিবার চালানোই যেখানে কঠিন, সেখানে নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়া ছিল অকল্পনীয়।
তবে হাল ছাড়েননি ছালেমি। মানুষের কাছ থেকে ছাগল বর্গা নিয়ে লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১৮টি ছাগল, ২০টি দেশি মুরগি, ১৫টি হাঁস। সবজি বাগানও গড়ে তুলেছেন। প্রতিমাসে হাঁস-মুরগি ও সবজি বিক্রি করে আয় করছেন ৭-৯ হাজার টাকা। ছাগলগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদন ব্যয় বাদে লাভ হবে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। এখন তার স্বামী মোস্তফা মিয়াও সুস্থ হয়ে খামারের কাজে হালিমাকে সহযোগিতা করছেন।
অক্তার, মাজহারুল, হাসিনা, মিনারাসহ খামারিরা জানান, ছাগলই একমাত্র প্রাণী যার বছরে দু’বার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্চা দেয়। রোগ-বালাইও কম হয়। ছাগলের সবচেয়ে বড় শত্রু ঠান্ডা। বছরে একবার পিপিআর, এফএমডি, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই আর কোনও ওষুধ লাগে না। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে কোন সমস্যাই হয় না।
কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বলেন, মোহসিন শিক্ষিত বেকার যুবকদের মডেল। তাঁর পথ অনুসরণ করে অনেকেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মোহসিন একজন আদর্শ খামারি। তিনি শুধু নিজেই নন, এলাকার অন্তত ১০টি পরিবারকে নিজের ছাগল বর্গা দিয়ে ছাগল পালনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর দেখানো পথে এলাকার অনেকেই হাঁটছেন। তাঁর কর্মকা- অনুকরণীয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজল কুমার দাস বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের সাধ্যমত সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।ওষুধ সরবরাহ না থাকলে অনেক সময় শুরু প্রেসকিপশন দেয়া হয়। কোন সময় খামারে গিয়েও চিকিৎসা দেয়া হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
After August 25 in Kulaura the rules are broken UNO

কুলাউড়ায় ২০ আগস্টের পর নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা: ইউএনও

কুলাউড়ায় ২০ আগস্টের পর নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা: ইউএনও

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শহরের যানজট নিরসনে সিএনজি অটোরিকশা নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাসান আল মামুন, উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, ভূকশিমইল ইউপির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সাংবাদিক এম মছব্বির আলী, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, সাংবাদিক ময়নুল হক পবন, নাজমুল বারী সোহেল, মাহফুজ শাকিল, মহিউদ্দিন রিপন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (২৩৫৯) সভাপতি সেলিম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম রুহেলসহ বিভিন্ন লাইন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে ইউএনও মহিউদ্দিন জানান, শহরের অভ্যন্তরে কোনো স্থায়ী সিএনজি স্ট্যান্ড রাখা হবে না। তবে আপাতত উত্তরবাজার ও দক্ষিণবাজারের চলমান সাতটি অস্থায়ী স্ট্যান্ডে দুটি করে সিএনজি রাখার এবং বাকিগুলো নির্ধারিত স্ট্যান্ডে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটোরিকশা নেতৃবৃন্দ ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেন। এরপর থেকে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সারা দেশ
Plot Flat allotment Secretary MP Minister with Justice whose quota is canceled

প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাদের কোটা বাতিল

প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাদের কোটা বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১ বছরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে এসেছে বড় পরিবর্তন। বৈষম্যমূলক প্লট-ফ্ল্যাট কোটাব্যবস্থা বাতিল, দীর্ঘদিনের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত, শহীদ পরিবার ও নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্পসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গতকাল বুধবার এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ বিধিমালা সংশোধন করে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য নির্ধারিত কোটা বাতিল করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্লট বা ফ্ল্যাট দেওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ মেয়াদে রাজউকের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করছে। ধানমন্ডিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে পাওয়া ১২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে শেরেবাংলা নগরের ১৭ দশমিক ৪৭ একর জমি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের জন্য হস্তান্তর করছে মন্ত্রণালয়। শাহবাগে একটি ও জেলাপর্যায়ে আটটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শেষ, অন্য ৫৫ জেলায় কাজ চলছে। শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের জন্য মিরপুরে ২ হাজার ৩৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক আজিমপুরে নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৮৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জনস্বার্থবিরোধী পাঁচটি প্রকল্প বাতিল করে ৪২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে মন্ত্রণালয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ অডিটে ২০০৯ থেকে ২০২৪ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৮২টি অনিয়ম চিহ্নত করা হয়েছে। অনিয়মে জড়িত ১১ কর্মকর্তা বরখাস্ত ও রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অভিযুক্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এছাড়া বিগত ১ বছরে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত আরও কর্মক্রম সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস রিলিজে।

মন্তব্য

p
উপরে